বেরিলি বিদ্রোহ (bareilly vidroh) -এর সময়কাল, স্থান, সমসাময়িক বিদ্রোহ, বিদ্রোহের নেতৃত্ব, বিদ্রোহের কারণ, বিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ, জনগণের কাছে আবেদন, বিদ্রোহের বিস্তার ও দমন সম্পর্কে জানবো।
বেরিলি বিদ্রোহ (bareilly vidroh in bengali)
ঐতিহাসিক ঘটনা | বেরিলি বিদ্রোহ |
সময়কাল | ১৮১৬ খ্রিস্টাব্দ |
স্থান | সাহজানপুর, রামপুর, আলিগড় প্রভৃতি অঞ্চল |
নেতৃত্ব | মুফতি মহম্মদ আইওয়াজ |
ফলাফল | ব্যর্থতা |
ভূমিকা :- উত্তর ভারতে ব্রিটিশ শাসনে অসন্তুষ্ট হয়ে একাধিক বিদ্রোহ দানা বাঁধে। বেরিলি বিদ্রোহ (bareilly vidroh) ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম কৃষক বিদ্রোহ।
বেরিলি বিদ্রোহের সমসাময়িক বিদ্রোহ
এই বেরিলি বিদ্রোহের (bareilly vidroh) সময়কালে পলিগার বিদ্রোহ ছিল একটি উল্লেখযোগ্য কৃষক বিদ্রোহ ।
বেরিলি বিদ্রোহের সময়কাল
১৮১৬ খ্রিস্টাব্দে উত্তর ভারতের বেরিলি-র কৃষকরা বিদ্রোহ করেছিল।
বেরিলি বিদ্রোহের স্থান
সাহজানপুর, রামপুর, আলিগড় প্রভৃতি অঞ্চলে বেরিলি-র কৃষক বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল।
বিদ্রোহের নেতৃত্ব
মুফতি মহম্মদ আইওয়াজ বেরিলি-র কৃষক বিদ্রোহে নেতৃত্ব প্রদান করেছিলেন।
বেরিলি বিদ্রোহের কারণ
কৃষি-সংক্রান্ত নানা অভিযোগ, পুলিশের অত্যাচার এবং পুলিশের ব্যয়-নির্বাহের জন্য জনসাধারণের ওপর বাড়তি করের বোঝা চাপানোর ফলে উত্তর ভারতের বেরিলির কৃষকরা বহু পূর্ব থেকেই ক্ষুব্ধ ছিল।
বেরিলি বিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ
১৮১৬ খ্রিস্টাব্দে জনৈক নারীর ওপর পুলিশের অত্যাচারকে কেন্দ্র করে বেরিলিতে বিদ্রোহের আগুন জ্বলে ওঠে।
জনগণের কাছে আবেদন
বেরিলির সর্বজন শ্রদ্ধেয় নেতা মুফতি মহম্মদ আইওয়াজ নিপীড়িত মানুষের পক্ষ নেন এবং ইসলাম ধর্ম রক্ষার জন্য জনগণের কাছে আবেদন জানান।
বেরিলি বিদ্রোহের বিস্তার
তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে সাহজানপুর, রামপুর, আলিগড় প্রভৃতি অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেরিলিতে উপস্থিত হয়।
বেরিলি বিদ্রোহ দমন
বিদ্রোহ দমনের জন্য কানপুর, মীরাট ও মথুরা থেকে বিরাট সেনাবাহিনী। আসে এবং নিষ্ঠুর অত্যাচারের মাধ্যমে বিদ্রোহ দমিত হয়।
উপসংহার :- ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বেরিলি-র কৃষক বিদ্রোহ ছিল হাজার হাজার নিপীড়িত মানুষের এক গণসংগ্রাম।
(FAQ) বেরিলি বিদ্রোহ (bareilly vidroh) সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
১৮১৬ খ্রিস্টাব্দে।
মুফতি মহম্মদ আইওয়াজ।
সাহজানপুর, রামপর, আলিগড় প্রভৃতি অঞ্চলে।
কানপুর, মীরাট ও মথুরা থেকে।