আদিবাসী ও দলিত সম্প্রদায়

আদিবাসী ও দলিত সম্প্রদায় প্রসঙ্গে আদিবাসী ও দলিতদের আন্দোলন, আদিবাসী সম্প্রদায় ,আদিবাসী সম্প্রদায়ের বসবাস ও জীবিকা, আদিবাসী সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার ও শোষণ, আদিবাসী সম্প্রদায়ের মুক্তির উদ্যোগ, দৈনিক সম্প্রদায়, দলিত কারা, দলিতদের প্রতি বৈষম্যের উদাহরণ, দলিত উপর শোষণ ও অত্যাচার সম্পর্কে জানবো।

আদিবাসী ও দলিত সম্প্রদায়

ঐতিহাসিক বিষয়আদিবাসী ও দলিত সম্প্রদায়
আদিবাসীসাঁওতাল, কোল, ভিল, মুণ্ডা
দলিতহরিজন, মাহার
হরিজন নামকরণমহাত্মা গান্ধী
সাঁওতাল বিদ্রোহ১৮৫৫-৫৬ খ্রি
পুনা চুক্তি১৯৩২ খ্রি
আদিবাসী ও দলিত সম্প্রদায়

ভূমিকা :- ভারত-এ ঔপনিবেশিক শাসনকালে সর্বাধিক শোষিত ও নির্যাতিত ছিল আদিবাসী ও দলিত শ্রেণি। ব্রিটিশ সরকার, মধ্যবিত্ত শ্রেণি, মহাজন প্রভৃতি স্তরের অর্থনৈতিক শোষণ ছাড়াও আদিবাসী ও দলিত সম্প্রদায়কে সমাজের উচ্চবর্ণের চরম সামাজিক অবিচারেরও শিকার হতে হয়।

আদিবাসী ও দলিতদের আন্দোলন

তবে নিম্নবর্গের মধ্যে সাঁওতাল, কোল, ভিল, মুন্ডা প্রভৃতি আদিবাসী সম্প্রদায়ই প্রথম ব্রিটিশ সরকার, জমিদার ও মহাজনদের শোষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শামিল হয়। পরবর্তীকালে অর্থনৈতিক ও সামাজিক শোষণের বিরুদ্ধে দলিতদের প্রতিরোধ শুরু হয়।

ভারতে আদিবাসী সম্প্রদায়

আদিবাসী বা উপজাতি সম্প্রদায় হল ভারতের প্রাচীন বাসিন্দা। সাঁওতাল, কোল, ভিল, মুন্ডা, ওরাওঁ, হো, ভূমিজ, খন্দ, গোল্ড, ভারলি, নাগারা প্রভৃতি গোষ্ঠীর মানুষ আদিবাসী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত।

আদিবাসী সম্প্রদায়ের বসবাস ও জীবিকা

তারা পাহাড়, অরণ্য, নদী উপত্যকা ও তার সংলগ্ন অঞ্চলে বসবাস করত এবং চাষবাস, শিকার, বনের ফলমূল, মধু, কাঠ প্রভৃতি সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করত। তারা মনে করত যে, প্রকৃতির সম্পদ ভোগ করার জন্য তারা কাউকে কর দিতে বাধ্য নয়।

ভারতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার ও শোষণ

এই সরল, সাদাসিধে আদিবাসীরা কালে কালে বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার ও শোষণের শিকার হয়। এগুলি নীচে আলোচনা করা হল –

(১) কর আরোপ

উনিশ শতকে ভারতের আদিবাসী সম্প্রদায় ব্রিটিশ আইন, শাসন ও বিচারব্যবস্থার আওতায় আসে। সরকার ভূমি বন্দোবস্ত নীতি প্রণয়ন করে আদিবাসী সম্প্রদায়ের জমির ওপর কর আরোপ করে। কর আদায়ে সরকার বিভিন্ন স্তরের মধ্যস্বত্বভোগী নিয়োগ করে। তারা আদিবাসী কৃষকদের কাছ থেকে জোর করে কর আদায় শুরু করে।

(২) দিকদের ভূমিকা

বহিরাগত জমিদার, জোতদার, বণিক, মহাজন, ঠিকাদার, দালাল প্রভৃতি বিভিন্ন স্তরের মধ্যস্বত্বভোগী বহিরাগতদের আদিবাসীরা ‘দিকু’ বলত। এই বহিরাগতরা আদিবাসীদের নানাভাবে প্রতারণা ও শোষণ শুরু করে।

(৩) সামাজিক আগ্রাসনের শিকার

ভারতের আদিবাসী সম্প্রদায় ব্রিটিশ শাসনকালে নানাভাবে সামাজিক আগ্রাসনের শিকার হয়। খ্রিস্টান মিশনারিরা আদিবাসীদের মধ্যে শিক্ষার প্রসারের পাশাপাশি তাদের খ্রিস্টান-ধর্মে দীক্ষিত করতে থাকে। নতুন পাশ্চাত্য খ্রিস্টান সংস্কৃতির প্রভাবে আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি আক্রান্ত হয়।

(৪) অরণ্যের অধিকার থেকে বঞ্চনা

আদিবাসীরা পাহাড় ও মালভূমির বনাঞ্চলে ঝুম চাষ করত। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে আইন করে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ঝুম চাষ নিষিদ্ধ করে এবং অরণ্য-সম্পদের ওপর সরকারের একচেটিয়া অধিকার প্রতিষ্ঠা করে। অরণ্য থেকে আদিবাসীদের কাঠ ও অন্যান্য সম্পদ সংগ্রহ, পশুশিকার, গোচারণ প্রভৃতি ক্ষেত্রেও নানা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়।

(৫) অর্থনৈতিক শোষণ ও বঞ্চনা

ব্রিটিশ শাসনে আদিবাসীরা জমিতে যৌথ মালিকানার অধিকার হারায়। উনিশ শতকে ব্রিটিশ পুঁজিপতিরা চা-কফির চাষ শুরু করলে অসংখ্য আদিবাসী শ্রমিককে চা-কফি চাষে নিয়োগ করা হয়। সেখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এবং সীমাহীন অত্যাচারের শিকার হয়ে বহু শ্রমিকের মৃত্যু হয়। সারা দেশে রেলপথ স্থাপনের কাজ শুরু হলে প্রচুর আদিবাসী শ্রমিককে এই কাজে নিয়োগ করা হয়। কয়লা উৎপাদনের কাজেও প্রচুর সংখ্যক আদিবাসী শ্রমিক নিয়োগ করা হয়। কিন্তু ন্যায্য পারিশ্রমিক না দিয়ে নানাভাবে তাদের বঞ্চিত করা হয়।

আদিবাসী সম্প্রদায়ের মুক্তির উদ্যোগ

ব্রিটিশ সরকার, পাশ্চাত্য সংস্কৃতি ও অন্যান্য শোষক শ্রেণির হাত থেকে মুক্তির জন্য আদিবাসী সম্প্রদায় প্রয়াস চালায়। যেমন –

  • (১) শুদ্ধি আন্দোলনে যোগদানের মাধ্যমে তারা নিজেদের সামাজিক সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। ব্রিটিশ শোষণ থেকে মুক্তিলাভের উদ্দেশ্যে বিহারের সাঁওতাল সম্প্রদায় ১৮৫৫-৫৬ খ্রিস্টাব্দে বিদ্রোহ করে। ধর্মরাজ্য প্রতিষ্ঠার আশায় গুজরাটের এক আদিবাসী সম্প্রদায় ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে পুলিশ চৌকি আক্রমণ করে।
  • (২) দক্ষিণের রম্পা অঞ্চলে বনের কাঠ সংগ্রহ ও চারণভূমির ওপর অধিকারের দাবিতে আদিবাসী সম্প্রদায় বেশ কয়েকবার বিদ্রোহ করে। ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে মুণ্ডা বিদ্রোহ-এর নেপথ্যেও একই ধরনের পটভূমি কাজ করেছিল।

ভারতে দলিত সম্প্রদায়

খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অব্দে বৈদিক সভ্যতার বিকাশকাল থেকে ভারতে জাতিবৈষম্যের সূত্রপাত ঘটে। আর্য সভ্যতায় ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য – এই তিনটি বর্ণের মানুষের সেবা করত শূদ্ররা। পরবর্তীকালে ভারতীয় সমাজে আরও বিভিন্ন ধরনের অস্পৃশ্য জাতির উদ্ভব ঘটে।

দলিত কারা

বৈদিক যুগের জাতিবৈষম্য এবং পশ্চাৎপদ সম্প্রদায়ের লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা বিভিন্ন যুগ অতিক্রম করে ঔপনিবেশিক ভারতেও প্রচলিত ছিল। ব্রিটিশ শাসনকালে শোষিত ও নির্যাতিত এই পশ্চাৎপদ সম্প্রদায় এক কথায় ‘দলিত’ নামে পরিচিত।

ভারতে দলিতদের প্রতি বৈষম্যের উদাহরণ

দলিতদের প্রতি বৈষম্য বর্ণনার একটি উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, দাক্ষিণাত্যের মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সিতে উনিশ শতকের শেষদিকে ব্রাহ্মণ জনসংখ্যা ছিল সেখানকার মোট জনসংখ্যার ৩ শতাংশেরও কম, অথচ তারা প্রায় ৪২ শতাংশ সরকারি চাকরি দখল করে রেখেছিল।

দলিত সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার ও শোষণ

এই দলিত সম্প্রদায় ইংরেজ বিরোধিতার চেয়ে নিজেদের সামাজিক মর্যাদা লাভের বিষয়টিকেই বেশি বড়ো করে দেখেছিল। দলিতরা নানা দিক থেকে উচ্চবর্ণের শোষণ, অত্যাচার ও বৈষম্যের শিকার হয়েছিল। যেমন –

(১) দলিত ভাষার প্রতি অবহেলা

ব্রাহ্মণরা নিজেদের ঐতিহ্যবাদী সংস্কৃত ভাষা এবং ইংরেজি ভাষা শিক্ষা লাভ করে পাশ্চাত্য শিক্ষা ও সংস্কৃতির অনুরাগী হয়ে উঠেছিল। দলিত শ্রেণির মানুষ ইংরেজি বা সংস্কৃত ভাষা জানত না। তারা নিজেদের কথ্যভাষা ব্যবহার করত। কিন্তু ব্রাহ্মণরা দলিত শ্রেণির এই কথ্যভাষাকে খুবই অবজ্ঞার চোখে দেখত।

(২) কংগ্রেসের দৃষ্টিভঙ্গি

কংগ্রেস গঠনের প্রথম দিকে উচ্চবর্ণের প্রাধান্য থাকায় কংগ্রেস নেতারা দলিতদের সমস্যা সম্পর্কে উদাসীন ছিল। ফলে তাদের সঙ্গে দলিতদের দূরত্ব বাড়তে থাকে। দলিতরা কংগ্রেসের বিপরীত দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠা করতে সক্রিয় হয়ে ওঠে। অবশ্য ভারতের জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে মহাত্মা গান্ধির উত্থানের পর থেকে কংগ্রেসের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটতে থাকে। তিনি অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে হরিজন আন্দোলন শুরু করে দলিতদের প্রতি সামাজিক অবহেলার বিষয়টিকে কংগ্রেসের কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত করেন। কিন্তু গান্ধিজির সাবধানী উদ্যোগ দলিতদের সন্তুষ্ট করতে পারে নি।

(৩) বাংলার দলিতদের সক্রিয়তা

বাংলায় দলিত নমঃশূদ্র সম্প্রদায় ব্রাহ্মণ্য শোষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সরব হয়। মতুয়া ধর্মের প্রবর্তক হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নমঃশূদ্র সম্প্রদায় ঊনবিংশ শতকের শেষে উচ্চবর্ণের হিন্দুদের আর্থিক শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। পূর্ববঙ্গে উচ্চবর্ণের মধ্যে কংগ্রেসের ভিত্তি সুদৃঢ় হলে নমঃশূদ্রদের নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে আসেন প্রমথরঞ্জন ঠাকুর, যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল প্রমুখ দলিত নেতা। প্রকৃতপক্ষে নমঃশূদ্রদের এই উদ্যোগের মধ্যে সামাজিক শোষণের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদের ভাষাই লুকিয়েছিল।

(৪) দলিত সংগঠন

  • (ক) তামিল ভাষা ও সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ ভারতে অব্রাহ্মণদের মধ্যে নৈকট্য বৃদ্ধি পায়। এরই পরিণতিতে ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে জাস্টিস পার্টি নামে দলিতদের রাজনৈতিক দল গড়ে ওঠে।
  • (খ) তবে দলিত আন্দোলনে সর্বাধিক গতি আসে ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে নাগপুরে অনুষ্ঠিত দলিত নেতাদের সম্মেলনে। এখানে সর্বভারতীয় নিপীড়িত সমিতি গঠিত হয়। এস. সি. রাজা এই সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন।
  • (গ) ড. আম্বেদকর ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে সর্বভারতীয় নিপীড়িত শ্রেণির কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর নেতৃত্বে দলিতদের অধিকার রক্ষার আন্দোলনে তীব্র গতি সঞ্চারিত হয়। তিনি দলিতদের পৃথক নির্বাচনের অধিকার দাবি করেন।

(৫) আম্বেদকরের উদ্যোগ

গান্ধীজি অস্পৃশ্যতা দূরীকরণের বিষয়ে যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন তা আম্বেদকরের কাছে বিশেষ মূল্যবান ছিল না। দলিতদের জন্য মন্দিরে প্রবেশাধিকার বা উচ্চবর্ণের সঙ্গে মেলামেশার সুযোগের ব্যবস্থা করার চেয়ে তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক দুরবস্থার অবসান ঘটানোর ওপরই আম্বেদকর বেশি গুরুত্ব দেন। তিনি ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে দলিতদের নিয়ে মহারাষ্ট্রে সত্যাগ্রহ আন্দোলন করেন। এই বছর ‘মনুস্মৃতি’ গ্রন্থটি প্রকাশ্যে পুড়িয়ে তিনি ব্রাহ্মণ্যধর্মের বিরোধিতা করেন।

(৬) পুনা চুক্তি

১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ১৭ আগস্ট ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ম্যাকডোনাল্ড তাঁর ‘সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা‘ নীতির মাধ্যমে দলিতদের পৃথক নির্বাচনের অধিকার দিলে এর তীব্র প্রতিবাদ করে ২০ সেপ্টেম্বর, ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে গান্ধিজী অনশন শুরু করেন। শেষপর্যন্ত ২৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে পুনা চুক্তির মাধ্যমে আম্বেদকর দলিতদের পৃথক নির্বাচনের অধিকারের দাবি থেকে সরে আসেন এবং গান্ধিজীও দলিতদের আরও বেশি সংখ্যক আসন সংরক্ষণের দাবি মেনে নেন।

(৭) সংবিধান সভায় দলিত নেতৃত্ব

আম্বেদকরের নেতৃত্বে ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে সর্বভারতীয় তপশিলি জাতি ফেডারেশনা প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে দলিত আন্দোলনকে জাতীয় কংগ্রেসও গুরুত্ব দিতে শুরু করে। স্বাধীনতা লাভের প্রাক মুহূর্তে দলিত নেতা আম্বেদকরকে সংবিধান-এর খসড়া রচনা কমিটির সভাপতি নির্বাচন করা হয়। তাঁর নেতৃত্বে রচিত নতুন সংবিধানে অস্পৃশ্যতাকে বেআইনি বলে ঘোষণা করা হয়।

উপসংহার :- আদিবাসীদের পাশাপাশি হরিজন, মাহার প্রভৃতি দলিত সম্প্রদায় ভীমরাও আম্বেদকরের নেতৃত্বে সরকার ও ব্রাহ্মণ্য সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শামিল হয়। বাংলায় দলিতদের আন্দোলনের অগ্রভাগে থাকে নমঃশূদ্র, রাজবংশী, কোচ প্রমুখ সম্প্রদায়।

(FAQ) আদিবাসী ও দলিত সম্প্রদায় সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. আদিবাসী কাদের বলা হয়?

সাঁওতাল, কোল, ভিল, মুন্ডা প্রভৃতি আদিবাসী সম্প্রদায় হিসেবে পরিচিত।

২. দলিত কাদের বলা হয়?

ব্রিটিশ শাসনকালে শোষিত ও নির্যাতিত পশ্চাৎপদ সম্প্রদায় এক কথায় ‘দলিত’ নামে পরিচিত।

৩. গান্ধীজি দলিতদের কি নামকরণ করেন?

হরিজন।

৪. দিকু কাদের বলা হয়?

বহিরাগত জমিদার, জোতদার, বণিক, মহাজন, ঠিকাদার, দালাল প্রভৃতি বিভিন্ন স্তরের মধ্যস্বত্বভোগী বহিরাগতদের আদিবাসীরা ‘দিকু’ বলত।

Leave a Comment