আকবরের শিল্পানুরাগ

মুঘল সম্রাট আকবরের শিল্পানুরাগ প্রসঙ্গে চিত্রশিল্প, সংগীত, স্থাপত্য শিল্পের বিকাশ, দুর্গ নির্মাণ, হুমায়ুনের সমাধি ভবন, ফতেপুর সিক্রির সুরম্য প্রাসাদ, আগ্রার প্রাসাদ দুর্গ, আকবরের সমাধি ভবন ও স্থাপত্য রীতি সম্পর্কে জানবো।

মুঘল সম্রাট আকবরের শিল্পানুরাগ

বিষয়আকবরের শিল্পানুরাগ
মুঘল বাদশাআকবর
শিরিন কলমআবদুস সামাদ
সঙ্গীতজ্ঞতানসেন
আকবরের সমাধিসেকেন্দ্রা
মুঘল সম্রাট আকবরের শিল্পানুরাগ

ভূমিকা :- আকবরের রাজত্বকালকে ভারতীয় সাহিত্য-ইতিহাস ও শিল্পের সুবর্ণযুগ বলা যেতে পারে। আকবরের রাজত্বকালে নবজাগরণ-এর সূচনা হয়েছিল বললে অত্যুক্তি হবে না।

আকবরের আমলে আভ্যন্তরীন শান্তিশৃঙ্খলা

মুঘল সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে মুঘল স্থাপত্যশিল্পের ক্ষেত্রেও গৌরবময় যুগের সূত্রপাত হয়। দীর্ঘকাল পরে দেশে রাষ্ট্রনৈতিক ঐক্য ও অভ্যন্তরীণ শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় শিল্পীরা নিশ্চিন্ত মনে শিল্পের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সৌন্দর্য সাধনায় মনোনিবেশ করার সুযোগ পায়।

সম্রাট আকবরের পৃষ্ঠপোষকতা

রাষ্ট্রনৈতিক ঐক্য ও অভ্যন্তরীণ শান্তিশৃঙ্খলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল আকবরের মতো মহান সম্রাটের পৃষ্ঠপোষকতা। আকবর শুধুমাত্র স্থাপত্যশিল্পের পৃষ্ঠপোষকতা করেন নি, তিনি স্বয়ং চিত্রশিল্প ভালোবাসতেন।

আকবরের আমলে চিত্রশিল্প

  • (১) হিন্দু ও মুসলমান চিত্রশিল্পীদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠে এক অনবদ্য চিত্রশিল্প। আকবর চিত্রশিল্পের একটি পৃথক বিভাগের সৃষ্টি করেন এবং পারস্যের সিরাজ শহরের অধিবাসী বিখ্যাত চিত্রশিল্পী আবদুস সামাদকে এই বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ করেন।
  • (২) তিনি ‘শিরিন-কলম’ বা ‘সুন্দর কলম’ উপাধি পেয়েছিলেন। আকবর চিত্রশিল্পের পৃষ্ঠপোষকতা করে এমন এক চিত্রশিল্পের শিক্ষালয় স্থাপন করেন, যাকে আমরা ভারতের প্রথম National Indian School of Painting’ বলে অভিহিত করতে পারি।
  • (৩) এই শিক্ষালয়ে সম্রাটের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ভারত-এর বিভিন্ন প্রান্ত ও বিদেশ থেকে শিল্পীদের এনে সমবেত করে শ্রেষ্ঠ শিল্পের সাধনায় নিযুক্ত করা হয়।

মুঘল সম্রাট আকবরের আমলে সঙ্গীত

  • (১) বাবর-এর মতো আকবরও সংগীতের পূজারি ছিলেন। আবুল ফজল লিখেছেন যে, সম্রাট সংগীতের প্রতি ভীষণ অনুরাগী ছিলেন। আইন-ই-আকবরীতে আবুল ফজল আকবরের রাজসভায় ছত্রিশজন প্রথম শ্রেণীর সংগীত-বিশারদের নাম উল্লেখ করেছেন। এঁরা সাতটি দলে বিভক্ত ছিলেন।
  • (২) প্রতি সপ্তাহে নির্দিষ্ট সময়ে এক-একটি দলকে সম্রাটকে সংগীতে মুগ্ধ করতে হত। তাঁর রাজত্বের প্রথমদিকে রেওয়া থেকে সংগীত-বিশারদ তানসেনকে রাজসভায় আনা হয়। তিনি ছিলেন রাজসভার মধ্যমণি। রাজসভায় তাঁর অত্যন্ত গুরুত্ব ছিল।
  • (৩) আবুল ফজল তানসেন সম্পর্কে বলেছেন, গত হাজার বছরে ভারতবর্ষে তানসেনের মতো সংগীতশিল্পী আর একজনও জন্মগ্রহণ করেননি। তিনি সংগীতে কয়েকটি নতুন রাগের জন্ম দিয়েছিলেন।
  • (৪) আকবরের রাজসভার সভাকবি রামদাসের পুত্র সুরদাস একাধারে কবি ও বিখ্যাত সংগীতশিল্পী ছিলেন। আকবরের পৃষ্ঠপোষকতায় হিন্দু ও মুসলমান শিল্পীদের গানের মিলনে এক নতুন সুর বেরিয়ে আসে। তিনিই ভারতীয় জাতীয় সংগীতের সূচনা করেন।

আকবরের সময় স্থাপত্য শিল্পের বিকাশ

  • (১) স্থাপত্যশিল্পের ক্ষেত্রেও আকবরের যুগে হিন্দু-মুসলমানের সমন্বয়ে যে স্থাপত্যশিল্পের বিকাশ লাভ করে, যদিও তাকে আমরা মুঘল স্থাপত্যশিল্প’ বলে অভিহিত করি, তা কিন্তু ঠিক নয়। আকবর স্থাপত্যশিল্পের ক্ষেত্রে চরম অনুরাগ দেখিয়েছিলেন।
  • (২) ভারতবর্ষে দিল্লি সুলতানি যুগে পারস্য ও বাগদাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য গজনি হয়ে তুর্কিরা ভারতের মাটিতে যে ধারা বহন করে এনেছিলেন, সেই ধারা আকবরের প্রচেষ্টাতেই প্রথম ভারতীয় জাতীয় ধারায় রূপান্তরিত হয়ে উৎকর্ষ লাভ করে।
  • (৩) তুর্কিরা যখন ভারতে আসে, তখন তারা শাসন, শিল্প ও স্থাপত্য সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা নিয়েই এসেছিল। তাদের হাতে ভারতীয় উচ্চমানের শিল্প স্থাপত্যের সঙ্গে ভর্তির্জাতির শিল্প-স্থাপত্যের উচ্চ ধারণার সংমিশ্রণে ভারতে এক নতুন স্থাপত্যশিল্পধারার বিকাশ লাভ করে।
  • (৪) আকবর এই দুটি ধারাকে সমন্বিত করে স্থাপতাশিল্পকে ভারতীয় ধারায় পরিণত করেন। তিনি নিজের সম্পূর্ণ ধারণা অনুযায়ী এমন কতকগুলি অট্টালিকা, প্রাসাদ, মসজিদ, সমাধিভবন ও দুর্গ নির্মাণ করেন, যার গঠনকার্যে ভারতীয় পারসিক উভয় রীতিরই প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। তবে আকবরের রীতিতে ভারতীয় রীতিরই আধিক্য দেখা যায়।

সম্রাট আকবর কর্তৃক দুর্গ নির্মাণ

  • (১) আকবর তিনটি বিরাট দুর্গ নির্মাণ করেন। যথা – আগ্রা, লাহোর ও এলাহাবাদ দুর্গ। আগ্রা দুর্গের স্থাপত্যশিল্প সম্পর্কে পার্সি ব্রাউন বলেছেন, “must have furnished a model for Akbar’s great edifice at Agra.’
  • (২) এই দুর্গের ভিতরে আকবর প্রায় পাঁচশো লাল বেলেপাথরের অট্টালিকা নির্মাণ করেন। আগ্রা দুর্গের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ১৫৬৫ এবং নির্মাণ কার্য শেষ হয় ১৫৭৩ খ্রিস্টাব্দে। আগ্রা দুর্গ ছিল আকবরের শাসনকালের প্রথম স্থাপত্য।
  • (৩) আকবর এই দুর্গকে পারস্যমুখী শৈলীর শ্রেণীর অতিরিক্ত প্রবণতা থেকে মুক্ত রেখে পরিপূর্ণ ইন্দো-পারসিক রীতির পরিপূর্ণ রূপদানের সাফল্য ঘটায় ভারতীয় স্থাপত্যে এক নতুন মাত্রা সংযোজিত হয়।
  • (৪) দুর্গের ভিতরে সুরক্ষিত বাসভবন নির্মাণ করেন এবং বাসভবনের ভিতরে এক শান্ত সমাহিত রূপদান করেন। প্রকৃতপক্ষে আকবর এই দুর্গের মধ্যে প্রয়োজনীয়তা ও সৌন্দর্য সৃষ্টির মধ্যে এক মিলন ঘটাতে চেয়েছিলেন।
  • (৫) এই রীতি শাহজাহানও অবলম্বন করেন, কিন্তু তিনি তাঁর মহান পিতামহের ব্যবহৃত লাল পাথরের পরিবর্তে শেষ পাথরের ব্যবহার করেন। এই অট্টালিকাগুলির মধ্যে আজও কিছু কালের অতন্দ্রপ্রহরী হিসেবে টিকে আছে।
  • (৬) যেগুলি টিকে আছে তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অট্টালিকা হল ‘আকবরী মহল’ ও ‘জাহাঙ্গীরী মহল’। ‘জাহাঙ্গীরী মহল’ আজও অক্ষত অবস্থায় টিকে আছে। কিন্তু আকবরী মহল প্রায় ধ্বংসের মুখে।
  • (৭) এই দুটি স্থাপত্য ইন্দো-পারসিক নীতির সফল মিলনের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। এই দুটি প্রাসাদ একই রীতিতে গঠিত হয়েছে। এই দুটি প্রাসাদের নির্মাণকার্যে ভারতীয় রীতিরই প্রাধান্য দেখা যায়।
  • (৮) সমালোচকদের মতে, “it is so much in design that it can hardly be out of place at Chittor or Udaipur.” এই প্রাসাদগুলির দেওয়ালে হাতি, সিংহ ও ময়ূরের ছবি সময়ে আঁকা হয়েছে। এগুলি সম্পূর্ণ ভারতীয় রীতির নিদর্শন।

আকবরের আমলে নির্মিত হুমায়ুনের সমাধি ভবন

  • (১) তাঁর রাজত্বকালে নির্মিত দিল্লিতে অবস্থিত হুমায়ুন-এর সমাধিভবন স্থাপত্য রীতির দিক দিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর গঠনে পারসিক রীতির বৈশিষ্ট্য সুপরিস্ফুট। মূল অট্টালিকার চারকোণে চারটি মিনার বা স্তম্ভ এবং একটি বিশিষ্ট ছোটো গম্বুজ – এটাই হুমায়ুনের সমাধিভবনের বৈশিষ্ট্য।
  • (২) এই রীতিই শাহজাহানের সময় বিশেষভাবে অনুসৃত হয়। হুমায়ুনের সমাধিভবন নির্মাণ করেছিলেন বিখ্যাত পারসিক স্থপতি গিয়াস। ১৫৬৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি হুমায়ুনের সমাধিভবন নির্মাণের কাজে হাত দেন এবং ১৫৭২ খ্রিস্টাব্দে শেষ করেন।
  • (৩) এটি আকবরের ইন্দো-পারসিক রীতির শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। আকবর ভারতীয় বিশুদ্ধ শিল্প রীতিতেও কতকগুলি মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। একটি বড়ো ও সুপরিকল্পিত বাগানের মধ্যে সমাধিভবনটি নির্মিত হয়েছিল। এত বড়ো বাগিচাসৌধ এর আগে কখনও নির্মিত হয়নি।
  • (৪) হুমায়ুনের এই সমাধিসৌধটিতে শুধুমাত্র হুমায়ুনের সমাধি হয়েছিল তা কিন্তু নয়। এখানে শায়িত আছেন হুমায়ুনের স্ত্রী হাজি বেগম, হামিদাবানু, বেগা বেগম এবং দারাশুকো ও ফারুখশিয়ার
  • (৫) হুমায়ুনের সমাধিসৌধ মুঘল স্থাপত্যশিল্পের অগ্রদূত এবং অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। অনেকে মনে করেন, তাজমহলে হুমায়ুনের সমাধিক্ষেত্রের স্পষ্ট ছাপ আছে।

আকবরের আমলে নির্মিত ফতেপুর সিক্রির সুরম্য প্রাসাদ

  • (১) ফতেপুর সিক্রিতে নগর পত্তন ও সেখানে বহু প্রাসাদ দুর্গ নির্মাণ আকবরের স্থাপত্যকীর্তির শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। ১৫৬৯ থেকে ১৫৭১ খ্রিস্টাব্দে আকবর ফতেপুর সিক্রিতে বহু সুরম্য প্রাসাদ নির্মাণ করেন।
  • (২) এদের মধ্যে জামা-ই-মসজিদ, বুলন্দ দরওয়াজা, বীরবলের প্রাসাদ, অম্বর রাজকুমারীর আবাসগৃহ, সোনহলা মকাব, দেওয়ান-ই-খাস, পঞ্চমহল প্রভৃতি স্থাপত্যশিল্পের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। বুলন্দ দরওয়াজা মার্বেল ও বেলেপাথরে তৈরি।
  • (৩) স্থাপত্য-রীতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বুলন্দ দরওয়াজা সম্পর্কে পার্সি ব্রাউন বলেছেন, “one of the most perfect architectural achievements in the whole of India.”
  • (৪) দেওয়ান-ই-খাসকে অনেকে আকবরের সর্বধর্ম সমন্বয়ের বিখ্যাত উপাসনালয় ইবাদতখানা বলে মনে করেন। ফতেপুর সিক্রিতে অবস্থিত স্থাপত্যশিল্পের আর একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন সেলিম চিস্তির মার্বেল পাথরে নির্মিত সুরম্য সমাধিক্ষেত্র।
  • (৫) ড. স্মিথ ফতেপুর সিক্রিকে ‘A romance in stone’ বলে অভিহিত করেছেন। এছাড়া আকবর আগ্রা ও লাহোরে অসংখ্য প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন। এগুলিও আকবরের স্থাপত্যশিল্পে অনুরাগের শ্রেষ্ঠ ফসল।

সম্রাট আকবরের সময় নির্মিত আগ্ৰার প্রাসাদ দুর্গ

১৫৬৫ খ্রিস্টাব্দে আগ্রার প্রাসাদ দুর্গের ভিত্তি স্থাপিত হয় এবং আট বছর পর এর নির্মাণকার্য শেষ হয়। এই প্রাসাদ দুর্গের অভ্যন্তরে দেওয়ান-ই-আম, দেওয়ান-ই-খাস ও জাহাঙ্গির মহল অবস্থিত।

আকবরের সমাধি ভবন

ফতেপুর সিক্রি ও আগ্রার মধ্যবর্তী অঞ্চলে সেকেন্দ্রা নামক স্থানে আকবরের সমাধিভবন নির্মিত হয়। এই সমাধিভবন আকবরের কৃতিত্বের অন্যতম নীরব সাক্ষী। এটি জাহাঙ্গীর-এ সময়ে নির্মিত হলেও, সম্ভবত আকবরই এর পরিকল্পনা করেছিলেন।

আকবরের আমলে নির্মিত ফতেপুর সিক্রির শিল্প সুষমা

ফতেপুর সিক্রি যদিও পরিত্যক্ত, তবুও তার শিল্প সুষমা সম্পর্কে বলা হয়েছে, “It still forms a most impressive revelation of a mighty personality.” ফার্গুসন বলেছেন, “It is a reflex of the great man who built”.

আকবরের আমলে স্থাপত্য রীতি

  • (১) প্রকৃতপক্ষে আকবরের স্থাপত্য রীতিকে ভারতীয় রীতি বলাই শ্রেয়। আকবরের স্থাপত্য রীতিতে ভারতীয় ও পারসিয়ান স্থাপত্য রীতির সংমিশ্রণ ঘটলেও, ভারতীয় স্থাপত্য রীতির আধিক্যই দেখা যায়।
  • (২) আকবরের শিল্পরীতি রাজপুতদের শিল্পরীতিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। বিশেষ করে আকবরের সময় নির্মিত অম্বর রাজপ্রাসাদ, বিকানির রাজপ্রাসাদ ও যোধপুর রাজপ্রাসাদে তাঁর শিল্পরীতি গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
  • (৩) মুঘল স্থাপত্য ও রাজপুত স্থাপত্যের সমন্বয়ে এক অভূতপূর্ব জাতীয় স্থাপত্য রীতির প্রবর্তন ঘটে। মুঘলদের স্থাপত্য রীতি মন্দির নির্মাণেও গ্রহণ করা হয়েছে। বৃন্দাবনের হিন্দু মন্দিরগুলিতেও মুঘল স্থাপত্য রীতিকে গ্রহণ করা হয়েছে।
  • (৪) এককথায়, আকবরের স্থাপত্য-রীতি ভারতীয় জাতীয় ধারায় পরিণত হয়। আকবরের শাসনকালে ভারতীয় স্থাপত্যরীতি যেভাবে এক বিবর্তনের মধ্য দিয়ে জাতীয় ধারায় পরিণতি লাভ করে তার মর্মবাণী আজও উপলব্ধি করতে ভুল করি।

বঙ্গাব্দের প্রবর্তক আকবর

পণ্ডিতদের মধ্যে বিতর্ক থাকলেও বহু সংস্কৃতির তিনি অন্যতম প্রধান। তাই বঙ্গাব্দের সূচনাকারী হিসেবেও আকবরের নাম উন্মোচিত হয়েছে প্রখ্যাত বিদগ্ধ পণ্ডিত ড. ব্রতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বিখ্যাত এক প্রবন্ধে। তিনি বলেছেন, “বঙ্গাব্দের প্রবর্তক বা তাঁর আমলে বঙ্গাব্দের সূচনা।”

উপসংহার :- স্থাপত্যরীতি এবং সংস্কৃতি এমনভাবে মিলে মিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল তা আলাদা করা দুঃসাধ্য। শুধুমাত্র আকবর নয়, সমগ্র মুঘলদের স্থাপত্যরীতির এই গভীর ভারতীয়করণের মর্মবাণী উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়ে না রকম কাল্পনিক মন্তব্য নিজেদের সুবিধা মতো করে থাকি।

(FAQ) মুঘল সম্রাট আকবরের শিল্পানুরাগ সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. আকবরের আমলে শিরিন কলম নামে পরিচিত ছিলেন কে?

চিত্রশিল্পী আবদুস সামাদ।

২. আকবরের আমলে শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতজ্ঞ কে ছিলেন?

তানসেন।

৩. বুলন্দ দরওয়াজা নির্মাণ করান কে?

আকবর।

Leave a Comment