নরমপন্থী বা আদি কংগ্রেসের নানা অভিধা, ঘৃণা ও বিদ্রুপ, তাদের ব্যর্থতার কারণ হিসেবে সাংগঠনিক দুর্বলতা, মধ্যবিত্তদের সংগঠন, জনগণের অনুপস্থিতি, মুসলিমদের অনুপস্থিতি, পুরোনো জমিদারদের অনুপস্থিতি, আবেদন নিবেদন নীতি, ব্রিটিশ রুল সম্পর্কে মোহ, নেতৃত্বের দ্বৈত ভূমিকা, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, দাবি দাওয়া আদায়ে ব্যর্থতা সম্পর্কে জানবো।
নরমপন্থী কংগ্রেসের ব্যর্থতার কারণ প্রসঙ্গে নরমপন্থী নেতৃবৃন্দের ব্যর্থতা, নরমপন্থী নেতৃবৃন্দের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, নরমপন্থী কংগ্রেসের কর্মসূচি ও দাবি গুলির সীমাবদ্ধতা, নরমপন্থী কংগ্রেসের সাংগঠনিক দুর্বলতা, নরমপন্থী কংগ্রেসে জনগণের স্থান নেই, নরমপন্থী কংগ্রেসে মুসলিমদের অনুপস্থিতি, নরমপন্থী কংগ্রেসের আবেদন নিবেদন নীতি ও নরমপন্থী কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দের দাবি দাওয়া আদায়ে ব্যর্থতা সম্পর্কে জানব।
নরমপন্থী কংগ্রেসের ব্যর্থতার কারণ
ঐতিহাসিক ঘটনা | নরমপন্থী কংগ্রেসের ব্যর্থতার কারণ |
সময়কাল | ১৮৮৫-১৯০৫ খ্রিস্টাব্দ |
গঠনতন্ত্র | শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সম্প্রদায় কেন্দ্রিক |
লক্ষ্য | কিছু সুযোগ সুবিধা লাভ |
কর্মপন্থা | আবেদন-নিবেদন |
ভূমিকা :- ১৮৮৫ থেকে ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দ কাল-পর্বে জাতীয় কংগ্রেস ছিল নরমপন্থী বা ‘মডারেট নেতৃবৃন্দের হাতে। এই পর্বের জাতীয় কংগ্রেস, তার কর্মধারা ও নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে নানা ধরনের সমালোচনা করা হয়েছে।
নরমপন্থী কংগ্রেসের নানা অভিধা
এই পর্বের নেতৃবৃন্দকে ‘মডারেট’, ‘ভীরু’, ‘কাপুরুষ’এবং তাঁদের কর্মপন্থাকে ‘রাজনৈতিক ভিক্ষাবৃত্তি’, ‘ভিক্ষুকের রাজনীতি’ প্রভৃতি নানা অভিধায় ভূষিত করা হয়েছে।
নরমপন্থী কংগ্রেসের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্রুপ
বাস্তব ক্ষেত্রেও দেখা গেছে যে রাজনৈতিক বা শাসনতান্ত্রিক ক্ষেত্রে তাঁরা তেমন সাফল্য অর্জন করতে পারেন নি এবং শাসকদের কাছ থেকেও তাঁরা পেয়েছেন শুধু ঘৃণা ও বিদ্রূপ।
নরমপন্থী কংগ্রেস সম্পর্কে লাজপত রায়ের অভিমত
লালা লাজপৎ রায় তাঁদের সম্পর্কে বলেন যে, “সরকারের কাছ থেকে সুবিধা ও সুবিচার আদায়ের জন্য কুড়ি বছর ধরে তাঁরা যে আন্দোলন করেছিলেন তা ব্যর্থই হয়েছিল। তাঁরা চেয়েছিলেন রুটি, পেয়েছিলেন পাথরের টুকরো।”
প্রতিক্রিয়াশীল সরকার
তাঁদের আন্দোলনের ফলে ইংরেজ কর্তৃপক্ষ উদার হয় নি – বরং তারা হয়ে উঠেছিল আরও অত্যাচারী ও প্রতিক্রিয়াশীল।
নরমপন্থী কংগ্রেসের ব্যর্থতার কারণ
এই যুগে কংগ্রেস সংগঠন, কর্মধারা, নেতৃবৃন্দের দৃষ্টিভঙ্গি ও আন্দোলনের মধ্যে নানা ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়। যার ফলে তাদের কার্যধারা ব্যর্থ হয়।
(ক) সাংগঠনিক দুর্বলতা
- (১) পরবর্তীকালের নেতৃবৃন্দ ও ঐতিহাসিকরা সে যুগের জাতীয় কংগ্রেসের গঠনতন্ত্র (শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়-কেন্দ্রিক), লক্ষ্য (কিছু সুযোগ-সুবিধা লাভ) ও কর্মপন্থাকে (আবেদন-নিবেদন) তীব্র ভাষায় ধিক্কার জানিয়েছেন।
- (২) সে যুগের কংগ্রেসকে কোনওভাবেই আধুনিক অর্থে রাজনৈতিক দল বলা চলে না। এর কোনও স্থায়ী অফিস, কর্মী-পরিষদ, সংবিধান বা নির্দিষ্ট তহবিল ছিল না।
- (৩) অর্থকৃচ্ছ্রতা ছিল এর নিত্যসঙ্গী। ধনী ব্যবসায়ী, শিল্পপতি বা জমিদারেরা জাতীয় আন্দোলনের এই পর্বে বিশেষ কোনও অর্থ সাহায্য করেন নি। প্রায় সব রাজনৈতিক নেতাদের নির্ভর করতে হত নিজেদের সামান্য আয়ের ওপর।
- (৪) সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও গোপালকৃষ্ণ গোখলের সম্বল ছিল শিক্ষকতার সামান্য অর্থ। অর্থের জন্য বাল গঙ্গাধর তিলক আইনের ছাত্রদের প্রাইভেট কোচিং খুলতে বাধ্য হন।
- (৫) ডঃ বিপান চন্দ্র বলেন যে, এই অর্থ-দৈন্য থেকে বোঝা যায় জাতীয় জীবনের এই পর্বে আন্দোলনের নেতৃত্ব কেন আইনজীবী ও সাংবাদিক — দুই বৃত্তিজীবী শ্রেণীর হাতে ছিল।
(খ) মধ্যবিত্তদের সংগঠন
- (১) এই আন্দোলন মূলত মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ও বদরুদ্দীন তায়েবজী ছিলেন সফল আইনজীবী। সুরেন্দ্রনাথ, গোখলে ও তিলক ছিলেন কৃতী অধ্যাপক।
- (২) দাদাভাই নওরোজি ও ফিরোজ শাহ মেহতা ছিলেন সফল ব্যবসায়ী। সংগঠনে আইনজীবীদের সংখ্যাধিক্য ও প্রাধান্যের জন্য ডঃ অনিল শীল এই যুগের কংগ্রেসকে ‘উকিল রাজ’ বা ‘ভকিল রাজ’ বলে অভিহিত করেছেন।
- (৩) সারা বছর ধরে কংগ্রেসের জন্য কাজ করে যাওয়া বা গণ-সংগঠন গড়ে তোলার মানসিকতা—কোনওটাই তাঁদের ছিল না। কংগ্রেসি রাজনীতি তখনঅনেকটাই ছিল ‘আংশিক সময়ের কাজ।
- (৪) কংগ্রেস তখন ছিল বছরে তিনদিনের অধিবেশন বা তামাশার প্রতীক। অশ্বিনীকুমার দত্ত কংগ্রেস অধিবেশনকে ‘তিন দিনের তামাশা’ বলে অভিহিত করেছেন।
- (৫) ডঃ সুমিত সরকার-এর মতে, “কংগ্রেস কোনও দল ছিল না, ছিল বছরে তিন দিনের মেলা।” অধ্যাপক মেহরোত্রা-র মতে, সরকারের পুলিশ ও মিলিটারির ওপর নেতৃবৃন্দের প্রচণ্ড ভয় ছিল।
(গ) জনগণের স্থান নেই
- (১) নেতৃবৃন্দ বুঝতে পারেন নি যে, যে-কোনও আন্দোলনে সাফল্যের পূর্ব-শর্তই হল জনগণের অংশগ্রহণ। শ্রমিক, কৃষক প্রভৃতি শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে জাতীয় কংগ্রেস বা তার নেতৃবৃন্দের কোনও সম্পর্ক ছিল না বা তাদের দারিদ্র দূর করার কোনও কর্মসূচিও কংগ্রেস নেয় নি।
- (২) জমিদারদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশঙ্কায় তাঁরা কৃষকদের পক্ষে কোনও কর্মসূচি গ্রহণে রাজি ছিলেন না। দেশের বৃহত্তর জনগণের সঙ্গে সম্পর্কহীন এই কংগ্রেসকে অরবিন্দ ঘোষ ‘বি-জাতীয় কংগ্রেস’ (‘Indian Un-national Congress’) বলে অভিহিত করেছেন।
(ঘ) মুসলিমদের অনুপস্থিতি
- (১) এখানে উচ্চবর্ণের শিক্ষিত হিন্দুদের একচেটিয়া প্রাধান্য ছিল।অশিক্ষিত বা নিম্নবর্ণের হিন্দুরা এখানে কোনও গুরুত্ব পায় নি।
- (২) বদরুদ্দিন তায়েবজী, রহমউল্লা সায়ানি প্রমুখ প্রথম শ্রেণীর মুসলিম নেতৃবৃন্দ থাকলেও বৃহত্তর মুসলিম সমাজের ওপর কংগ্রেসের কোনও প্রভাব ছিল না। সাধারণভাবে মুসলিম সমাজ এই সংগঠন থেকে দূরেই ছিল।
(ঙ) পুরোনো অভিজাতদের অনুপস্থিতি
ঐতিহ্যবাহী অভিজাত অর্থাৎ প্রাচীন জমিদার ও রাজন্যবর্গের সঙ্গেও কংগ্রেসের সদ্ভাব ছিল না। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতোই এ দেশের অধিকাংশ রাজা ও জমিদার ছিলেন সরকারের বন্ধু এবং তাঁরা কংগ্রেসের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকাই নিরাপদ মনে করতেন।
(চ) আবেদন-নিবেদন নীতি
- (১) কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ আবেদন-নিবেদনের নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন, আত্মবল ও আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে সংগ্রামের নীতিতে নয়।
- (২) তাঁরা উপলব্ধি করতে পারেন নি যে, ভিক্ষাপাত্র হাতে নিয়ে স্বাধীনতা পাওয়া যায় না। এই কারণে চরমপন্থী নেতৃবৃন্দ তাঁদের ‘দুর্বল’, ‘ভীরু’, ‘কাপুরুষ’ এবং তাঁদের রাজনীতিকে ‘রাজনৈতিক ভিক্ষাবৃত্তি’ বলে অভিহিত করেছেন।
(ছ) ‘ব্রিটিশ রুল’ সম্পর্কে মোহ
- (১) ইংল্যান্ড-এর শাসকগোষ্ঠী, বিশেষত তথাকথিত ‘লিবারেল’-দের ওপর কংগ্রেস নেতৃত্বের প্রবল আস্থা ছিল। তাঁদের অভিযোগ ছিল ভারত শাসনকারী ব্রিটিশ আমলাতন্ত্রের বিরুদ্ধে।
- (২) তাঁরা ‘Un-British Rule’-এর পরিবর্তন চাইতেন। তাঁরা মনে করতেন যে, ইংরেজ শাসন ভালো এবং ন্যায়পরায়ণ, কিন্তু ভারত-শাসনকারী আমলাতন্ত্রই সব দোষের মূলে।
- (৩) কংগ্রেসের অন্যতম প্রধান সদস্য সুব্রহ্মণ্য আয়ার বলেন যে, “ব্রিটিশ জনসাধারণের ন্যায়বিচার-বোধ ও ন্যায়পরায়ণতা সম্পর্কে আমাদের সকলের পূর্ণ আস্থা আছে।”
(জ) নেতৃত্বের দ্বৈত ভূমিকা
- (১) আদি যুগে কংগ্রেস নেতৃত্বের চিন্তা ও কর্মের মধ্যে পরস্পর-বিরোধিতা সুস্পষ্ট। তারা ভারতবাসীর গণতান্ত্রিক অধিকার সম্প্রসারণের দাবি করেছেন, সাধারণ মানুষের কথাও চিন্তা করেছেন, কিন্তু সাধারণ মানুষ বা স্ত্রীলোকদের ভোটাধিকারের দাবি উত্থাপন করেন নি।
- (২) তাঁরা ঔপনিবেশিক সরকারের শোষণের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সোচ্চার হলেও, সেই শোষণের সঙ্গে পরোক্ষভাবে জড়িত ভারতীয় ব্যবসায়ী ও ভূস্বামীদের বিরুদ্ধে একটি কথাও বলেন নি।
- (৩) ভারতীয় পুঁজিপতিদের অধীনে কর্মরত শ্রমিকদের শোচনীয় অবস্থা সম্পর্কেও তাঁরা অদ্ভুতভাবে নীরব। জাতীয়তাবাদী চেতনার প্রসারে অতি সক্রিয় হলেও স্বাধীনতার কথা তাঁদের চিন্তার অতীত ছিল।
- (৪) ব্রিটিশ শাসনের কঠোর সমালোচক দাদাভাই নৌরোজি-ও পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি উত্থাপন করেন নি —চেয়েছেন ঔপনিবেশিক স্বায়ত্তশাসন।
(ঝ) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
- (১) নরমপন্থী নেতাদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছিল প্রবল। বস্তুতপক্ষে তখন কংগ্রেস ছিল বোম্বাই-এর ফিরোজ শাহ মেহতা ও দীনশা ওয়াচার নেতৃত্বাধীন। তাঁরা সুরেন্দ্রনাথ ও আনন্দ চারলুর সঙ্গে সহযোগিতা করে নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রাখতেন।
- (২) পুণা ও বোম্বাই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব, মাদ্রাজ ও মায়লাপুরের ব্রাহ্মণ গোষ্ঠীর সঙ্গে এগমোরের মধ্যবিত্ত গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, বাংলায় সুরেন্দ্রনাথ-ভূপেন বসু গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিপিনচন্দ্র পাল গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব এবং পাঞ্জাবে লালা হরকিষেণ লালের বিরুদ্ধে লালা লাজপৎ রায়ের গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব কংগ্রেসকে দুর্বল করে দেয়।
(ঞ) দাবি-দাওয়া আদায়ে ব্যর্থতা
- (১) আদি জাতীয়তাবাদীদের সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে প্রায়ই ১৮৯২-এর ইণ্ডিয়ান কাউন্সিল আইনের (Indian Councils Act, 1892) কথা বলা হয়। বলা হয় যে, কংগ্রেসের দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে সরকার এই আইন পাশ করতে বাধ্য হয় এবং এই আইন কংগ্রেসি আন্দোলনের সফলতার পরিচায়ক।
- (২) এই আইনের ফলেই গোখলে, ফিরোজ শাহ মেহতা, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, রাসবিহারী ঘোষ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় আইন পরিষদে প্রবেশ করে সেখানে দেশবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরতে সক্ষম হন।
- (৩) বলা বাহুল্য, ১৮৯২-এর আইন ছিল একটি ছলনা-মাত্র। এই আইন দেশবাসীর আশা আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করতে ব্যর্থ হয়। এর দ্বারা নির্বাচনের নীতি স্বীকৃত হয় নি, সদস্যরা অর্থ সংক্রান্ত ব্যাপারে কোনও অধিকার পান নি বা ‘ইণ্ডিয়া কাউন্সিল’ তুলে দেওয়া হয় নি।
- (৪) কংগ্রেস নেতৃবৃন্দের দীর্ঘ আন্দোলন সত্ত্বেও আই. সি. এস. পরীক্ষা-সংক্রান্ত বিষয়ে ভারতীয়দের দাবি মানা হয় নি বা সরকারি চাকরিতেও অধিক সংখ্যক ভারতীয় নিয়োগ করা হয় নি।
- (৫) ১৮৯৪-এ সরকারি নির্দেশে ভারতীয় কলে তৈরি বস্ত্রের ওপর ৫% উৎপাদন চাপানো হয়। ১৮৯৬-এ বিদেশি সুতিবস্ত্রের ওপর আমদানি শুল্ক ৫% থেকে কমিয়ে ৩% করা হয়, অথচ এই একই সময়ে ভারতীয় বস্ত্রের ওপর ৫% উৎপাদন শুল্কই বজায় থাকে।
উপসংহার :- ব্যর্থতা সত্ত্বেও কংগ্রেসের প্রথম পর্বের নেতৃবৃন্দের গুরুত্ব কে অস্বীকার করা যায় না। ডঃ বিপান চন্দ্র বলেন যে “১৮৮৫ থেকে ১৯০৫ হল জাতীয় আন্দোলনের ভিত্তি স্থাপনের যুগ। আদি জাতীয়তাবাদীরা সেই ভিত্তি সযত্নেই স্থাপন করেছিলেন।”
(FAQ) নরমপন্থী কংগ্রেসের ব্যর্থতার কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
মডারেট বা নরমপন্থী।
কিছু সুযোগ সুবিধা লাভ।
আবেদন-নিবেদন।
অশ্বিনীকুমার দত্ত।