পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ

পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ -এর সময়কাল, অবস্থান, বিবাদমান পক্ষ, পটভূমি, হিমুর দিল্লি দখল, মোগল সেনাবিন্যাস, হিমুর সেনাবিন্যাস ও সৈন্য সংখ্যা, যুদ্ধের বর্ণনা, যুদ্ধের গুরুত্ব ও হিমুর পরিণতি সম্পর্কে জানবো।

ঐতিহাসিক পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ

সময়কাল৫ নভেম্ভর ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দ
স্থানপানিপথ (বর্তমান ভারত -এর হরিয়াণা)
বিবাদমান পক্ষমুঘল সাম্রাজ্য এবং হিমু
ফলাফলমুঘল সাম্রাজ্যের বিজয়
পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ

ভূমিকা :- বর্তমান ভারতের হরিয়ানায় অবস্থিত পানিপথের প্রান্তর উপমহাদেশের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্র। ভারতবর্ষের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় মোঘল সাম্রাজ্যের উত্থান থেকে শুরু করে শক্তিশালী মারাঠাদের পতন পর্যন্ত প্রায় তিনটি বড় যুদ্ধের সাক্ষী হয়ে এখনো ইতিহাসের পাতায় অবিনশ্বর হয়ে আছে পানিপথ প্রান্তর।

পানিপথ

ভারতের রাজধানী দিল্লীর উত্তরে অবস্থিত পানিপথ ভারতের হারিয়ানা প্রদেশের একটি শহরের নাম। মহাভারত অনুযায়ী পানিপথ পঞ্চপাণ্ডব কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত পাঁচটি শহরের মধ্যে অন্যতম। মহাভারতের ইতিহাস ছাপিয়ে পানিপথ মুখ্য হয়ে আছে মূলত পানিপথ প্রান্তরে ঘটে যাওয়া তিনটি বড় যুদ্ধের কারণে। এই যুদ্ধ গুলি পানিপথের যুদ্ধ নামে পরিচিত।

পানিপথে তিনটি যুদ্ধ

পানিপথের প্রান্তরে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ সংঘটিত হয়।

(১) পানিপথের প্রথম যুদ্ধ

১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে মোঘল অধিপতি বাবর এবং সুলতান ইব্রাহিম লোদির মধ্যে পানিপথের প্রথম যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধে বাবর জয়লাভ করে ভারতে মোঘল সাম্রাজ্যের সূচনা করেন।

(২) পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ

১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে সম্রাট আকবর এবং উত্তরের রাজা হেমচন্দ্র মুখোমুখি হন। যুদ্ধ জয়ী আকবর মোঘল সাম্রাজ্যের ভিত্তি সুদৃঢ় করেন।

(৩) পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ

১৭৬১ সালে পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ তথা সর্বশেষ যুদ্ধে মারাঠাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেন আহমদ শাহ আবদালী। এই যুদ্ধে পরাজিত হলে মারাঠা সাম্রাজ্য তছনছ হয়ে যায়।

পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধের সময়কাল

বিখ্যাত পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ হয়েছিল ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দের ৫ নভেম্বর।

পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে বিবাদমান পক্ষ

হিন্দু জেনারেল ও আদিল শাহ সুরির প্রধানমন্ত্রী হিমুর বাহিনী এবং মুঘল বাদশাহ আকবরের বাহিনীর মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ।

হিমুর দিল্লী দখল

দিল্লীর যুদ্ধে তারগি বেগ পরিচালিত মুঘলদের পরাজিত করে হিমু এক মাস আগেই দিল্লী জয় করেছিলেন এবং নিজেকে রাজা বিক্রমাদিত্য ঘোষণা করেছিলেন।

পানিপথে সাক্ষাৎ

আকবর এবং তার অভিভাবক বৈরাম খাঁ শহর পুনরুদ্ধার করার জন্য দ্রুত দিল্লী পৌছেছিলেন। ১৫২৬ সালের প্রথম পানিপথের যুদ্ধের স্থানের অদূরবর্তী পানিপথে দুই সেনাবাহিনী যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল।

পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধের পটভূমি

পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধের পশ্চাতে বিভিন্ন ঘটনা ঘটে যায়।

(১) হুমায়ুনের পলায়ন

মোঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বাবরের উত্তরসূরি হুমায়ূন রাজত্ব হারিয়েছিলেন ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দে। সূর সম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা শের শাহ সূরি তাকে ভারতের বাইরে বিতাড়িত করেছিল। দিল্লী এবং আগ্রার পতন হয়েছিল শের শাহর হাতেই।

(২) সূর সাম্রাজ্যের দুর্বলতা

পরবর্তীতে ১৫৪৫ খ্রিস্টাব্দে শেরশাহের উত্তরসূরী ইসলাম শাহ সূরি ছিলেন একজন দক্ষ শাসক। ১৫৫৩ সালে তার মৃত্যুর পর সূর সাম্রাজ্য উত্তরাধিকার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে এবং বিদ্রোহী ও প্রদেশসমুহের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন।

(৩) দিল্লী ও আগ্রা পুনরুদ্ধার

হারানো রাজত্ব ফিরে পেতে হুমায়ুন উত্তরাধিকার বিবাদকে কাজে লাগিয়েছিলেন এবং ১৫৫৫ সালের ২৩শে জুলাই মুঘলরা সিকান্দার শাহ সুরি কে পরাজিত করে দিল্লী ও আগ্রার উপর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায়।

(৪) পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধের পূর্বে হিমুর উত্থান

ইসলাম শাহের ১২ বছর বয়সী ছেলেকে হত্যা করে আদিল শাহ সুরি সিংহাসনে বসেছিলেন। কিন্তু রাজ্যের বেশিরভাগই  কাজ করতেন রেওয়ারি থেকে আগত একজন হিন্দু, যার নাম হিমু। যিনি সামান্য অবস্থা থেকে আদিল শাহের প্রধানমন্ত্রী এবং সূরি সেনাবাহিনীর জেনারেল হয়েছিলেন।

(৫) পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধের প্রাক মুহূর্তে হুমায়ুনের মৃত্যু

১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি যখন হুমায়ুন মারা যান, তিনি বাংলায় ছিলেন। মুঘল বাদশাহর মৃত্যু মুঘলদের পরাজিত করার ও হারানো অঞ্চল পুনরুদ্ধার করার আদর্শ সুযোগ করে দিয়েছিল।

(৬) প্রশাসকের আগ্রা ত্যাগ

হিমু বাংলা থেকে দ্রুত যাত্রা করে মুঘলদের বায়ানা, ইতাহা, সাম্ভাল, কালপি এবং নারাউল থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। আগ্রার প্রশাসক শহর ত্যাগ করেছিলেন এবং হিমুর আসন্ন হামলার সংবাদ পেয়ে যুদ্ধ না করে পালিয়ে গিয়েছিলেন।

(৬) তুঘলকাবাদের যুদ্ধ

আগ্রার প্রশাসকের পিছু ধাওয়া করে হিমু দিল্লীর বাইরে তুঘলাকাবাদে পৌছে যান। তিনি মুঘল প্রশাসক তারদি বেগ খানের সেনাবাহিনীর দেখা পান এবং তুঘলাকাবাদের যুদ্ধে তাদের পরাজিত করেন।

(৭) পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধের পূর্বে হিমুর দিল্লী দখল

১৫৫৬ সালের ৭ অক্টোবরের যুদ্ধের পর হিমু দিল্লী দখল করেছিলেন এবং বিক্রমাদিত্য (বিক্রমজিৎ) উপাধি ধারণ করে রাজকীয় মর্যাদা দাবী করেছিলেন।

(৮) পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধের পূর্বে আকবরের দিল্লী যাত্রা

তুঘলাকাবাদ থেকে বিপর্যয়ের সংবাদ পেয়ে হুমায়ূনের উত্তরসূরি ১৩ বছরের আকবর ও তার অভিভাবক বৈরাম খাঁ দ্রুত দিল্লীর দিকে যাত্রা করেন।

পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ শুরু

১৫৫৬ সালের ৫ নভেম্বর মুঘল সেনাদল হেমুর সেনাদলের সাথে ঐতিহাসিক পানিপথের যুদ্ধক্ষেত্রে মুখোমুখি হয়েছিল। আকবর এবং বৈরাম খাঁ, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে আট মাইল দূরে উপস্থিত ছিলেন।

পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে মোগল সেনা বিন্যাস

মধ্যভাগে ছিল আলি কুলি সাইবানির ১০০০০ অশ্বারোহী সেনার দল, ডানদিকে সিকান্দার খান উজবাক এবং বামদিকে আবদুল্লাহ খান উজবাক মুঘল সেনাবাহিনী কে নেতৃত্ব দিয়েছিল। অগ্রগামী সেনাদলকে নেতৃত্ব দিয়েছিল হুসাইন কুলি বেগ ও শাহ কুলি মাহরাম।

পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে হিমুর সেনা বিন্যাস

হাওয়াই নামের হাতীর পিঠে চড়ে হিমু নিজেই তার সেনাদলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার বামপাশে ভাগ্নে রাময়া এবং ডানপাশে শাদি খান কাক্কার নেতৃত্ব দিয়েছিল। তার সেনাদল অভিজ্ঞ ও প্রচুর আত্মবিশ্বাসী ছিল এবং হেমু সেই সময়ে আদিল শাহর হয়ে ২২ টি যুদ্ধে জয় লাভ করেছিলেন।

পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে হিমুর সৈন্য সংখ্যা

আফগান ঘোড়সওয়ারি নিয়ে গঠিত প্রথম শ্রেনীর ৩০০০০ শক্তিশালী অশ্বারোহী সেনার দল ও ৫০০ হাতীর হস্তীবাহিনী ছিল হিমুর দখলে। প্রত্যেকটি যোদ্ধা হাতী ধাতব বর্মে সুরক্ষিত ছিল। এই যুদ্ধে হিমুর কোনো গোলন্দাজ বাহিনী ছিল না।

পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধের বর্ণনা

  • (১) হিমু আক্রমণ শুরু করে মুঘলদের ডান ও বাম অংশের উপর হাতি ছেড়ে দিয়েছিলেন। যে সব সৈন্য এই গন্ডগোল এড়াতে পেরেছিল, তারা পিছু হটার বদলে পাশে চেপে গিয়েছিল এবং তাদের উন্নত ধনুর্বিদ্যার সাহায্যে তীর বর্ষণ করে হিমুর অশ্বারোহী সেনাবাহিনীর পার্শ্বদেশ আক্রমণ করেছিল।
  • (২) মুঘলদের মধ্যভাগ এগিয়ে এসেছিল এবং একটি গভীর গিরিখাতের আগে রক্ষনাত্মক অবস্থান নিয়েছিল। হিমুর হাতি বা অশ্ববাহিনী কেউই প্রতিপক্ষের নাগাল পেতে খাত অতিক্রম করতে পারেনি।
  • (৩) ইতিমধ্যে মুঘল অশ্বারোহি সেনাবাহিনী তাদের দ্রুতগামি বাহনে চড়ে পাশ থেকে ও পেছন থেকে হিমুর সৈন্য বাহিনীর ভেতর ঢুকে পড়েছিল এবং  মাহুতকে ফেলে দিয়ে হাতিকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা আরম্ভ করেছিল।
  • (৪) আফগান আক্রমণ শিথিল হয়ে যাচ্ছে দেখে আলি কুলি খান চারিদিক ঘুরে এবং পেছন দিক থেকে আফগান সেনার মধ্যভাগে আক্রমণের জন্য তার অশ্বারোহী সেনাদলকে নির্দেশ দেন।
  • (৫) সাদি খান কাক্কর এবং তার আরেকজন যোগ্য সেনাপতি ভগবান দাসকে পরাজিত দেখার পরও হিমু মুঘলদের বিরুদ্ধে প্রতি-আক্রমণে নেতৃত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন। এটা ছিল বেপোরোয়া ভাবে লড়াই করা যুদ্ধ। কিন্তু মনে হয়েছিল যুদ্ধের প্রাধান্য হেমুর দিকে ঝুকে পড়েছে।
  • (৬) মুঘল সেনাবাহিনীর উভয় অংশকেই পিছনের দিকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং তাদের মধ্যভাগকে গুড়িয়ে দেওয়ার জন্য হস্তীবাহিনী ও অশ্বারোহী সেনাদলকে সামনে চালনা করেছিলেন।
  • (৭) হিমু যখন সম্ভাব্য বিজয়ের চূড়ায় তখন মুঘলদের ছোড়া একটি তীর সহসা তার চোখে আঘাত করে এবং তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে গিয়েছিলেন। তাকে পড়ে যেতে দেখে তার সেনাবাহিনীর ভেতর আতঙ্কের সৃষ্টি হয় এবং তারা পালিয়ে যায়।
  • (৮) শেষ পর্যন্ত হিমু যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিল। যুদ্ধের ময়দানে ৫০০০ নিহত হন এবং পালানোর সময় আরো অনেককে হত্যা করা হয়েছিল

পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে হিমুর পরিণতি

আহত হিমুকে বহনকারী হাতীটি ধরা পড়েছিল এবং মুঘলদের আস্তানায় আনা হয়েছিল। বৈরাম খা ১৩ বছর বয়সি আকবরকে হিমুর শিরোশ্ছেদ করতে বলেন, কিন্তু তিনি মৃত্যুপথযাত্রীর উপর তরবারি উঠাতে রাজি ছিলেন না। এরপরই বৈরাম খা তাকে হত্যা করেছিলেন। হিমুর মাথা কাবুলে পাঠানো হয়েছিল যদিও তার দেহ দিল্লীর একটি প্রবেশদ্বারে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। অন্যান্য মৃতদের মাথা দিয়ে পরবর্তিকালে একটি মিনার নির্মিত হয়েছিল।

পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধের পর হিমুর সমাধি

হিমুর সমর্থকরা পরে পানিপথের যেখানে হিমুর শিরোচ্ছেদ করা হয়েছিল সেখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করেছিল। বর্তমানে এটি হিমুর সমাধি স্থান হিসাবে পরিচিত।

পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধের গুরুত্ব

পানিপথের প্রথম যুদ্ধে জয়লাভ সূত্রে বাবর মােগল সাম্রাজ্যের যে রূপরেখা রচনা করেন পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে জয়লাভ সূত্রে আকবর তাকে গ্রানাইট ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করেন।

  •  (১) এই যুদ্ধের ফলে ৩০ বছর ধরে চলতে থাকা মােগল-আফগান দ্বন্দ্বের পরিসমাপ্তি ঘটে।
  • (২) যুদ্ধে জয়লাভ সূত্রে আকবরের রাজকীয় মর্যাদা, আত্মবিশ্বাস ও প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পায়।
  • (৩) এই যুদ্ধে জয়লাভের ফলে মােগল সাম্রাজ্য দৃঢ়ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়।

উপসংহার :- পরিশেষে বলা যায় যে, পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধের মাধ্যমে ভারতে মােগল সাম্রাজ্যের প্রকৃত ভিত্তি স্থাপিত হয় এবং ভারতে মােগল সাম্রাজ্য বিস্তারের পথ উন্মুক্ত হয়।

(FAQ) পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ কবে হয়েছিল?

১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দের ৫ নভেম্বর।

২. পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ কাদের মধ্যে হয়েছিল?

হিন্দু জেনারেল ও আদিল শাহ সুরির প্রধানমন্ত্রী হেমুর বাহিনী এবং মুঘল বাদশাহ আকবরের বাহিনীর মধ্যে।

৩. পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধের গুরুত্ব কি?

মুঘল সাম্রাজ্য সুদৃঢ় হয় এবং মুঘল-আফগান দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে।

Leave a Comment