ঠান্ডা লড়াইয়ের তাত্ত্বিক ভিত্তি

ঠান্ডা লড়াইয়ের তাত্ত্বিক ভিত্তি প্রসঙ্গে আদর্শগত সংঘাতের ব্যাখ্যা, সংশোধনবাদী ব্যাখ্যা, অর্থনৈতিক প্রতিদ্বন্দিতার ব্যাখ্যা ও বাস্তববাদী ব্যাখ্যা সম্পর্কে জানবো।

কোল্ড ওয়ার বা ঠান্ডা লড়াইয়ের তাত্ত্বিক ভিত্তি প্রসঙ্গে ঠাণ্ডা লড়াই বলতে কী বোঝায়, ঠান্ডা লড়াইয়ের তাত্ত্বিক ভিত্তি হিসেবে আদর্শগত সংঘাতের ব্যাখ্যা, ঠান্ডা লড়াইয়ের তাত্ত্বিক ভিত্তি হিসেবে সংশোধনবাদী ব্যাখ্যা, ঠান্ডা লড়াইয়ের তাত্ত্বিক ভিত্তি হিসেবে বাস্তববাদী ব্যাখ্যা ও ঠান্ডা লড়াইয়ের তাত্ত্বিক ভিত্তি হিসেবে অর্থনৈতিক প্রতিদ্বন্দিতার ব্যাখ্যা সম্পর্কে জানব।

ঠান্ডা লড়াইয়ের তাত্ত্বিক ভিত্তি

ঐতিহাসিক ঘটনাঠাণ্ডা লড়াইয়ের তাত্ত্বিক ভিত্তি
আদর্শগত ব্যাখ্যাহার্টম্যান, স্পেনিয়ার
সংশোধনবাদী ব্যাখ্যাফ্লেমিং, হরোউইজ
অর্থনৈতিক ব্যাখ্যাকলকো, কর্ডেল হাল
বাস্তববাদী ব্যাখ্যামরগ্যানথো, হ্যালে
ঠান্ডা লড়াইয়ের তাত্ত্বিক ভিত্তি

ভূমিকা :- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-এর অবসানের পরবর্তীকালে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন পশ্চিমি ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট এবং সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোটের মধ্যে কোনো প্রত্যক্ষ যুদ্ধ না হলেও দীর্ঘকাল ধরে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা, যুদ্ধের আবহ বা ছায়াযুদ্ধ চলতে থাকে। প্রকৃত যুদ্ধের সূচনা না হলেও উভয়ের মধ্যে চলতে থাকা এই ছায়াযুদ্ধ বা যুদ্ধের পরিবেশকে ‘ঠান্ডা লড়াই‘ নামে অভিহিত করা হয়।

সর্বপ্রথম ঠাণ্ডা লড়াই কথার ব্যবহার

মার্কিন সাংবাদিক ওয়াল্টার লিপম্যান ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে তাঁর ‘The Cold War’ গ্রন্থে সর্বপ্রথম ‘ঠান্ডা লড়াই’ কথাটি ব্যবহার করেন।

ঠান্ডা লড়াইয়ের তাত্ত্বিক ভিত্তি

সোভিয়েত রাশিয়া ও আমেরিকার নেতৃত্বাধীন রাষ্ট্রজোটের মধ্যে সংঘটিত ঠান্ডা লড়াইয়ের দায়বদ্ধতা, প্রকৃতি প্রভৃতি বিষয় নিয়ে বিভিন্ন ঐতিহাসিক বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল –

(ক) আদর্শগত সংঘাতের ব্যাখ্যা

এক্ষেত্রে বিভিন্ন দিক গুলি হল –

(১) সংজ্ঞা

কেউ কেউ মনে করেন যে, ঠান্ডা লড়াই ছিল প্রকৃতপক্ষে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন পশ্চিমি দেশগুলির সঙ্গে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন পূর্ব ইউরোপ-এর ভাবাদর্শের লড়াই। ঠান্ডা লড়াইয়ের এই ব্যাখ্যা ‘আদর্শগত সংঘাতের ব্যাখ্যা’ নামে পরিচিত।

(২) পশ্চিমি দেশগুলির অভিমত

মার্কিন রাষ্ট্রপতি হ্যারি ট্রুম্যান সোভিয়েত রাশিয়ার কমিউনিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থাকে নাৎসি বা ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার সঙ্গে একই পর্যায়ভুক্ত বলে মনে করতেন মার্কিন নৌ সচিব জেমস ফরেস্টাল মনে করতেন যে, সাম্যবাদী রাশিয়ার পররাষ্ট্রনীতি মুক্তপন্থী গণতান্ত্রিক দেশগুলির পররাষ্ট্রনীতি থেকে পৃথক। কারণ একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্র অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতি নির্ধারণে বলপ্রয়োগের নীতিতে বিশ্বাসী। উইনস্টন চার্চিল, জর্জ কেন্নান প্রমুখ ঠান্ডা লড়াইয়ের উদ্ভবের জন্য রুশ আগ্রাসনকেই দায়ী করেছেন।

(৩) রাশিয়ার অভিমত

প্রাক্তন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাক্সিম লিটভিনভ ঠান্ডা লড়াইকে পরস্পরবিরোধী দুটি জোটের মধ্যে আদর্শবাদী লড়াই হিসেবেই উল্লেখ করেছেন। রুশ রাষ্ট্রপ্রধান স্ট্যালিন এক বক্তৃতায় (৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৬ খ্রি.) উল্লেখ করেন যে, সাম্যবাদ জয়ী না হওয়া পর্যন্ত কমিউনিস্ট ও পুঁজিবাদী দেশগুলির মধ্যে অবিরাম লড়াই চলবে।

(৪) বিশেষজ্ঞদের অভিমত
  • (i) বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে, ঠান্ডা লড়াই হল পশ্চিমের ধনতান্ত্রিক গণতন্ত্র এবং রুশ সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে আদর্শগত সংঘাত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বরাজনীতিতে ‘দ্বিমেরুকরণ’ ঘটে যায়, যার এক মেরুতে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন ধনতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট এবং অন্য মেরুতে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট অবস্থান করত।
  • (ii) পরস্পরবিরোধী আদর্শের সমর্থক দুটি জোট একে অন্যের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে। অধ্যাপক এফ. এইচ. হার্টম্যান মনে করেন যে, দুটি বৃহৎ শক্তির মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গি এবং তত্ত্বগত পার্থক্য থেকেই ঠাণ্ডা লড়াই শুরু হয়।
  • (iii) জন স্পেনিয়ার মনে করেন যে, রাশিয়া তার নতুন সমাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা এবং সম্প্রসারণবাদী মানসিকতাকে বৈধতা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই আমেরিকার নেতৃত্বাধীন জোটের বিরুদ্ধে আদর্শগত সংঘাতের প্রয়োজন অনুভব করে।

(খ) সংশোধনবাদী ব্যাখ্যা

এক্ষেত্রে বিভিন্ন দিক গুলি হল –

(১) সংজ্ঞা

১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত ‘The Cold War’ গ্রন্থে ওয়াল্টার লিপম্যান উল্লেখ করেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব ইউরোপে রাশিয়ার বিশেষ স্বার্থকে বাধা দিলে রাশিয়া অনমনীয় হয়ে উঠতে বাধ্য হয়। পরবর্তীকালে ডি. এফ. ফ্লেমিং, ডেভিড হরোউইজ, উইলিয়াম এ. উইলিয়াম, লয়েড গার্ডনার, গার অ্যালপারোভিজ প্রমুখ ঐতিহাসিক লিপম্যানের দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করে ঠান্ডা লড়াইয়ের জন্য অনেকাংশে আমেরিকাকে দায়ী করেন। তাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি ‘সংশোধনবাদী ব্যাখ্যা’ নামে পরিচিত।

(২) ফ্লেমিং এর অভিমত

ডি. এফ. ফ্লেমিং তাঁর The Cold War and its Origins 1917-1960′ গ্রন্থে বলেছেন যে, রুজভেন্টের পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট টুম্যান পূর্বতন পররাষ্ট্রনীতি ত্যাগ করে রাশিয়ার সঙ্গে বিরোধের পথ গ্রহণ করেন। রাশিয়া পোল্যান্ড-এ তার নীতি না পালটালে টুম্যান রাশিয়াকে আর্থিক সহযোগিতা বন্ধের হুমকি দেন।

(৩) হরোউইজের অভিমত

ডেভিড হরোউইজ দেখিয়েছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে রাশিয়া এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল যে, রাশিয়ার পক্ষে ব্যাপক সম্প্রসারণ নীতি বা বিশ্বব্যাপী সাম্যবাদ প্রসারের উদ্যোগ গ্রহণ করা মোটেই সম্ভব ছিল না। রুশ রাষ্ট্রপ্রধান স্ট্যালিন শুধু আত্মরক্ষামূলক নীতি গ্রহণ করার উদ্দেশ্যে পূর্ব ইউরোপের অর্থনীতি ও কূটনীতির ক্ষেত্রে রুশ প্রভাব বাড়াতে চেয়েছিলেন।

(৪) উইলিয়াম ও গার্ডনারের অভিমত

উইলিয়াম এ. উইলিয়াম এবং লয়েড গার্ডনার দেখিয়েছেন যে, প্রথম পর্বে ঠান্ডা লড়াই অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠলেও ইচ্ছে করলে তা দূর করা যেত। কিন্তু আমেরিকা সাম্যবাদের বিরুদ্ধে একপ্রকার ক্রুসেড ঘোষণা করায় তা সম্ভব হয় নি।

(৫) অ্যালপারোভিজ এর অভিমত

গার অ্যালপারোভিজ দেখিয়েছেন যে, বিশ্বযুদ্ধের শেষপর্বে আণবিক বোমা তৈরিতে সাফল্য পেয়ে আমেরিকা তার পূর্বেকার সহাবস্থানের নীতি থেকে সরে এসে ঔদ্ধত্যপূর্ণ মানসিকতার নীতি গ্রহণ করে। অবশ্য তিনি একই সঙ্গে সোভিয়েত রাশিয়ার অনমনীয়তারও উল্লেখ করেন।

(গ) অর্থনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার ব্যাখ্যা

এক্ষেত্রে বিভিন্ন দিক গুলি হল –

  • (১) কেউ কেউ মনে করেন যে, ঠাণ্ডা লড়াই ছিল প্রকৃতপক্ষে আমেরিকার অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের অন্যতম দিক। গ্যাব্রিয়েল কলকো, কর্ডেল হাল প্রমুখ এই অভিমতের সমর্থক। গ্যাব্রিয়েল কলকো দেখিয়েছেন যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে আমেরিকা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়।
  • (২) আমেরিকা তার এই আর্থিক শক্তিকে ব্যবহার করে বিশ্ব অর্থনীতির প্রধান চালকের আসন লাভের চেষ্টা করেছিল। এই লক্ষ্যে আমেরিকা তার বিদেশনীতিতে পরিবর্তন ঘটায়। মার্শাল পরিকল্পনার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশকে বিপুল পরিমাণ অর্থসাহায্য দিয়ে আমেরিকা যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউরোপে নিজেকে পরিত্রাতা হিসেবে তুলে ধরার উদ্যোগ নেয়।
  • (৩) কিন্তু বৈদেশিক ক্ষেত্রে আমেরিকার অর্থনৈতিক নীতি বাস্তবায়নের প্রধান বাধা ছিল সোভিয়েত রাশিয়া। এজন্য রাশিয়া ও তার অনুগত রাষ্ট্রগুলির বিরুদ্ধে আমেরিকা একপ্রকার ক্রুসেড ঘোষণা করে। এর ফলেই ঠান্ডা লড়াইয়ের সূত্রপাত ঘটে।

(ঘ) বাস্তববাদী ব্যাখ্যা

এক্ষেত্রে বিভিন্ন দিক গুলি হল –

(১) সংজ্ঞা

একদল ঐতিহাসিক আদর্শগত এবং সংশোধনবাদী তত্ত্বের মধ্যবর্তী অবস্থান গ্রহণ করে ঠান্ডা লড়াইয়ের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তাঁরা ঠান্ডা লড়াইয়ের জন্য একতরফাভাবে আমেরিকা বা রাশিয়ার পক্ষকে দায়ী করেন নি। তাঁরা মনে করেন যে, ঠান্ডা লড়াইয়ের জন্য দুই পক্ষই দায়ী ছিল অথবা কোনো পক্ষই দায়ী ছিল না। তাঁদের ব্যাখ্যা বাস্তববাদী ব্যাখ্যা নামে পরিচিত।

(২) সমর্থক

এই মতের সমর্থকদের মধ্যে অন্যতম হলেন হ্যানস জে মরগ্যানথো এবং লুই জে. হ্যালে

(৩) মরগ্যানথো এর অভিমত

হ্যানস জে মরগ্যানথো দেখিয়েছেন যে, রুশ সম্প্রসারণ নীতি ও সাম্যবাদী আদর্শকে একই দৃষ্টিতে দেখে আমেরিকা অদূরদর্শিতার পরিচয় দেয়। অন্যদিকে রাশিয়ারও আমেরিকাকে ধনতান্ত্রিক গোষ্ঠীর প্রতিভূ বলে মনে করার কোনো যৌক্তিকতা ছিল না।

(৪) হ্যালে এর অভিমত

লুই জে. হ্যালে ঠান্ডা লড়াই পরিস্থিতিকে আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যেকার আদর্শগত সংঘাত ছিল বলে মনে করেন না। তাঁর মতে, ক্ষমতার রাজনীতি ও শক্তিসাম্য থেকে এই লড়াইয়ের সূত্রপাত ঘটেছিল। তিনি মনে করেন যে, একটি রাষ্ট্রের আগ্রাসনের ফলেই যেমন নেপোলিয়ন-এর আমলে বিভিন্ন যুদ্ধ বা দুটি বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, তেমনি নতুন এক শক্তিশালী রাষ্ট্রের সম্প্রসারণশীল পদক্ষেপের ফলে ঠান্ডা লড়াইও শুরু হয়েছিল। তিনি ঠান্ডা লড়াইয়ের জন্য মূলত রাশিয়ার অনমনীয় মনোভাবকেই দায়ী করেছেন।

ঠান্ডা লড়াইয়ের তাত্ত্বিক ভিত্তির মূল্যায়ণ

সাধারণভাবে দেখা যায় যে, বিভিন্ন ঐতিহাসিক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ঠান্ডা লড়াইয়ের উদ্ভবের জন্য হয় সোভিয়েত রাশিয়া, নয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করে থাকেন। ফলে এবিষয়ে অন্যান্য শক্তিগুলির ভূমিকা তুলনামূলকভাবে অনালোচিত রয়েছে। বাস্তব এই, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি যে ঠান্ডা লড়াইয়ের উদ্ভবে অনুঘটকের কাজ করেছিল তা দ্বিধাহীনভাবে বলা যায়।

উপসংহার :- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের পর আমেরিকার নেতৃত্বাধীন পশ্চিমি রাষ্ট্র জোট এবং সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র জোটের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে দ্বিপাক্ষিক রাজনীতি বা দ্বিমেরুকরণ বলা হয়। যুদ্ধের পরবর্তীকালে এই দুই শক্তি জোটের মধ্যে দীর্ঘকাল ঠান্ডা লড়াই চলতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত সোভিয়েত রাশিয়ার ভাঙ্গন ঘটে।

(FAQ) ঠান্ডা লড়াইয়ের তাত্ত্বিক ভিত্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. ঠাণ্ডা লড়াইয়ের আদর্শগত সংঘাতের ব্যাখ্যা দিয়েছেন কে?

হ্যারি ট্রুম্যান, উইনস্টন চার্চিল, ম্যাক্সিম লিটভিনভ, স্ট্যালিন।

২. ঠাণ্ডা লড়াইয়ের সংশোধনবাদী ব্যাখ্যার সমর্থক ছিলেন কারা?

ডি এফ ফ্লেমিং, ডেভিড হরোউইজ, অ্যালপারোভিজ প্রমুখ।

৩. ঠাণ্ডা লড়াইয়ের অর্থনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার ব্যাখ্যা দিয়েছেন কারা?

গ্যাব্রিয়েল কলকো, কর্ডেল হাল প্রমুখ।

৪. ঠাণ্ডা লড়াইয়ের বাস্তববাদী ব্যাখ্যা দিয়েছেন কারা?

হ্যানস জে মরগ্যানথো, লুই জে হ্যালে প্রমুখ।

Leave a Comment