হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকা -র ধরণ, নামকরণ ও অর্থ, সম্পাদক, প্রকাশকাল, উদ্দেশ্য, বৈশিষ্ট্য, সমকালীন ঘটনার প্রকাশ সম্পর্কে জানবো।
এই হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার ধরণ, সদর দপ্তর, নামকরণ ও অর্থ, প্রকাশ কাল, সম্পাদক কে ছিলেন , মালিকানা, উদ্দেশ্য, হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার বৈশিষ্ট্য, জনপ্রিয়তা, হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার উপর বিদ্যাসাগরের ভূমিকা, হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
সাপ্তাহিক হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকা
ধরণ | সাপ্তাহিক, পরে দৈনিক |
প্রথম সম্পাদক | গিরিশচন্দ্র ঘোষ |
প্রকাশকাল | ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দ |
ভাষা | ইংরেজি |
প্রকাশনা স্থান | কলকাতা |
ভূমিকা :- উনিশ শতকে প্রকাশিত পত্রিকা গুলির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছিল হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকা। সমকালীন বাংলার সমাজিক, রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রকৃত চিত্র জাতীয়তাবাদী ব্যক্তিত্বের সম্পাদনায় নির্ভীক ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে জনসমক্ষে পরিবেশিত হত।
হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার ধরণ
এটি একটি ইংরেজি সাপ্তাহিক পত্রিকা। প্রতি বৃহস্পতিবার এই পত্রিকা প্রকাশিত হতো। পরবর্তীতে পত্রিকাটি জনপ্রিয়তা লাভ করলে ১৮৯২ খ্রিঃ থেকে দৈনিক পত্রিকায় পরিনত হয়।
হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার সদর দপ্তর
এই পত্রিকাটি ছিল ঊনবিংশ শতকের শেষার্ধে অবিভক্ত বাংলায় কলকাতা থেকে ইংরাজী ভাষায় প্রকাশিত একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা।
হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার নামকরণ ও অর্থ
পত্রিকার এই নামকরন করেছিলেন গিরিশ চন্দ্র ঘোষ। হিন্দু প্যাট্রিয়ট কথার অর্থ হল হিন্দু দেশপ্রেমিক।
হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার প্রকাশ কাল
১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দের ৬ ই জানুয়ারি, কলকাতায় মধুসূদন রায়ের প্রেস থেকে গিরিশ চন্দ্র ঘোষের সম্পাদনায় প্রথম হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার আত্মপ্রকাশ ঘটে।
হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন
এই হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকাটি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি সম্পাদনা করেছেন।
- (১) এই পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন গিরিশ চন্দ্র ঘোষ।
- (২) পত্রিকার দ্বিতীয় সম্পাদক ছিলেন হরিশচন্দ্র মুখার্জি।
- (৩) হরিশচন্দ্র মুখার্জির পর হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকায় কিছুদিনের জন্য সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেছিলেন কালীপ্রসন্ন সিংহ।
হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার মালিকানা
- (১) এই পত্রিকার মালিকানা সত্ত্ব ছিলো মধুসূদন রায়ের হাতে।
- (২) পরবর্তীতে ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দের ১ লা জুন পত্রিকাটির মালিকানা কিনে নেন, হরিশচন্দ্র মুখার্জির দাদা হারানচন্দ্র মুখার্জি।
- (৩) হরিশচন্দ্র মুখার্জির মৃত্যুর পর পত্রিকাটির মালিকানা কিনে নেন কালীপ্রসন্ন সিংহ। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত পত্রিকাটি টিকে ছিল।
হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার উদ্দেশ্য
পত্রিকায় প্রকাশিত খবর, সংবাদ বিশ্লেষন এবং সাংবাদিকতার দৃষ্টিভঙ্গি পর্যবেক্ষণ করে এই পত্রিকার উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণা করা যায়। এই উদ্দেশ্য গুলি হল –
- (১) ভারত -এ ব্রিটিশ সরকারের অনিয়ম ও স্বৈরাচারী দিক গুলি প্রকাশ করা।
- (২) সরকারি শাসন নীতির ত্রুটি বিচ্যুতি গুলি তুলে ধরা এবং তার সমালোচনা করা।
- (৩) কৃষকদের ওপর জমিদার, মহাজন ও নীলকরদের অত্যাচারের প্রকৃত রূপ তুলে ধরা।
- (৪) নারী শিক্ষা, বিধবা বিবাহ, পুরুষের বহু বিবাহ রদ ইত্যাদি প্রগতিশীল সংস্কারের স্বপক্ষে জনমত গঠন করা।
- (৫) জাতীয়তাবাদী ভাবধারা ও আদর্শ প্রচার করা ছিল এই পত্রিকার অন্যতম উদ্দেশ্য।
হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার বৈশিষ্ট্য
এই হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য চোখে পড়ে। যেমন –
- (১) এই পত্রিকা ছিল ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা।
- (২) এই পত্রিকা জমিদারদের সংগঠন “ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন” -এর মুখপত্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিল।
- (৩) প্রতি বৃহস্পতিবার এই পত্রিকা প্রকাশিত হত।
- (৪) হিন্দু প্যাট্রিয়ট ছিল ভারতের প্রথম জাতীয়তাবাদী পত্রিকা।
- (৫) হরিশচন্দ্র মুখার্জির সময় এই পত্রিকা কৃষকদের ওপর জমিদার ও নীলকরদের অত্যাচারের সংবাদ নির্ভিক ভাবে পরিবেশন করত।
- (৬) সমকালীন ঘটনাবলীর মূল্যায়নে এই পত্রিকা অন্যান্য পত্র পত্রিকা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এবং প্রগতিশীল চিন্তা ধারার পরিচয় দিয়েছিল।
হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার জনপ্রিয়তা
এই হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকাটির যাবতীয় খ্যাতি ও জনপ্রিয়তা হরিশচন্দ্র মুখার্জির হাত ধরেই এসেছিল।
হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার উপর বিদ্যাসাগরের ভূমিকা
১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে গিরিশচন্দ্র ঘোষ হিন্দু প্যাট্রিয়ট ত্যাগ করলে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সংবাদপত্রের মালিকানা নেন এবং কৃষ্ণদাস পাল (১৮৩৮ – ১৮৮৪) সম্পাদক হন।
হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার স্থায়ীত্ব
পত্রিকাটি ৭১ বছর চলেছিল। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে এর প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়।
অন্যায় অবিচারের প্রধান মুখপত্র হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকা
হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের সক্ষম ও বলিষ্ঠ সম্পাদনায় মূলত হিন্দু প্যাট্রিয়ট শাসকের অন্যায় আচরণ ও অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রধান মুখপত্র হয়ে ওঠে।
হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকায় আইনের বিরোধিতা
‘ইলবার্ট বিল‘, ‘ইমিগ্রেশন বিল’, ‘ভার্নাকুলার প্রেস অ্যাক্ট’ ইত্যাদি আইন প্রনয়ণের সময় হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকায় চা-শ্রমিকদের পক্ষে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বিষয়ে ও দেশীয় ডেপুটি ম্যাজিসেট্রটদের সপক্ষে বিস্তর প্রবন্ধ রচনা করে জনপ্রিয় হয়েছিলেন।
হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকায় সমকালীন ঘটনার প্রকাশ
হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকায় সমকালীন সমাজের বিভিন্ন ঘটনার চিত্র সুন্দরভাবে পরিস্ফুট হয়। যেমন –
(১) হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকায় নারীর অবস্থা প্রকাশ
এই পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে সমাজে নারীর মর্যাদা বৃদ্ধির প্রচার চালানো হয়। বিশেষ করে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিধবা বিবাহ প্রবর্তন করলে হরিশচন্দ্র তার পত্রিকার মাধ্যমে বিধবা বিবাহের সমর্থনে জনমত গড়ে তোলেন। তাছাড়া নারীশিক্ষাকে সমর্থন করে এই পত্রিকায় নারীশিক্ষার পক্ষে ব্যাপক প্রচার চালানো হয়।
(২) হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকায় দরিদ্র মানুষের দুর্দশা প্রকাশ
পত্রিকার সম্পাদক হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় বাংলার তৎকালীন সমাজের দরিদ্র কৃষক ও মজুরদের দুর্দশা ও দুরবস্থার নানা ঘটনার চিত্র এই পত্রিকার মাধ্যমে তুলে ধরেন ।
(৩) হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকায় শোষণ ও অত্যাচারের বিবরণ প্রকাশ
সেই সময়ে বাংলার প্রজারা কিভাবে ব্রিটিশ সরকার, সরকারের পুলিশ, জমিদার ও মহাজনদের শোষণ এবং অত্যাচারের শিকার হত তা এই পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হয় ।
(৪) হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকায় অর্থনৈতিক দুর্দশা প্রকাশ
দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক দুর্দশার চিত্রটিও তুলে ধরা হয় এই পত্রিকায়। কিভাবে ব্রিটিশ সরকার বাংলার চাল ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য রপ্তানি করে মদ আমদানি করত সে বিষয়ে লেখনী ধরে হিন্দু পেট্রিয়ট পত্রিকা।
(৫) হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকায় সামাজিক কুসংস্কার প্রকাশ
এই পত্রিকায় মেয়েদের বাল্যবিবাহ, পুরুষের বহুবিবাহ, মদ্যপান প্রভৃতি সামাজিক প্রথার বিরুদ্ধে নানা সংবাদ নিয়মিত ছাপা হত।
হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকা প্রথম জাতীয়তাবাদী পত্রিকা
সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই পত্রিকা স্বদেশবাসীর স্বার্থ সংরক্ষণে জাতীয়তাবাদী মানসিকতা ও নীতি অবলম্বন করেছিল। তাই হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকাকেই ভারতের প্রথম জাতীয়তাবাদী পত্রিকা বলা হয়ে থাকে।
হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকায় প্রকাশিত ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের খবর
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মহা বিদ্রোহ -এর সময় হিন্দু প্যাট্রিয়ট বিদ্রোহের যাবতীয় খবর গুরুত্ব সহকারে নিয়মিত প্রকাশ করত।
- (১) পত্রিকার তৎকালীন সম্পাদকীয়তে মন্তব্য করা হয়েছিল যে, বিদ্রোহীরা মুঘলদের নেতৃত্বের উপর আস্থা রেখে প্রকৃতই নিজেদের ক্ষতি করেছিল।
- (২) তাঁতীয়া টোপিকে যখন ফাঁসি দেওয়া হয় হিন্দু প্যাট্রিয়ট তাঁকে শহীদের শ্রদ্ধা জানায়।
- (৩) রাণী লক্ষ্মীবাঈ এবং কুনওয়ার সিং -এর প্রচেষ্টার জন্যও তাঁদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করা হয় এই পত্রিকায়।
হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকায় প্রকাশিত নীল বিদ্রোহের খবর
পঞ্চাশের দশকের শেষদিকে হিন্দু প্যাট্রিয়ট নীলকর সাহেবদের দ্বারা ভারতীয় নীলচাষিদের উপরে উৎপীড়ন ও অকথ্য অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়।
হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকায় প্রকাশিত সাঁওতাল বিদ্রোহের খবর
এই হিন্দু প্যাট্রিয়ট ছিল ভারতের একমাত্র পত্রিকা যে আদিবাসী সাঁওতালদের বিদ্রোহকে সমর্থন করেছিল এবং সাঁওতাল সমাজে জমিদার, মহাজন ও বাঙালি ব্যবসায়ীদের শোষনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলো।ব্রিটিশ সরকার সাঁওতাল বিদ্রোহ দমনে তীব্র দমননীতি নিলে হিন্দু প্যাট্রিয়ট তার সমালোচনা করে।
হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকায় প্রকাশিত ডালহৌসির নীতির প্রতিবাদ
লর্ড ডালহৌসি নগ্ন সাম্রাজ্যবাদী নীতি নিয়ে একের পর এক রাজ্য গ্রাস করলে হিন্দু প্যাট্রিয়ট তার তীব্র সমালোচনা করে। “ঝাঁসি অধিকার” শীর্ষক এক সম্পাদকীয়তে হরিশচন্দ্র লেখেন, “ডালহৌসি রাজ্য গ্রাসের যে নির্লজ্জ নীতি নিয়েছেন, তা শয়তানের পক্ষেও লজ্জাজনক”।
হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার বিশেষ ভূমিকা
ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই এই পত্রিকা ইওরোপীয়দের মধ্যে ভারতীয়দের মূল সমস্যা গুলিকে নিয়ে শক্তিশালী আকারে জনমত গঠন করতে সক্ষম হয়েছিল। অন্যান্য পত্র পত্রিকা গুলি সেভাবে ভূমিকা রাখতে পারে নি।
হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকা আর্থ সামাজিক জীবনের মুখপত্র
হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় হিন্দু পেট্রিয়ট পত্রিকা উনিশ শতকের আর্থসামাজিক জীবনের মুখপত্র হয়ে ওঠে ।
হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার গুরুত্ব
উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ইতিহাস রচনার উপাদান হিসাবে হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার গুরুত্ব ছিল অপরিসীম।
- (১) হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকা নির্ভিকতার সাথে সংবাদ পরিবেশন করত।
- (২) সমকালীন ঘটাবলীর মূল্যায়নে প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গির উর্দ্ধে উঠে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তাকে বিচার বিশ্লেষণ করত এই পত্রিকা।
- (৩) হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার এই বিশেষ গুনাবলীর জন্য পত্রিকাটিতে সরবরহ করা তথ্য ইতিহাসের উপাদান হিসাবে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও নির্ভরযোগ্য বলে ঐতিহাসিকরা মনে করে থাকেন।
- (৪) উনিশ শতকে শিক্ষিত বাঙালি মানসের “ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ও মানসিকতার” প্রতিফলন একমাত্র হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকা থেকেই পাওয়া যায়।
উপসংহার :- ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষনের বিরুদ্ধে সংবাদপত্র যে কতটা শক্তিশালী ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে, তার জ্বলন্ত উদাহরণ রেখে গিয়েছিল “হিন্দু প্যাট্রিয়ট”। তাই উনিশ শতকে ভারতে জাতীয়তাবাদী চেতনার শিকড় অন্বেষন করতে হলে, হিন্দু প্যাট্রিয়টকে কখনই ইতিহাসের উপাদান থেকে বাদ দেওয়া যায় না।
প্রিয় পাঠক/পাঠিকা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই “হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকা” পোস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই adhunikitihas.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। যে কোনো প্রশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলো করুণ এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন।
সবশেষে আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে Comment ও Share করে দিবেন, (ধন্যবাদ)।
(FAQ) হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকা সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
গিরিশচন্দ্র ঘোষ।
সাঁওতাল বিদ্রোহ।
গিরিশচন্দ্র ঘোষ।
হরিশচন্দ্র মুখার্জি।
১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দের ৬ ই জানুয়ারি।
ইংরেজি।