বক্সারের যুদ্ধ -এর সময়, স্থান, বিবাদমান পক্ষ, পটভূমি, প্রকৃত কারণ, মিরকাশিমের পরাজয়, যুদ্ধের ফলাফল ও গুরুত্ব সম্পর্কে জানবো।
ইতিহাস বিখ্যাত বক্সারের যুদ্ধ প্রসঙ্গে বক্সারের যুদ্ধের সময়কাল, বক্সারের যুদ্ধের স্থান, বক্সারের যুদ্ধে বিবাদমান পক্ষ, বক্সারের যুদ্ধের সময় বাংলার নবাব, বক্সারের যুদ্ধের পটভূমি, বক্সারের যুদ্ধের প্রকৃত কারণ, বক্সারের যুদ্ধ, মিরকাশিমের মৃত্যু, বক্সারের যুদ্ধের ফলাফল ও গুরুত্ব।
ঐতিহাসিক বক্সারের যুদ্ধ
সময়কাল | ২২ অক্টোবর ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দ |
স্থান | বিহারের বক্সার নামক স্থানে |
বিবাদমান পক্ষ | ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং বাংলার ক্ষমতাচ্যুত নবাব মিরকাশিম, অযোধ্যার নবাব সুজাউদ্দৌলা ও মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের মিলিত বাহিনীর মধ্যে |
ফলাফল | ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জয়লাভ |
ভূমিকা :- বক্সারের যুদ্ধ হল ব্রিটিশ সেনাবাহিনী এবং তাদের ভারতীয় সমকক্ষদের মধ্যে এমন একটি সংঘর্ষ যা পরবর্তী ১৮৩ বছর ধরে ব্রিটিশদের ভারত -এ শাসন করার পথ প্রশস্ত করেছিল।
বক্সারের যুদ্ধের সময়কাল
২২ অক্টোবর ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে বক্সারের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল।
বক্সারের যুদ্ধের স্থান
ভারতের গঙ্গা নদীর দক্ষিণে অবস্থিত বক্সার নামক স্থানে এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। বর্তমান বিহার রাজ্যের একটি জেলা শহর হল বক্সার।
বক্সারের যুদ্ধে বিবাদমান পক্ষ
ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং বাংলার ক্ষমতাচ্যুত নবাব মিরকাশিম, অযোধ্যার নবাব সুজাউদ্দৌলা ও মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের মিলিত বাহিনীর মধ্যে বক্সারের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল।
মিরকাশিমের সিংহাসনে আরোহণ
ইংরেজদের সহায়তায় বাংলার সিংহাসনে বসলেও স্বাধীনচেতা মিরকাশিম (১৭৬০-৬৩ খ্রি.) ইংরেজদের ওপর নির্ভরতা হ্রাস করার উদ্দেশ্যে শীঘ্রই বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি আশা করেছিলেন যে, ইংরেজদের দাবি মিটিয়ে তিনি স্বাধীনভাবে শাসন পরিচালনা করতে পারবেন।
ইংরেজদের দাবি পূরণে মিরকাশিম
স্বাধীন ভাব রাজত্ব করার উদ্দেশ্যে তিনি পূর্ববর্তী দাবি মতো কোম্পানিকে বর্ধমান, মেদিনীপুর ও চট্টগ্রামের জমিদারী স্বত্ব এবং নগদ ১০ লক্ষ টাকা প্রদান করেন। কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মচারিদেরও তিনি ২৯ টাকা উপঢৌকন দেন।
বক্সারের যুদ্ধের পটভূমি
স্বাধীনচেতা মিরকাশিমের বিভিন্ন পদক্ষেপে ইংরেজরা তাঁর ওপর অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয় এবং উভয় পক্ষের মধ্যে শীঘ্রই বিরোধ শুরু হয়।
(১) আর্থিক শক্তিবৃদ্ধি
মিরকাশিম বাংলার আর্থিক শক্তি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন। তিনি রাজস্ব আদায়ের জন্য কঠোরনীতি নেন, নবাবী দরবারের ব্যয় সংকোচন করেন, দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মচারিদের বরখাস্ত করেন বা তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেন এবং বিদ্রোহী জমিদারদের দমন করেন।
সমকালীন ঐতিহাসিক গোলাম হোসেন বলেছেন যে, অর্থনৈতিক বিষয়ে তিনি ছিলেন “সত্যই এক তুলনাহীন ব্যক্তিত্ব এবং সে যুগের সর্বাপেক্ষা বিস্ময়কর শাসক।”
(২) রাজধানী স্থানান্তর
মুর্শিদাবাদ কলকাতার খুব কাছে অবস্থিত হওয়ায় ইংরেজরা যখন-তখন নবাবের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারত। এজন্য ইংরেজদের প্রভাবমুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে রাজত্ব করার উদ্দেশ্যে মিরকাশিম তাঁর রাজধানী মুর্শিদাবাদ থেকে বিহারের মুঙ্গেরে স্থানান্তরিত করেন। এতে ইংরেজরা তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত হয়।
(৩) সামরিক শক্তি বৃদ্ধি
সামরিক বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে বাহিনীর শক্তিবৃদ্ধির উদ্দেশ্যে মিরকাশিম সমরু, মার্কার ও জেন্টিল নামে তিনজন ইউরোপীয় সেনাপতিকে তাঁর বাহিনীতে নিয়োগ করেন। তিনি মুঙ্গেরে একটি কামান ও বন্দুকের কারখানা স্থাপন করেন।
(৪) ফরমান লাভ
মিরকাশিম বার্ষিক ২৬ লক্ষ টাকা রাজস্ব প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লির মোগল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের কাছ থেকে নবাবী ফরমান লাভ করেন। ইংরেজরা মোগল সম্রাটের ওপর তাঁর নির্ভরতা মেনে নিতে পারেন নি।
(৫) কর্মচারিদের বিতাড়ন
মিরকাশিম লক্ষ্য করেন যে, তাঁর বিভিন্ন কর্মচারী ইংরেজদের প্রতি সহানুভূতিশীল। এই সব কর্মচারিদের তিনি বিতাড়িত করেন।
(৬) বিনা শুল্কে বাণিজ্যের প্রশ্ন
ইংরেজ কোম্পানি ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে মোগল সম্রাট ফারুখশিয়ার -এর কাছ থেকে বাংলায় বিনাশুল্কে বাণিজ্যের অধিকার বা সনদ (ফারুখসিয়ারের ফরমান) লাভ করে। কিন্তু কোম্পানি ও তার কর্মচারিরা সনদের চরম অপব্যবহার করে বিনাশুল্কে বাণিজ্য চালালে নবাব বিপুল পরিমাণ শুল্ক থেকে বঞ্চিত হয়।
(৭) দেশীয় বণিকদের অবনতি
এদিকে দেশীয় বণিকরা শুল্ক দিয়ে বাণিজ্য করে ক্রমশ প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে থাকে। মিরকাশিম বহু চেষ্টা করেও এর প্রতিকার করতে না পেরে দেশীয় বণিকদের ওপর থেকেও বাণিজ্য শুল্ক তুলে দেন।
(৮) সম্পর্কের চরম অবনতি
বাণিজ্য শুল্ক তুলে দেওয়ায় ইংরেজ বণিকরা প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হয়ে নবাবের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। বিনাশুল্কে বাণিজ্যের প্রশ্নকে কেন্দ্র করে মিরকাশিমের সঙ্গে ইংরেজদের সম্পর্কের চূড়ান্ত অবনতি ঘটে।
বক্সারের যুদ্ধের প্রকৃত কারণ
ঐতিহাসিক বক্সারের যুদ্ধের প্রকৃত কারণ নিয়ে বিতর্ক আছে।
- (১) ইংরেজ ঐতিহাসিক ডডওয়েল মনে করেন যে, বিনাশুল্কে বাণিজ্যের প্রশ্ন (অর্থাৎ অর্থনৈতিক কারণ) বক্সারের যুদ্ধের প্রকৃত কারণ নয়, যুদ্ধের ‘একটি চমৎকার আজুহাত মাত্র’। মিরকাশিমের প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল ইংরেজদের প্রাধানামুক্ত হওয়া।
- (২) ড. নন্দলাল চট্টোপাধ্যায় মনে করেন যে, উভয় পক্ষের বিরোধের মূল কারণ ছিল রাজনৈতিক।
- (৩) ড. কালীকিঙ্কর দত্ত মনে করেন যে, এই বিরোধের মূল কারণ ছিল অর্থনৈতিক। আসলে তথ্য বাংলায় কোম্পানি ও নবাব এই দুই শাসকের মধ্যে কে প্রাধান্য লাভ করবে সেই প্রশ্ন থেকেই বিরোধ শুরু হয়।
বক্সারের যুদ্ধের পূর্বে ইংরেজদের কাছে পরাজিত মিরকাশিম
বিভিন্ন ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে ইংরেজ কোম্পানি মিরকাশিমকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ইংরেজ সেনাপতি মেজর অ্যাডামস্ মিরকাশিমের বিরুদ্ধে অভিযান চালালে কাটোয়া, গিরিয়া ও উদয়নালার যুদ্ধে (১৭৬০ খ্রি.) পরাজিত হয়ে মিরকাশিম অযোধ্যায় পালিয়ে যান।
মিরকাশিমের বন্ধুত্ব স্থাপন
তিনি অযোধ্যার নবাব সুজাউদ্দৌলা ও দিল্লির বাদশাহ দ্বিতীয় শাহ আলমের সঙ্গে মিলিত হয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন।
বক্সারের যুদ্ধ
১৭৬৪ সালের ২২ অক্টোবর অযোধ্যার নবাব সুজাউদ্দৌলা, দিল্লির বাদশাহ দ্বিতীয় শাহ আলম ও মিরকাশিমের সম্মিলিত সৈন্যবাহিনীর সাথে বক্সার নামক স্থানে ইংরেজ সৈন্যদের ঘোরতর যুদ্ধ হয়। বক্সারের এই যুদ্ধে ইংরেজেরা জয়লাভ করে।
বক্সারের যুদ্ধের ফলাফল
এই পরাজয়ের ফলে বাংলার প্রকৃত স্বাধীন নবাবীর অবসান ঘটে এবং ইংরেজদের আধিপত্য এলাহাবাদ পর্যন্ত প্রসারিত হয়।
মিরকাশিমের মৃত্যু
মিরকাশিম কয়েক বছর অজ্ঞাত অবস্থায় ঘুরে বেড়ান। ১৭৭৭ সালে দিল্লির কাছে এক জায়গায় তার মৃত্যু হয়।
বক্সারের যুদ্ধের গুরুত্ব
ঐতিহাসিক ড. বিপান চন্দ্র বলেছেন যে, “ভারতের ইতিহাসে বক্সারের যুদ্ধ ছিল সর্বাধিক যুগান্তকারী ও তাৎপর্যময়। বক্সারের যুদ্ধের বিভিন্ন গুরুত্ব ছিল। যেমন –
(১) ইংরেজ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার মূল ভিত্তি বক্সারের যুদ্ধ
ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে পলাশির যুদ্ধের চেয়ে বক্সারের যুদ্ধের বেশি গুরুত্ব ছিল। পলাশির যুদ্ধের দ্বারা ভারতে যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা হয়, বক্সারের যুদ্ধের দ্বারা তার ভিত্তি আরও সুদৃঢ় হয়।
(২) প্রকৃত যুদ্ধ বক্সারের যুদ্ধ
পলাশীর যুদ্ধ ছিল আকস্মিক ও অনায়াসলব্ধ। এই যুদ্ধজয়ে শক্তির চেয়ে কুটনীতি ও বিশ্বাসঘাতকতার ভূমিকা বেশি ছিল। কিন্তু বক্সারের যুদ্ধ ছিল প্রকৃত ও চূড়ান্ত ফল-নির্ণয়কারী যুদ্ধ। বাংলা, অযোধ্যা ও দিল্লির ঐক্যবদ্ধ শক্তি এই যুদ্ধে ইংরেজদের কাছে পরাজিত হয়।
ঐতিহাসিক ম্যালেসন বলেন যে, “ভারতে বিভিন্ন যুদ্ধবিগ্রহগুলির মধ্যে বক্সারের যুদ্ধ হল একটি চূড়ান্ত ফল নির্ণয়কারী যুদ্ধ।”
ঐতিহাসিক স্মিথের মতে, “পলাশির যুদ্ধ ছিল কয়েকটি কামানের লড়াই, বক্সার ছিল চূড়ান্ত বিজয়।
(৩) বক্সারের যুদ্ধের সময় মিরজাফরের প্রত্যাবর্তন
মিরকাশিমের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় ইংরেজ কোম্পানি মিরজাফরকে দ্বিতীয়বারের জন্য বাংলার নবাব হিসেবে ঘোষণা করে। যুদ্ধের পর তিনি ইংরেজ কোম্পানি ও তার কর্মচারিদের বিপুল পরিমাণ অর্থ দিতে রাজি হন।
(৪) বক্সারের যুদ্ধের পর নজম উদ্দৌলার সিংহাসন লাভ
মিরজাফরের মৃত্যুর (৫ ফেব্রুয়ারি, ১৭৬৪ হি) পর তাঁর নাবালক পুত্র নজউদ্দৌলাকে বাংলার সিংহাসনে বসানো হয়।
(৫) বক্সারের যুদ্ধের পর শাসনক্ষেত্রে কোম্পানির আধিপত্য
বক্সারের যুদ্ধে জয়লাভের দ্বারা ইংরেজ কোম্পানি বাংলায় চুড়ান্ত আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে এবং নবাব কোম্পানির হাতের পুতুলে পরিণত হয়। নবাবের দরবারে স্থায়ী ইংরেজ রেসিডেন্ট রাখার সিদ্ধান্ত হয়, নবাবের সৈন্যসংখ্যা হ্রাস করা হয়, লবণ ছাড়া অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রে কোম্পানির বিনা শুল্কে বাণিজ্যের অধিকার স্বীকৃত হয়।
(৬) বক্সারের যুদ্ধের পর বৃত্তিভোগী নবাব
কোম্পানি ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে নবাবের সকল সামারিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে তাকে কোম্পানির বৃত্তিভোগীতে পরিণত করে। ঐতিহাসিক র ্যামসে মুর বলেন যে, “বক্সার বাংলার ওপর কোম্পানির শাসনের শৃঙ্খল চূড়ান্তভাবে স্থাপন করে। “
(৭) বক্সারের যুদ্ধের পর কোম্পানির অর্থনৈতিক আধিপত্য
এই যুদ্ধে জয়লাভের পর ইংরেজ কোম্পানি বাংলার অর্থনীতির ওপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। কোম্পানির কর্মচারিরা বাংলায় অবাধ ও নির্লজ্জ শোষণ ও লুণ্ঠন শুরু করে। অন্যান্য ইউরোপীয় বণিকরা বাংলা থেকে বিতাড়িত হতে থাকে। দেশীয় বণিকদের বাণিজ্যও ধ্বংস হতে থাকে।
(৮) বক্সারের যুদ্ধের পর ইংরেজ সাম্রাজ্যের প্রসার
এই যুদ্ধে মিরকাশিমের সঙ্গে অযোধ্যার নবাব সুজাউদ্দৌলা এবং দিল্লির বাদশাহ দ্বিতীয় শাহ আলমও পরাজিত হয়। অযোধ্যার নবাব ইংরেজদের প্রতি চূড়ান্ত আনুগত্য জানায় এবং দিল্লির বাদশাহ কোম্পানির বৃত্তিভোগীতে পরিণত হন। ফলে বাংলা থেকে দিল্লি পর্যন্ত অর্থাৎ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ইংরেজদের আধিপত্য বিস্তৃত হয়।
(৯) বক্সারের যুদ্ধের পর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দেওয়ানি লাভ দেওয়ানি লাভ
যুদ্ধের পর কোম্পানি দিল্লির বাদশাহ দ্বিতীয় শাহ আলমের কাছ থেকে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার দেওয়ানি অর্থাৎ রাজস্ব আদায়ের অধিকার লাভ করে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দেওয়ানি লাভ -এর ফলে বাংলায় কোম্পানির আধিপত্য প্রতিষ্ঠা এবং রাজস্ব আদায়ের অধিকার আইনগত বৈধতা পায়।
উপসংহার :- বক্সারের যুদ্ধের পরেই বণিকের মানদণ্ড শাসকের রাজদণ্ড রূপে দেখা দিয়েছিল। বক্সারের যুদ্ধে জয়লাভের পর থেকেই ভারতের ইতিহাসে প্রকৃতপক্ষে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সূচনা হয়।
প্রিয় পাঠক/পাঠিকা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই “বক্সারের যুদ্ধ” পোস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই adhunikitihas.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। যে কোনো প্রশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলো করুণ এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন।
সবশেষে আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে Comment ও Share করে দিবেন, (ধন্যবাদ)।
(FAQ) বক্সারের যুদ্ধ সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
২২ অক্টোবর, ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে।
মিরজাফর।
মেজর হেক্টর মনরাে।
২২ অক্টোবর, ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে, ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং বাংলার ক্ষমতাচ্যুত নবাব মিরকাশিম, অযোধ্যার নবাব সুজাউদ্দৌলা ও মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের মিলিত বাহিনীর মধ্যে।
বিহারের বক্সারে।