কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকট

কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকট প্রসঙ্গে মার্কিন অর্থনৈতিক উপনিবেশ কিউবা, কিউবায় ফিদেল কাস্ত্রোর শাসন, কিউবায় ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি, কিউবায় ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি বিষয়ে মার্কিন ও রুশ প্রতিক্রিয়া, জাতিপুঞ্জের উদ্যোগ ও কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের গুরুত্ব সম্পর্কে জানবো।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর কালে কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকট প্রসঙ্গে আমেরিকার অর্থনৈতিক উপনিবেশ কিউবা, কিউবায় ফিদেল কাস্ত্রোর শাসন, কিউবায় আমেরিকার ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি, কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটে মার্কিন ও রুশ প্রতিক্রিয়া, কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটে জাতিপুঞ্জের উদ্যোগ ও কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের ফলাফল সম্পর্কে জানব।

কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকট

ঐতিহাসিক ঘটনাকিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকট
সূচনাকাল১৯৬২ খ্রি
শাসকফিদেল কাস্ত্রো
ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিআমেরিকা, রাশিয়া
সর্বাধিক চিনি উৎপাদনকিউবা
কিউবার স্বাধীনতা১৮৯৮ খ্রি
কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকট

ভূমিকা :- কিউবা হল ক্যারিবিয়ান সাগরে অবস্থিত পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে সর্ববৃহৎ দ্বীপ। কিউবা ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে স্পেন-এর অধীনতা ছিন্ন করে। ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দে স্বাক্ষরিত প্লাট চুক্তি (Plant Agreement)-র দ্বারা কিউবার অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বিষয়ে আমেরিকা হস্তক্ষেপ করার অধিকার পায়।

কিউবার কৃষিপণ্য

কিউবায় কৃষিক্ষেত্রে বিভিন্ন বাণিজ্যিক পণ্যের চাষ হত। কিউবা ছিল বিশ্বের সর্বাধিক চিনি উৎপাদনকারী দেশ। এখানে প্রচুর তামাকও উৎপন্ন হত।

মার্কিন অর্থনৈতিক উপনিবেশ কিউবা

আর্থিক বিচারে কিউবা ছিল একটি মার্কিন উপনিবেশ। কিউবার যাবতীয় উৎপাদনের ওপর মার্কিন পুঁজিপতিদের একচেটিয়া আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এখানকার ৪০ শতাংশ আখের খেত মার্কিন পুঁজিপতিদের দখলে ছিল। ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে, কিউবার ১/৩ অংশ কর্ষণযোগ্য জমি ১০০ বিদেশি বাণিজ্যিক সংস্থার কুক্ষিগত ছিল। আমেরিকার শোষণে কিউবার সাধারণ মানুষের জীবনে চরম দারিদ্র্য ও দুর্দশা নেমে এসেছিল।

কিউবায় ফিদেল কাস্ত্রোর শাসন

মার্কিন পৃষ্ঠপোষকতায় ফ্যালজেনিকো বাতিস্তা ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে কিউবার রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি কিউবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

(১) ফিদেল কাস্ত্রোর ক্ষমতা দখল

বাতিস্তা সরকারের আমলে দেশে দারিদ্র, দুর্নীতি, অসাম্য, স্বৈরাচার প্রভৃতি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়। ফলে মার্কিন মদতপুষ্ট এই সরকারের প্রতি কিউবার জনগণের সমর্থন ছিল না। বাতিস্তা সরকারের অপদার্থতার সুযোগে ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি ফিদেল কাস্ত্রো কিউবায় এক অভ্যন্তরীণ বিপ্লব ঘটিয়ে দেশের শাসনক্ষমতা দখল করেন।

(২) উন্নয়ন কর্মসূচি

কাস্ত্রো বড়ো খামার, বিদেশি শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান প্রভৃতি জাতীয়করণ করেন এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করেন।

(৩) কাস্ত্রোর প্রতি আমেরিকার ক্ষোভ

কাস্ত্রো রাশিয়া, চিন ও অন্যান্য সমাজতান্ত্রিক দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা স্থাপন করেন। তিনি রাশিয়া ও অন্যান্য সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রচুর আর্থিক ও সামরিক সাহায্য লাভ করেন। কাস্ত্রো প্রতিবেশী ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, হাইতি, নিকারাগুয়া, ভেনেজুয়েলা প্রভৃতি দেশের মার্কিন-বিরোধী আন্দোলনকে উৎসাহিত করেন। এসব কারণে আমেরিকা কাস্ত্রোর প্রতি ক্ষুব্ধ হয়। ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে কিউবার হাভানায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে কর্মীর সংখ্যা ১১ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার দাবি জানালে আমেরিকা কিউবার সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।

(৪) কাস্ত্রো বিরোধী বিদ্রোহ

ক্ষুব্ধ আমেরিকা কিউবাকে ধ্বংসের উদ্যোগ নেয়। কিউবার কমিউনিস্ট-বিরোধী দেশত্যাগী শরণার্থীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আমেরিকা কাস্ত্রোর বিরুদ্ধে বিদ্রোহে মদত দিতে থাকে। মার্কিন উদ্যোগে কাস্ত্রো সরকারকে উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে ১৪০০ কাস্ত্রো-বিরোধী কিউবার পিগ উপসাগরে অবতরণ করে। বিদ্রোহীদের সহায়তার জন্য মার্কিন বি-২৬ বিমান প্রস্তুত ছিল। কিন্তু মাত্র ২ দিনের মধ্যে কাস্ত্রো-বিরোধী বিদ্রোহ দমিত হয়।

(৫) কাস্ত্রোকে উচ্ছেদের লাগাতার উদ্যোগ

তথাপি মার্কিন প্রশাসন কাস্ত্রোকে উচ্ছেদের বিষয়ে বদ্ধপরিকর ছিল। মার্কিন রাষ্ট্রপতি জন কেনেডি ঘোষণা করেন যে, “আমরা কিউবাকে কমিউনিস্টদের হাতে ছেড়ে দিতে পারি না।” এই পরিস্থিতিতে কাস্ত্রো সোভিয়েত রাশিয়ার দিকে ঝুঁকতে বাধ্য হন।

কিউবায় ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি

এই পরিস্থিতিতে কিউবায় ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি স্থাপনের বিভিন্ন দিক গুলি হল –

(১) আমেরিকার ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি

১৯৬০-এর দশকের শুরুতে আমেরিকা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে আণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি নির্মাণ করেছিল। যেগুলি শত্রু রাষ্ট্রগুলিকে, বিশেষ করে সোভিয়েত রাশিয়াকে নিশানা করেছিল। বিদেশের মাটিতে তখনও পর্যন্ত রাশিয়ার এধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি ছিল না।

(২) কিউবায় রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি

১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকা বহু উচ্চতায় উড়তে সক্ষম এমন দ্রুতগামী গুপ্তচর বিমানের ক্যামেরায় তোলা ছবি থেকে জানতে পারে যে, আমেরিকার দক্ষিণ সীমান্ত থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার দূরে কিউবায় সোভিয়েত রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি নির্মাণ করেছে। এখান থেকে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র সমগ্র আমেরিকা তথা সমগ্র পশ্চিম গোলার্ধের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করবে। এ ছাড়া সেখানে সোভিয়েত রাশিয়ার পাঠানো জেট বিমানের বিভিন্ন অংশ জুড়ে কিউবার বিমানবহর শক্তিশালী করার কাজ শুরু হয়েছে।

কিউবায় ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি বিষয়ে মার্কিন ও রুশ প্রতিক্রিয়া

এরপর কিউবায় রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটির বিরুদ্ধে আমেরিকা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। রাশিয়াও পালটা মারাত্মক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। যেমন –

(ক) আমেরিকার প্রতিক্রিয়া

  • (১) কিউবায় রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটির অবস্থান মার্কিন প্রেসিডেন্ট কেনেডিকে অত্যন্ত বিচলিত করে। তিনি ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দের ২২ অক্টোবর এক বেতার ঘোষণার মাধ্যমে কিউবার চতুর্দিকে নৌ-অবরোধ সৃষ্টি করেন এবং ঘোষণা করেন যে, কিউবাগামী সব দেশের জাহাজ সম্পূর্ণ অনুসন্ধানের পর কিউবায় যেতে দেওয়া হবে।
  • (২) তিনি আরও জানান যে, কিউবা থেকে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হলে আমেরিকা এর জন্য সোভিয়েত রাশিয়াকে দায়ী করবে এবং সোভিয়েত রাশিয়ার ওপর পালটা আক্রমণ চালানোর বিষয়ে আমেরিকা কোনো দ্বিধা করবে না।
  • (৩) কেনেডি কিউবা থেকে আক্রমণাত্মক অস্ত্রশস্ত্র অপসারণ এবং পৃথিবীকে আসন্ন যুদ্ধের সম্ভাবনা থেকে রক্ষা করার জন্য রুশ প্রধানমন্ত্রী ক্রুশ্চেভকে অনুরোধ করেন।

(খ) রুশ প্রতিক্রিয়া

  • (১) মার্কিন রাষ্ট্রপতি কেনেডির ঘোষণার বিরুদ্ধে রাশিয়াও মারাত্মক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। রুশ সরকার তাঁর সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেয়। সেনাবিভাগের কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে কাজে যোগ দিতে বলা হয় এবং বিদায়ী কর্মচারীদের সাময়িকভাবে অবসর গ্রহণ স্থগিত রাখা হয়।
  • (২) সোভিয়েত সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় যে, কিউবাগামী কোনো জাহাজ বাধাপ্রাপ্ত হলে যেন সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালানো হয়। এভাবে কিউবায় ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিকে কেন্দ্র করে বিশ্ব এক ভয়াবহ আণবিক যুদ্ধের মুখোমুখি এসে দাঁড়ায়।

কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটে জাতিপুঞ্জের উদ্যোগ

কিউবায় ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিকে কেন্দ্র করে আমেরিকা ও রাশিয়ার তীব্র প্রতিক্রিয়া আসন্ন যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করে। যেমন –

(১) জাতিপুরে উত্থাপন

কিউবা, আমেরিকা এবং রাশিয়া তিন পক্ষই বিষয়টি জাতিপুঞ্জ-এ উত্থাপন করে। জাতিপুঞ্জের সেক্রেটারি জেনারেল উ থান্ট এবং পৃথিবীর বিভিন্ন জোটনিরপেক্ষ দেশগুলি দু-পক্ষের কাছেই শান্তিরক্ষার অনুরোধ জানান।

(২) রাশিয়ার সদর্থক বার্তা

শেষপর্যন্ত ২৭ অক্টোবর ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে রুশ প্রধানমন্ত্রী ক্রুশ্চেভ মার্কিন রাষ্ট্রপতি কেনেডিকে জানান যে, আমেরিকা যদি কিউবা আক্রমণ না করার প্রতিশ্রুতি দেয়, কিউবা থেকে নৌ-অবরোধ প্রত্যাহার করে এবং তুরস্ক থেকে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি অপসারণ করে, তবে সোভিয়েত রাশিয়াও কিউবা থেকে সমস্ত সামরিক সরঞ্জাম সরিয়ে নেবে।

(৩) সমাধান

শেষ পর্যন্ত সোভিয়েত রাশিয়া কিউবা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি সরিয়ে নেয় এবং আমেরিকাও ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে কিউবার নৌ-অবরোধ তুলে নেয় এভাবে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের শুভবুদ্ধির প্রভাবে কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটির সমস্যার সমাধান হয় এবং বিশ্ব একটি ভয়ংকর যুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা পায়।

কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের গুরুত্ব

কিউবা সংকটের স্থায়িত্বকাল সামান্য হলেও বিশ্ব রাজনীতিতে এই ঘটনার ফলাফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন –

(১) যুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা

কত অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্তের ফলে সহজেই একটি আণবিক যুদ্ধ শুরু হতে পারে এবং তা কতটা ভয়ংকর হতে পারে তার প্রমাণ দেয় কিউবার সংকট। এই সংকটকে কেন্দ্র করে বিশ্ব একটি ভয়ংকর দিকে যাত্রা করলেও শেষপর্যন্ত হিংসার বিরুদ্ধে সংযম, শুভবুদ্ধি ও মানবতাবাদ জয়যুক্ত হয়। পৃথিবী ধ্বংসযজ্ঞের হাত থেকে রক্ষা পায়।

(২) ক্রুশ্চেভের সদর্থক ভূমিকা

সোভিয়েত রাষ্ট্রপ্রধান ক্রুশ্চেভের সংযম, দূরদৃষ্টি ও বিশ্বশান্তির প্রতি আগ্রহ কিউবার সংকট সমাধানে বিশেষ সহায়তা করেছিল। মার্কিন রাষ্ট্রপতি কেনেডি এজন্য ক্রুশ্চেভের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

(৩) আলোচনার গুরুত্ব

কিউবা সংকট যেভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব হয়েছিল তা এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। এর পর থেকে আমেরিকা ও রাশিয়া পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সমস্যা সমাধানের পথ গ্রহণ করে এবং উভয় পক্ষের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।

(৪) অস্ত্র হ্রাস

মারণাস্ত্র হ্রাস বা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কিউবা সংকটের পরোক্ষ প্রভাব পড়তে দেখা যায়। কিউবা সংকট সমাধানের পরের বছর ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকা, রাশিয়া ও ব্রিটেন আণবিক বোমা পরীক্ষার ওপর আংশিক বাধানিষেধ আরোপ করে।

(৫) হটলাইন যোগাযোগ

কিউবা সংকটের পরোক্ষ প্রভাবে আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে টেলিফোন যোগাযোগের জন্য হোয়াইট হাউস ও ক্রেমলিনের মধ্যে হটলাইন যোগাযোগ স্থাপিত হয়।

(৬) রুশ-চিন সম্পর্কের তিক্ততা

কিউবা সংকটের এরূপ সমাধানে চিন সোভিয়েত রাশিয়ার ওপর অসন্তুষ্ট হয়। চিনের নেতা মাও-সে-তুঙ বলেন যে, আমেরিকার ভয়ে ভীত হয়ে রাশিয়া এই চুক্তি সম্পাদন করেছে। তিনি মার্কিন শক্তিকে ‘কাগুজে বাঘ বলে মন্তব্য করেন। উত্তরে ক্রুশ্চেভ বলেন যে, কাগুজে বাঘের আণবিক দাঁত আছে। এই বাদানুবাদ এবং সোভিয়েত রাশিয়া ও চিনের মধ্যে আদর্শগত বিরোধ দুই দেশের সম্পর্ককে তিক্ত করে।

উপসংহার :- পশ্চিম গোলার্ধের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র কিউবা আমেরিকার ভূখণ্ডের খুব কাছে অবস্থিত। কিউবার সমাজতান্ত্রিক কার্যকলাপ এবং পূর্ব ইউরোপ-এর সমাজতান্ত্রিক দেশগুলির সঙ্গে তার সুসম্পর্ক আমেরিকার সামনে রাজনীতির নতুন সমীকরণ তৈরি করে।

(FAQ) কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকট সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকট শুরু হয় কখন?

১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে।

২. কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের সময় রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন?

ফিদেল কাস্ত্রো।

৩. বিশ্বের সর্বাধিক চিনি উৎপাদনকারী দেশ কোনটি?

কিউবা।

৪. কিউবা কখন স্পেনের অধীনতা ছিন্ন করে?

১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে।

৫. ফিদেল কাস্ত্রো কিউবার শাসন ক্ষমতা দখল করে কখন?

১ লা জানুয়ারি ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে।

৬. কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের সময় সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সেক্রেটারি জেনারেল কে ছিলেন?

উথান্ট।

Leave a Comment