চিনে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসঙ্গে পাশ্চাত্য শিক্ষার সূচনাকাল, পাশ্চাত্য শিক্ষার সূত্রপাত, বিদেশি ভাষা শিক্ষার কলেজ প্রতিষ্ঠা, চিনে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাব, পণ্ডিত শ্রেণীর প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানবো।
চিনে পাশ্চাত্য শিক্ষা
ঐতিহাসিক বিষয় | চিনে পাশ্চাত্য শিক্ষা |
সূত্রপাত | ১৯ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ |
বিদেশি ভাষা শিক্ষার কলেজ | ১৮৬২ খ্রি |
শতদিবসের সংস্কার | ১৮৯৮ খ্রি |
‘নব তারুণ্য’ | চেন তু শিউ |
পাই হুয়া | কথ্য ভাষা |
ভূমিকা :- ঊনবিংশ শতকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত চীন শুধুমাত্র ভারতীয় বৌদ্ধ ধর্ম -এর প্রভাব ছাড়া বড়ো ধরনের কোনো বৈদেশিক সভ্যতা-সংস্কৃতির দ্বারা প্রভাবিত হয় নি। এর ফলে চিনের সমাজ, শিক্ষা, সংস্কৃতি প্রভৃতি সবকিছুই অন্তর্মুখী ও পশ্চাৎপদ হয়ে পড়েছিল। কিন্তু ১৮৯৪-৯৫ খ্রিস্টাব্দে ক্ষুদ্র জাপান-এর কাছে বিশালাকায় চিনের পরাজয়ের ঘটনা চিনের মানুষকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে, পাশ্চাত্য শিক্ষা ও বিজ্ঞান চর্চা ছাড়া চিনের অগ্রগতি সম্ভব নয়। এর ফলে চিনের বহু স্বাধীনচেতা বুদ্ধিজীবী পাশ্চাত্য শিক্ষাকে স্বাগত জানায়।
চিনে পাশ্চাত্য শিক্ষার সূচনাকাল
ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে দেশী এবং বিদেশি উদ্যোগে চিনে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার ঘটতে শুরু করে। সামাজিক ক্ষেত্রে এর যথেষ্ট প্রভাব পড়েছিল।
গণপ্রজাতন্ত্রী চিনে পাশ্চাত্য শিক্ষার সূত্রপাত
চিনে বৈদেশিক আধিপত্য ক্রমে জোরদার হলে চিনের প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা বুঝতে পারেন যে, দেশকে প্রকৃত শক্তিশালী করতে হলে পাশ্চাত্যের সমাজ, সাহিত্য, রাজনীতি, অর্থনীতি প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে চিনাদের জ্ঞানলাভ করতে হবে। এই ভাবনা থেকে চিনে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন দিক গুলি হল –
(ক) বিদেশী ভাষা শিক্ষা
- (১) আধুনিক জ্ঞানলাভের প্রয়োজন থেকে চিনে ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম তুং ওয়েন কুয়ান বা বিদেশি ভাষা শিক্ষার কলেজ স্থাপিত হয়। এই কলেজে ইংরেজি, ফরাসি, রুশ, জার্মান প্রভৃতি ভাষা শিক্ষার পাশাপাশি রসায়ন, চিকিৎসা, যন্ত্রপাতি তৈরি, জ্যোতির্বিদ্যা, গণিত, ভূগোল এবং আন্তর্জাতিক আইনশাস্ত্র প্রভৃতি শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।
- (২) ১৮৬৩-৬৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সাংহাই, ক্যান্টন, ফুচাও প্রভৃতি শহরেও এরূপ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। পশ্চিমের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, গণিত, আন্তর্জাতিক আইন প্রভৃতি বিষয়ের বহু মূল্যবান গ্রন্থ চিনা ভাষায় অনুবাদ করা হয়। এর ফলে ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে পাশ্চাত্যের আদর্শ ও ধ্যানধারণা চিনাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
(খ) খ্রিস্টান মিশনারিগণ
চিনে সংস্কার আন্দোলনের প্রয়োজনের প্রেক্ষাপটে খ্রিস্টান মিশনারি বা ধর্মপ্রচারকরা সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ব্রিটেন ও আমেরিকা থেকে চিনে আগত খ্রিস্টান মিশনারিরাই এবিষয়ে সর্বাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। ব্রিটেনের আলেকজান্ডার উইলিয়ামসন ও টি. রিচার্ড, আমেরিকার ইয়াং জে. অ্যালেন ও এ. পি. মার্টিন প্রমুখ খ্রিস্টান মিশনারি চিনে সংস্কার আন্দোলনে বিশেষ উদ্যোগ নেন।
(গ) মিশনারিদের প্রয়াস
খ্রিস্টান মিশনারিদের উদ্যোগে চিনে বহু বিদ্যালয়, গ্রন্থাগার, জাদুঘর প্রভৃতি প্রতিষ্ঠিত হয়। তাদের উদ্যোগে ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে চিনের সাংহাই শহরে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি বিষয়ক একটি সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
(ঘ) কাং ইউ ওয়ে-র উদ্যোগ
অষ্টাদশ শতকের ইউরোপীয় দর্শন ও রাজনৈতিক আদর্শের অনুরাগী কাং ইউ ওয়ে চিনে খ্রিস্টান মিশনারিদের সংস্কার কর্মসূচির অন্যতম সহযোগীতে পরিণত হন। তিনি টি. রিচার্ড, ইয়ং জে. অ্যালেন ও অন্যান্য মিশনারিদের লেখার দ্বারা প্রভাবিত হন এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের সঙ্গে আধুনিক শিক্ষা প্রসারের কাজে নেমে পড়েন।
গণপ্রজাতন্ত্রী চিনে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাব
খ্রিস্টান মিশনারিরা সংস্কার কর্মসূচির মাধ্যমে চিনে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। যেমন –
(১) চিনে পাশ্চাত্যের ভাবধারা
মিশনারিদের সক্রিয় উদ্যোগের ফলে চিনের সাধারণ মানুষের চিন্তাধারা ক্রমে পরিবর্তিত হতে থাকে। প্রাচীন কনফুসীয় মতাদর্শের পরিবর্তে পাশ্চাত্য ভাবধারার প্রসার ঘটে। ম্যাক কেনজি র লেখা “The Nineteenth Century: A History” গ্রন্থে ইউরোপীয়দের আদর্শ ও অগ্রগতির অকুণ্ঠ প্রশংসা করা হয়।
(২) বুদ্ধিজীবীদের সক্রিয়তা
ঊনবিংশ শতকের শেষভাগ থেকে মিশনারিদের শিক্ষার প্রভাবে চিনের প্রগতিশীল সমাজসংস্কারক ও বুদ্ধিজীবীরা চিনের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অগ্রগতির স্বপক্ষে অভিমত ব্যক্ত করেন। তাদের অনেকেই মনে করতেন যে, মাঞ্চু রাজবংশের শাসনের অবসান ঘটিয়ে চিনে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংস্কার আন্দোলনের প্রয়োজন রয়েছে।
(৩) ১৮৯৮-এর সংস্কার আন্দোলন
বুদ্ধিজীবীদের উদ্যোগে প্রাচীন পশ্চাৎপদ আদর্শ পরিত্যাগ করে আধুনিক আদর্শের প্রসারের মাধ্যমে চিনের উন্নতি ঘটানোর উদ্দেশ্যে ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে এক সংস্কার আন্দোলন গড়ে ওঠে। এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন চিনা দার্শনিক কাং ইউ ওয়ে। চিনা ও ইউরোপীয় সংস্কৃতির সংমিশ্রণে এই আন্দোলন গড়ে উঠেছিল।
(৪) বিংশ শতকের বৌদ্ধিক আন্দোলন
পাশ্চাত্য ভাবধারার প্রসারের ফলে বিংশ শতকের শুরুতে চিনে এক বৌদ্ধিক আন্দোলনের সূচনা হয়। এই আন্দোলনের মূল বিষয় ছিল প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সভ্যতার সমন্বয়ে আধুনিক চিন গড়ে তোলা। বিংশ শতকের দ্বিতীয় দশক থেকে চিনে প্রাচীন কনফুসীয় দর্শন ত্যাগ করে পাশ্চাত্য পদ্ধতিতে শিক্ষাগ্রহণ ও জীবন পরিচালনার দাবি জোরদার হয়। এবিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছিলেন কাং ইউ-ওয়ে এবং লিয়াং-চি-চাও প্রমুখ বুদ্ধিজীবী।
(৫) ছাত্রদের উদ্যোগ
বিংশ শতকের প্রথমদিকে চিনের বহু ছাত্র আধুনিক শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে বিদেশে পাড়ি দেয়। চিনের ছাত্ররা শিক্ষালাভের উদ্দেশ্যে আমেরিকা, ফ্রান্স, জাপান ও অন্যান্য দেশে যাত্রা করে। আমেরিকায় পাঠরত ছাত্রদের মধ্যে অগ্রগণ্য হু শি মনে করেন, বিপ্লবী আন্দোলনের পরিবর্তে আধুনিক শিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে নতুন চিন প্রতিষ্ঠা বেশি প্রয়োজনীয়। শিক্ষালাভের পর ছাত্ররা স্বদেশে ফিরে এসে চিনের চিরাচরিত ঐতিহ্য ও কুসংস্কার ছেড়ে আধুনিক পাশ্চাত্য ভাবাদর্শ গ্রহণের পক্ষে প্রচার চালান। এর ফলে চিনে এক বৌদ্ধিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন জোরদার হয়ে ওঠে।
চীনের পণ্ডিতশ্রেণির প্রতিক্রিয়া
ঊনবিংশ শতকের শেষদিকে চিনের কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী উপলব্ধি করেন যে, প্রাচীন কনফুসীয় আদর্শ চিনকে ক্ৰমে পিছিয়ে দিচ্ছে। এই সময় একদিকে চিনের রাজতন্ত্রের প্রতি মানুষের ক্ষোভ বাড়তে থাকে, অন্যদিকে পাশ্চাত্য শিক্ষা ও সংস্কৃতির হাওয়া চিনে প্রবেশ করতে থাকে। বহু পণ্ডিত ও বুদ্ধিজীবীদের উদ্যোগে ঊনবিংশ শতকের শেষ দিক থেকে সংস্কারে দেশের সরকার ও সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বিংশ শতকের শুরু থেকে চিনে প্রকৃত বৌদ্ধিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন দিক গুলি হল –
(১) কাং ইউ ওয়ে-এর নেতৃত্ব
চিনের অন্যতম বুদ্ধিজীবী কাং ইউ ওয়ে সংস্কারের দাবিতে ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দের ২ মে সম্রাটের কাছে প্রায় ১৩০০ বুদ্ধিজীবীর স্বাক্ষর সংবলিত একটি আবেদনপত্র জমা দেন। বুদ্ধিজীবীরা এই সংস্কারের দাবির সমর্থনে সমগ্র চিনে জনমত গঠন করেন। আধুনিক সংস্কারের সপক্ষে চিনে প্রচুর পাঠচক্র গড়ে ওঠে। সম্রাট কোয়াংসু সংস্কারের দাবি মেনে নিয়ে এক সংস্কার কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এই সংস্কারকার্য ১০০ দিন ধরে চলে বলে ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দের সংস্কার ‘শতদিবসের সংস্কার’ নামে পরিচিত।
(২) পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা
আদিম বা প্রাচীন ভাবধারা পরিত্যাগ করে চিনাদের মধ্যে পাশ্চাত্য শিক্ষা ও ভাবধারার প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন পিকিং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল অধ্যাপকরা। নতুন বুদ্ধিজীবীদের নেতা সাই উয়ান-পেই ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে পিকিং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত হন। তাঁর উদ্যোগে বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের যথার্থ উচ্চশিক্ষিত অধ্যাপকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তাঁর ছত্রছায়ায় নতুন বুদ্ধিজীবীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সমবেত হলে বৌদ্ধিক আন্দোলন দানা বাঁধতে শুরু করে।
(৩) চেন-তু-শিউ-র ভূমিকা
পিকিং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চেন-তু-শিউ ছাত্রদের প্রাচীন কনফুসীয় মতবাদ পরিত্যাগ করে যুক্তিবাদ, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, সমাজবাদ প্রভৃতি আদর্শে দীক্ষিত করেন এবং শিক্ষা-সংস্কৃতির প্রসারে অনুপ্রাণিত করেন। তাঁর প্রেরণায় চিনে আধুনিক পাশ্চাত্য জ্ঞানবিজ্ঞান, দর্শন ও সাহিত্যের চর্চা শুরু হয়।
(৪) অনুবাদ গ্রন্থের প্রকাশ
পাশ্চাত্যের বিভিন্ন মূল্যবান গ্রন্থ চিনা ভাষায় অনুবাদ শুরু হয়। এবিষয়ে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেন ইয়েন-ফু এবং লি-সু নামে দুজন প্রখ্যাত অনুবাদক।
(৫) সাহিত্যের অগ্রগতি
হু শি, চেন-তু-সিউ প্রমুখ বুদ্ধিজীবী উপলব্ধি করেন যে, চিনে গণ আন্দোলনের চেতনা প্রচার করতে গেলে তা সহজসরল ভাষায় করা দরকার। ‘পাই-হুয়া’ বা কথ্য ভাষায় সাহিত্য রচনার ফলে এই সময় চিনা সাহিত্যের যথেষ্ট অগ্রগতি ঘটে। নতুন এই ভাষায় সাহিত্য-পাঠ সহজ হয়ে ওঠে। এই সময় চিনা সাহিত্য প্রকৃতই জনগণের সাহিত্য হয়ে ওঠে।
(৬) সংবাদপত্রের প্রকাশ
চিনে এই সময় বেশ কয়েকটি সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ‘জাগরণ’, ‘জ্ঞানের আলো’, ‘নব তারুণ্য’ প্রভৃতি। ‘নব তারুণ্য’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন চেন-তু-শিউ। ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে পিকিং-এর কিছু ছাত্রের উদ্যোগে ‘নতুন জোয়ার’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এই পত্রিকার প্রথম সংখ্যায় লো চিয়া-লুন লেখেন, “বিশ্বের ইতিহাসে প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় কোনো না কোনো জোয়ারের সঙ্গে যুক্ত, যাকে ঠেকানো যায়নি।” সংবাদপত্র প্রকাশেও জটিলতামুক্ত নতুন ও সহজ ভাষারীতি গ্রহণ করা হয়। এই পত্রিকাগুলি দেশবাসীকে নব মার্কসবাদ, আধুনিকতা ও বহু নতুন ভাবাদর্শে দীক্ষিত করে।
(৭) বুদ্ধিজীবীদের সংগঠন প্রতিষ্ঠা
এরপর বুদ্ধিজীবীদের প্রভাবে বৌদ্ধিক আন্দোলনের প্রসার ঘটতে শুরু করলে চিনের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সংগঠন গড়ে ওঠে। হুনান প্রদেশে মাও সে-তুং নতুন গণ অধ্যয়ন সমিতি, টিয়েন সিন নামক স্থানে চৌ এন-লাই ‘জাগরণ সমিতি’ প্রভৃতি সংগঠন স্থাপন করেন।
উপসংহার:- ক্রমে বুদ্ধিজীবীরা দক্ষিণপন্থী ও বামপন্থী অংশে বিভক্ত হয়ে যায়। দক্ষিণপন্থীরা অরাজনৈতিক পথে অগ্রসর হলেও বামপন্থীরা রাজনীতির সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অগ্রগতির স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। এভাবে চিনে এক ধরনের নবজাগরণ ঘটে যায়, যা যুবশক্তিকে প্রবলভাবে উদ্দীপ্ত করে।
(FAQ) চিনে পাশ্চাত্য শিক্ষা সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে।
১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে।
১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে।
চিনা দার্শনিক কাং ইউ ওয়ে।