মহম্মদ বিন তুঘলকের বৈদেশিক নীতি প্রসঙ্গে সজাগ দৃষ্টি, বিচ্ছিন্ন রাখার পরিপন্থী, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে প্রয়াস, নিজামীর মন্তব্য, দূত প্রেরণ, চীন থেকে আগত মিশন, ইরাণে মিশন প্রেরণ ও ইবন বতুতার আগমন সম্পর্কে জানবো।
মহম্মদ বিন তুঘলকের বৈদেশিক নীতি
বিষয় | মহম্মদ বিন তুঘলকের বৈদেশিক নীতি |
সুলতান | মহম্মদ বিন তুঘলক |
পিতা | গিয়াসউদ্দিন তুঘলক |
উত্তরসূরি | ফিরোজ শাহ তুঘলক |
পর্যটক | ইবন বতুতা |
ভূমিকা :- সুলতান মহম্মদ বিন তুঘলক সাধারণ সুলতান ছিলেন না। ভারতের ভেতরে তার রাজনৈতিক দৃষ্টি যেমন তীক্ষ্ণ ছিল, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও তার দৃষ্টি ছিল সমান তীক্ষ্ণ।
সজাগ দৃষ্টি
এই মেধাবী ও উদ্ভাবনী সুলতান বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে ভারতের বাইরে প্রতিবেশী দেশগুলি সম্পর্কে সজাগ দৃষ্টি রাখতেন।
বিচ্ছিন্ন রাখার পরিপন্থী
তিনি অন্যান্য সাংস্কৃতিক ও কূটনৈতিক সুলতানদের মত ভারতবর্ষকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা পছন্দ করতেন না।
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে প্রয়াস
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্যে তিনি বিশেষ চেষ্টা করেন।
নিজামীর মন্তব্য
ডঃ নিজামী যথার্থ মন্তব্য করেছেন যে, “মহম্মদের উত্থানের ফলে ভারতের বাইরের জগতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি হয়।”
দূত প্রেরণ
মহম্মদ বিন তুঘলক মিশর, ইরাক, চীন প্রভৃতি দেশে যেমন তার দৌত্য মিশন পাঠান, তেমনই তার দরবারে ইরাক, চীন, খারাজম, সিরিয়া থেকে দূত এসেছিল।
চীন থেকে আগত মিশন
চীন থেকে ১৫ সদস্যের একটি মিশন বহু উপঢৌকনসহ মহম্মদ বিন তুঘলকের সময় দিল্লীতে আসে।
ইরাণে মিশন প্রেরণ
মহম্মদ বিন তুঘলক বহু অর্থসহ ইরাণে একটি মিশন পাঠান।
ইবন বতুতার আগমন
সুলতান মহম্মদ বিন তুঘলকের সময় আফ্রিকার মরক্কো থেকে দিল্লীতে আসেন পর্যটক ইবন বতুতা। তিনি ভারত সম্পর্কে কিতাব-উল-রাহেলা নামে একটি গ্ৰন্থ রচনা করেন।
উপসংহার :- এই সকল সংযোগের ফলে প্রতিবেশী অঞ্চল সম্পর্কে মহম্মদ নির্ভরযোগ্য সংবাদ পান এবং তারই ভিত্তিতে তিনি তাঁর বৈদেশিক নীতি স্থির করেন।
(FAQ) মহম্মদ বিন তুঘলকের বৈদেশিক নীতি সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
চিন, ইরাক, মিশর প্রভৃতি।
ইরাক, চিন, সিরিয়া প্রভৃতি।
ইবন বতুতা।
কিতাব-উল-রাহেলা।