প্রাচীন ব্রহ্মদেশ প্রসঙ্গে ভারতীয় উপনিবেশ বিস্তার, শ্রীক্ষেত্র রাজ্য, শ্রীক্ষেত্রের পতন, ম্রাম্মা গোষ্ঠীর আগমন, ত্রিভুবনাদিত্য ধর্মরাজা, আনন্দ মন্দির, প্যাগোডা নির্মাণ ও আলাংথিউ সম্পর্কে জানবো।
ব্রহ্মদেশ প্রসঙ্গে প্রাচীন ব্রহ্মদেশে ভারতের উপনিবেশ বিস্তার, প্রাচীন ব্রহ্মদেশের শ্রীক্ষেত্র রাজ্য, প্রাচীন ব্রহ্মদেশের রাজ্য শ্রীক্ষেত্রের পতন, প্রাচীন ব্রহ্মদেশের রাজা অনিরুদ্ধ, প্রাচীন ব্রহ্মদেশের রাজা ত্রিভূবনাদিত্য, প্রাচীন ব্রহ্মদেশের স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন আনন্দ মন্দির, প্রাচীন ব্রহ্মদেশে প্যাগোডা নির্মাণ ও প্রাচীন ব্রহ্মদেশের রাজা আলাংথিউ।
প্রাচীন ব্রহ্মদেশ
ঐতিহাসিক স্থান | প্রাচীন ব্রহ্মদেশ |
রাজ্য | শ্রীক্ষেত্র রাজ্য |
প্রথম রাজা | অনিরুদ্ধ |
বিখ্যাত রাজা | ত্রিভুনাদিত্য |
আনন্দ মন্দির | ত্রিভুনাদিত্য |
সভ্যতা ও সংস্কৃতি | হিন্দু |
ভূমিকা :- প্রাচীন ব্রহ্মদেশেও হিন্দু সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিস্তৃত হয়। ভারত থেকে ব্রহ্মে উপনিবেশ স্থাপিত হয়। এর ফলেই সেখানে হিন্দু সভ্যতা ও সংস্কৃতি গড়ে ওঠে।
প্রাচীন ব্রহ্মদেশে ভারতের উপনিবেশ বিস্তার
প্রথমে অভ্রের তেলেগুভাষী অঞ্চল থেকে ব্রহ্মে উপনিবেশ স্থাপনের কথা জানা যায়। দক্ষিণ ব্রহ্ম হতে দ্বারাবতী বা শ্যামের মেনাম উপত্যকায় ভারতীয় উপনিবেশ বিস্তৃত হয়। এই ঔপনিবেশিকরা ছিল হীনযান বৌদ্ধ ধর্ম -এর অনুরাগী।
প্রাচীন ব্রহ্মদেশের শ্রীক্ষেত্র রাজ্য
নিম্ন ব্রহ্মের প্রোম অঞ্চলে তৃতীয় খ্রিস্টাব্দে শ্রীক্ষেত্র রাজ্য স্থাপিত হয়। সপ্তম-অষ্টম খ্রিস্টাব্দে শ্রীক্ষেত্র খুবই শক্তিশালী রাজ্যে পরিণত হয়। ক্রমে মধ্য ও উত্তর ব্রহ্মে এই রাজ্যের পরিধি বিস্তৃত হয়।
প্রাচীন ব্রহ্মদেশের শ্রীক্ষেত্রের পতন
নবম খ্রিস্টাব্দে থাই আক্রমণে শ্রীক্ষেত্র রাজ্যের দক্ষিণ ব্রহ্মের আদি অঞ্চল ধ্বংস হয়। ফলে শ্রীক্ষেত্রের পতন ঘটে।
প্রাচীন ব্রহ্মদেশে ম্রাম্মা গোষ্ঠীর আগমন
নবম ও দশম খ্রিস্টাব্দে উত্তরাঞ্চল থেকে তিব্বতী-দ্রাবিড়ীয় গোষ্ঠীর ‘ম্রাম্মা’ নামে এক জাতি ব্রহ্মে ঢুকে পড়ে। তারা শীম হিন্দু সভ্যতা ও সংস্কৃতি গ্রহণ করে। তারা অরিমর্দনপুরকে রাজধানী ঘোষণা করে এক রাজ্য স্থাপন করে।
প্রাচীন ব্রহ্মদেশের রাজা অনিরুদ্ধ
এই ম্রাম্মা গোষ্ঠীর প্রথম রাজা ছিলেন অনিরুদ্ধ (১০৪৪ খ্রি)। ধর্মদর্শী নামে এক ভিক্ষু তাকে হীনযান বৌদ্ধধর্মে দীক্ষিত করেন। অনিরুদ্ধ বহু বিহার তৈরি করেন। তিনি দক্ষিণ ব্রহ্ম, আরাকান ও শান রাজ্য জয় করেন। তাঁর রাজত্বকালকে ব্রহ্মদেশের ইতিহাসে নতুন যুগের সূচনা বলা হয়। তিনি ১০৪৪-১০৭৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন।
প্রাচীন ব্রহ্মদেশের রাজা ত্রিভুনাদিত্য
অনিরুদ্ধের পুত্র ত্রিভুবনাদিত্য ধর্মরাজা ১০৮৪ খ্রিস্টাব্দে সিংহাসনে বসেন। পূর্ব বাংলার রাজকন্যার প্রতি তাঁর প্রেম এবং এই কন্যাকে তার বিবাহের চেষ্টা নিয়ে বহু কবিতা ও নাটক লিখিত হয়েছে। তাঁর শাসনকালে ভারত থেকে বহু বৌদ্ধ ও বৈষ্ণব ব্রহ্মদেশে বসবাস করতে আসেন।
প্রাচীন ব্রহ্মদেশে নির্মিত আনন্দ মন্দির
ত্রিভুনাদিত্য বিখ্যাত ‘আনন্দ’ মন্দির নির্মাণ করেন। ব্রহ্মদেশীয় স্থাপত্য-শৈলীর আশ্চর্য নিদর্শন হিসেবে এই মন্দিরকে গণ্য করা হয়।
প্রাচীন ব্রহ্মদেশে প্যাগোডা নির্মাণ
তিনি বিখ্যাত শোয়েদাগণ প্যাগোডার নির্মাণ কার্য শেষ করেন। তাঁর পিতা এই প্যাগোডার নির্মাণ আরম্ভ করেন। তিনি বোধগয়ার মন্দিরটির সংস্কার করেন।
প্রাচীন ব্রহ্মদেশের রাজা আলাংথিউ
১১২২ খ্রিস্টাব্দে ত্রিভুবনাদিত্যের মৃত্যুর পর আলাংথিউ ব্রহ্মের সিংহাসনে বসেন। তিনি ছিলেন দুর্বল রাজা। তাঁর আমলে ব্রহ্মের পতন হতে থাকে।
উপসংহার :- ১২৮৭ খ্রিস্টাব্দে ম্রাম্মা বংশের শেষ রাজা নরসিংহপতি প্রজাদের দ্বারা নিহত হলে এই বংশের পতন ঘটে। এর সঙ্গে ব্রহ্মে শেষ হিন্দু রাজ্যের পতন হয়।
প্রিয় পাঠক/পাঠিকা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই “প্রাচীন ব্রহ্মদেশ” পোস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই adhunikitihas.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। যে কোনো প্রশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলো করুণ এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন।
সবশেষে আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে Comment ও Share করে দিবেন, (ধন্যবাদ)।
(FAQ) প্রাচীন ব্রহ্মদেশ সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
প্রাচীন ব্রহ্মদেশ।
ত্রিভুবনাদিত্য ধর্মরাজা।
ত্রিভুবনাদিত্য ধর্মরাজা।
অনিরুদ্ধ।