চাঁদ সদাগর

কিংবদন্তী চরিত্র চাঁদ সদাগর প্রসঙ্গে চম্পকনগর, বঙ্গদেশে চম্পক নগর, বিপ্রদাস পিপ্পলাইয়ের বর্ণনা, লৌকিক গল্প, লোককথা, লখিন্দর ও বেহুলা, বেহুলার ভ্রমণ, চাঁদ সদাগরের মনসা পূজা ও চাঁদ সদাগরের পরিবারের সুখ-শান্তির জীবনো।

চাঁদ সদাগর

ঐতিহাসিক চরিত্রচাঁদ সদাগর
সময়কালআনুমানিক ২০০-৩০০ খ্রি.
জন্মস্থানপ্রাচীন চম্পক নগরী
পেশাবাণিজ্য
পরিচিতির কারণকিংবদন্তি চরিত্র
চাঁদ সদাগর

ভূমিকা :- মনসামঙ্গল কাব্যধারার এক কিংবদন্তি চরিত্র হল চন্দ্রধর বনিক বা চাঁদ বেনে বা চাঁদ সদাগর। তিনি প্রাচীন ভারত -এর চম্পক নগরের একজন ধনী ও ক্ষমতাশালী বণিক ছিলেন।

চাঁদ সদাগরের বাসস্থান চম্পক নগর

  • (১) প্রাচীন চম্পক নগরীর অবস্থান সম্পর্কে মতভেদ আছে। অনেকে মনে করেন অধুনা পশ্চিমবঙ্গ -এর পূর্ব বর্ধমান জেলায় অবস্থিত চম্পাইনগরী বা কসবা-চম্পাইনগরীই হল চাঁদ সদাগরের চম্পকনগরী৷ চাঁদ সদাগর ও দেবী মনসার দ্বন্দ্বের কাহিনীটি গড়ে উঠেছিল এই সময়ের কসবা-চম্পাইনগরী গ্রামকে ঘিরেই৷
  • (২) মোগল সম্রাট আকবর -এর সভাকবি আবুল ফজল -এর ‘আইন-ই-আকবরী’ গ্ৰন্থে চম্পাইনগরী পরগণার উল্লেখ পাওয়া যায়, যা বর্তমানের পূর্ব বর্ধমান জেলায় অবস্থিত৷ বর্ধমান শহর -এর ষোল ক্রোশ পশ্চিমে এবং বুদবুদের দক্ষিণে দামোদর নদের উত্তর তীরে কসবা-চম্পাইনগরী অবস্থিত ৷
  • (৩) মনসামঙ্গলের কাহিনি থেকে আমরা জানতে পারি যে, চাঁদ সদাগর ছিলেন পরম শৈব এবং তিনি তাঁর বসতভিটায় শিবমন্দির তৈরি করে শিবের আরাধনা করতেন। কিংবদন্তী অনুসারে বর্ধমানের এই গ্রামে দুটি প্রাচীন শিবমন্দিরে প্রতিষ্ঠিত দুটি শিবলিঙ্গ।
  • (৪) এর মধ্যে একটি হল রামেশ্বর শিবলিঙ্গ, যা স্বয়ং চাঁদ সদাগরের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত৷ ডিভিসি ক্যানেলের দক্ষিণদিকে একটি উঁচু ঢিবিতে একটি সুন্দর শিবমন্দির অবস্থান করছে। এক বিশাল অশ্বত্থ গাছের পাশে অবস্থিত এই শিবমন্দিরে রয়েছে গৌরীপট্টহীন এক বিশাল শিবলিঙ্গ। এটি রামেশ্বর নামে পরিচিত৷
  • (৫) এছাড়াও গ্রামের মধ্যে দুটি তৃণগুল্মাচ্ছিত উঁচু ঢিবি আছে যার একটিকে বেহুলার বাসরঘর বা সতীতীর্থ ও চাঁদ সদাগরের বাসগৃহের ধ্বংসাবশেষ বলে অনুমান করা হয় এবং অপর ঢিবিটি স্থানীয় লোকেরা সাঁতালী পর্বত বলে মনে করে

বঙ্গদেশে চাঁদ সদাগরের বাসস্থান চম্পক নগর

  • (১) অনেকে মনে করেন যে, চম্পক নগর বঙ্গদেশে অবস্থিত ছিল। মহাস্থানগড়ের ৩ কিমি দক্ষিণে এবং বগুড়া শহরের ৯ কিমি উত্তরে বগুড়া-রংপুর সড়ক থেকে ১ কিমি দূরে গোকুল মেধ নামে একটি জায়গা আছে। এই জায়গাটিই স্থানীয়ভাবে বেহুলার বাসরঘর বা লখিন্দরের মেধ নামে পরিচিত।
  • (২) ১৯৩৪-৩৬ সালে খননকার্যের সময় এখানে একটি সারিবদ্ধ ভাবে ১৭২টি আয়তাকার বদ্ধঘরের সন্ধান পাওয়া গেছে। এটি খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ অথবা সপ্তম শতকে নির্মিত হয়। স্থানীয় লোকবিশ্বাস অনুসারে, এই স্থানটি বেহুলা ও লখিন্দরের সঙ্গে যুক্ত।
  • (৩) মহাস্থানগড়ের চেঙ্গিসপুর গ্রামে ধ্বংসস্তুপের উত্তর-পশ্চিম কোণ থেকে ৭০০ মিটার পশ্চিমে একটি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। এটি খুল্লনার ঢিবি নামে পরিচিত। এই অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত শীর্ণকায়া করতোয়া নদী অতীতে বিশালাকার ছিল বলে জানা যায়।
  • (৪) বগুড়ার অনেকটা উত্তরে অসমের ধুবড়ি জেলায় একটি অঞ্চল আছে, যা মনসার সহচরী নেতার স্মৃতিবিজড়িত বলে মনে করা হয়। কলকাতার পাশে হাওড়ার একটি মন্দিরকে চাঁদ সদাগরের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত বলে মনে করা হয়। অধুনা পশ্চিমবঙ্গের গৌড়ের নিকট একটি ধ্বংসস্তুপকে চাঁদ সদাগরের বাড়ি মনে করা হয়।

চাঁদ সদাগর সম্পর্কে বিপ্রদাস পিপ্পলাইয়ের বর্ণনা

বিপ্রদাস পিপ্পলাই তার মনসামঙ্গল কাব্যে বর্ণনা দিয়েছেন যে, চাঁদ সদাগরের বাণিজ্যতরী সপ্তগ্রাম ও গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতী নদীর মিলনস্থলে অবস্থিত ত্রিবেণী হয়ে সমুদ্রের পথে যাত্রা করত।

চাঁদ সদাগর সম্পর্কে লৌকিক গল্প

চন্দ্রধর বণিকের উপাখ্যানের সঙ্গে পৌরাণিক নাগদেবী মনসা পূজার প্রচারের লৌকিক গল্প কাহিনিটি জড়িত করা হয় বলে মনে করা হয়।

চাঁদ সদাগর সম্পর্কে লোককথা

  • (১) হিন্দু লোককথা অনুসারে শিবের ভক্ত ছিলেন চাঁদ সদাগর। দেবী মনসা চাঁদ সদাগরের পূজা কামনা করলে শিবভক্ত চাঁদ তাকে প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর মনসা ছলনার আশ্রয় নিয়ে চাঁদ সদাগরের পূজা আদায় করার চেষ্টা করে। কিন্তু চাঁদ সদাগর শিবপ্রদত্ত ‘মহাজ্ঞান’ মন্ত্রবলে মনসার সব ছলনা ব্যর্থ করে দেন।
  • (২) এরপর সুন্দরী নারীর ছদ্মবেশে চাঁদ সদাগরের সম্মুখে উপস্থিত হয়ে মনসা তার গুপ্তরহস্য জেনে নেন। এর ফলে চাঁদ সদাগর মহাজ্ঞানের অলৌকিক রক্ষাকবচ হারিয়ে ফেলেন। এরপরেও চাঁদ সদাগর তার বন্ধু ধন্বন্তরীর অলৌকিক ক্ষমতাবলে নিজেকে রক্ষা করতে থাকেন। তাই ছলনা করে মনসা ধন্বন্তরীকে হত্যা করেন। এরপর চাঁদ সদাগর যথার্থই অসহায় হয়ে পড়েন।
  • (৩) এরপরেও চাঁদ সদাগর মনসার পূজা করতে অস্বীকার করলে মনসা সর্পাঘাতে চাঁদ সদাগরের ছয় পুত্রের প্রাণনাশ করেন। এর ফলে ভগ্নহৃদয় চাঁদ সদাগর বাণিজ্যে যাওয়ার উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু শত দুঃখকষ্টের মধ্যেও তিনি আবার বাণিজ্যে বের হন।
  • (৪) সফল বাণিজ্যের পর তিনি যখন ধনসম্পদে জাহাজ পূর্ণ করে গৃহে ফিরে আসছেন তখনই প্রচণ্ড ঝড় তুলে মনসা তার বাণিজ্যতরী শেরপুর শহরের অদূরে গরজরিপার অন্তর্গত কালিদাস সাগরে ডুবিয়ে দেন। চাঁদ সদাগরের সঙ্গীরা মারা গেলেও চাঁদ সদাগর প্রাণে বেঁচে যান।
  • (৫) দেবী দুর্গা চাঁদ সদাগরকে রক্ষা করতে যান কালিদাস সাগরে। কিন্তু মনসার অনুরোধক্রমে শিব তাকে নিষেধ করেন। এরপর মনসা চাঁদ সদাগরকে ভাসিয়ে সমুদ্রের তীরে চন্দ্রকেতুর কাছে পৌঁছে দেন।
  • (৬) চন্দ্রকেতু চাঁদ সদাগরকে দিয়ে মনসার পূজা করানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু চাঁদ সদাগর তাতে সম্মত না হয়ে ভিক্ষাবৃত্তি গ্রহণ করেন। তা সত্ত্বেও তিনি শিবদুর্গার পূজা করে চলেন। মনসা তখন স্বর্গের দুই নর্তক-নর্তকীর সাহায্য নেন। তাদের একজন চাঁদ সদাগরের পুত্র রূপে এবং অপর জন চাঁদের বন্ধু সায় বেনের কন্যা রূপে জন্মগ্রহণ করেন।

চাঁদ সদাগরের পুত্র লখিন্দর ও পুত্রবধূ বেহুলা

  • (১) নিজের বাসস্থান চম্পক নগরে ফিরে এসে চাঁদ সদাগর কোনোক্রমে নিজের জীবন পুনরায় সাজিয়ে তুলতে সক্ষম হন। তার লখিন্দর নামে একটি পুত্র জন্মায়। অন্যদিকে সায় বেনের স্ত্রী বেহুলা নামে এক কন্যার জন্ম দেয়। দুজনে একসঙ্গে বেড়ে ওঠেন।
  • (২) তাদের অভিভাবকেরা দুজনের বিবাহের কথা ভাবতে থাকেন। কিন্তু কুষ্ঠী মিলিয়ে দেখা যায় বিবাহরাত্রেই বাসরঘরে সর্পাঘাতে লখিন্দরের মৃত্যুর কথা লেখা আছে। অবশ্য মনসার ভক্ত বেহুলা ও লখিন্দর ছিলেন রাজযোটক। তাই শেষ পর্যন্ত তাদের বিবাহ স্থির হয়। লখিন্দরের প্রাণরক্ষা করতে চাঁদ একটি লোহার বাসর নির্মাণ করে দেন।
  • (৩) এত সুরক্ষা সত্ত্বেও ঠিক পথ বের করে একটি সাপ পাঠিয়ে মনসা লখিন্দরের প্রাণনাশ করেন। সেই যুগে প্রথা ছিল সর্পাঘাতে মৃত্যু হলে মৃত ব্যক্তিকে দাহ না করে কলার ভেলায় করে ভাসিয়ে দিতে হয়। বেহুলা তার মৃত স্বামীর সঙ্গ নেন। সকলেই তাকে নিষেধ করেন। কিন্তু বেহুলা কারোরই নিষেধ শোনেন না।

বেহুলার ভ্রমণ

  • (১) বেহুলা ছয় মাস ধরে ভেলায় ভাসতে থাকেন। তিনি গ্রামের পর গ্রাম পার হতে হতে লখিন্দরের মৃতদেহে পচন ধরে। গ্রামবাসীরা তাকে পাগল মনে করতে থাকে। বেহুলা মনসার কাছে প্রার্থনা করলে মনসা শুধু ভেলাটিকে ডুবে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা ছাড়া আর কিছুই করেন না।
  • (২) কলার ভেলা ভাসতে ভাসতে মনসার সহচরী নেতার ঘাটে এসে পৌঁছায়। সেই ঘাটে কাপড় কাচত নেতা। বেহুলার প্রার্থনা শুনে নেতা তাকে মনসার কাছে নিয়ে যাবার কথা চিন্তা করে। এরপর নিজের অলৌকিক ক্ষমতাবলে তিনি বেহুলা ও মৃত লখিন্দরকে স্বর্গে উপস্থিত করেন।
  • (৩) স্বর্গে মনসা বেহুলাকে বলেন যে, “যদি তোমার শ্বশুরকে দিয়ে আমার পূজা করাতে পারো, তবেই তুমি তোমার স্বামীর প্রাণ ফিরে পাবে।” বেহুলা মনসাকে প্রতিশ্রুতি দিলে তার মৃত স্বামীর দেহে প্রাণ সঞ্চারিত হয়। তার পচাগলা দেহের অস্থিমাংস পূর্বাবস্থায় ফিরে আসে। তিনি চোখ মেলে তাকিয়ে থাকে বেহুলার দিকে।
  • (৪) মনসা সহচরী নেতা তাদের মর্ত্যে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। বেহুলা তার শাশুড়িকে সব ঘটনা বিবৃত করেন। তিনি চাঁদ সদাগরকে গিয়ে সব কথা জানান। চাঁদের পক্ষে আর না বলা সম্ভব হয় না। তিনি মনসার পূজা করেন।

চাঁদ সদাগরের মনসা পূজা

প্রতিমাসের কৃষ্ণা একাদশী তিথিতে চাঁদ সদাগর মনসার পূজা করতে রাজি হয়। কিন্তু যেহেতু তিনি শিবের ভক্ত ছিলেন সেহেতু তিনি বাম হাতে প্রতিমার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে মনসাকে পূজা করতে থাকেন। মনসা অবশ্য তাতেই সন্তুষ্ট হন।

চাঁদ সদাগরের পরিবারের সুখ-শান্তির জীবন

এর পর চাঁদ সদাগর ও তার পরিবার সুখে শান্তিতে বাস করতে থাকে। চাঁদ সদাগরের ছয় পুত্রকেও মনসা জীবন দান করেন। চাঁদ সদাগরের মতো ধনী ও প্রভাবশালী বণিক মনসার পূজা করার ফলে দেবী মনসার পূজা বৃহত্তর জনসমাজে প্রচার লাভ করে।

চাঁদ সদাগরের বাণিজ্যতরীর আদলে দুর্গাপূজা

২০০১ সালে কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দুর্গাপূজা মণ্ডপটি তৈরি করা হয়েছিল চাঁদ সদাগরের বাণিজ্যতরী মধুকর ডিঙার আদলে।

চাঁদ সদাগরের বংশধর ভোলা দত্ত

উনিশ শতকের কলকাতার বিশিষ্ট ধনী ভোলা দত্ত নিজেকে চাঁদ সদাগরের বংশধর বলে দাবি করতেন। তিনি মনসামঙ্গলে বর্ণিত ‘শঙ্কর ভবানী’ মূর্তি পূজা করতেন। তার বংশধরেরা আজও সেই শিবদুর্গা মূর্তিরই পূজা করে। মূর্তির পাশে বসে থাকে কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী ও সরস্বতী। এই মূর্তিতে দুর্গা শিবের বৃষস্কন্ধে বসে থাকেন। দেবী সপরিবারে থাকলেও মহিষাসুর থাকে না। দেবীর পায়ের তলায় বসে থাকে দেবীর বাহন বীর কেশর সিংহ।

চাঁদ সদাগরের কাহিনী অবলম্বনে নাটক

মন্মথ রায় ১৯২৭ সালে তার চাঁদ সদাগর নামক পৌরাণিক নাটকে চাঁদ সদাগরের বিদ্রোহী সত্ত্বাটিকে অঙ্কিত করেছিলেন। ২০১০ সালে স্টার জলসা ‘বেহুলা’ নামক ধারাবাহিক সম্প্রচার করেছে।

চাঁদ সদাগরের কাহিনী অবলম্বনে চলচ্চিত্র

১৯৩৪ সালে প্রফুল্ল রায় চাঁদ সদাগর নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। এই ছবিতে লখিন্দরের চরিত্রে ধীরাজ ভট্টাচার্য, চাঁদ সদাগরের চরিত্রে অহীন্দ্র চৌধুরী, মনসার চরিত্রে দেববালা, বেহুলার চরিত্রে শেফালিকা দেবী, কালু সর্দারের চরিত্রে জহর গঙ্গোপাধ্যায়, নেতা-র চরিত্রে নীহারবালা, সনকার চরিত্রে পদ্মাবতী ও অমলার চরিত্রে উষারানি অভিনয় করেছিলেন।

চাঁদ বণিকের পালা

বিশিষ্ট নাট্যকার শম্ভু মিত্র ‘চাঁদ বনিকের পালা’ নামে একটি নাটক রচনা করেন যেখানে মনসামঙ্গলের কাহিনির চমৎকার বর্ণনা লক্ষ্য করা যায় এবং চাঁদ সওদাগর চরিত্রের বিশিষ্টতা আরও বলিষ্টভাবে ফুটে উঠতে দেখা গেছে।

উপসংহার :- আজও বাঙালী লক্ষ্মী পূজায় কলাগাছের খন্ড দিয়ে নৌকা তথা বাণিজ্যতরী বানায় সেই ধনলক্ষ্মীর আরাধনার অঙ্গ হিসাবে। বাঙালী বণিকের প্রতীক চাঁদ সদাগর স্বয়ং দৈবশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারতেন তার একমাত্র ভিত্তি ছিল নৌ বাণিজ্যের অর্থনৈতিক শক্তি।

(FAQ) চাঁদ সদাগর সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. চাঁদ সদাগর কে ছিলেন?

প্রাচীন ভারতের এক কিংবদন্তি চরিত্র।

২. চাঁদ সদাগরের জন্মস্থান কোথায়?

প্রাচীন চম্পক নগরী।

৩. কোন কাব্যের সাথে চাঁদ সদাগররের নাম জড়িয়ে আছে?

মনসা মঙ্গল কাব্য।

৪. বর্তমানে চম্পক নগরী কোথায় অবস্থিত?

পূর্ব বর্ধমান জেলার কসবা-চম্পাইনগরী।

Leave a Comment