লিও তলস্তয়

বিখ্যাত রুশ সাহিত্যিক লিও তলস্তয় প্রসঙ্গে তার জন্ম, বংশ পরিচয়, শিক্ষা, ছোটো গল্প রচনা, বিতর্কিত উপন্যাস, রচিত প্রবন্ধ, উপন্যাস, নাটক, ছোটো ও বড়ো গল্প, রুশ সংস্কৃতির মূর্ত প্রতীক, অসুস্থতা, মৃত্যু ও চলচ্চিত্রে অবদান সম্পর্কে জানবো।

বিখ্যাত রুশ সাহিত্যিক লিও তলস্তয়

ঐতিহাসিক চরিত্রলিও তলস্তয়
জন্ম২৮ আগস্ট, ১৮২৮ খ্রি:
পরিচিতিলেখক
বিখ্যাত উপন্যাসযুদ্ধ ও শান্তি
মৃত্যু৭ নভেম্বর, ১৯১০ খ্রি:
বিখ্যাত রুশ সাহিত্যিক লিও তলস্তয়

ভূমিকা :- খ্যাতিমান রুশ লেখক ছিলেন লিও তলস্তয়। তাকে রুশ সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক, এমনকি বিশ্ব সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।

লিও তলস্তয়ের জন্ম

মহান রুশ মনীষী, বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক, মানবতাবাদী তলস্তরের জন্ম হয় ১৮২৮ সালের ২৮শে আগস্ট (৯ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে।

লিও তলস্তয়ের বংশ পরিচয়

বাবা-মা দুই দিক থেকেই তলস্তয় ছিলেন খাঁটি অভিজাত। তলস্তয়ের বাবা নিকোলাস ছিলেন বিশাল জমিদারির মালিক। লিও তলস্তয় ছিলেন তাঁর পিতামাতার চতুর্থ পুত্র। তাঁর জন্মের এক বছর পরেই তাঁর মা মারা গেলেন। তাঁর দেখাশুনার ভার ছিল এক পিসিমার উপর।

তলস্তয়ের শিক্ষা

পাঁচ বছর বয়সে বাড়িতেই শুরু হল তাঁর পড়াশুনা, একজন জার্মান শিক্ষক তাঁকে পড়াতেন। বাড়িতে শিক্ষক ঠিক করা হল। তাঁর কাছেই শিখতে আরম্ভ করলেন জার্মান আর রুশ ভাষা।

তলস্তয়ের মস্কো আগমন

যখন তাঁর আট বছর বয়স, ভাইদের সাথে তাঁকে পলিয়ানার গ্রাম্য পরিবেশ ছেড়ে যেতে হল মস্কোতে। বেশিদিন তাঁকে মস্কোতে থাকতে হল না।

তলস্তয়ের পলিয়ানায় প্রত্যাগমন

এক বছর পর হঠাৎ নিকোলাস মারা গেলেন। তাদের অভিভাবিকা হলেন পিসিমা। বড় দুই ভাই মস্কোতে রয়ে গেল, তলস্তয় ফিরে গেলেন পিসিমার কাছে পলিয়ানায়।

তলস্তয়ের ছোটো গল্প

নতুন করে সৃষ্টির কাজে হাত দিলেন তলস্তয়। এই পর্যায়ে তিনি লিখলেন তাঁর বিখ্যাত কিছু ছোট গল্প। মানুষ কি নিয়ে বাঁচে, দুজন বৃদ্ধ মানুষ, যেখানে ভালবাসা সেখানেই ঈশ্বর, বোকা ইভানের গল্প, তিনজন সন্ন্যাসী, মানুষের কতটা জমি প্রয়োজন, ধর্মপুত্র।

তলস্তয়ের ছোটো গল্পে নৈতিক শিক্ষা

এই গল্পগুলির মধ্যে একদিকে রয়েছে নৈতিক শিক্ষা অন্যদিকে সৎ সরল জীবন পথের নির্দেশ। এক অসাধারণ সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে প্রতিটি গল্পে। পাঠকের হৃদয়ের অন্তঃস্থলকে তা স্পর্শ করে। পরবর্তীকারে এই গল্পগুলি সংকলিত হয়ে প্রকাশিত হয় ২৩টি গল্প (১৯০৬)। ১৮৮৯ সালে প্রকাশিত হল তাঁর

তলস্তয়ের বিতর্কিত উপন্যাস

  • (১) তার সবচেয়ে বিতর্কিত উপন্যাস ক্রয়োজার সোনেটা। তখন তলস্তয়ের বয়স ৬১ বছর। এতে লিখলেন এক বৃদ্ধ কি প্রচণ্ড মানসিক যন্ত্রণায় ঈর্ষাপ্রণোদিত দ্বিচারিণী স্ত্রীকে হত্যা করেছিল।
  • (২) এই রচনা প্রকাশের সাথে সাথে চারিদিকে বিতর্কের ঝড় বয়ে গেল। নিন্দা বিদ্রূপ আর কটূক্তিতে ছেয়ে গেল চারদিক। সমালোচনা করা হল এক বিকৃত যৌনতা ফুটে উঠেছে এর মধ্যে।
  • (৩) লেখক সমস্ত সমাজ সংসারক ধ্বংস করবার কাজে নেমেছেন। নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল এই বই। কিন্তু তার আগেই হাজার হাজার কপি ছড়িয়ে পড়েছে দেশের সর্বত্র।

দেশের দুর্ভিক্ষে তলস্তয়ের মতামত

  • (১) সোভিয়েত রাশিয়ায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিল। হাজার হাজার মানুষ অনাহারক্লিষ্ট দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাতে লাগল। দেশের সরকার এই ঘটনায় সম্পূর্ণ উদাসীন হয়ে রইলেন।
  • (২) কিন্তু তলস্তয় গভীরভাবে বিচলিত হয়ে পড়লেন। লন্ডনের ডেলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে তিনি দেশের সরকার তার আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থার সমালোচনা করে বললেন, দেশের দুর্ভিক্ষের জন্য দায়ী বর্তমান প্রশাসন।
  • (৩) তাঁর এই সমালোচনার ফলে রুশ দেশের প্রকৃত ছবি পৃথিবীর সামনে প্রকাশিত হয়ে পড়ে। ক্ষোভে ফেটে পড়ল জারের মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
  • (৪) সকলে বুঝতে পারল রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে এবার তলস্তয়কে বন্দী করা হবে। কিন্তু জার গ্রেফতারের অনুমতি দিলেন না।

তলস্তয়ের জীবনে আঘাত

দুর্ভিক্ষের বিবাদ মিটতে না মিটতেই তলস্তয়ের জীবনে নেমে এল বিরাট এক আঘাত। তাঁর প্রিয় পুত্রের মৃত্যু হল। এই মৃত্যুতে সাময়িকভাবে ভেঙে পড়লেন তলস্তয়।

তলস্তয়ের হাজি মুরাদ গল্প

ইতিমধ্যে তাঁর আরো কিছু রচনা প্রকাশিত হল। জীবনের শেষ পর্যায়ে এসেও তাঁর সৃজনশক্তি এতটুকু হ্রাস পায় নি। এই সময় তিনি লিখতে আরম্ভ করলেন তাঁর একটি বড় গল্প “হাজি মুরাদ” (Hadji Murad)। এই গল্পটি প্রকাশিত হয় তাঁর মৃত্যুর পর। এটি তাঁর একটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা।

তলস্তয়ের নবজন্ম উপন্যাস

হাজি মুরাদ রচনার সাথে সাথে তিনি তাঁর আর একটি বিশ্ববিখ্যাত উপন্যাস “নবজন্ম” (Resurrection)। রাশিয়ার জার তৃতীয় আলেকজান্ডার মারা গেলেন। নতুন জার হলেন তাঁর পুত্র দ্বিতীয় নিকোলাস।

তলস্তয়ের যুদ্ধ ও শান্তি উপন্যাস

বাস্তব জীবনকে নিয়ে লেখা তার যুদ্ধ ও শান্তি বইটি ১৮৬৫ থেকে ১৮৬৭ সালে ধারাবাহিকভাবে এবং ১৮৬৯ সালে বই আকারে প্রকাশিত হয়। নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযান-এর ঘটনা এই উপন্যাসের বিষয়বস্তু। যুদ্ধের ভয়াবহতা এবং শান্তির জন্য মানুষের সংগ্রামই এই উপন্যাসের মূল বক্তব্য।

তলস্তয়ের আন্না কারেনিনা উপন্যাস

তার রচিত আন্না কারেনিনা ১৮৭৮ সালে বই আকারে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসটিতে তৎকালিন সময়ের বাস্তবিকতা এবং পারিবারিক জীবনের ব্যক্তিগত অবস্থার প্রকাশ পেয়েছে।

তলস্তয়ের বিশাল পরিমাণ রচনা

তার রচনার পরিমাণ বিশাল ছোটগল্প, বড়গল্প, উপন্যাস, নাটক, শিশুসাহিত্য, প্রবন্ধ, ডায়েরি, চিঠিপত্র সব মিলিয়ে তার রচনা সমগ্র প্রায় ৯০ খণ্ডে বিভক্ত।

তলস্তয়ের দেশ জুড়ে ধরপাকড়

তৃতীয় আলেকজান্ডার ছিলেন অপেক্ষাকৃত উদারপন্থী। কিন্তু তাঁর পুত্র ছিলেন যেমন অত্যাচারী তেমনি নিষ্ঠুর। সমস্ত দেশ জুড়ে শুরু হল ধরপাকড় আর নির্যাতন। তলস্তয়ের বিরুদ্ধে কোনো কিছু না করলেও তাঁর অনুগামীদের কারাগারে পাঠানো হল। শুরু হল তাদের উপর নির্যাতন। সরকারের অনুগত ধর্মপ্রতিষ্ঠানের তরফে বলা হল কোনো যাজক তাঁর সৎকারে যেন অংশ না নেয়।

তলস্তয়ের প্রবন্ধ রচনা

এদিকে দেশ জুড়ে লেনিন-এর নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল বিপ্লবী আন্দোলন। ১৯০৮ সালে প্রকাশিত হল তাঁর আবেগময় প্রবন্ধ, “আমি নীরব থাকতে পারি না।” এতে তিনি বিপ্লবীদের উপর অত্যাচারের তীব্র ভাষায় নিন্দা করলেন সাথে সাথে এই রচনা নিষিদ্ধ করা হল।

লিও তলস্তয় রচিত উপন্যাস

তার রচিত বিখ্যাত উপন্যাস গুলি হল – শৈশব (১৮৫২), কৈশোর (১৮৫৪), যৌবন (১৮৫৭), কসাক (১৮৬৩), যুদ্ধ ও শান্তি (১৮৬৯), আন্না কারেনিনা (১৮৭৮), পুনরুত্থান (১৮৯৯)।

লিও তলস্তয় রচিত নাটক

তার রচিত বিখ্যাত নাটক গুলি হল দূষিত পরিবার (১৮৬৪), অন্ধকারের ক্ষমতা (১৮৮৬), শিক্ষার পরিণাম (১৮৯১), জিন্দা লাশ (১৯১১), আঁধারে আলো (১৯১১)।

লিও তলস্তয় রচিত প্রবন্ধ

তার রচিত বিখ্যাত প্রবন্ধ হল পাঠশালার প’ড়ো ও শিল্পকলা (১৮৬১), গণশিক্ষা বিষয়ে (১৮৭৪), স্বীকারোক্তি (১৮৮৪), আমি কী বিশ্বাস করি (১৮৮৪), মৌলবাদী ধর্মভাবনা সম্পর্কে অনুসন্ধান (১৮৮০), কী করতে হবে (১৮৮৬), শিল্পের সত্য (১৮৮৭), জীবন সম্পর্কে (১৮৮৮), ক্ষুধার্তকে অন্ন দিন (১৮৯১), খ্রিষ্টধর্ম ও দেশপ্রেম (১৮৯৩), শিল্পকলা সম্পর্কে (১৮৯৭), লজ্জা (১৮৯৫), ১৮৯৫ সালে রাশিয়াতে খ্রিষ্টান নিপীড়ন (১৮৯৫), শিল্প কী (১৮৯৮), বুভুক্ষা নাকি অন্য কিছু (১৮৯৮), সমকালীন দায়িত্ব (১৯০০), ধর্ম সম্পর্কে সহনশীলতা (১৯০২), পাদ্রিদের উদ্দেশ্যে (১৯০২), ধর্ম বিষয়ে (১৯০৩), শেকসপিয়র ও নাট্য বিষয়ে (১৯০৬), পুনরায় ভেবে দেখুন (১৯০৪), রাশিয়ার সামাজিক আন্দোলন (১৯০৫), শতাব্দীর শেষ (১৯০৫), সবুজ ছড়ি (১৯০৫), রুশ বিপ্লব-এর তাৎপর্য (১৯০৬), কাউকে খুন করবে না (১৯০৭), নীরব থাকতে পারি না (১৯০৮), হিংসার অনুশাসন ও প্রেমের অনুশাসন (১৯০৯), পথচারীর সঙ্গে আলাপ (১৯০৯), গ্রামাঞ্চলে সংগীত (১৯০৯), আসল উপায় (১৯১০)।

লিও তলস্তয়ের রচিত বড় গল্প

তার রচিত বিখ্যাত বড় গল্প হল সুখের সংসার (১৮৫৯), ইভান ইলিচের মৃত্যু (১৮৮৬), ক্রয়েটজার সোনাটা (১৮৯১), শয়তান (১৮৯৯), জাল কুপন (১৯১১), হাজী মুরাদ (১৯১২)

লিও তলস্তয়ের রচিত ছোটগল্প

তার রচিত বিখ্যাত ছোটোগল্প হল গতকালের গল্প (১৯২৮), আক্রমণ (১৮৫৩), পবিত্র রাত্রি (১৮৫৩), বিলিয়ার্ড মার্কারের স্মৃতিচারণ (১৮৫৫), সেভাস্তোপল্ ডিসেম্বর ১৮৫৪ (১৮৫৫), সেভাস্তোপল্ মে ১৮৫৫ (১৮৫৫), বনানী ধ্বংস (১৮৫৫), সেভাস্তোপল্ আগস্ট ১৮৫৫ (১৮৫৬), দুই হুসার (১৮৫৬), ল্যুৎসের্ন্ (১৮৫৭), তিনটি মৃত্যু (১৮৫৯), আলবের্ৎ (১৮৫৮), পলিকুশ্‌কা (১৮৬৩), তিখোন্ ও মালানিয়া (১৯১১), ১৮০৫ সাল (১৮৬৫), অ আ ক খ (১৮৭২), ঈশ্বর সত্যদ্রষ্টা (১৮৭২), লোকে কী নিয়ে বাঁচে (১৮৮১), ইলিয়াস (১৮৮৫), যেখানেই প্রেম সেখানেই ঈশ্বর (১৮৮৫), বোকা ইভানের গল্প (১৮৮৫), দুই বুড়ো (১৮৮৫), তিন মুনি (১৮৮৬), পক্ষিরাজ (১৮৮৬), কতটুকু জমি দরকার (১৮৮৬), মনিব ও ভৃত্য (১৮৯৫), ফাদার সিয়ের্গি (১৯১২), নরকধ্বংস ও তার পুননির্মাণ (১৯০২), বল-নাচের পর (১৯১১), ঐশী ও মানবিক (১৯০৬), কর্নিয়েই ভাসিলিয়েফ্ (১৯০৫) প্রার্থনা (১৯০৫), আলিওশা গর্শোক্ (১৯০৫), কিসের জন্য? (১৯০৬), কেউ দোষী নয় পৃথিবীতে (১৯১১), খোদিন্‌কা (১৯১০)।

রুশ সংস্কৃতির মূর্ত প্রতীক তলস্তয়

আশি বছরে পা দিলেন তলস্তয়। সমস্ত দেশের মানুষের কাছে তিনি হয়ে উঠেছিলেন মানবতা আর রুশ সংস্কৃতির মূর্ত প্রতীক।

স্ত্রীর সাথে তলস্তয়ের বিবাদ

সমস্ত পৃথিবী তাঁকে সম্মান জানালেও সংসারে চরম অশাস্তি। তলস্তয় তাঁর সমস্ত রচনায় গ্রন্থস্বত্ব সমগ্র মানবজাতিকে দান করেছিলেন। তার স্ত্রী সোফিয়া এটি মেনে নিতে পারছিলেন না। তাঁর অর্থের প্রতি লোভ ক্রমশই বেড়ে চলছিল। এক এক সময় বিবাদ তীব্র আকার ধারণ করত।

অসুস্থ তলস্তয়

ক্রমশই অসুস্থ হয়ে পড়লেন তলস্তয়। এই সময় তাঁকে সেবা-শুশ্রূষা করতেন তাঁর ছোট মেয়ে। কিন্তু স্ত্রী নির্যাতন এমন অবস্থায় পৌঁছাল তিনি আর ঘরে থাকতে পারলেন না।

তলস্তয়ের মৃত্যু

স্ত্রীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তিনি বেরিয়ে পড়লেন অজানার উদ্দেশ্যে। পথে আত্তাপগে নামে এক ষ্টেশনে এসে নেমে পড়লেন। তখন তাঁর প্রচণ্ড জ্বর সেই সাথে কাশির সঙ্গে রক্ত উঠছে। স্টেশন সংলগ্ন একটি বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ১৯১০-এর ৭ই নভেম্বর।

চলচ্চিত্রে তলস্তয়ের অবদান

২০০৯ সালে তলস্তয়ের জীবনের শেষ বছরের দিনগুলো নিয়ে একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয় The Last Station। Jay Parini উপন্যাস অবলম্বনে এই চলচ্চিত্র তৈরি করা হয়।

উপসংহার :- তিনি ১৯০২ থেকে ১৯০৬ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য একাধিকবার মনোনয়ন পেয়েছিলেন। ১৯০১, ১৯০২ এবং ১৯১০ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন এবং তার পুরস্কার না পাওয়ার বিষয়টি নোবেল পুরস্কার বিতর্কের একটি প্রধান কারণ ছিল।

(FAQ) বিখ্যাত রুশ সাহিত্যিক লিও তলস্তয় সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. লিও তলস্তয় কে ছিলেন?

রুশ সাহিত্যের খ্যাতিমান লেখক।

২. লিও তলস্তয়ের জন্ম কখন হয়?

২৮ আগস্ট ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে।

৩. লিও তলস্তয়ের বিখ্যাত উপন্যাস কি

যুদ্ধ ও শান্তি (War and Peace)।

৪. লিও তলস্তয়ের মৃত্যু কখন হয়?

৭ নভেম্বর, ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে।

Leave a Comment