বঙ্গদূত পত্রিকা প্রসঙ্গে পত্রিকার প্রকাশকাল, শিরোভাগে কবিতা, বঙ্গদূত পত্রিকার সম্পাদক, নবোদ্যমে প্রকাশিত বঙ্গদূত পত্রিকা, সমাচার দর্পণ পত্রিকায় বঙ্গদূত পত্রিকা সম্পর্কে লেখনী ও বঙ্গদূত পত্রিকা সম্পর্কে সমাচার দর্পণ পত্রিকার লেখনি সম্পর্কে জানবো।
খ্রিষ্টীয় ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা বঙ্গদূত প্রসঙ্গে বঙ্গদূত পত্রিকার সম্পাদক, বঙ্গদূত পত্রিকার ভাষা, বঙ্গদূত পত্রিকার লেখনী, বঙ্গদূত পত্রিকার প্রকাশকাল সম্পর্কে জানব।
বঙ্গদূত পত্রিকা
ঐতিহাসিক পত্রিকা | বঙ্গদূত পত্রিকা |
ধরণ | সাপ্তাহিক পত্রিকা |
ভাষা | বাংলা |
প্রকাশকাল | ১০ মে ১৮২৯ খ্রি |
সম্পাদক | ভোলানাথ সেন |
ভূমিকা :- ইংরেজী, বাংলা, ফার্সী ও নাগরী – এই চার ভাষায় ‘বেঙ্গল হেরল্ড’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্র প্রকাশ করার জন্য বাশতলা গলির সার্জন আর মন্টগোমারী মার্টিনকে ৫ মে ১৮২৯ তারিখে সরকার লাইসেন্স মঞ্জুর করেন। ‘বেঙ্গল হেরল্ড’ কেবল ইংরেজীতেই প্রকাশিত হত। এরই সহচর ছিল ‘বঙ্গদূত’ পত্রিকা।
বঙ্গদূত পত্রিকার প্রকাশকাল
প্রথম সংখ্যা ‘বঙ্গদূতে’র প্রকাশকাল ১০ মে ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দ রবিবার। পরবর্তী সংখ্যা থেকে এটি শনিবারে প্রকাশিত হত।
সাপ্তাহিক পত্রিকা বঙ্গদূত শিরোভাগে কবিতা
এই পত্রিকার শিরোভাগে এই কবিতাটি শোভা পেত –
সংগোপনেল্পবিবৃতিং প্রবদপন্তি দূতাঃ সর্বে ন তত্র সুজনা হিতমভ্যুপেতাঃ।
কিঞ্চাখিলার্থকলনাদ্বহুদেশভূতপ্রজ্ঞাময়ং বিতনুতে খলু বঙ্গদূতঃ॥
অন্য অন্য দূতগণ, সামান্য যে বিবরণ, সেইমাত্র কহে সংগোপনে।
তাহাতে সচরাচরে, তত্ত্ব না জানিতে পারে, মুগ্ধ রহে মর্ম অন্বেষণে॥
অতএব সাধারণ, সৰ্ব্বজন প্রয়োজন, স্বদেশ বিদেশ সম্ভূত।
সমাচার সমুচ্চয়, প্রকাশ করিয়া কয়, হিতকারী এই বঙ্গদূত॥
বঙ্গদূত পত্রিকার সম্পাদক
এই পত্রিকা সম্পাদন করতেন সুপণ্ডিত নীলরত্ন হালদার। তিনি কিছু দিন পরে অবকাশ-অভাবে অবসর গ্রহণ করলে ভোলানাথ সেন এর পরিচালন ভার গ্রহণ করেন। এর পর তাকে ১৮৩০ সালের ১০ই এপ্রিল সরকারের থেকে লাইসেন্স নিতে হয়েছিল।
নবোদ্যমে প্রকাশিত বঙ্গদূত পত্রিকা
১৮৩৯ সালের মধ্যভাগে ‘বঙ্গদূত’ নবোদ্যমে প্রকাশিত হয়।
সমাচার দর্পণ পত্রিকায় বঙ্গদূত পত্রিকা সম্পর্কে লেখনী
১৬ মে ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দে সমাচার চন্দ্রিকা পত্রিকায় প্রকাশ –
“এতন্নগরের বারাণসী ঘোষ ষ্ট্ৰীট নিবাসি ষ্ট্ৰীযুত রাধামোহন সেনের পুত্র শ্রীযুত ভোলানাথ সেন যিনি শ্রীযুত দেওয়ান দ্বারিকানাথ ঠাকুরের অধীনতার বিষয় কর্ম্ম করেন ঐ সেনজ বঙ্গদূত নামক বাঙ্গালা সমাচার পত্রের প্রকাশক হইয়াছেন প্রায় এক বৎসরাধিক হইবেক এবং তিনি রিফার্মার নামক এক ইংরাজী সমাচার পত্র প্রকাশ করিতেছেন প্রায় মাস ত্রয়াধিক হইবেক…।”
বঙ্গদূত পত্রিকা সম্পর্কে সমাচার দর্পণ পত্রিকার লেখনি
১৫ জুন ১৮৩৯ তারিখের ‘সমাচার দর্পণে’ লেখা হয় –
“বহু কালাবধি বহুকষ্ট শ্রেষ্ঠে অর্থাভাবে সাপ্তাহিক বঙ্গদূত নাম এক পত্র মৃতপ্রায় হইয়াছিল তাহাতে প্রায় সকলে বিস্মৃত হইয়াছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি সেই মৃত কল্প পত্ৰ ভস্ম উপলক্ষ করিয়া পুনর্বার সজীব হইয়াছে আমরা বোধ করি পাঠকবর্গরা ইহা জ্ঞাত নহেন। কিন্তু আমরা ঐ সম্পাদকের ঐ নূতন প্রযত্ন বিষয়ে কিছু অল্প আশ্চর্য্য জ্ঞান করি না যাহা হউক সর্ব্বসাধারণের উপদেশকতারূপ ধর্ম যুক্ত সম্পাদকগণ মধ্যে আমরা তাহাকে গণনা করি…।” – জ্ঞানান্বেষণ।
উপসংহার :- ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত লিখেছেন, ভোলানাথ সেনের মৃত্যু হলে, মহেশচন্দ্র রায় অল্প দিন পত্রিকাটি পরিচালনা করেছিলেন। তারপর পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যায়।
(FAQ) বঙ্গদূত পত্রিকা সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
সাপ্তাহিক পত্রিকা।
১০ মে ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে।
ভোলানাথ সেন।