জুলিয়াস সিজার

রোমান সেনানায়ক জুলিয়াস সিজার প্রসঙ্গে ইতিহাসের প্রেক্ষাপট, পিতৃভূমির পিতা, স্বয়ং ঈশ্বর, জন্ম, বংশ পরিচয়, রাষ্ট্রনায়ক হবার সোপান, এশিয়া মাইনরে যাত্রা, আফ্রিকা অভিযান, রোমের একনায়ক, হত্যা ও শেষ উক্তি সম্পর্কে জানবো।

রোমান সেনানায়ক জুলিয়াস সিজার

ঐতিহাসিক চরিত্রজুলিয়াস সিজার
জন্ম১০২ খ্রিস্টপূর্ব
সাম্রাজ্যরোমান সাম্রাজ্য
একনায়কত্ব৪৬-৪৪ খ্রিস্টপূর্ব
উত্তরাধিকারীঅগাস্টাস সিজার
মৃত্যু৪৪ খ্রিস্টপূর্ব
রোমান সেনানায়ক জুলিয়াস সিজার

ভূমিকা :- কপালের লিখনই ছিল তাই। প্রথম, সিজার প্রথমই হবে। রোম-এ যদি দ্বিতীয় হতে হয় তবে সিজার বরং গ্রামে যাবে, যেখানে সে প্রথম হয়ে থাকবে। তবুও প্রথমই হতে হবে তাকে সেটাই তার ভাগ্যলিপি

রোমানদের সংগ্ৰাম

তার জন্মের কয়েক প্রজন্ম আগেও একটা সংগ্রাম শুরু হয়েছিল। কিন্তু তার গতি ছিল এলোমেলো। কখনও এদিকে। কখনও ওদিকে। ভূমধ্য সাগরের তীরে সভ্যতার কেন্দ্র হবার জন্য ছিল সে সংগ্রাম।

ইতালির মাটিতে সাম্রাজ্য গঠন

  • (১) গ্রীকরা তাদের যুদ্ধ জয়ের মধ্য দিয়ে দর্শন, সাহিত্য এবং শিল্পে বিস্ময়কর অগ্রগতির মধ্য দিয়ে মানব ইতিহাসে রেখে গেছে তাদের সদস্ত উপস্থিতির চিহ্ন কার্থেজিয়রা উন্নীত হয়েছিল বণিক জাতি হিসেবে শাসিত হয়েছিল বণিক ও ধনীদের দ্বারা আর সব সময় অন্তরে পুষে রেখেছিল ক্ষমতা দখলের বাসনা।
  • (২) আর সেই সময়ই গর্ভলক্ষ্মণহীন ইতালির মাটিতে নয়া উপনিবেশ গড়ছিল যারা তারা গ্রীক পর্যটক এবং বণিকদের কাছে থেকে দ্রুত শিখে নিচ্ছিল অনেক কিছু এবং ক্রমেই ধনী প্রতিবেশীদের ভয়ের কারণ হয়ে উঠছিল

কার্থেজিয়দের কাছে রোমানদের পরাজয়

  • (১) সে সময় রোমকে কেন্দ্র করে বলিয়ান হয়ে উঠল যে রোমিওরা, তাদের সঙ্গে কার্থেজিয়দের শুরু হয়ে গিয়েছিল ক্ষমতা দখল ও শ্রেষ্ঠত্বের এক তীব্র লড়াই। সে লড়াই ছিল অস্তিত্ব রক্ষারও লড়াই। কার্থেজিয়দের শাসন বিস্তৃত ছিল স্পেন এবং গলের দক্ষিণ উপকূল ভাগ ধরে।
  • (২) রোমানরা তাদের দেখত রীতিমত ভয়ের চোখে। কার্থেজিয় নেতা হানিবলের সঙ্গে লড়াইয়ে তারা বিপর্যস্তও হয়। তাদের পরাজিত করেই হানিবলের বাহিনী অতিক্রম করে আল্পস পর্বতমালা, বিধ্বস্ত করে ইতালিকে।

রোমানদের হাতে কার্থেজের ধ্বংস

  • (১) এই ব্যর্থতা, এই বিপর্যয় সত্ত্বেও রোমানরা কিন্তু জাতি হিসেবে নিশ্চিহ্ন হয়ে হয়ে যায়নি। সে সময় রোম যে আশ্চর্য অনুষ্ঠানের কৌশল নিয়েছিল তারই কাছে হেরে যেটুকু জয় করেছিল সেটুকুই খুইয়ে বসে হানিবল। পরিণতিতে পূর্ণ প্রতিশোধই নেয় রোম।
  • (২) শুধু অধিকার নয়, কার্থেজকে ধ্বংস করে দেয় তারা। এবং শেষ পর্যন্ত তারাই হয় ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের শ্রেষ্ঠ। রোমানদের শক্তিই নিহিত ছিল এর মধ্যে। সব কিছু গ্রহণ ও আত্মস্থ করার অসামান্য দক্ষতা ছিল তাদের।
  • (৩) সেই সঙ্গে তারা জানত জয়ের ফলাফলকে নিজেদের কাজে লাগাতে। কার্থেজের সাধারণ মানুষের নৈতিক বল ছিল খুবই কম। তারা ছিল মুনাফা তৈরির যন্ত্রের একটি অংশ মাত্র।

অকৃপণ গ্ৰীক জাতি

গ্রিস-এর শাসকরা অধীনস্থ রাজ্যগুলিকে হেয় করে রেখে করেছিল বিরাট ভুল। কিন্তু রোম যেমন অন্যর কাছ থেকে চিন্তাধারা গ্রহণের ব্যাপারে অকৃপণ ছিল তেমনি গ্রীক দেবতাদের মেনে নিয়েও তারা সেই দেবতাদের দেয় নতুন নতুন নাম। সেই সঙ্গে এই ভূমির অভিবাসনকারী অথবা তার অধিকৃত অঞ্চলের লোকজনের সঙ্গেও সে এমন ব্যবহার করত যাতে তারা স্বেচ্ছায় এর সঙ্গে একাত্ম হয়ে যেত।

ইতিহাস থেকে রোমের শিক্ষা

  • (১) রোম বরাবরই শিক্ষা নিত ইতিহাস থেকে। সে জানত, একটি বিজয়ী শক্তি যখন জোর করে বিজিতের ওপর সবকিছু চাপিয়ে দেয়, তখন সঙ্কটের সময় একটা বড় ফাটল দেখা দিতে বাধ্য। অন্যের নীতি অনুসরণের মধ্য দিয়ে রোম খুঁজে পেত তার শক্তি।
  • (২) ঔপনিবেশিকদের চাতুর্যে, নাগরিকত্ব দানের মধ্য দিয়ে, সরকারের সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি রূপায়ণের মধ্য দিয়ে রোম তার প্রতিপক্ষের সামনে খাড়া করে শক্ত প্রতিরোধের প্রাচীর।

ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে জুলিয়াস সিজার

জুলিয়াস সিজারের জীবন ও কর্মধারা আলোচনার সময় ইতিহাসের ঐ প্রেক্ষাপটটি মনে রাখা দরকার। এই প্রেক্ষাপট জানা না থাকলে, জুলিয়াস সিজার কিভাবে তার সমকালের বহু গুণাবলী এবং দোষ ত্রুটি ও অন্যায়ের বিরল নজির হয়ে উঠেছিলেন তা ঠিক বোঝা যাবে না।

পিতৃভূমির পিতা জুলিয়াস সিজার

সিজারের ভাগ্যই ঠিক করে রেখেছিল, গ্রাম নয়, রোমেই প্রথম হবে সিজার। সে নেবে “পিতৃভূমির পিতা’ এই গর্বিত উপাধি। এসবই যেন ছিল পূর্বনির্দিষ্ট। সিজার যদি আরও একটু কম উচ্চাকাঙ্ক্ষী হতো, তাহলে ইউরোপের ইতিহাস, তার সভ্যতার ধারা হয়তো বইতো অন্য খাতে।

স্বয়ং ঈশ্বর জুলিয়াস সিজার

সিজার এমন এক ব্যক্তি, যার দাবি ঈশ্বরের সঙ্গে আত্মীয়তার সূত্রে বদ্ধ তিনি। আর সিজার যখন ক্ষমতার মধ্যগগনে, তখন তার ঘোষণা, আত্মীয় নয়, তিনিই স্বয়ং ঈশ্বর।

রোমান সাম্রাজ্যের বিস্তৃতিকরণে জুলিয়াস সিজারের অবদান

সিজার হল সেই ব্যক্তি যিনি রোমান সাম্রাজ্যের সীমানাকে উত্তর ও পশ্চিমে বিস্তৃত করেছেন, মানব ইতিহাসে এমন এক চিহ্ন রেখে গেছেন যা মুছবে না কোনো সময়ই।

সিজারের হাতে ইউরোপের বিরাট পরিকাঠামো

একদিন যে পথে সিজারের বাহিনী রোম থেকে বেরিয়েছিল বিশ্বজয়ে, একদিন পৌত্তলিক প্রতিভা সাম্রাজ্যের যে ভিত্তি গড়ে দিয়েছিল তারই ওপর গড়ে উঠেছিল খ্রিস্ট্রীয় ইউরোপ-এর বিরাট পরিকাঠামো। সিজারের সেই পথ ধরেই কয়েক শতাব্দী পরে খ্রিস্ট্রীয় মিশনারিরা বেরিয়েছিল খ্রিস্ট ধর্মের অনুশাসনে পৃথিবী জয়ে।

জুলিয়াস সিজারের জন্ম

১০২ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে সেই মাসে-যে মাসটার নাম তাঁরই প্রতি সম্মান জানাতে চিহ্নিত হয়েছিল জুলাই নামে, সেই ১০২ খ্রিস্ট পূর্বাব্দের জুলাইয়ে তাঁর জন্ম।

জুলিয়াস সিজারের বংশ পরিচয়

রোমের যে সম্ভ্রান্ত পরিবারে সিজারের জন্ম, সেই পরিবারটি নিজেদের মনে করত স্বর্গের দেবতা ভেনাস এবং ইলিয়াসের উত্তরপুরুষ হিসেবে। এই দেবতার সঙ্গে সংযোগের এই ধারণাটাই স্ফীত করেছিল সিজারের গর্বকে এবং হয়তো এই গর্বই পরবর্তীকালে তাকে ভাবতে শিখিয়েছিল, তার সমস্ত শক্তি সত্যই অতিমানবিক ।

জেনারেল ম্যারিয়াসের দলে জুলিয়াস সিজারের যোগদান

  • (১) যুবক জুলিয়াস যুক্ত হয়েছিলেন তার মহান জেনারেল ম্যারিয়াসের দলে। এই দল যখন ক্ষমতা দখল করে তখন পুরস্কার হিসেবেই রোমানদের প্রধান দেবতা জুপিটারের অর্ধেক পদে নিযুক্ত হন জুলিয়াস।
  • (২) কিন্তু এই সাফল্য ছিল ক্ষণস্থায়ী। এর কিছুদিন পরেই সপ্তমবারের জন্য কনশাল পদে নির্বাচিত ম্যারিয়াসের জীবনাবসান হয়। আর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পদ এবং সম্পত্তি দুই হারিয়ে রোম ছাড়তে হয় ম্যারিয়াসের অনুগামীদের।

জুলিয়াস সিজারের বিপদ

  • (১) বিরোধী দল নেতা সুল্লা বিজয়ীর বেশে ফিরে আসেন রোমে। সুল্লা সিজারকে ক্ষমা করতে রাজি ছিলেন একটি মাত্র শর্তে। সে শর্ত, ঘূর্ণিত গণতান্ত্রিক দলের সঙ্গে যুক্ত তার যুবতী স্ত্রীকে পরিত্যাগ করতে হবে।
  • (২) সিজার রাজি হলেন না। এই রাজি না হওয়ার জন্য সিজারকে বরণ করতে হয় ভয়ানক বিপদকে। রোম আর তার পক্ষে তখন নিরাপদ জায়গা নয়। সিজার তাই তার সৈন্য বাহিনী নিয়ে ঘুরতে থাকেন পূর্বদিকে।

জুলিয়াস সিজারের রাষ্ট্র নায়ক হবার সোপান

এই সময়েই যুদ্ধ সম্পর্কে প্রথম শিক্ষাটি নেন তিনি, সেই শিক্ষাই পরবর্তীকালে তাঁকে বিরাট ভূমিকা নিতে সাহায্য করেছিল। রাজনীতির দাক্ষিণ্য আবার যখন তাঁর ওপর বর্ধিত হল, তখন তিনি রোমে ফিরে এলেন আইন শিক্ষার জন্য। সেটাই হল তাঁর রাষ্ট্র নায়ক হবার সোপান।

জুলিয়াস সিজারের ঋণ

  • (১) রোডসে বিখ্যাত অ্যাপেলেনিয়াস মোলোনের কাছে বাগ্মীতা শিখতে গিয়ে সিজার কিছু অসৎ আমোদ প্রমোদের প্রতি আকৃষ্ট হলেন। সেনাজীবনের নানা অসুবিধা আর শিক্ষণজীবনের নিষ্ঠার বাইরে এই জীবন বেশি করে টানতে থাকল সিজারকে।
  • (২) নাগরিক জীবনের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম জুয়ায় কেটে যেত তাঁর দিনের অনেকটা সময়। ধারের পর ধারে তিনি যেন আকণ্ঠ ডুবে যেতে থাকলেন। শোনা যায় এক সময় তার ঋণের পরিমাণ দাড়ায় দুলক্ষ পাউন্ড।
  • (৩) এই সময়ই স্পেনের গভর্নর পদে নিয়োগ করা হয় সিজারকে। কিন্তু তাঁর মহাজনেরা তাঁর স্পেনে যাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাদের এক কথা, আগে ঋণের অর্থ মেটাও তারপর যেখানে খুশি যাও।

জুলিয়াস সিজারের ত্রাতা

  • (১) এই সময় সিজারের ত্রাতা হিসেবে দেখা দিলেন রোমের বিখ্যাত ধনী ক্র্যাসাস। সিজারের হয়ে তিনি সব ঋণ মিটিয়ে দিলেন। কথা রইল, সিজার যখন আবার আর্থিক দিকে সচ্ছল হবে এবং সামরিক অভিযানের মাধ্যমে নিজের সুনামকে বাড়াবেন সেই সময় মিটিয়ে দেবেন ক্র্যাসাসের সব টাকা।
  • (২) অসাধারণ দক্ষতায় সিজার এবার ধনী ক্র্যাসাসের সঙ্গে বরি পম্পের বিরোধ মিটিয়ে আবার তাদের বন্ধু করে তুললেন। এই পম্পের সামরিক দক্ষতা তাঁকে রোমের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি করে তুলেছিল।

রোমের প্রথম ত্রয়ীশাসক চক্র

৬০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে, এই তিনজন মিলে যে শাসক চক্র গড়ে তুললেন তাই হল রোমের প্রথম ত্রয়ীশাসক চক্র। সিজার কন্সাশ হলেও সামরিক বিভাগের পরিবর্তে পেলেন সড়ক ও বনাঞ্চল রক্ষার দায়িত্ব।

এশিয়া মাইনরের দিকে জুলিয়াস সিজারের যাত্রা

  • (১) সিজার এবার এশিয়া মাইনরের দিকে যান। সেখানে তিনি পম্পের এক পুরনো সহযোগীকে পরাজিত করেন। এই সহযোগী হলেন পন্টাসের রাজা ফারনাসেস। তাঁরা জিলার কাছে এক তুমুল যুদ্ধে লিপ্ত হন।
  • (২) এই যুদ্ধে জয়ের ফলে সিজার নিজের অবস্থা আরও জোরদার করেন। এই অভিযানের সময় সিজার উচ্চারণ করেন সেই বিখ্যাত উক্তি, “ভিনি, ভিডি, ভিসি” – এলাম, দেখলাম, জয় করলাম।

আফ্রিকা অভিযানে জুলিয়াস সিজার

ইতালিতে ফেরার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই আবার সিজারকে বেরতে হল বিদ্রোহ দমনে। এবার তিনি ভূমধ্যসাগর পার হয়ে আফ্রিকা অভিযানে গেলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ইতালিতে ফিরে এলেন। এলেন গ্রামে প্রথম হতে নয়। রোমে প্রথম হতে।

রোমের একনায়ক জুলিয়াস সিজার

তিনি প্রথমে দশ বছরের জন্য, পরে আমৃত্যু নিজেকে একনায়ক হিসাবে ঘোষণা করেলেন। স্বল্পকাল ক্ষমতায় থাকার সূত্রেই সিজার সুবিচারক হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেলেন এবং তাঁর এই আত্মশ্লাঘাই ডেকে আনল তাঁর মৃত্যুকে।

জুলিয়াস সিজারের জনহিতকর কাজ

অল্প সময়েই আল্পসের ওপারেও বিস্তৃত করলেন তিনি ভোটাধিকার ও অন্যান্য রাজনৈতিক সুবিধা, উপজাতি গুলি পেল বন্ধুত্ব, ক্যালেন্ডার সংস্কার হল, স্বাধীন মানুষ পেল আরও স্বাধীনতার সুনিশ্চিত আশ্বাস এবং জনস্বার্থে হাত দেওয়া হল বড় বড় কাজে।

জুলিয়াস সিজারের হত্যা

সেনেট হাউসে পম্পের মূর্তির পাদদেশে ঘন ঘন অশনি সম্পাতে আলোকিত ঝড়ো হওয়ার মধ্যে ঘাতকের ছুরিকাঘাতে নিভে যায় তাঁর জীবনদীপ। বলা হয় যারা তাঁকে খুন করে তাঁর মধ্যে শত্রুর চেয়ে তাঁর মিত্রই ছিল বেশি।

জুলিয়াস সিজারের শেষ উক্তি

আমরা জানি তাঁর শেষ কথাটি ছিল, হায় ব্রুটাস, তুমিও! সিজার সেই মৃত্যুর মুখে দেখেছিলেন তার ঘনিষ্ঠজনরাই তাঁকে নিঃসঙ্গ করেন। বুঝলেন তাঁর সাফল্যই পরাজিত করল তাঁকে।

জুলিয়াস সিজারের লেখনী

সিজারই রোমের দৃষ্টিকে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চয় থেকে উত্তর ইউরোপের দিকে প্রসারিত করেন। বিচ্ছিন্ন জাতিগুলিকে তিনিই আনেন রোমের পতাকাতলে। শুধু অসি চালনাতেই নয় মসি অর্থাৎ লেখনীতেও তিনি পারদর্শিতার চিহ্ন রেখে গেছেন তাঁর যুদ্ধ বিবরণীতে আর গড়ে দিয়ে গেছেন তার ভাগ্নে অগাস্টাসের জন্য সাম্রাজ্য গড়ার রাস্তা।

মিশরের সাথে যোগাযোগ

তিনি টলেমীয় মিশর-এর সর্বশেষ সক্রিয় ফ্যারাও ক্লিওপেট্রার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন এবং তার গর্ভে সন্তান জন্মগ্রহণ করে।

উপসংহার :- সিজার চরিত্রকে অল্প কয়েকটি কথার মধ্যে তুলে ধরেছেন লর্ড টুইউসরি এইভাবে – “এই পৃথিবীর গুরুভার কাঁধে নিয়েও তিনি লঘুপদে চলার ক্ষমতা হারাননি। যুদ্ধ কিংবা প্রশাসন কখনই তাঁকে করে তোলেনি এক সঙ্কীর্ণ বিশেষজ্ঞ। তাঁর সংস্কৃতি তাঁর সমকালের যে কোনো মানুষের চেয়ে ছিল বিস্তৃত। তিনি ভালবাসতেন শিল্প এবং কবিতা, সঙ্গীত এবং দর্শনকে। জীবনের কঠিনতম মুহূর্তেও তিনি এরই মধ্যে নিমগ্ন হতেন। তাঁর মধ্যে ছিল এক সক্রিয় মানুষের বাস্তবতাবোধ, শিল্পের অনুভূতি, সৃজনশীল স্বপ্নাল ব্যক্তির কল্পনাপ্রবণতা। এতগুলি গুণের সমাহার, আমি মনে করি, আর কোথাও ঘটেনি।”

(FAQ) রোমান সেনানায়ক জুলিয়াস সিজার সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. জুলিয়াস সিজার কে ছিলেন?

রোম সাম্রাজ্যের একজন সেনাপতি এবং একনায়ক।

২. জুলিয়াস সিজারের বিখ্যাত উক্তি কি ছিল?

ভিনি, ভিডি, ভিসি” – এলাম, দেখলাম, জয় করলাম।

৩. কার নামে ইংরেজী জুলাই মাসের নামকরণ করা হয়েছে?

জুলিয়াস সিজার।

৪. জুলিয়াস সিজারের উত্তরাধিকারী কে ছিলেন?

অগাস্টাস সিজার।

Leave a Comment