আকবরের উদারনৈতিক সংস্কার

মুঘল সম্রাট আকবরের উদারনৈতিক সংস্কার প্রসঙ্গে মহান উদ্দেশ্য চরিতার্থ, সতীদাহ প্রথা সংস্কার, বিবাহ প্রথা সংস্কার, মদ্যপান নিষিদ্ধকরণ, পতিতাবৃত্তি নিষিদ্ধকরণ, শিশু কন্যা হত্যা নিষিদ্ধকরণ, তীর্থ কর ও জিজিয়া কর নিষিদ্ধকরণ ও শিক্ষা সংস্কার সম্পর্কে জানবো।

মুঘল সম্রাট আকবরের উদারনৈতিক সংস্কার

বিষয়আকবরের উদারনৈতিক সংস্কার
মুঘল বাদশাআকবর
তীর্থ কর রদ১৫৬৩ খ্রি
পাঠাগার প্রতিষ্ঠাদিল্লি
সংস্কারের চেষ্টাসতীদাহ প্রথা
মুঘল সম্রাট আকবরের উদারনৈতিক সংস্কার

ভূমিকা :- আকবর মধ্যযুগের ইতিহাসে এক অসাধারণ রাষ্ট্রনীতিক এবং এক উচ্চ-শাসনতান্ত্রিক প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। আকবর নিজে সাফল্যমণ্ডিত এক যোদ্ধা এবং অসাধারণ দৈহিক শক্তির অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও মনে হয়, তিনি তাঁর সবল হাত দু’খানি ভেলভেট দস্তানার মধ্যে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন।

সারানের মন্তব্য

ড. পি. সারান তাঁর সরকারের মৌলিক উদ্দেশ্যের কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, “to be continually attentive to the health of the body politic and remedy its diseases and assure its happiness, strength and prosperity.”

মহান উদ্দেশ্য চরিতার্থ

এই মহান উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে এই মহান মুঘল সম্রাট শুধুমাত্র শাসনতান্ত্রিক, ধর্মনৈতিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে হাত দেন নি, সামাজিক ও শিক্ষানৈতিক সংস্কার সাধনেও দুঃসাহস দেখিয়ে মধ্যযুগের ভারত-ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছেন।

সতীদাহ প্রথা সংস্কার

  • (১) ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে তখন অমানবিক ও নিষ্ঠুর ‘সতীদাহ’ প্রথা প্রচলিত ছিল। এই প্রথা অনুযায়ী মৃত স্বামীর চিতায় বহু নারীকে আত্মাহুতি দিতে হত। হিন্দু সমাজের নারীদের এই আর্তনাদ কোমল ও উদার হৃদয় আকবরকে স্পর্শ করেছিল।
  • (২) তিনি এই প্রথাকে রুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে এক আইন জারি করেন এবং এই আইনে বলা হয় কোনো বিধবাকে তাঁর স্বামীর সঙ্গে জোর করে সহমৃতা হতে বাধ্য করা যাবে না।
  • (৩) সতীদাহ প্রথা বন্ধ করার উদ্দেশ্যে এই মহান সম্রাট শুধু আইন করেই কর্তব্য শেষ করেন নি, এই আইন যাতে যথাযথ প্রতিপালিত হয়, তার জন্য তিনি প্রত্যেকটি শহরে ‘পরিদর্শক’ নিযুক্ত করেছিলেন। তাদের দায়িত্ব ছিল কোনটি ইচ্ছাকৃত, আর কোনটি বলপূর্বক ‘সতী’ ঘটতে চলেছে, তা নিরূপণ করা।
  • (৪) কোতোয়ালকেও কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ‘সতীদাহ প্রথা’ বন্ধ করার জন্য। এমনকি সম্রাট স্বয়ং এক রাজপুত অগ্নিদগ্ধ মহিলাকে শ্মশান থেকে রক্ষা করেছিলেন। আধুনিক দৃষ্টিতে তা আজও ভাবতে অবাক লাগে। এমনকি বেন্টিঙ্কের আগে দুর্ধর্ষ ব্রিটিশ প্রশাসকরাও এই কাজে হাত দিতে সাহস করেন নি।
  • (৫) এইদিক লক্ষ করেই প্রখ্যাত ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার তাঁর ‘On Rammohun Roy’ নামে এক পুস্তিকায় রামমোহনকে ‘সতীদাহ প্রথা’র প্রথম উচ্ছেদকারী বলতে অস্বীকার করেছেন। ড. মজুমদার এই কৃতিত্ব আলাউদ্দিন, মহম্মদ-বিন-তুঘলক ও মহামতি আকবরকে দিতে চেয়েছেন।

বিবাহ প্রথা সংস্কার

  • (১) বৈবাহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে মুঘল সম্রাট আকবর প্রগতিশীল মনোভাবের পরিচয় দেন। আকবর হিন্দু সমাজের মধ্যে প্রচলিত বাল্যবিবাহ প্রথাও বন্ধ করতে চেষ্টা করেছিলেন এবং সামাজিক যে সমস্ত নিয়ম সুস্থ জীবন বিকাশের পক্ষে অনুকূল, সেগুলিকে উৎসাহ দান করেছিলেন।
  • (২) তিনি ষোলো বছরের নীচে বালকের এবং চোদ্দো বছরের নীচে বালিকার বিবাহ নিষিদ্ধ করেন। ‘তুরবেগ’ নামক এক শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ করেন এবং তাদের ওপর এই বিষয়ে দৃষ্টি রাখার ভার অর্পণ করেন। মুসলমান অভিজাত শ্রেণীর মধ্যেও এই বিষয় প্রচলিত করার নিয়ম প্রবর্তন করেন।
  • (৩) এমনকি তিনি একজন যুবকের সঙ্গে কোনো প্রৌঢ়া মহিলার বিবাহকে নিষিদ্ধ করেন। আকবর পণপ্রথা ও বহুবিবাহ প্রথার বিরোধী ছিলেন। আকবর বিধবা বিবাহকেও উৎসাহ দিয়েছিলেন, কিন্তু হিন্দুসমাজে তেমন কোনো সাড়া মেলে নি। এক্ষেত্রেও আকবর এক আশ্চর্য আধুনিক মনের পরিচয় দিতে সমর্থ হয়েছিলেন।

মদ্যপান নিষিদ্ধকরণ

  • (১) আকবর চিন্তা করেছিলেন, মদ্যপানের ওপর কিছু নিয়ন্ত্রণ থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। অবশ্য তিনি আইন করে মদ্যপান নিষিদ্ধ করেন নি। কিন্তু আইন প্রণয়ন করে অতিরিক্ত মদ্যপানের ক্ষতিকর দিককে রুদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন।
  • (২) মদকে রোগীর ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করার অনুমোদন ছিল, কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে মদ্যপান করে প্রচণ্ড মাতলামি করলে শাস্তি পেতে হত। মদের মূল্যও স্থির করে দিয়েছিলেন।

পতিতাবৃত্তি নিষিদ্ধকরণ

বদায়ুনির মতে, রাজধানীতে পতিতার সংখ্যা ছিল খুব বেশি। তাই সম্রাট এদের শহরের একটা নির্দিষ্ট জায়গায় স্থানান্তরিত করার উপদেশ দেন এবং এই এলাকা দেখাশুনার জন্য একজন ‘দারোগা’ ও একজন করণিক নিযুক্ত করেন।

শিশুকন্যা হত্যা নিষিদ্ধকরণ

ষোড়শ শতাব্দীতে ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে আর একটি অমানুষিক বর্বর প্রথা প্রচলিত ছিল, তা হল শিশুকন্যা হত্যা। শিশুকন্যা জন্মগ্রহণ করলেই তাদের হত্যা করা হত। বিশেষ করে রাজস্থানে এই প্রথা ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল। আকবর এই অপরাধে অপরাধীকে শাস্তি দেওয়ার জন্য এক কঠোর আইন জারি করেন।

তীর্থ কর ও জিজিয়া কর নিষিদ্ধকরণ

আকবর ১৫৬৩ খ্রিস্টাব্দে তাঁর স্বধর্মীদের প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও তীর্থযাত্রী কর ও ‘জিজিয়া কর’ নিষিদ্ধ করে মধ্যযুগের ভারতবর্ষে আধুনিকতার সূচনা করেন। হিন্দু যুদ্ধবন্দিদের ক্রীতদাস করার প্রথাও নিষিদ্ধ করেন। এমনকি মধ্যযুগীয় রীতি অনুযায়ী মেয়ে উপঢৌকন পাঠানোও নিষিদ্ধ করেন।

আকবরের প্রগতিশীল মনোভাব

  • (১) উপরোক্ত সংস্কারগুলি শুধুমাত্র সম্রাট আকবরের প্রগতিশীল মনোভাবের এবং প্রজাদের প্রতি তাঁর ভালোবাসারই পরিচয় দেয় নি, এই মনোভাব থেকে তৎকালীন যুগে আকবরের সাহসিকতা ও বিচক্ষণ রাষ্ট্রনৈতিক জ্ঞানের পরিচয় পাওয়া যায়।
  • (২) সেই যুগে ‘মহান’ সম্রাটের এই কাজগুলিতে অত্যন্ত ঝুঁকি ছিল, কিন্তু একজন শাসকের সততার সঙ্গে জনসাধারণ সহযোগিতা করেছিল। মধ্যযুগের ভারতবর্ষে তিনি এতটাই আধুনিক মনের পরিচয় দিয়েছিলেন, যা আজও আমাদের ভাবায়।
  • (৩) আকবর যে ঐতিহাসিকদের কাছ থেকে “মহান” এই দুর্লভ উপাধি কেন পেয়েছিলেন, তা উপরোক্ত সংস্কারগুলির তাৎপর্য উপলব্ধি করলে বোঝা যাবে।

সামাজিক সংস্কারের অগ্ৰদূত

কোনো কোনো ঐতিহাসিক যে আকবরের রাজত্বকালকে আধুনিক কালের সূচনা বলে অভিহিত করেছেন, তা যথার্থ। ভারতবর্ষে সামাজিক সংস্কারের তিনিই ছিলেন অগ্রদুত।

শিক্ষা সংস্কার

আকবরই মধ্যযুগের ভারতবর্ষের প্রথম ও একমাত্র সম্রাট, যিনি তাঁর প্রজাদের বুদ্ধিবিভাসিত প্রগতির অগ্রদূত। প্রজাদের শিক্ষাসংস্কারের কাজেও তিনি আত্মনিয়োগ করেছিলেন। যেমন –

(ক) মাদ্রাসা শিক্ষার প্রতিষ্ঠা

  • (১) মাদ্রাসার মতো কতকগুলি সুপরিচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৎকালীন যুগে ফতেপুর সিক্রি, আগ্রা ও দিল্লিতে প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া আকবরের রাজত্বকাল হিন্দু-শিক্ষাব্যবস্থার পুনরুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য বহন করে।
  • (২) ‘পাঠশালা’ এবং বহু উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমগ্র দেশে ব্যাপকভাবে প্রতিষ্ঠা করে আবার হিন্দু-শিক্ষা ও সাহিত্যের প্রগতির পথ নতুন করে উন্মুক্ত করেন।

(খ) পাঠক্রমের সংস্কার

  • (১) আকবরই প্রথম নির্ধারিত পাঠক্রম বালক-বালিকাদের জন্য স্থির করেন এবং বিদ্যালয়ে বেশ কিছু নতুন বিষয় পড়াবার ব্যবস্থা করেন। হিন্দু ও মুসলমান ছাত্রছাত্রীদের আলাদা বিষয় পড়াবার ব্যবস্থা করেন। অঙ্ক, নীতিবিজ্ঞান, সামাজিক ব্যবহার বিজ্ঞান, কৃষি, গার্হস্থ্য, অর্থনীতি প্রভৃতি বিষয়কে পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত করেন।
  • (২) এই শিক্ষা সংস্কারের মাধ্যমে তিনি একই বিষয় ছাত্র ও শিক্ষকের মধ্যে আলোচনার নতুন বাতাবরণ তৈরি করেন। সেখানে আলোচনায় কোনো ভেদাভেদ রাখতে চাননি। সব বিষয় থেকে সকলের জ্ঞানার্জন হতে পারে, এটা আকবর বিশ্বাস করতেন।

(গ) অনুবাদ বিভাগের সৃষ্টি

  • (১) আকবরের চেষ্টার ফলে ভারতবর্ষের মাটিতে প্রথম হিন্দু-মুসলমানের সংস্কৃতি-সমন্বয়ের এক অভূতপূর্ব বাতাবরণ তৈরি হয়, যা ইতিপূর্বে কোনো কালে সম্ভব হয় নি।
  • (২) এই উদ্দেশ্যে আকবর প্রাচীন বিভিন্ন গ্রন্থ আরবি ও ফারসি ভাষায় অনুবাদের জন্য একটা পৃথক বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। হিন্দু ও মুসলমান বহু পণ্ডিতকে অনুবাদের কাজে নিয়োগ করেন। রামায়ণ, মহাভারত, অথর্ব বেদ ফারসি ভাষায় অনূদিত হয়।
  • (৩) প্রথম শ্রেণীর বহু বিদেশি পণ্ডিতদের তাঁর রাজদরবারে আহ্বান জানানো হয়। এর ফলে আকবর মধ্যযুগে হিন্দু-মুসলমান সংস্কৃতিকে পরস্পর যাতে উপলব্ধি করতে পারে, তার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন।
  • (৪) হিন্দি ও সংস্কৃত ভাষাকে যথেষ্ট উৎসাহ দেওয়া হয়। তুলসীদাস, সুরদাস ও বীরবল আকবরের কালে বিশিষ্ট প্রতিভা। তাদের প্রচেষ্টা আমাদের বিভিন্ন মানসিক উৎকর্ষকে বিকশিত করে।
  • (৫) আবুল ফজলের মতে, আকবরের রাজদরবারে প্রথম শ্রেণীর একুশ জন পণ্ডিতের মধ্যে ন’জন হিন্দু ছিলেন। এই যুগের হিন্দু-মনীষার বিভিন্ন দিক বিকশিত হয়েছিল তার সংগীত, শিক্ষা, সংস্কৃতি, শিল্প-কাব্য-সাহিত্য ও ধর্মে।

(ঘ) পাঠাগার প্রতিষ্ঠা

  • (১) আকবর তাঁর পিতার মতোই দিল্লিতে এক পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই পাঠাগারে প্রায় একহাজার বিভিন্ন ভাষায় লিখিত পাণ্ডুলিপি সংরক্ষিত ছিল। আরবি, ফারসি, সংস্কৃত ও গ্রিক ভাষায় লিখিত বহু মহা মূল্যবান গ্রন্থ এই পাঠাগারে রাখা হয়েছিল।
  • (২) আকবরের রাজকীয় পাঠাগার সমগ্র বিশ্বে অন্যতম বিস্ময়কর প্রতিষ্ঠান বলে বিবেচিত হত। “আজানের শব্দ শুনে তাড়াতাড়ি পাঠাগারের সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে হুমায়ুন পড়ে যান এবং তাতে তার মৃত্যু হয় “এই ঘটনা উপলব্ধি করলে বোঝা যায় যে, মুঘল রাজবংশের সঙ্গে পাঠাগারের কী নিবিড় সম্পর্ক ছিল।
  • (৩) মহান আকবর রাজধানীতে যেমন পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, অপরদিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শহরে অনেক ছোটো ছোটো পাঠাগারও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সত্যই ভাবতে বিস্ময় লাগে যে, কী আধুনিক মন নিয়ে আকবর জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

শিক্ষা সংস্কারে লাভবান

  • (১) অবশ্য আকবরের শিক্ষা সংস্কারে লাভবান হয়েছিলেন দেশের উচ্চশ্রেণীর মানুষরা। এতে আকবরের কোনো দোষ ছিল না। কারণ, দেশের শিক্ষার সুবিধা চিরদিন ভোগ করে সমাজের উচ্চশ্রেণীর মানুষজন।
  • (২) সমাজের নীচুতলার মানুষ চিরদিন অন্ধকার তিমিরেই থাকে। উপরন্তু আকবরের সময়ে শিক্ষাকে ব্যাপকভাবে জীবিকা হিসেবে গ্রহণ করা হয় নি। সেকালে কিছু মানুষ শিক্ষার বিচারে নিজেদের বিভাজন করতেন।

উপসংহার :- তাঁর যুগের অনেক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও “Akbar’s achievements in this sphere are worthy of commendation and they evidence the Emperor’s desire to raise the moral and intellectual standard of his subjects.” মধ্যযুগের ভারতবর্ষ আকবরের সময়ে সবদিক দিয়ে ‘সুবর্ণযুগ’ বলে বিবেচিত হয়।

(FAQ) মুঘল সম্রাট আকবরের উদারনৈতিক সংস্কার সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. আকবর কখন তীর্থকর রদ করেন?

১৫৬৩ খ্রিস্টাব্দে।

২. আকবর কোথায় পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেন?

দিল্লিতে।

৩. আকবর কোন সামাজিক প্রথা সংস্কারের চেষ্টা করেন?

সতীদাহ প্রথা।

Leave a Comment