ঘর্ঘরার যুদ্ধ প্রসঙ্গে বাবরের বিরুদ্ধে আফগানদের একত্রিত করা, ঘর্ঘরার যুদ্ধে বাংলার শাসকের আফগানদের সমর্থন, আফগানদের পরাজয় ও যুদ্ধের ফলাফল সম্পর্কে জানবো।
ঘর্ঘরার যুদ্ধ
ঐতিহাসিক যুদ্ধ | ঘর্ঘরার যুদ্ধ |
দেশ | ভারত |
স্থান | গঙ্গা ও ঘর্ঘরা নদীর সঙ্গমস্থল |
সময়কাল | ১৫২৯ খ্রি: |
বিবাদমান পক্ষ | বাবর বনাম মামুদ লোদি ও নসরৎ শাহ |
ফলাফল | বাবরের জয়লাভ |
ভূমিকা :- খানুয়ার যুদ্ধ-এর ফলে ভারতে রাজপুতদের রাষ্ট্র স্থাপনের সম্ভাবনা সম্পূর্ণ বিলোপ হয়, ভারতে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা দৃঢ় হয়। কিন্তু আফগানদের শক্তি তখনও নিঃশেষিত হয় নি।
বাবরের বিরুদ্ধে আফগানদের একত্রিত করা
রাজপুতদের শক্তি ধ্বংস করার পর বাবর পুনরায় আফগানদের মুখোমুখি হন। পানিপথের যুদ্ধ-এর পরেও আফগানদের শক্তি নিঃশেষিত হয়নি। ইব্রাহিম লোদীর ভ্রাতা মামুদ লোদী আফগান সর্দারদের একত্রিত করে মোগলের ওপর আক্রমণ হানার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
ঘর্ঘরার যুদ্ধে বাংলার শাসকের আফগানদের সমর্থন
বাংলার শাসক নসরৎ শাহও মামুদ লোদীকে সমর্থন জানান। বাবর কালক্ষেপ না করে বারাণসী, এলাহাবাদ ও চুনার দখল করে নেন।
ভারতে ঘর্ঘরার যুদ্ধ
অতঃপর পাটনার উত্তরে গঙ্গা ও ঘর্ঘরা (গোগরা) নদীর সংযোগস্থলে বাবর আফগান বাহিনীর মুখোমুখি (১৫২৯) হন। এর ফলে ঘর্ঘরার যুদ্ধ শুরু হয়।
আফগানদের পরাজয়
পানিপথের প্রথম যুদ্ধ ও খানুয়ার যুদ্ধের মতই দক্ষ সেনাপতি বাবর আফগানদের পরাজিত ও বিধ্বস্ত করেন।
ঘর্ঘরার যুদ্ধের ফলাফল
নসরৎ শাহ সহ বহু আফগান সর্দার বাবরের আনুগত্য মেনে নেন। এই যুদ্ধের ফলে পশ্চিমে কাবুল থেকে পূর্বে ঘর্ঘরা নদী এবং উত্তরে হিমালয় থেকে দক্ষিণে গোয়ালিয়র পর্যন্ত মুঘল কর্তৃত্ব স্থাপিত হয়।
উপসংহার :- ঘর্ঘরার যুদ্ধের পরেই বাবর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ১৫৩০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ শে ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর মুঘল সিংহাসনে আরোহণ করেন হুমায়ুন।
(FAQ) ঘর্ঘরার যুদ্ধ সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
১৫২৯ খ্রিস্টাব্দে।
মামুদ লোদি ও নসরৎ শাহের সাথে মুঘল বাদশাহ বাবরের।
পাটনার উত্তরে গঙ্গা ও ঘর্ঘরা (গোগরা) নদীর সংযোগ স্থলে।
বাবর।
১৫৩০ খ্রিস্টাব্দের ২৬শে ডিসেম্বর।