জন্মাষ্টমী

হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব জন্মাষ্টমী প্রসঙ্গে সময়কাল, শ্রী কৃষ্ণের জন্মদিনে জন্মাষ্টমী, শুভ শক্তি প্রতিষ্ঠা করার উত্‍সব জন্মষ্টমী, ২০২৩ সালে জন্মাষ্টমী, শ্রী কৃষ্ণের জন্ম সম্পর্কে পুরাণের ব্যাখ্যা, জন্মাষ্টমীর মাহাত্ম্য ,জন্মাষ্টমীর পূজার নিয়ম, নন্দ উৎসব, কিংবদন্তি, দহি হান্ডি প্রথা ও স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মাষ্টমী সম্পর্কে জানবো।

হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব জন্মাষ্টমী

উৎসবজন্মাষ্টমী
অপর নামকৃষ্ণজন্মাষ্টমী
পালনকারীহিন্দু সম্প্রদায়
ধরণধর্মীয় উৎসব
উদযাপন২-৮ দিন
সময়ভাদ্র কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথি
সম্পর্কিতশ্রীকৃষ্ণ
হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব জন্মাষ্টমী

ভূমিকা :- ভারত -এর হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি বিশেষ উৎসব হল জন্মাষ্টমী বা কৃষ্ণজন্মাষ্টমী। বিষ্ণুর অবতার শ্রী কৃষ্ণের জন্মদিন হিসেবে পালিত হয়। এর অন্যান্য নাম হল কৃষ্ণাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমী রোহিণী, শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তী ইত্যাদি।

জন্মাষ্টমীর সময়কাল

হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয়, তখনই জন্মাষ্টমী পালিত হয়। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, এই উৎসব প্রতি বছর মধ্য-আগস্ট থেকে মধ্য-সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনো এক সময়ে উদযাপিত হয়।

শ্রী কৃষ্ণের জন্মদিনে জন্মাষ্টমী

বাসুদেব ও দেবকির সন্তান শ্রীকৃষ্ণ। হিন্দু ধর্মাম্বলীরা শ্রী কৃষ্ণের জন্মদিনকে জন্মাষ্টমী হিসেবে পালন করে থাকে।

শুভ শক্তি প্রতিষ্ঠা করার উত্‍সব জন্মষ্টমী

অশুভকে বিনাশ করে শুভ শক্তিকে প্রতিষ্ঠা করার উত্‍সব হল জন্মাষ্টমী। বিশ্বাস ও একতা ধরে রাখতে উত্‍সাহ দেয় এই জন্মাষ্টমী উত্‍সব।

২০২৪ সালে জন্মাষ্টমী

চলতি বছর ২৬ আগস্ট রাত ৩ টে ৩০ মিনিটে অষ্টমী তিথির সূচনা হবে। শেষ হবে ২৭ আগস্ট রাত ২ টা ২০ মিনিটে। কৃষ্ণ মাঝরাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। জন্মাষ্টমীর পুজোও মাঝরাতে হয়। এই কারণে ৬ সেপ্টেম্বর পালিত হবে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী। আবার জন্মাষ্টমী পুজোর শুভ সময় মাঝরাত ১২টা ২ মিনিট থেকে ১২টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত।

শ্রী কৃষ্ণের জন্ম সম্পর্কে পুরাণের ব্যাখ্যা

  • (১) পুরাণ অনুযায়ী পাঁচ হাজার বছর আগে এই ধরাধামে অবতীর্ণ হন শ্রী শ্রী নারায়ণের অষ্টম অবতার কৃষ্ণ। তাঁর আবির্ভাব তিথি প্রতি বছর জন্মাষ্টমী নামে পালিত হয়। মথুরা শহরে কংসের কারাগারে জন্ম হয় দেবকী ও বসুদেবের অষ্টম গর্ভের সন্তান শ্রী কৃষ্ণের।
  • (২) কংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রচণ্ড ঝড় বৃষ্টির রাতে যমুনা পেরিয়ে বৃন্দাবনে যশোদা ও নন্দের সংসারে কৃষ্ণকে রেখে আসেন বসুদেব। যশোদা ও নন্দের ঘরে লালিত হয় কৃষ্ণ তথা নন্দগোপাল।
  • (৩) কথিত আছে যে, স্বয়ং নারায়ণ কারাগারে উপস্থিত হয়ে দেবকী ও বসুদেবকে দর্শন দেন এবং তাঁদের পূর্বজন্মের তপস্যা সম্পর্কে জানান। তার পুণ্যফলের জন্যই দেবকী ও বাসুদেবের কাছে তিন বার অবতার নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
  • (৪) বিষ্ণু বা নারায়ণ দেবকীকে জানায় যে, প্রথম জন্মে বৃষ্ণীগর্ভ নামে পুত্র রূপে, দ্বিতীয় জন্মে দেবকী যখন দেবমাতা অদিতি ছিলেন, তখন বিষ্ণু ছিলেন তার পুত্র উপেন্দ্র এবং তিনিই বামন অবতারে রাজা বলিকে উদ্ধার করেন। এবার তৃতীয় জন্মে দেবকীর পুত্র কৃষ্ণ হিসেবে জন্মগ্রহণ করে তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করেন বিষ্ণু।

শ্রী কৃষ্ণের উক্তি

গীতায় শ্রী কৃষ্ণ বলেছেন, ‘যখনই অসত্য ও পাপে এই পৃথিবী ভরে যাবে, তখনই ধর্ম রক্ষা করতে ও সত্য প্রতিষ্ঠা করতে আমি এই পৃথিবীতে অবতীর্ণ হব।’

জন্মাষ্টমীর মাহাত্ম্য

প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী তিথিতে কৃষ্ণের পূজার্চনা করলে ব্যক্তির সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হয়। পাশাপাশি ব্যক্তির উপর শ্রী কৃষ্ণের আশীর্বাদ বজায় থাকে।

জন্মাষ্টমীর পুজোর নিয়ম

কৃষ্ণজন্মাষ্টমী তিথিতে নাড়ু গোপালকে পঞ্চামৃত দিয়ে অভিষেক করে তাঁর বিশেষ শৃঙ্গার করা হয়। এরপর তাঁর প্রিয় মাখনমিশ্রীর ভোগ নিবেদন করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, কৃষ্ণের বালক রূপের পুজো করলে সন্তান সুখ লাভ করা যায়।

জন্মাষ্টমীর দিন বাড়িতে আনার সামগ্ৰী

কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে কিছু জিনিস বাড়ি আনতে পারেন। এর ফলে পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে। যেমন –

  • (১) জন্মাষ্টমীর দিন নাড়ু গোপালের ছবি বাড়ি আনলে দাম্পত্য জীবন সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে যায়
  • (২) জন্মাষ্টমী তিথিতে বাড়িতে কামধেনু গোরু বাড়ি আনলে ব্যবসা ও কেরিয়ারে উন্নতি হয়।
  • (৩) কৃষ্ণের প্রিয় জিনিস ময়ূরপঙ্খ। এই জন্মাষ্টমীতে বাড়িতে ময়ূরপঙ্খ আনুন। এর ফলে পরিবারে ধন আগমনের পথ প্রশস্ত হবে।
  • (৪) বাঁশি কৃষ্ণের খুবই প্রিয়। বাস্তু দোষ দূর করতে জন্মাষ্টমী তিথিতে অবশ্যই বাঁশি নিয়ে আসুন বাড়িতে। এর ফলে সৌভাগ্য বৃদ্ধি পাবে।
  • (৫) জন্মাষ্টমী তিথিতে বাড়িতে বীণা কিনে আনলে সরস্বতীর আশীর্বাদ পেতে পারেন।
  • (৬) এই জন্মাষ্টমী তিথিতে মধু কিনে আনুন এবং কৃষ্ণকে তার ভোগ নিবেদন করুন। এর ফলে পরিবারে কখনও ধন-ধান্যের অভাব হবে না।

জন্মাষ্টমীতে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড

এই দিনটিতে শ্রী কৃষ্ণের জীবনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, যেমন – গান বা কীর্তন, গীতিনাট্য, নাট্য, যাত্রা ইত্যাদির মাধ্যমে রাসলীলা, কংস বধ ইত্যাদি কর্মকাণ্ড উপস্থাপন করা হয়। রাস লীলায় শ্রী কৃষ্ণের ছোট বেলার কর্ম-কাণ্ড দেখানো হয়, অন্যদিকে, দহি হাণ্ডি প্রথায় শ্রী কৃষ্ণের দুষ্টু স্বভাব প্রতিফলিত করা হয়।

সাড়ম্বরে জন্মাষ্টমী উদযাপন

ভারতের মথুরা, বৃন্দাবন, মণিপুর ইত্যাদি স্থানে কৃষ্ণজন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠান অত্যন্ত আড়ম্বরের সাথে উদযাপন করা হয়।

নন্দোৎসব

শ্রী কৃষ্ণের জন্ম হওয়ার আনন্দে গোকুলের নন্দ সকলকে উপহার বিতরণ করেন। এই কাহিনী উদ্‌যাপন করতে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর পর বহু স্থানে নন্দোৎসব পালন করা হয়ে থাকে।

শ্রী কৃষ্ণের জন্মকালীন পরিস্থিতি

যখন শ্রী কৃষ্ণ জন্মগ্ৰহণ করেন তখন চারিদিকে অরাজকতা, নিপীড়ন, অত্যাচার চরম পর্যায়ে ছিল। তৎকালীন সময়ে মানুষের স্বাধীনতা বলে কিছুই ছিল না। সর্বত্রই ছিল অশুভ শক্তির বিস্তার।

শ্রী কৃষ্ণের শত্রু

মামা কংস ছিলেন শ্রী কৃষ্ণের জীবনের শত্রু। তাই মথুরাতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মের সাথে সাথে সেই রাতেই তার বাবা বাসুদেব তাঁকে যমুনা নদী পার করে গোকুলে নিয়ে আসেন। গোকুলে মাতা পিতা যশোদা ও নন্দর কাছে শ্রী কৃষ্ণ লালিত পালিত হন।

কৃষ্ণের জন্ম সম্পর্কে কিংবদন্তি

কিংবদন্তি অনুসারে দেবকী এবং বাসুদেবের অষ্টম সন্তান হলেন শ্রী কৃষ্ণ। মহাভারত, ভাগবত, পুরাণের বর্ণনা এবং জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনা অনুযায়ী শ্রী কৃষ্ণের জন্ম হয় খ্রিস্টপূর্ব ৩২২৮ সালের ১৮ জুলাই এবং তার মৃত্যুর দিন হল খ্রিস্টপূর্ব ৩১০২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। তিনি মথুরার যাদববংশের বৃষ্ণি গোত্রের মানুষ ছিলেন।

হিন্দুদের জন্মাস্টমী পালন

হিন্দু ধর্মের মানুষ বিশেষ করে বৈষ্ণবদের কাছে জন্মাষ্টমী একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। নানা ভাবে এই উৎসব উদ্‌যাপন করা হয়। যেমন – ভগবত পুরাণ অনুযায়ী নৃত্যনাটক যাকে বলা হয় রাসলীলা বা কৃষ্ণ লীলা। মধ্যরাত্রি তে শ্রীকৃষ্ণের জন্মের মুহূর্তে ধর্মীয় গীত গাওয়া, উপবাস, দহি হান্ডি প্রভৃতি। মূলত শ্রীকৃষ্ণের ছোটবেলার বিভিন্ন ঘটনা দেখানো হয় রাসলীলা তে।

দহি হান্ডি প্রথা

এই প্রথায় অনেকটা উঁচুতে মাখনের হাড়ি বেঁধে রাখা হয়। এরপর অনেক ছেলে মিলে মানুষের পিরামিড তৈরি করে সেই হাড়ি ভাঙ্গার চেষ্টা করে। দক্ষিণের তামিলনাড়ুতে এই প্রথা উড়িয়াদি নামে পরিচিত।

জমাষ্টমীতে কৃষ্ণের প্রতি ভালোবাসা

এই জন্মাস্টমীর দিন মানুষ কৃষ্ণের প্রতি ভালোবাসা ব্যক্ত করার জন্য অভুক্ত থাকে, ধর্মীয় গান গায় এবং উপবাস পালন করে থাকে।

জন্মাষ্টমীর মধ্যরাত

গোপাল বা শ্রী কৃষ্ণের জন্ম তিথিতে মধ্যরাতে তার ছোট ছোট মূর্তি কে স্নান করিয়ে কাপড় দিয়ে মোছা হয় এবং দোলনায় সাজানো হয়। এরপর উপাসক মন্ডলী নিজেদের মধ্যে খাদ্য ও মিষ্টান্ন বিনিময় করে উপবাস ভঙ্গ করে।

জন্মাষ্টমীতে শশা নিবেদন

শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্যে জন্মাষ্টমী তিথিতে শশা নিবেদন করার প্রথা আছে। মনে করা হয় শশা পেলে অত্যন্ত প্রীত হন নন্দলাল। যে ভক্ত তাঁকে শশা নিবেদন করেন তাঁর যাবতীয় দুঃখ কষ্ট তিনি মোচন করেন বলে প্রচলিত বিশ্বাস। জন্মাষ্টমী তিথিতে ঠিক রাত ১২টায় কৃষ্ণের জন্মক্ষণে শশা কাটতে হয়। এই প্রথাকে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর মায়ের থেকে নাড়ি গ্রন্থি কাটার রূপক বলে মনে করা হয়।

জন্মাষ্টমীতে মহিলাদের কাজ

কৃষ্ণজন্মাষ্টমীতে গৃহস্ত মহিলারা বাড়ির সমস্ত দরজার বাইরে, রান্নাঘরে শ্রী কৃষ্ণের পদচিহ্ন অঙ্কন করেন। এই পদচিহ্ন শ্রীকৃষ্ণের যাত্রা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ব্রিটিশ শাসনামলে জন্মাষ্টমী

ইংরেজ শাসন কালে মিছিলে হিন্দু-মুসলিম সকলেই অংশগ্রহণ করত। এই মিছিলে শ্রীকৃষ্ণের জীবনকাহিনী নৃত্য-গীতের মাধ্যমে তুলে ধরা হতো। এছাড়া বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনীও চিত্র আকারে এবং সঙ সেজে দেখানো হতো।

পরাধীন বাংলাদেশে জন্মাষ্টমী

  • (১) সম্ভবত ঢাকার জন্মাষ্টমী মিছিলের গোড়াপত্তন হয় ১৫৫৫ সালে বংশালের এক সাধুর নেতৃত্বে। তৎকালীন সময়ে এর নাম ছিল ‘শ্রী শ্রী রাধাষ্টমী’। পরবর্তীতে তিনি স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে কৃষ্ণের জন্ম উপলক্ষে অপেক্ষাকৃত জাঁকজমকের সঙ্গে একটি মিছিল করার অনুমতি লাভ করেন।
  • (২) ১৫৬৫ সালে প্রথম ব্যাপকভাবে জন্মাষ্টমী মিছিল বের হয়। তখন থেকে এর সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব অর্পন করা হয় নবাবপুরেরর ধনী ব্যবসায়ী কৃষ্ণদাস বসাকের পরিবারের ওপর। ইসলামপুরের ব্যবসায়ী গদাধর ও বলাইচাঁদ বসাকের নেতৃত্বে ১৭২৫ সাল থেকে আরও একটি মিছিল বের হতে থাকে।
  • (৩) এর ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার দুপক্ষের মিছিল বের করার জন্য আইন করে আলাদা আলাদা দুদিন করে দেয়। ঢাকার এই মিছিল এক সময় এত প্রসিদ্ধ ছিল যে, দেশবিদেশের বহুলোক তা দেখতে আসত।

ভারত বিভাগের পর বাংলাদেশে জন্মাষ্টমী

১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগ-এর পর মিছিলের পৃষ্ঠপোষকসহ অনেক হিন্দু ভারতে চলে যান। অন্যদিকে পাকিস্তান সরকারের বিবিধ আইন ও মিছিলে মুসলমানদের হামলার ফলে জন্মাষ্টমী মিছিল বন্ধ হয়ে যায়।

স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মাষ্টমী

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সরকার ও জনগণের সহযোগিতায় পুনরায় জন্মাষ্টমী মিছিল শুরু হয়। বর্তমানে প্রতি বছর ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে মিছিল বের হয় এবং শহর প্রদক্ষিণ করে পুনরায় মন্দিরে এসে সমাপ্ত হয়।

উপসংহার :- কৃষ্ণভক্তদের বিশ্বাস, জন্মাষ্টমী ব্রত পালন করলে সব পাপমোচন ও প্রভূত পুণ্য অর্জিত হয়। এই ব্রত যারা নিয়মিত পালন করে তাদের সন্তান, সৌভাগ্য ও আরোগ্য লাভ হয় এবং পরকালে বৈকুণ্ঠ প্রাপ্তি ঘটে।

(FAQ) হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব জন্মাষ্টমী সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. কার জন্মদিনে জন্মাষ্টমী পালন করা হয়?

শ্রী কৃষ্ণ।

২. জন্মাষ্টমী কখন পালন করা হয়?

ভাদ্র কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে।

৩. জন্মাষ্টমী কারা পালন করে?

হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ।

৪. জন্মাষ্টমী কি ধরনের উৎসব?

ধর্মীয় উৎসব।

৫. জন্মাষ্টমীর অন্য নাম কি?

কৃষ্ণজন্মাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমী রোহিণী, শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তী ইত্যাদি।

Leave a Comment