হুমায়ুনের ভাগ্যবিড়ম্বিত নির্বাসিত জীবন

হুমায়ুনের ভাগ্যবিড়ম্বিত নির্বাসিত জীবন প্রসঙ্গে মুঘল বাহিনীর চরম দুর্দশা, হিন্দালের শিবিরে যোগদান, হুমায়ুনের বিবাহ, থাট্টা অভিযান, অবর্ণনীয় দুর্দশা, আশ্রয় লাভ, হুমায়ুনের ভারত ত্যাগের সিদ্ধান্ত ও পারস্যে গমন সম্পর্কে জানবো।

হুমায়ুনের ভাগ্যবিড়ম্বিত নির্বাসিত জীবন

বিষয়হুমায়ুনের ভাগ্যবিড়ম্বিত নির্বাসিত জীবন
সময়কাল১৫৪০-১৫৪৫ খ্রি:
রাজ্যচ্যুত১৫৪০ খ্রি:
আশ্রয় লাভঅমরকোটে
পলায়নপারস্য
হুমায়ুনের ভাগ্যবিড়ম্বিত নির্বাসিত জীবন

ভূমিকা :- শেরশাহ-এর তাড়নায় ১৫৪১ খ্রিস্টাব্দে হুমায়ুন সিন্ধুর সুলতান শাহ আর্ঘুনের কাছ থেকে সাহায্যের প্রত্যাশায় সিন্ধুদেশে ভাক্কারের বিপরীতে অবস্থিত রোহরি নামক স্থানে আশ্রয় গ্রহণ করেন। কিন্তু সিন্ধুর সুলতান শের শাহের বিরাগভাজন হওয়ার ভয়ে হুমায়ুনকে সাহায্য করতে অস্বীকার করেন।

সম্রাট হুমায়ুনের ভাক্কার দুর্গ অবরোধ

হুমায়ুন সাহায্যের জন্য যখন সব রকমের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তখন তিনি ভাক্কার দুর্গ অবরোধ করেন। এদিকে হিন্দাল ও ইয়াদগার মির্জা সেওয়ান দুর্গ দখলের জন্য অগ্রসর হন।

হুমায়ুনের সময় মুঘল বাহিনীর চরম দুর্দশা

হুমায়ুনের ভাক্কার দুর্গ অবরোধে কালক্ষেপ হওয়ায় মুঘল বাহিনী চরম দুর্দশায় পড়ে। কারণ, সিন্ধুর সুলতান শাহ হুসেন ভাক্কার দুর্গের চারদিক থেকে মুঘল বাহিনীর খাদ্য ও পানীয় জোগান বন্ধ করে দেন। হুমায়ুনের কালক্ষেপ এই দুর্দশা ঘটায়।

হিন্দালের শিবিরে হুমায়ুনের যোগদান

হিন্দাল হুমায়ুনের প্রতি বিতৃষ্ণ হয়ে সেওয়ান দুর্গ অবরোধ করেন। এতে হুমায়ুন সন্দিগ্ধ হয়ে ইয়াদগার নাসির মির্জাকে ভাক্কার দুর্গের অবরোধের ভার দিয়ে হিন্দালের শিবির পাতার-এ যোগদান করেন।

হুমায়ুনের বিবাহ

  • (১) ১৫৪১ খ্রিস্টাব্দে হিন্দালের শিবিরেই হিন্দালের শিক্ষক ও সৎ উপদেষ্টা মির আলি আকবরের কন্যা হামিদা বানুকে হুমায়ুনের দেখার সৌভাগ্য হয়। হামিদাবানুর তখন বয়স চোদ্দ বছর। তাঁর পিতা ছিলেন শিয়া মতাবলম্বী। হুমায়ুন হামিদাবানুকে বিবাহের প্রস্তাব দেন।
  • (২) এই পারস্য-ললনার কী প্রখর ব্যক্তিত্ব ও আত্মমর্যাদাবোধ ছিল, তার পরিচয় পাওয়া যায় গুলবদন বেগমের লেখা হুমায়ুননামায়। হুমায়ুনের প্রভাবে হামিদাবানুর উক্তি “আমার ধরাছোঁয়ার বাইরে অনেক উঁচুতে যার বাস, তাঁকে বিয়ে করে আমি কী করব। আমি আমার মতো করে নিত্যদিনের সাহচর্যে যাকে পাব, তাকেই পতিত্বে বরণ করব।”
  • (৩) হিন্দাল হুমায়ুনের এই প্রস্তাবকে গর্হিত অপরাধ বলে মনে করেন। কারণ, হিন্দাল হামিদা বানুকে নিজের বোনের মতো দেখতেন। এই বিয়েতে হামিদা বানুরও আপত্তি ছিল, সে কথা আমরা হুমায়ুননামা থেকে আগেই জেনেছি।
  • (৪) অবশেষে হারেমের মহিলাগণ হামিদা বানুকে এই বিবাহে সম্মত করেন। ১৫৪১ খ্রিস্টাব্দের ২১ আগস্ট হামিদাবানুর সঙ্গে সিংহাসনহারা এক যাযাবর সম্রাট হুমায়ুনের বিবাহ হয়। বিবাহের পর খুব শীঘ্রই ঘুমায়ুন ভাক্কারে প্রত্যাবর্তন করেন। হিন্দাল এই বিবাহের জন্য রুষ্ট হয়ে কান্দাহার অভিমুখে যাত্রা করেন।

হুমায়ুনের থাট্টা অভিযান

  • (১) পলাতক সম্রাট হুমায়ুন এবার সিন্ধুর রাজধানী থাট্টা আক্রমণের জন্য প্রস্তুত হন এবং প্রত্যাবর্তনের পথে তিনি সেওয়ান দুর্গ পুনরায় অবরোধ করেন। কিন্তু সিন্ধুর সম্রাট শাহ হুসেন হুমায়ুনের বিশ্বস্ত ইয়াদগার নাসির মির্জার সঙ্গে তার নিজকন্যার বিবাহ দেন এবং গুজরাট আক্রমণে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁকে নিজপক্ষে আনতে সক্ষম হন।
  • (২) এর ফলে হুমায়ুন বাধ্য হয়ে সেওয়ান দুর্গ ত্যাগ করেন এবং ভাক্কারে ফিরে আসেন। অতঃপর ইয়াগার নাসির মির্জা হুমায়ুনের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করলে, হুমায়ুন সিন্ধু ত্যাগ করে অন্যত্র আশ্রয়ের জন্য ব্যাকুল হন।

মালদেবের হুমায়ুনেকে আহ্বান

  • (১) প্রায় একবছর আগে মারোয়াড়ের রাজা মালদেব হুমায়ুনকে আমন্ত্রণ করেছিলেন, সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করে মালদেবের সাহায্যের আশায় হুমায়ুন যোধপুরের দিকে যাত্রা করেন। কিন্তু এই একবছরের মধ্যে মালদেবের এমন পরিবর্তন ঘটে যে, তিনি হুমায়ুনকে সাহায্যের পরিবর্তে তাঁকে গ্রেপ্তার করে শের শাহের নিকট পাঠাতে প্রস্তুত হন।
  • (২) সম্ভবত শের শাহ হুমায়ুনকে গ্রেপ্তার করে তাঁর কাছে পাঠাবার জন্য মালদেবকে চাপ দিয়েছিলেন। হুমায়ুন মালদেবের আমন্ত্রণে সাড়া দিতে বিলম্ব করায়, শের শাহ মালদেবকে চাপ দিতে সুযোগ পেয়েছিলেন।
  • (৩) হুমায়ুন যদি মালদেবের আমন্ত্রণের সঙ্গে সঙ্গে সাড়া দিতেন, তাহলে তিনি হয়তো শুধুমাত্র মালদেব নয়, সমগ্র রাজপুতদেরই সাহায্য পেতেন। শের শাহের চাপে ভীত মালদেব নিজ অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে হুমায়ুনকে সাহায্য করতে অসম্মত হন।

হুমায়ুনের অবর্ণনীয় দুর্দশা

  • (১) হুমায়ুন মালদেবের রাজ্য ত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং জয়শলমিরের রাজার নিকট আশ্রয় চান, কিন্তু সেখানেও একইভাবে ব্যর্থ হন। হুমায়ুনের সামনে তখন বিকল্প রাস্তা খোলা না থাকায়, পুনরায় তিনি সিন্ধুর দিকে প্রত্যাবর্তন করেন এবং পথিমধ্যে রাজস্থানের মরুভূমিতে প্রচণ্ড গরমে অবর্ণনীয় দুর্দশায় পড়েন।
  • (২) আশ্রয়ের জন্য যার কাছেই সাহায্য চেয়েছেন, সেখানেই ব্যর্থ হয়েছেন, যার ফলে এই সময় তাঁকে মরুভূমিতে একটানা তিনদিন ধরে হাঁটতে হয়। বহু দুঃখ-দুর্দশার মধ্য দিয়ে তিনি স্থান হতে স্থানান্তরে আশ্রয়ের সন্ধানে ঘুরতে থাকেন।

অমরকোটের রানার কাছে হুমায়ুনের আশ্রয় লাভ

অবশেষে ১৫৪২ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে অমরকোটের রানা তাঁকে আশ্রয় দেন। এমনকি তিনি সিন্ধুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে হুমায়ুনকে সাহায্যেরও আশ্বাস দেন। রানা হুমায়ুনকে ও মুঘল মহিলাদের তাঁর প্রাসাদে সাদর অভ্যর্থনা জানান এবং সৈন্য ও অর্থ দিয়ে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন।

ভাক্কার ও থাট্টা আক্রমণের উদ্দেশ্যে হুমায়ুনের যাত্রা

অতঃপর ১৫৪২ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে হুমায়ুন অমরকোটের রানা বীরসালার সাহায্যে মুঘল ও রাজপুত বাহিনীকে যৌথভাবে নিয়ে সিন্ধুর ভাক্কার ও থাট্টা আক্রমণের উদ্দেশ্যে অগ্রসর হন।

সম্রাট হুমায়ুনের নিকট আকবরের জন্ম সংবাদ

হুমায়ুন যখন যৌথ বাহিনী নিয়ে সিন্ধুর প্রায় পনেরো মাইল ভিতরে ঢুকে পড়েছেন, ঠিক তখনই তিনি সংবাদ পান যে, অমরকোটে হামিদাবানু (১৫৪২ খ্রিস্টাব্দের ১৫ অক্টোবর) একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেছেন। এই পুত্র সন্তানই হলেন ভবিষ্যতের মহান আকবর

হুমায়ুনের নতুন মৈত্রী ভঙ্গ

কিন্তু এখানেও আর এক বিপত্তি ঘটে, অমরকোটের রানার বাহিনীর সঙ্গে হুমায়ুনের মুঘল বাহিনীর দ্বন্দ্ব দেখা দেয়, যার ফলে নতুন মৈত্রী ভেঙে যায়।

হুমায়ুনের আমলে বৈরাম খাঁর আবির্ভাব

  • (১) হুমায়ুনের এই সংকটে তাঁর পাশে এসে দাঁড়ান তাঁরই এক পুরাতন বিশ্বস্ত সেবক ও বন্ধু বৈরাম বেগ, যিনি কনৌজের যুদ্ধ-এর পর হুমায়ুনের প্রাণরক্ষা করেছিলেন। এই বৈরাম বেগই পরবর্তীকালে বৈরাম খান নামে পরিচিত হন।
  • (২) তিনিই হুমায়ুনের এই দুঃখ-দুর্দশাময় নির্বাসিত জীবনে প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন। বৈরাম বেগের পরামর্শে ও সহায়তায় হুমায়ুন সিন্ধুর সুলতান শাহ হুসেনের সঙ্গে একটা চুক্তি করতে সমর্থ হন। এই চুক্তি অনুযায়ী ঠিক হয় যে, সুলতান শাহ হুসেন তাঁর রাজ্যের মধ্য দিয়ে হুমায়ূনকে কান্দাহার যাবার সব রকমের ব্যবস্থা করে দেবেন।

হুমায়ুনের ভারত ত্যাগের সিদ্ধান্ত

  • (১) হুমায়ুনও এই দুঃসময়ে চিরতরে ভারত ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। কিন্তু প্রজাদের বিরোধিতার কথা ভেবে হুমায়ুন বৈরামের পরামর্শে কান্দাহারে না গিয়ে পারস্যে যেতে মনস্থ করলেন।
  • (২) কারণ, কান্দাহারের শাসক ছিলেন হুমায়ুনের ভাই কামরান ও আসকরী। তাই অতি তৎপরতার সঙ্গে হুমায়ুন তাঁর একবছরের পুত্র আকবরকে তার কাকাদের দয়ার ওপর ছেড়ে দিয়ে মাসতুং থেকে পারস্যের উদ্দেশ্যে প্রস্থান করেন।

পারস্যের শাহের সাথে হুমায়ুনের সাক্ষাৎ

১৫৪৪ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে আভা ও সুলতানিয়ার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত পারস্যরাজের গ্রীষ্মকালীন রাজধানীতে হুমায়ুনের সঙ্গে পারস্য সম্রাট শাহ তাহমাস্পের সাক্ষাৎ হয়। পারস্যরাজ তাঁর রাজদরবারে একজন সিংহাসনচ্যুত সম্রাটকে অভাবনীয় সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন।

হুমায়ুনের কাছে পারস্যের শাহের শর্ত

  • (১) হুমায়ুন পারস্যরাজের রাজদরবারে কয়েক মাস ছিলেন। পারস্যরাজ ছিলেন গোঁড়া শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত। স্বভাবতই চরম সৌজন্যমূলক আতিথ্য পেয়েও হুমায়ুনকে অনেক অপমান ও যন্ত্রণার মধ্যে কয়েক মাস কাটাতে হয়েছিল। কারণ, শাহ তাঁকে সাহায্য করার পরিবর্তে দুটি শর্ত তাঁর ওপর আরোপ করেন।
  • (২) প্রথমত, হুমায়ুনকে শিয়া ধর্ম গ্রহণ করতে হবে এবং ভারতবর্ষ-এ শিয়া ধর্মকে বিস্তার করতে হবে। দ্বিতীয়ত, আফগানিস্তানে হুমায়ুনের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য হুমায়ুনকে সৈন্যবাহিনী দিয়ে সাহায্য করবেন।
  • (৩) তার বিনিময়ে আফগানিস্তান পুনরুদ্ধারের পর কান্দাহার পারস্যরাজের হাতে তুলে দিতে হবে। হুমায়ুন এই চরম অপমান সত্ত্বেও, তৎকালীন পরিস্থিতিতে পারস্যরাজের দুটি শর্তই মেনে নিতে বাধ্য হন।

হুমায়ুনের ভাগ্যবিড়ম্বিত নির্বাসিত জীবন সম্পর্কে এস রায়ের মন্তব্য

দুঃখ-দুর্দশার এই দিনগুলিতে হুমায়ুনের প্রতি পারস্যরাজের ব্যবহার সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে এস রায় বিখ্যাত Mughal Empire গ্রন্থে বলেছেন, “The Shah’s treatment of Humayun was marked by a curious compound of courtesy and insult, hospitality and hostility, generosity and meanness.”

হুমায়ুনের কান্দাহার জয়

  • (১) সন্ধির শর্তানুযায়ী পারস্যরাজের কাছ থেকে চোদ্দ হাজার পারসিক সৈন্য নিয়ে হুমায়ুন ১৫৪৫ খ্রিস্টাব্দের ২১ মার্চ কান্দাহার অবরোধ করেন। কান্দাহার অবরোধের সময়ই হুমায়ুন তৈমুরবংশীয় শাসক ও অভিজাতদের সমর্থন আদায় করার জন্য বৈরাম খানকে কাবুলে পাঠান।
  • (২) বৈরাম খান কুটনৈতিক কৌশলে তৈমুরবংশীয় বহু অভিজাত ও শাসককে হুমায়ুনের পক্ষে নিয়ে আসেন। মির্জা আসকরী ১৫৪৫ খ্রিস্টাব্দে আত্মসমর্পণ করেন।

হুমায়ুন কর্তৃক পারস্যের বাহিনীকে বিতাড়ন

কান্দাহার বিজয়ের পর পারসিক বাহিনী হুমায়ুনের হয়ে আর যুদ্ধ করতে রাজি হল না। তখন হুমায়ুন হঠাৎ তাঁর সংগৃহীত সেনাবাহিনীর দ্বারা আক্রমণ চালিয়ে পারস্যরাজের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করে পারস্য বাহিনীকে কান্দাহার থেকে হটিয়ে দেন।

হুমায়ুনের নির্বাসিত জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় শেষ

কান্দাহার বিজয় হুমায়ুনের জীবনের গতি পরিবর্তনের ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত। এতকাল পর এই প্রথম তিনি কান্দাহারের মাটিতে পা রাখার জায়গা পেলেন। কিন্তু তখনও তাঁর দুঃখ-দুর্দশার দিনগুলির অবসান ঘটে নি। এইভাবে তাঁর নির্বাসিত জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়ের অবসান ঘটে।

হুমায়ুনের ভারতীয় সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধারের চিন্তা

এবার কান্দাহার থেকেই হুমায়ুন আফগানিস্তান ও ভারতীয় সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধারের চিন্তা করতে থাকেন। পারস্য রাজদরবারে হুমায়ুনের কিছুদিনের আতিথ্য গ্রহণ তাঁর জীবনের একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।

উপসংহার :- পারস্যরাজের সাহায্য ছাড়া ভারতবর্ষে মুঘল সাম্রাজ্যের পুনরুদ্ধার হুমায়ুনের পক্ষে কখনোই সম্ভব হত না। এর দ্বারা সাফাভি ও মুঘল রাজবংশের মধ্যে শুধু যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল তা নয়, এর দ্বারা ভারত ও ইরানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল। আকবরের রাজত্বকালে এর গুরুত্ব সম্যক উপলব্ধি করা যায়।

(FAQ) হুমায়ুনের ভাগ্যবিড়ম্বিত নির্বাসিত জীবন সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. হুমায়ুন রাজ্যচ্যুত হন কবে?

১৫৪০ খ্রিস্টাব্দে।

২. হুমায়ুনকে রাজ্যচ্যুত করেন কে?

শেরশাহ।

৩. হুমায়ুন রাজ্যচ্যুত হয়ে কোথায় পলায়ন করেন?

পারস্যে।

৪. ভারতে হুমায়ুনকে আশ্রয় দেন কে?

অমরকোটের রানা বীরসাল।

Leave a Comment