ভারতীয় সংবিধানের বৈশিষ্ট্য

ভারতীয় সংবিধানের বৈশিষ্ট্য হিসেবে বৃহত্তম লিখিত সংবিধান, প্রস্তাবনার উল্লেখ, যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা, সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা, সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, আংশিক নমনীয় ও আংশিক অনমনীয়, মৌলিক অধিকার, মৌলিক কর্তব্য, নির্দেশমূলক নীতি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, অনুন্নত শ্রেণীর স্বার্থ সংরক্ষণ, সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকার, এক নাগরিকতা, ব্যক্তি স্বতন্ত্রবাদ ও সমাজতন্ত্রের মিশ্রণ এবং বিশ্বশান্তির আদর্শ সম্পর্কে জানবো।

সংবিধানের প্রধান বা মূল বৈশিষ্ট্য গুলি প্রসঙ্গে ভারতের সংবিধান গৃহীত ও কার্যকর, বৃহত্তম লিখিত ভারতের সংবিধান, ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনার বৈশিষ্ট্য, ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা, ভারতের সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা, সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ভারত, ভারতীয় সংবিধান আংশিক নমনীয় আংশিক অনমনীয়, ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক অধিকার, ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক কর্তব্য, ভারতীয় সংবিধানের নির্দেশমূলক নীতি, ভারতীয় সংবিধানে প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকার ও বিশ্বশান্তির আদর্শ ভারতীয় সংবিধান।

ভারতীয় সংবিধানের বৈশিষ্ট্য

গণপরিষদ গঠন৯ ডিসেম্বর, ১৯৪৬ সাল
সংবিধান গৃহীত২৬ নভেম্বর, ১৯৪৯ সাল
সংবিধান কার্যকর২৬ জানুয়ারি ১৯৫০ সাল
স্বাধীনতা দিবস১৫ আগস্ট
প্রজাতন্ত্র দিবস২৬ জানুয়ারি
ভারতীয় সংবিধানের বৈশিষ্ট্য

ভূমিকা:- প্রতিটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের মতোই ভারতেরও একটি সংবিধান আছে। ভারত স্বাধীন হবার (১৯৪৭ খ্রিঃ, ১৫ই আগস্ট) ঠিক আগেই, ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ৯ই ডিসেম্বর গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে। এর উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় সংবিধান রচনা। 

ভারতের সংবিধান গৃহীত ও কার্যকর

ভারত স্বাধীন হবার পরে ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬শে নভেম্বর সংবিধানটি গৃহীত হয়। আর আনুষ্ঠানিকভাবে এটি কার্যকর হয় ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬শে জানুয়ারি থেকে।

ভারতীয় সংবিধানের বৈশিষ্ট্য

এই সংবিধানের বেশ কয়েকটি নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে। বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য গুলি হল–

(১) বৃহত্তম লিখিত সংবিধান

  • (ক) ভারতীয় সংবিধান লিখিত সংবিধান। শুধু তাই নয়, এটি পৃথিবীর বৃহত্তম লিখিত সংবিধান। সংবিধান যখন রচিত হয়, তখন এতে ৩৯৬টি অনুচ্ছেদ ও ৮টি তপশিল ছিল। তারপর বারবার সংবিধান সংশোধিত হয়েছে। ধারার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৪৩টি, তপশিলের সংখ্যা ১০।
  • (খ) প্রকৃতপক্ষে সকল দেশের সংবিধানের শুভকর দিকগুলি নিজেদের সংবিধানের সঙ্গে যুক্ত করার প্রবণতা ছিল ভারতীয় সংবিধান রচয়িতাদের মধ্যে। তা ছাড়া ভারতীয় শাসনব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রকৃতির। কিন্তু এখানে অঙ্গরাজ্যগুলির জন্য আলাদা সংবিধানের ব্যবস্থা করা নেই।
  • (গ) কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক শাসনের যাবতীয় বিধি একটি সংবিধানেই সংযুক্ত করা হয়েছে। তাই এটির আকার বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার বিভিন্ন জাতি, ধর্ম ও ভাষার মানুষ নিয়ে বৃহৎ ভারত রাষ্ট্র গঠিত। তাই সকলের সবরকম সমস্যার কথাও সংবিধান রচনাকালে রচয়িতাদের স্মরণ রাখতে হয়েছিল। এই অবস্থায় ভারতীয় সংবিধানের কলেবর বেশ বড়ো হয়েছে।

(২) প্রস্তাবনার উল্লেখ

  • (ক) ভারতীয় সংবিধানের সঙ্গে একটি প্রস্তাবনা যুক্ত রয়েছে, যদিও এটি মূল সংবিধানের অঙ্গীভূত নয়। প্রস্তাবনায় ভারতকে ‘সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র’ রূপে অভিহিত করা হয়েছে।
  • (খ) ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দুটি পরে ৪২-তম সংশোধনীর দ্বারা যুক্ত করা হয়েছে। প্রস্তাবনা থেকে আমরা সংবিধানের মূল আদর্শ ও নীতি, উৎস, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারি।

(৩) যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা

  • (ক) ভারতীয় সংবিধানে ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রকৃতির কথা বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে দুই ধরনের সরকার থাকে, কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য বৈশিষ্টের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল—লিখিত সংবিধান, দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান, নিরপেক্ষ আদালত ইত্যাদি।
  • (খ) ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্র ২৫টি অঙ্গরাজ্য ও ৭টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নিয়ে গঠিত। এখানে ১টি কেন্দ্রীয় সরকার ও কয়েকটি রাজ্য সরকার রয়েছে। এখানকার সংবিধান লিখিত। আর এখানে সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে আছে সুপ্রিমকোর্ট
  • (গ) যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার অপর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন। ভারতীয় সংবিধানেও তিনটি তালিকার দ্বারা ক্ষমতা বণ্টিত হয়েছে—কেন্দ্রীয় তালিকা, রাজ্য তালিকা ও যুগ্ম তালিকার মাধ্যমে।
  • (ঘ) তবে ভারতীয় সংবিধানে গৃহীত কিছু ব্যবস্থা কেন্দ্রকে যথেষ্ট শক্তিশালী করেছে। সংবিধানে কেন্দ্রের সুস্পষ্ট প্রাধান্য বর্তমান। এজন্যই বলা হয়, ভারতীয় সংবিধানে কেন্দ্রিকতার ঝোঁক প্রবল।

(৪) সংসদীয় শাসনব্যবস্থা

  • (ক) ইংল্যান্ড -এর সংবিধানের অনুকরণে ভারতেও সংসদীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী ভারতের শাসকপ্রধান বা রাষ্ট্রপতি হলেন নামসর্বস্ব প্রধান। প্রকৃত ক্ষমতা তাঁর হাতে থাকে না। ওই ক্ষমতা ভোগ করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা, যাঁরা আবার পার্লামেন্টের কাছে দায়বদ্ধ থাকে।
  • (খ) আইনসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ দল মন্ত্রিসভা গঠন করে। মন্ত্রিসভা তাদের কাজের জন্য পার্লামেন্টের কাছে, বিশেষ করে লোকসভার কাছে দায়বদ্ধ থাকে। এই ধরনের শাসনব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী আইনবিভাগ ও শাসনবিভাগের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বর্তমান।

(৫) সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র

  • (ক) ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় ভারতকে ‘সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র’ বলা হয়েছিল। ৪২-তম সংশোধনীতে ‘সমাজতান্ত্রিক ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দদুটি যুক্ত করা হয়েছে।
  • (খ) ভারত অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীন। দেশের সমস্ত নাগরিকের ও সংস্থার আনুগত্য সে লাভ করে। সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে বৈদেশিক নীতি নির্ধারণ করতে পারে। তাই সে সার্বভৌম। ভারতের কোনো নিজস্ব রাষ্ট্রীয় ধর্ম নেই। সে কোনো বিশেষ ধর্মের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করে না বা কোনো ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে না। তাই এই রাষ্ট্র ‘ধর্মনিরপেক্ষ।
  • (গ) বিভিন্ন সমাজতান্ত্রিক আদর্শকে বাস্তবায়িত করার কথা সংবিধানে বলা হয়েছে। তাই ভারত সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র। ভারতে সর্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকার স্বীকৃত। তার ভিত্তিতে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সরকার চালান। তা ছাড়া এখানে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার, আদালতের স্বাধীন অস্তিত্ব ইত্যাদি স্বীকৃত। তাই ভারতের শাসনব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা বলা যায়।

(৬) আংশিক নমনীয় ও আংশিক অনমনীয়

ভারতের সংবিধানে সুপরিবর্তনীয়তা ও দুষ্পরিবর্তনীয়তার সমাহার দেখা যায়। ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, কেন্দ্র-রাজ্যের ক্ষমতার বণ্টন ইত্যাদি কয়েকটি বিষয়ে সংবিধান সংশোধন করার পদ্ধতি জটিল, আবার কতকগুলি বিষয়ে সাধারণ আইন পাস করার মতো করেই সংশোধন করা যায়। প্রকৃতপক্ষে ভারতীয় সংবিধানের ক্ষেত্রে মার্কিন সংবিধানের দুষ্পরিবর্তনীয়তা ও ব্রিটিশ সংবিধানের সুপরিবর্তনীয়তার সমন্বয় ঘটানো হয়েছে।

(৭) মৌলিক অধিকার

আমেরিকা সংবিধানের অনুকরণে ভারতীয় সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায়ে ছয়টি মৌলিক অধিকার সংযুক্ত করা হয়েছে (১২-৩৫নং ধারা)। এগুলি হল সাম্যের অধিকার, স্বাধীনতার অধিকার, শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার, শিক্ষা-সংস্কৃতি-সম্পর্কিত অধিকার ও শাসনতান্ত্রিক প্রতিবিধানের অধিকার। এই অধিকারগুলির স্বীকৃতির ফলে ভারতের নাগরিকদের ব্যক্তিস্বাধীনতা নিশ্চিত হয়েছে। তবে অধিকারগুলি অবাধ নয়।

(৮) মৌলিক কর্তব্য

  • (ক) ১৯৭৬ সালের ৪২-তম সংবিধান সংশোধনে ভারতীয় সংবিধানে ভারতীয় নাগরিকদের ১০টি মৌলিক কর্তব্য সংযোজিত হয়েছে। এগুলির মূল ভিত্তি হল প্রাচীন ভারতের সনাতন আদর্শ।
  • (খ) এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সংবিধান মান্য করা, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা, ভারতের সার্বভৌমত্ব, একতা ও সংহতি সংরক্ষণ করা, দেশ রক্ষা ও জাতীয় সেবাকার্যে আত্মনিয়োগ করা, নারীজাতির মর্যাদাহানিকর নানা প্রথা পরিহার করা, জাতির মিশ্র সংস্কৃতির গৌরবময় ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা, হিংসার পথ পরিহার করা ইত্যাদি। তবে এগুলি পালন করার ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

(৯) নির্দেশমূলক নীতি

  • (ক) সংবিধানের চতুর্থ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্র পরিচালনার নির্দেশমূলক নীতি সংযোজিত হয়েছে। নীতিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কর্মের অধিকার, বৃদ্ধ বয়সে শারীরিকভাবে অসুস্থ হলে সরকারি সাহায্য পাবার অধিকার, ১৪ বছর পর্যন্ত বয়স্ক বালক বালিকাদের বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষাদান ইত্যাদি।
  • (খ) মৌলিক অধিকার যেমন আদালত কর্তৃক বলবৎযোগ্য, এগুলি তা নয়। তা সত্ত্বেও এগুলির গুরুত্ব কম নয়। কারণ এগুলির পেছনে জনসমর্থন থাকে। তাই কোনো সরকারই এগুলিকে অগ্রাহ্য করতে পারে না।

(১০) বিচারবিভাগের স্বাধীনতা

সংবিধানে বিচারবিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য নানাপ্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যেমন বিচারপতিদের বেতন দেওয়া হয় সঞ্চিত তহবিল থেকে। বিচারপতিদের নিয়োগ, কার্যকাল ইত্যাদি ব্যাপারেও বিচারবিভাগকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়। আদালতে মামলা চলাকালে সেই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য বা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা চলে না।

(১১) অনুন্নত শ্রেণির স্বার্থ সংরক্ষণ

  • (ক) আমাদের দেশ ভারতবর্ষ সাম্যের অধিকারের আদর্শে পরিচালিত। কিন্তু ভারতীয় সংবিধানে অনুন্নত শ্রেণির স্বার্থসংরক্ষণের উদ্দেশ্যে কয়েকটি বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কারণ ওই শ্রেণি শিক্ষা ও আর্থিক দিক দিয়ে পশ্চাদ পদ ছিল।
  • (খ) লোকসভার ৭৯ টি আসন তপশিল জাতির জন্য ও ৪০টি আসন উপজাতির জন্য সংরক্ষিত আছে। এছাড়া সরকারি চাকরিতে পদ সংরক্ষণ, শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ আর্থিক সুবিধাদান ইত্যাদি ব্যবস্থাও দেওয়া হয়েছে।

(১২) সর্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকার

সংবিধানের ৩২৬নং ধারায় জাতিধর্ম স্ত্রী-পুরুষনির্বিশেষে সকলের ভোটাধিকার স্বীকৃত হয়েছে। আগে প্রত্যেক ২১ বছর বয়স্ক নাগরিকের ভোটাধিকার ছিল। বর্তমানে ওই বয়স কমিয়ে ১৮ করা হয়েছে।

(১৩) এক নাগরিকতা

যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার সাধারণ রীতি দ্বি-নাগরিকতা। কিন্তু ভারতে এক নাগরিকতা স্বীকৃত। কোনো অঙ্গরাজ্যের নাগরিকতা স্বীকৃত হয়নি। অর্থাৎ বসবাসকারী সকল জনগণ (বিদেশি নাগরিক ছাড়া) একমাত্র ভারতেরই নাগরিক।

(১৪) ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ ও সমাজতন্ত্রের মিশ্রণ

ভারতীয় সংবিধানে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদী বিধিবিধান ও সমাজতান্ত্রিক আদর্শকে মিশ্রিত করা হয়েছে। তাই একদিকে রয়েছে ব্যক্তিগত সম্পত্তি, বেসরকারি উদ্যোগ, উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ইত্যাদি, অন্যদিকে তেমনি রয়েছে সরকারি উদ্যোগ, পরিকল্পিত অর্থনীতি, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সাম্য ইত্যাদি।

(১৫) বিশ্বশান্তির আদর্শ

সংবিধানের ৫১নং ধারায় বিশ্বশান্তি ও সৌভ্রাতৃত্বের আদর্শ ঘোষিত হয়েছে। এই ধারায় বলা হয়েছে যে, ভারত আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে এবং আন্তর্জাতিক আইন ও শাস্তির প্রতি শ্রদ্ধার মনোভাব বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। সালিশির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিবাদের মীমাংসার ব্যাপারেও উদ্যোগী হবে।

উপসংহার:- উপরের এই বৈশিষ্ট্যগুলি ছাড়াও দেশীয় রাজ্যের অন্তর্ভুক্তি, জরুরি অবস্থা- সম্পর্কিত ঘোষণা, দলত্যাগ বিরোধী আইন ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যও ভারতীয় সংবিধানে আছে।


প্রিয় পাঠক/পাঠিকা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই “ভারতীয় সংবিধানের বৈশিষ্ট্য” পোস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই adhunikitihas.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। যে কোনো প্রশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলো করুণ এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন।

সবশেষে আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে Comment ও Share করে দিবেন, (ধন্যবাদ)।

(FAQ) ভারতীয় সংবিধানের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. ভারত কবে স্বাধীন হয়?

১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট।

২. ভারত কবে সার্বভৌম প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্ররূপে আত্মপ্রকাশ করে?

১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি।

৩. ভারতের সংবিধান গৃহীত হয় কখন?

২৬ নভেম্বর, ১৯৪৯ সালে।

৪. ভারতের সংবিধান কার্যকর হয় কখন?

২৬ জানুয়ারি, ১৯৫০ সালে।

ভারতের সংবিধানের অন্যান্য দিকগুলি

Leave a Comment