উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী প্রসঙ্গে তার জন্ম, নাম, পিতৃ পরিচয়, পারিবারিক ইতিহাস, শিক্ষা জীবন, বিবাহ ও পারিবার, আত্মীয়দের সাথে মনোমালিন্য, তার লেখালেখির সূত্রপাত, প্রথম বই, সঙ্গীত প্রিয়তা, ইউ রায় অ্যান্ড সন্স প্রতিষ্ঠা, প্রযুক্তির উদ্ভাবন, রচনা সম্ভার , প্রকাশকাল সহ গ্রন্থাবলী, দীঘা সম্পাদনা ও তার মৃত্যু সম্পর্কে জানবো।

সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী প্রসঙ্গে বিখ্যাত বাঙালি শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, বাংলা ছাপাখানার অগ্রপথিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, বাঙালি লেখক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, চিত্রশিল্পী উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী,  চিত্রকর উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, প্রকাশক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, বেহালাবাদক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, বাংলা মুদ্রণশিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী সম্পর্কে জানব।

উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

ঐতিহাসিক চরিত্রউপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী
জন্ম১২ই মে, ১৮৬৩ খ্রি
জন্মস্থানবাংলাদেশ
পিতাকালীনাথ রায়
মাতাজয়তারা দেবী
পিতৃদত্ত নামকামদারঞ্জন রায়
মৃত্যু২০ শে ডিসেম্বর, ১৯১৫ খ্রি
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

ভূমিকা  :- বিখ্যাত বাঙালি শিশুসাহিত্যিক এবং বাংলা ছাপাখানার অগ্রপথিক ছিলেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী। তিনি ছিলেন একাধারে লেখক চিত্রকর, প্রকাশক, শখের জ্যোতির্বিদ, বেহালাবাদক ও সুরকার। সন্দেশ পত্রিকা তিনিই শুরু করেন যা পরে তার পুত্র সুকুমার রায় ও পৌত্র সত্যজিৎ রায় সম্পাদনা করেন। গুপি-গাইন-বাঘা-বাইন, টুনটুনির বই তারই অমর সৃষ্টি।

উপেন্দ্রকিশোরের জন্ম

১২৭০ বঙ্গাব্দের ২৭ বৈশাখ, ইংরেজি ১৮৬৩ সালের ১২ মে ময়মনসিংহ জেলার (বর্তমান কিশোরগঞ্জ জেলা) কটিয়াদি উপজেলার মসূয়া গ্রামে উপেন্দ্রকিশোরের জন্মগ্ৰহণ করেন। বর্তমানে স্থানটি বাংলাদেশে অবস্থিত।

উপেন্দ্রকিশোরের পিতৃ পরিচয়

তার পিতা কালিনাথ রায় ছিলেন সুদর্শন ও আরবি, ফারসি ও সংস্কৃতে সুপণ্ডিত। তার মায়ের নাম জয়তারা দেবী।

উপেন্দ্রকিশোরের নাম পরিচয়

তার পিতার ডাকনাম ছিল শ্যামসুন্দর মুন্সী। শ্যামসুন্দরের আটটি সন্তানের মধ্যে উপেন্দ্রকিশোর তৃতীয় পুত্রসন্তান। তার পিতৃদত্ত নাম ছিল কামদারঞ্জন রায়। তার পিতার অপুত্রক আত্মীয় জমিদার হরিকিশোর রায়চৌধুরী পাঁচ বছরেরও কম বয়সে তাকে দত্তক নেন এবং নতুন নাম দেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী।

উপেন্দ্রকিশোরের পারিবারিক ইতিহাস

  • (১) রায় পরিবারের ইতিহাস থেকে জানা যায় তাঁর পূর্বপুরুষ শ্রী রামসুন্দর দেব অধুনা পশ্চিমবঙ্গ-এর নদিয়া জেলার চাকদহ গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন৷ ভাগ্য অণ্বেষণে তিনি তার পৈতৃক নিবাস ছেড়ে পূর্ববঙ্গের শেরপুরে চলে আসেন৷ সেখানে তার সাক্ষাৎ হয় যশোদলের জমিদার রাজা গুণীচন্দ্রের সাথে৷
  • (২) রামসুন্দরের সুন্দর চেহারা ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধি দেখে রাজা গুণীচন্দ্র মুগ্ধ হন। তিনি রামসুন্দরকে তার সাথে তার জমিদারিতে নিয়ে যান৷ তিনি যশোদলে জমিজমা, ঘরবাড়ি দিয়ে রামসুন্দরকে জামাতা বানান৷ সেই থেকে রামসুন্দর যশোদলেই বসবাস শুরু করেন৷ তার বংশধররা সেখান থেকে কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলায় মসূয়া গ্রামে এসে বসবাস শুরু করেন।

উপেন্দ্রকিশোরের শিক্ষা জীবন

  • (১) ছেলেবেলা থেকেই মেধাবী ছাত্র বলে পড়াশোনায় ভাল ফল করতেন উপেন্দ্রকিশোর। তবে ছোটোবেলা থেকেই উপেন্দ্রকিশোরের পড়াশোনার থেকে বেশি অনুরাগ ছিল বাঁশী, বেহালা ও সঙ্গীতের প্রতি। উপেন্দ্রকিশোর ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষা উত্তীর্ণ হয়ে বৃত্তি পান।
  • (২) এরপর কলকাতায় এসে প্রেসিডেন্সী কলেজে ভর্তি হন। সেখানে কিছু কাল অধ্যয়নের পর কলকাতার মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। ১৮৮৪ সালে সেখান থেকে বি এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

আত্মীয়দের সাথে উপেন্দ্রকিশোরের মনোমালিন্য

একুশ বছর বয়সে বি এ পাস করে ছবি আঁকা শিখতে আরম্ভ করেন উপেন্দ্রকিশোর। এই সময় তিনি ব্রাহ্ম সমাজের সদস্য হওয়ায় তার অনেক আত্মীয়ের সঙ্গে মনোমালিন্য ঘটে।

উপেন্দ্রকিশোরের বিবাহ ও পারিবারিক জীবন

  • (১) ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে ২৩ বছরের উপেন্দ্রকিশোরের সঙ্গে বিশিষ্ট সমাজ সংস্কারক দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রথম পক্ষের কন্যা বিধুমুখীর বিবাহ হয়। তখনকার কলকাতার কর্নওয়ালিস স্ট্রীটের ব্রাহ্ম সমাজ-এর মন্দিরের উল্টো দিকে লাহাদের বাড়ির দোতলায় কয়েকটি ঘর ভাড়া নিয়ে উপেন্দ্রকিশোরেরর সংসার জীবন শুরু হয়।
  • (২) উপেন্দ্রকিশোরের তিন ছেলে হলেন সুকুমার, সুবিনয় ও সুবিমল এবং মেয়েরা হলেন সুখলতা, পুণ্যলতা ও শান্তিলতা। প্রত্যেকেই শিশু সাহিত্যে অবদান রেখেছেন। এদের মধ্যে জ্যেষ্ঠা কন্যা সুখলতা রায় ও জ্যেষ্ঠ পুত্র সুকুমার রায়ের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব উপেন্দ্রকিশোর

উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী বাংলা সাহিত্য জগতের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি নাম। সাহিত্যিক সুকুমার রায়ের পিতা এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের ঠাকুরদা ছিলেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী। তবে নবাব সিরাজ উদ দৌলার বংশধরদের সঙ্গে বাংলার বিখ্যাত রায় পরিবারের কোনও যোগাযোগ ছিল না।

উপেন্দ্রকিশোরের লেখালেখির সূত্রপাত

ছাত্র অবস্থাতেই তিনি ছোটোদের জন্য লিখতে শুরু করেন। তৎকালীন সখা, সাথী, মুকুল ও জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত বালক নামে মাসিক পত্রিকাগুলিতে তার লেখা প্রকাশিত হতে শুরু হয়। প্রথমদিকের প্রকাশিত লেখাগুলি ছিল জীববিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ। তার পরে চিত্র অলঙ্করণযুক্ত গল্প প্রকাশিত হতে শুরু করে।

উপেন্দ্রকিশোরের প্রথম বই

যোগীন্দ্রনাথ সরকারের সিটি বুক সোসাইটি থেকে প্রকাশিত হয় তার প্রথম বই ‘ছেলেদের রামায়ণ‘। এই বইটি সমাজে অতি আদরের সঙ্গে সমাদৃত হয়।

সঙ্গীত প্রিয় উপেন্দ্রকিশোর

বাল্যকাল থেকেই উপেন্দ্রকিশোর সঙ্গীতচর্চার প্রতি অনুরক্ত ছিলেন। তিনি পাখোয়াজ, হারমোনিয়াম, সেতার, বাঁশি, বেহালা ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্র বাজানোর দক্ষতা অর্জন করেন। তবে বেহালাই ছিল তাঁর বিশেষ প্রিয়। আদি ব্রাহ্মসমাজের উৎসব-এ সঙ্গীতের সঙ্গে তাঁর বেহালার বাজনা ছিল একটি বড় আকর্ষণ। পাশ্চাত্য সঙ্গীত সম্পর্কেও তার গভীর জ্ঞান ছিল। বেহালা শিক্ষা এবং হারমোনিয়াম শিক্ষা নামে তাঁর দুটি বই রয়েছে।

উপেন্দ্রকিশোর কর্তৃক ইউ রায় অ্যান্ড সন্স প্রতিষ্ঠা

  • (১) দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বপ্রথম আধুনিক ব্লকমেকিং, হাফ-টোন এবং কালার ব্লকমেকিং প্রবর্তন করেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী। তার ছেলেদের রামায়ণ পুস্তকে ব্লক তৈরির প্রযুক্তি শেখার জন্য ব্রিটেন থেকে বই, রাসায়নিক এবং সরঞ্জাম আমদানি করেছিলেন।
  • (২) এরপর ৭ নম্বর শিবনারায়ণ দাস লেনে নতুন ভাড়াবাড়ি নিয়ে ইউ রায় অ্যান্ড সন্স নামে নতুন ছাপাখানা খোলেন। এখানে একটি কামরায় তিনি নিজের আঁকার স্টুডিও খোলেন এবং সেখানে হাফটোন ব্লক প্রিন্টিং নিয়ে অনেক পরীক্ষা নিরিক্ষা করেন।
  • (৩) তার নিজের জীবদ্দশায়, বিদেশ থেকে একজন মুদ্রণ বিশেষজ্ঞ মন্তব্য করেছিলেন যে উপেন্দ্রকিশোরের অবদান ইউরোপ এবং আমেরিকার তার সমকক্ষদের তুলনায় অনেক বেশি মৌলিক ছিল।

উপেন্দ্রকিশোর কর্তৃক পুত্রকে বিদেশে প্রেরণ

১৯১১ সালে তিনি বড় ছেলে সুকুমারকে বিলাতে পাঠান ফোটোগ্রাফী ও মুদ্রণ সম্বন্ধে উচ্চশিক্ষা লাভ করার জন্য। তিনি ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের মুদ্রণ প্রযুক্তি বিভাগে কয়েক বছর অতিবাহিত করেন‌।

উপেন্দ্রকিশোর কর্তৃক প্রযুক্তির উদ্ভাবন

  • (১) গণিতে গভীর ব্যুৎপত্তি এবং সূক্ষ্ম বৈজ্ঞানিক দৃষ্টির সাহায্যে উপেন্দ্রকিশোর এদেশে বসেই মুদ্রণ বিষয়ে অনেক নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। নানা ধরনের ডায়াফ্রাম তৈরি, রে-স্ক্রিন, অ্যাডজাস্টার যন্ত্র নির্মাণ, ব্লক নির্মাণের ডায়োটাইপ ও রি-প্রিন্ট পদ্ধতির উদ্ভাবন তাঁরই মৌলিক অবদান।
  • (২) পাশ্চাত্য দেশে তাঁর উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ও মুদ্রণ প্রণালীসমূহ বেশ প্রশংসিত হয়। লন্ডন থেকে প্রকাশিত পেনরোজেজ পিকটোরিয়াল অ্যানুয়াল পত্রিকার বিভিন্ন সংখ্যায় তাঁর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধও প্রকাশিত হয়।

উপেন্দ্রকিশোরের রচনা সম্ভার

  • (১) ‘ছেলেদের রামায়ণ’ ছিল উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর প্রথম গ্রন্থ। তিনি তার পালক পিতার মৃত্যুর পর ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে ব্রাহ্মসমাজের উদার ধর্মীয় আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু তার বৈজ্ঞানিক মনোভাব শিশুদের জন্য লেখা অসংখ্য বিজ্ঞান নিবন্ধে প্রতিফলিত হয়। তিনি জনপ্রিয় বিজ্ঞানের উপর দুটি বই প্রকাশ করেছিলেন।
  • (২) ‘সেকালের কথা’ গ্ৰন্থে পৃথিবীর ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস ও ডাইনোসরের মতো প্রাচীন প্রাণীদের বর্ণনা আছে। ‘আকাশের কথা’ গ্ৰন্থটি ছিল জ্যোতির্বিদ্যার একটি চিত্তাকর্ষক বিবরণ। বিজ্ঞানীদের সাথে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের কারণে তার বৈজ্ঞানিক আগ্রহ আরও বৃদ্ধি পায়। আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু এবং আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের খুব কাছাকাছি থাকতেন এবং কাজ করতেন।
  • (৩) তিনি টুনটুনির বই নামে একটি সুপরিচিত ছোটদের গল্প সংকলন গ্ৰন্থ প্রকাশ করেন। তিনি লিখেছেন গুপি গাইন নামে একটি ফ্যান্টাসি উপন্যাস। পরবর্তীতে এটি গুপি গাইন বাঘা বাইন চলচ্চিত্রে রূপান্তরিত হয়। তার উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ হল দাসত্ব প্রথা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাসত্ব সংক্রান্ত), স্যান্ডো (ইউজেন স্যান্ডোতে) ইত্যাদি এবং ভ্রমণকাহিনী হল পুরী, মেঘের মুলুক ইত্যাদি। 

প্রকাশকাল সহ উপেন্দ্রকিশোরের গ্ৰন্থাবলী

তার উল্লেখযোগ্য রচনা হল ১৮৯৬ সালে প্রকাশিত ‘ছেলেদের রামায়ণ’, ১৯০৩ সালে প্রকাশিত ‘সেকালের কথা‘, ১৯০৮ সালে প্রকাশিত ‘ছেলেদের মহাভারত’, ১৯০৯ সালে প্রকাশিত ‘মহাভারতের গল্প’, ১৯১০ সালে প্রকাশিত ‘টুনটুনির বই’, ১৯১১ সালে প্রকাশিত ছোট্ট রামায়ণ’ এবং ১৯১৫ সালে প্রকাশিত ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’। এই গ্রন্থ গুলির মধ্যে সবথেকে অন্যতম প্রকাশিত গ্রন্থ হল ‘টুনটুনির বই’।

উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর পত্রিকা সম্পাদনা

তার সম্পাদনায় ১৯১৩ সালে বিখ্যাত মাসিক পত্রিকা সন্দেশ প্রথম প্রকাশিত হয়। আজও এটি কলকাতা থেকে প্রকাশিত একটি জনপ্রিয় শিশুকিশোর সাহিত্য পত্রিকা। দেশবিদেশের গল্প, হাস্যকৌতুক, জ্ঞান বিজ্ঞানের কথা ইত্যাদি লেখার পাশাপাশি নিজের আঁকা নানা বুদ্ধিদীপ্ত ছবি সংযোজনের মাধ্যমে সন্দেশকে তিনি তরুণ হৃদয়ের যোগ্য একটি পত্রিকা হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন।

মৃত্যু

২০ শে ডিসেম্বর ১৯১৫ সালে মাত্র বাহান্ন বছর বয়সে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরি পরলোক গমন করেন।

উপসংহার :- বাল্যকাল থেকে উপেন্দ্রকিশোর মেধা প্রবৃত্তির ছিলেন। তার নানামুখী যোগ্যতার প্রমাণ সন্দেশ পত্রিকা আজও সমাজকে তার লেখা রচনা গ্রন্থগুলির পরিচয় দিয়ে যায়। তার মধ্যে নানামুখী যোগ্যতার সমাবেশ ঘটলেও তিনি প্রধানত নির্মল আনন্দ রসিক শিশু সাহিত্যিক রূপে অধিক পরিচিত।

(FAQ) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী কে ছিলেন?

শিশু কিশোর সাহিত্যিক।

২. ইউ রায় অ্যান্ড সন্স প্রতিষ্ঠা করেন কে

উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী।

৩. গুপি গাইন বাঘা বাইন কার লেখা?

উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী।

৪. ছোটোদের জন্য সন্দেশ পত্রিকা প্রকাশ করেন কে?

উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী।

Leave a Comment