মহম্মদ বিন তুঘলকের কারাজল অভিযান প্রসঙ্গে কারাজলের সঠিক ভৌগোলিক তথ্য, উত্তর সীমান্ত দৃঢ়ীকরণ, অভিযান প্রেরণ, অভিযানের বিফলতা ও অভিযানের ফলাফল সম্পর্কে জানবো।
মহম্মদ বিন তুঘলকের কারাজল অভিযান
ঐতিহাসিক ঘটনা | কারাজল অভিযান |
সময়কাল | ১৩৩৭-৩৮ খ্রি |
সুলতান | মহম্মদ বিন তুঘলক |
নেতা | খসরু মালিক |
সেনা | ১০ হাজার |
ফলাফল | বিপর্যয় |
ভূমিকা :- সমকালীন ঐতিহাসিক বরণী প্রমুখের কারাজল স্থানটি সম্পর্কে সঠিক ধারণা ছিল না এবং কারাজল অভিযানের উদ্দেশ্যও তারা সঠিকভাবে দেন নি।
কারাজলের সঠিক ভৌগোলিক তথ্য
বরণীর মতে, খোরাসান জয়ের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে মহম্মদ কারাজল অভিযান করেন। কিন্তু কারাজল ছিল হিমালয়ের ক্রোড়ে কুমায়ূন বা গাড়োয়াল রাজ্য। এই স্থানের সঙ্গে ইরাক বা খোরাসান জয়ের কোন সম্পর্ক ভৌগোলিক দিক হতে থাকা অসম্ভব।
চীন অভিযানের লক্ষ্য
ফেরিস্তার মতে, চীন অভিযানের চূড়ান্ত লক্ষ্য নিয়ে সুলতান কারাজল অভিযান করেন। ইবন বতুতার মতে, চীনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত নির্ধারণ ছিল এই অভিযানের লক্ষ্য। কারণ, কারাজলের হিন্দু রাজপুত রাজাদের রাজ্যের ভেতর চীন সম্রাট বলপূর্বক এক মন্দির নির্মাণ করলে সুলতান উদ্বেগ বোধ করেন।
উত্তর সীমান্ত দৃঢ়ীকরণ
আধুনিক গবেষকরা মনে করেন, সুলতান কুমায়ূন-গাড়োয়ালের পার্বত্য উপজাতির আক্রমণ এবং বৈদেশিক হস্তক্ষেপের জন্য উত্তরে তার সীমান্তকে দৃঢ় করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন।
অভিযান প্রেরণ
এই উদ্দেশ্যে সুলতান খসরু মালিকের নেতৃত্বে ১০ হাজার সেনার এক অভিযান পাঠান এবং তারা কতদূর পর্যন্ত এগিয়ে যাবে তা স্থির করে দেন।
মহম্মদ বিন তুঘলকের কারাজল অভিযানের অভিযানের বিফলতা
যাই হোক, এই বাহিনী সুলতানের নির্দেশ অমান্য করে তিব্বতের দিকে এগিয়ে যায়। এরপর বর্ষা এলে পথেঘাটে বিপর্যয় ও রোগের প্রকোপে এই বাহিনী ধ্বংস হয়।
মহম্মদ বিন তুঘলকের কারাজল অভিযানের ফলাফল
বরণীর মতে, এই অভিযানের বিপর্যয়ের ফলে সুলতানের সামরিক মর্যাদা নষ্ট হয় এবং প্রভৃত অর্থ ক্ষতি হয়।
উপসংহার :- যাই হোক এই অভিযান সম্পূর্ণ বিফল হয়নি। সুলতানের হস্তক্ষেপে ভয় পেয়ে, পার্বত্য জাতিগুলি এরপর সমতলে লুণ্ঠন বন্ধ করে। মাসালিক-ই-অবসরের মতে, পার্বত্য উপজাতি সুলতানকে কর দিতে অঙ্গীকার করে।
(FAQ) মহম্মদ বিন তুঘলকের কারাজল অভিযান সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
মহম্মদ বিন তুঘলক।
১৩৩৭-৩৮ খ্রিস্টাব্দে।
খসরু মালিক।