বাহমনী রাজ্যের শাসনকালের প্রকৃতি প্রসঙ্গে আভ্যন্তরীণ শান্তি অনুপস্থিত, সংস্কৃতির কেন্দ্র গঠনের প্রচেষ্টা, আত্ম কলহ ও ষড়যন্ত্রের ইতিহাস, দুর্বল শাসন ব্যবস্থা, গাওয়ানের রাজত্বকাল, অভিনেতাদের ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, প্রজাদের কঠোরতা ভোগ, রাজনীতি থেকে কৃষকদের দূরত্ব, শাসকদের ব্যক্তিগত স্বার্থ, শাসকদের জনহিতকর কাজ, নিন্দা ও প্রশংসা সম্পর্কে জানবো।
বাহমনী রাজ্যের শাসনকালের প্রকৃতি
বিষয় | বাহমনি রাজ্যের শাসনকালের প্রকৃতি |
রাজ্য | বাহমনি রাজ্য |
সময়কাল | ১৩৪৭-১৫২৬ খ্রি: |
প্রতিষ্ঠাতা | আলাউদ্দিন বাহমান শাহ |
শ্রেষ্ঠ শাসক | মামুদ গাওয়ান |
ভূমিকা :- বাহমনি রাজ্যের ১৭৯ বছরের শাসনকালে সর্বমোট চোদ্দজন শাসক রাজত্ব করেন। তাদের মধ্যে দু’একজন ব্যতিক্রম ছাড়া সকলেই রক্তপিপাসু, স্বৈরাচারী ও নির্মম ছিলেন। তাঁরা রক্তপাতকেই নিজেদের গৌরব বৃদ্ধির অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতেন।
বাহমনী রাজ্যের শাসনে আভ্যন্তরীন শান্তি অনুপস্থিত
- (১) বাহমনি রাজবংশে অভ্যন্তরীণ শান্তি ছিল না। এই বংশের প্রতিষ্ঠাতা হাসানের ক্ষমতা দখলও অন্ধকারাচ্ছন্ন। যদিও হাসান খুবই যোগ্য শাসক ছিলেন, কিন্তু তিনিও রক্তপাতকেই অনুমোদন করেছিলেন।
- (২) এই প্রসঙ্গে একথা বলা অপ্রাসঙ্গিক হবে না যে, ভারতবর্ষ-এর ইতিহাসে যে কয়েকজন ধর্মান্তরিত মুসলমান ক্ষমতা দখল করেছিলেন, তারাই তুর্কি শাসকদের চেয়ে কঠোর ও নির্মম ছিলেন।
বাহমনী রাজ্যের অত্যাচারী ও লম্পট শাসক
হাসানের উত্তরসূরিরা প্রায় সকলেই অত্যাচারী ও লম্পট ছিলেন। তাদের শাসনতান্ত্রিক প্রতিভা ছিল না।
বাহমনী রাজ্যের শাসনে শান্তি ও সমৃদ্ধি
দ্বিতীয় মহম্মদ শাহের ও ফিরোজ শাহের রাজত্বকাল একমাত্র উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। তাদের শাসনকাল ছিল সবদিক দিয়ে শান্তি ও সমৃদ্ধির যুগ।
বাহমনী রাজ্যের সুলতানের জালিম আখ্যা
হুমায়ুন স্বয়ং বিদ্বান, বাগ্মী ও অন্যান্য বহুগুণের অধিকারী হলেও, তিনি ছিলেন ভীষণ নৃশংস। তিনি ‘জালিম’ আখ্যা লাভ করেছিলেন।
বাহমনী রাজ্যে সংস্কৃতির কেন্দ্র গঠনের প্রচেষ্টা
ফিরোজ শাহ দাক্ষিণাত্যকে ভারতের সংস্কৃতির কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। ফিরিস্তার মতে, তিনি ছিলেন বহু ভাষাবিদ। ফিরোজের সবচেয়ে বড়ো অবদান, তিনি শাসনকার্যে বহু হিন্দু নিয়োগ করেন। তাঁর শাসনকালে দক্ষিণী ব্রাহ্মণরা শাসনকার্যে বিশেষ করে রাজস্ব বিভাগে বিশেষ প্রাধান্য বিস্তার করে।
বাহমনী রাজ্য আত্মকলহ ও ষড়যন্ত্রের ইতিহাস
প্রকৃতপক্ষে, বাহমনি রাজ্যের ইতিহাস আত্মকলহ ও ষড়যন্ত্রের ইতিহাস। এঁদের মোট চোদ্দজন সুলতানের মধ্যে চারজন গুপ্ত ঘাতকের হাতে নিহত হন, দুজনের অতিরিক্ত মদ্যপানে মৃত্যু হয় ও দুজনকে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে সিংহাসন থেকে বঞ্চিত করা হয়। বাহমনি রাজবংশের ইতিহাস যুদ্ধবিগ্রহ ও এক ভয়ঙ্কর রক্তপাতের ইতিহাস।
বাহমনী রাজ্যের দুর্বল শাসন ব্যবস্থা
দক্ষিণের বাহমনি রাজ্যের শাসনব্যবস্থা কখনও সুসংহত ছিল না। বাহমনি রাজ্যের শাসনব্যবস্থা ইসলামের আদর্শ অনুযায়ী গড়ে তোলা হয়েছিল একথা ঠিক নয়। সুলতানই ছিলেন রাষ্ট্রের সর্বময় কর্তা। তবে মন্ত্রীদের পরামর্শ গ্রহণ করার রীতি প্রচলিত ছিল।
বাহমনী রাজ্যে গাওয়ানের রাজত্বকাল
- (১) একমাত্র মামুদ গাওয়ানের পনেরো বছরের শাসনকাল বাহমনি রাজ্যের ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায়। বাহমনি রাজ্যের শাসনব্যবস্থার আমূল সংস্কার সাধন করে, গাওয়ান চরম আনুগত্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় শক্তিকে শক্তিশালী করেন।
- (২) তরফদার বা প্রাদেশিক শাসনকর্তারা অসীম ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। কেন্দ্রীয় শক্তিকে তারা অনেক সময় অমান্য করতেন। তাই মামুদ গাওয়ান কেন্দ্রীয় শক্তিকে নিরঙ্কুশ করার উদ্দেশ্যে তরফদার দের বদলির ব্যবস্থা করেন।
- (৩) তৃতীয় মহম্মদ শাহের রাজত্বকালেই বাহমনি রাজ্যের সর্বাধিক বিস্তৃতি ঘটে। তাই গাওয়ান সমগ্র রাজ্যকে আটটি ‘তরফে’ ভাগ করেন। এই কাজের ফলে তরফদারদের ক্ষমতা সঙ্কুচিত হয় বটে, কিন্তু এর ফলে তরফদাররা গাওয়ানের প্রতি অসন্তুষ্ট হন।
- (৪) ‘তরফদার’রা পরবর্তীকালে ‘দক্ষিণী’ দলের নেতা তেলেঙ্গানার শাসক হাসানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মামুদ গাওয়ানের পনেরো বছরের উজ্জ্বল শাসনকালের এক চরম বিয়োগান্ত পরিণতি ঘটায়।
- (৫) গাওয়ানের শাসনকালে অভিজাতগণ ‘দক্ষিণী’ ও ‘পরদেশি’ দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়ে রাষ্ট্রের সংহতিকে বিপন্ন করে তোলে। এই দ্বন্দ্বই প্রকৃতপক্ষে বাহমনি রাজ্যের প্রকৃত হিতৈষী গাওয়ানের জীবনের অবসান ঘটায় এবং বাহমনি রাজ্যের অস্তিত্বকেও বিপন্ন করে।
ভারতের বাহমনী রাজ্যের শাসনে অভিজাতদের ক্ষমতার দ্বন্দ্ব
- (১) শেষের দিকে বাহমনি রাজ্যের সুলতান বর্তমান থাকা সত্ত্বেও অভিজাতদের ক্ষমতার দ্বন্দ্বে সুলতান কোনোরকম বাধা দিতে সমর্থ হন নি। বাহমনি রাজ্যের শেষের দিকের চারজন সুলতানের অস্তিত্ব ছিল না বললেই চলে।
- (২) সুলতান বর্তমান থাকা সত্ত্বেও রাষ্ট্রের ক্ষমতা কাসিম বারিদের হাতে চলে যায়। তার অযোগ্যতার সুযোগে বাহমনি রাজ্যের অবসান হয়, সেখানে পাঁচটি স্বাধীন রাজ্যের প্রতিষ্ঠা হয়। প্রকৃতপক্ষে, মামুদ গাওয়ানের প্রস্থানের সঙ্গে সঙ্গে বাহমনি রাজ্যের দিন সংক্ষিপ্ত হয়ে আসে।
বাহমনী শাসনে প্রজাদের কঠোরতা ভোগ
ভারতের বাহমনি রাজ্যের প্রজাগণ অত্যন্ত কঠোরতা ভোগ করতেন। তবে এটা যথার্থ, প্রজাগণের সামনে শাসনব্যবস্থায় চাকরির দ্বার উন্মুক্ত ছিল। এমনকি উচ্চপদও তাদের সামনে উন্মুক্ত ছিল। গ্রামের শাসনব্যবস্থা বাহমনি আমলে পূর্বের মতোই ছিল।
বাহমনী রাজ্যের রাজনীতি থেকে কৃষকদের দূরত্ব
- (১) বাহমনি রাজ্যের শাসকগণ যখন রাজনৈতিক ও ধর্মনৈতিক কারণে কোনো সংগ্রামে লিপ্ত হতেন, তখন সাধারণ কৃষকদের তাঁরা কোনোভাবে বিব্রত করতেন না। তারা নির্বিঘ্নে চাষ-আবাদের কাজ চালিয়ে যেত।
- (২) প্রকৃতপক্ষে, সাধারণ কৃষকসমাজ বিজয়নগর ও বিদরের রাজনীতি থেকে দূরে থাকত। গাওয়ানের রাজস্ব নীতির সংস্কারে রাজস্ব আদায়ের ব্যবস্থায় উন্নতি ঘটে এবং কৃষকদের দেয় খাজনা নগদ টাকায় অথবা শস্যে রাষ্ট্রকে দিতে অনুমতি দেওয়া হয়।
বাহমনী রাজ্যের শাসন প্রকৃতি সম্পর্কে নিকিতিনের বর্ণনা
- (১) ১৪৭০ খ্রিস্টাব্দে এথেনাসিয়াস নিকিতিন নামে এক রুশ পর্যটক বিদরে এসেছিলেন। তাঁর বিবরণ বাহমনি রাজ্যের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তিনি বলেছেন, বিদর শহরটি ছিল হিন্দুস্তানে সুলতানদের দ্বারা অধিকৃত অঞ্চলের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ।
- (২) অভিজাত ও সাধারণ জনসাধারণের জীবনযাত্রা তাকে অভিভূত করেছিল। গাওয়ান এই শহরটিকে শিক্ষা ও সংস্কৃতির পীঠস্থানে পরিণত করেছিলেন। তিনি বলেছেন, শহরটি জনবহুল ছিল। কৃষকরা জমি খুব ভালোভাবে চাষ করত। রাস্তাঘাট নিরাপদ ছিল।
- (৩) তবে তিনি রাজদরবারের অভিজাতদের জীবনযাত্রার সঙ্গে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার বিরাট পার্থক্যের কথা উল্লেখ করেছেন। তাঁর বিবরণের উপর নির্ভর করে ভিনসেন্ট স্মিথ বলেছেন যে, দেশের সংখ্যালঘিষ্ঠ অভিজাতরাই দেশের সম্পদ নিঃশেষ করে দিয়েছিল। সাধারণ মানুষের অবস্থা ছিল করুণ।
ভারতের বাহমনী রাজ্যের শাসনে শাসকদের ব্যক্তিগত স্বার্থ
- (১) তবে এই কথায় আমাদের বিস্মিত হলে চলবে না যে, মধ্যযুগে পূর্বের এবং পশ্চিমের সব শাসকগণই নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থে সাধারণ মানুষের অর্থ জলের মতো ব্যবহার করতেন।
- (২) বর্তমান যুগেও শাসকগোষ্ঠী এই প্রবণতা থেকে মুক্ত না। আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তার আদর্শ মধ্যযুগীয় রাষ্ট্রব্যবস্থায় ছিল না বলেই, এই ধরনের প্রবণতা সর্বত্রই প্রচলিত ছিল।
বাহমনী রাজ্যের শাসনে অত্যাচারের প্রমাণ নেই
ভারতের বাহমনি রাজ্যের শাসকগণ শত্রুদের সম্পত্তি লুঠ করত এবং প্রতিটি যুদ্ধে জয়লাভের পর প্রচুর ধনসম্পদ আহরণ করত। কিন্তু কোথাও অত্যাচারের প্রমাণ নেই, এমনকি যুদ্ধের সময়েও।
বাহমনী রাজ্যের শাসন প্রকৃতি সম্পর্কে গ্ৰিবলের অভিমত
তাই ঐতিহাসিক গ্রিবল তাঁর History of the Deccan গ্রন্থে বলেছেন, “But there is no evidence of oppressive exactions from their subjects even in times of war” কিন্তু কোথাও প্রজাগণের কাছ থেকে, এমন কি যুদ্ধের সময়েও জোর করে কোনো কিছু আদায়ের প্রমাণ নেই।
বাহমনী রাজ্যের শাসকদের জনহিতকর কাজ
- (১) বাহমনি রাজ্যের শাসকগণ অত্যাচারী হওয়া সত্ত্বেও কৃষকদের চাষ-আবাদের সুবিধার জন্য জলসেচের ব্যবস্থা করেছিলেন। শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য ও শিল্পের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। গুলবর্গা ও বিদরে কয়েকটি প্রাসাদ ও মসজিদ তাঁদের শিল্পানুরাগের পরিচয় আজও বহন করছে।
- (২) মাহমুদ গাওয়ানের প্রতিষ্ঠিত মহাবিদ্যালয় ও তারই সংলগ্ন পাঠাগারে তিন হাজার গ্রন্থ সংরক্ষিত ছিল। এটি শিক্ষার অগ্রগতির পরিচয় বহন করে। তবে অন্যান্য নরপতিদের মতো বাহমনির শাসকগণ সে রকম জাঁকজমকপূর্ণ অট্টালিকা নির্মাণ করেন নি।
- (৩) বিদরে কয়েকটি অট্টালিকা সম্পর্কে সকলেই উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। বিদরে নির্মিত কয়েকটি দুর্গ, বিশেষ করে গোয়ালিয়র ও নিরমুলা দুর্গকে মিডোজ টেলার স্থাপত্যের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন বলে অভিহিত করেছেন।
বাহমনী রাজ্যের শাসন সম্পর্কে নিন্দা ও প্রশংসা
বাহমনি শাসকদের তাঁদের দীর্ঘদিনের শাসনকাল সম্পর্কে ঐতিহাসিকদের কাছ থেকে নিন্দা ও প্রশংসা দুই-ই প্রাপ্য। যদিও তাদের ইতিহাসকে নিরবচ্ছিন্ন কলঙ্ক ও হিন্দু-বিদ্বেষের চরম নিদর্শন হিসাবেই অনেকে দেখাবার চেষ্টা করেছেন।
বাহমনী রাজ্যের সংগ্ৰামের কারণ
একথা সত্য, তারা নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রামে লিপ্ত ছিলেন, কিন্তু দক্ষিণ ভারতের সংগ্রাম ধর্মভিত্তিক ছিল না। এই সংগ্রামের প্রধান কারণগুলি ছিল রাজনৈতিক, সামরিক ও বাণিজ্যিক।
বাহমনী রাজ্যের শাসনে উদারতা
- (১) চাকরির ক্ষেত্রে হিন্দুদের নিয়োগ তারা রুদ্ধ করে দেন নি। সরকারি রাজস্ব বিভাগে হিন্দুদেরই প্রাধান্য ছিল। জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রেও তাঁরা দৌলতাবাদে একটি মান-মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। একথা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না চতুর্দশ শতাব্দীতে ইউরোপ-এর নরপতিরাও বিরুদ্ধ ধর্মীয় মতবাদে বিশ্বাসী সন্ন্যাসীদের পুড়িয়ে মেরেছিলেন।
- (২) এই পরিপ্রেক্ষিতে বিচার করেই মনে হয়, ঐতিহাসিক মিডোজ টেলার বাহমনি শাসকদের প্রশংসাকে অতিরঞ্জিত বলে অভিহিত করেছেন। কিন্তু মধ্যযুগের মানদণ্ডে তাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও শিল্পানুরাগ প্রশংসার দাবি রাখে।
উপসংহার :- ঐতিহাসিক সতীশ চন্দ্র বলেছেন, ”বাহমনি রাজ্য উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক সেতু রচনা করে। এর ফলে এখানে যে সংস্কৃতি গড়ে ওঠে, তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ছিল এবং উত্তর ভারত থেকে তা ছিল স্বতন্ত্র। বাহমনি রাজ্যে যে সাংস্কৃতিক ঐক্য গড়ে ওঠে, পরবর্তীতে বাহমনি রাজ্য থেকে উদ্ভুত রাজ্যসমূহেও তা অনুসৃত হয় এবং মধ্যযুগে মুঘল সংস্কৃতি গঠনে তা প্রভাব বিস্তার করে।”
(FAQ) বাহমনী রাজ্যের শাসনকালের প্রকৃতি সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
আলাউদ্দিন বাহমান শাহ।
হাসান গঙ্গু।
১৩৪৭-১৫২৬ খ্রি:
মামুদ গাওয়ান।