চেতক

মেবারের মহারানা প্রতাপ সিংহের ঘোড়া চেতক সম্পর্কে কাথিয়াওয়াড় স্টলিয়ন, উপহার লাভ, জায়গির প্রদান, ঐতিহাসিকদের কাছে মূল্যহীন, মহারানা প্রতাপকে নিরাপত্তা দান, রাজসভার কবিতায় বর্ণনা, প্রথম নামকরণ, গল্পের প্রকাশ, নীল ঘোড়া, জাতীয়তাবাদী প্রতিরোধের প্রতীক, স্মৃতিচারণা ও চেতকের স্মারক সম্পর্কে জানবো।

মহারানা প্রতাপ সিংহের ঘোড়া চেতক প্রসঙ্গে উপহার স্বরূপ চেতককে লাভ, চেতকের জায়গীর প্রদান, ঐতিহাসিকদের কাছে মূল্যহীন চেতক, রাজসভার কবিতায় চেতকের বর্ণনা, চেতকের প্রথম নামকরণ, চেতকের গল্প প্রকাশ, জাতীয়তাবাদী প্রতিরোধের প্রতীক চেতক, চেতকের স্মৃতিচারণা ও চেতকের স্মারক।

ঘোড়া চেতক

ঐতিহাসিক চরিত্রচেতক
প্রজাতিঘোড়া
বংশকাথিয়াওয়াড়ি ঘোড়া
প্রভূমহারানা প্রতাপ সিংহ
রাজ্যমেবার
যুদ্ধহলদিঘাটের যুদ্ধ
মৃত্যু১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দ
চেতক

ভূমিকা:- রাজপুত রাজ্য মেবার -এর মহারানা প্রতাপ সিংহের ঘোড়ার নাম ছিল চেতক। ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দের ১৮ জুন হলদিঘাটের যুদ্ধে চেতকের ভূমিকা ছিল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

কাথিয়াওয়াড়ি স্টলিয়ন

চেতককে গুজরাটের কাথিয়াওয়াড় অঞ্চলে কাথিয়াওয়াড়ি স্টলিয়ন বলে মনে করাহয়।

উপহার স্বরূপ চেতক লাভ

অন্যান্য ঘোড়াসহ চেতককে মেবারে নিয়ে আসা হয় এবং গুজরাটের দান্তি-চরণ ব্যবসায়ীরা প্রতাপ সিংহ ও ​​তার ভাই শক্তি সিংকে উপহার দেন।

চেতকের জায়গির প্রদান

চেতক ও অন্যান্য ঘোড়ার বিনিময়ে দান্তি-চরণ ব্যবসায়ীরা মূলত চোটিলার নিকটবর্তী খোদ গ্রামের পরবর্তীকালে মেবারের গাধওয়াদা ও ভানোল গ্রামের জায়গির প্রদান করা হয়।

ঐতিহাসিকদের কাছে মূল্যহীন চেতক

ঐতিহাসিক সূত্রে ১৫৭৬ সালের ১৮ জুন হলদিঘাটের যুদ্ধে মহারানা প্রতাপ যে ঘোড়ায় চড়েছিলেন তার নাম উল্লেখ করে না এবং তারাএই ঘোড়ার কোনো অস্বাভাবিক কৃতিত্বের কথাও বলেন না।

ঐতিহ্য অনুসারে হলদিঘাটের যুদ্ধে মহারানা প্রতাপের ঘোড়ার নাম ছিল চেতক। আহত হলেও তিনি প্রতাপকে যুদ্ধ থেকে নিরাপদে দূরে নিয়ে যান এবং পরে মারা যান।

রাজসভার কবিতায় চেতকের বর্ণনা

সপ্তদশ শতাব্দীর পর থেকে মেবারের রাজসভার কবিতায় চেতকের গল্পটি বর্ণিত হয়েছে।

প্রথম নামকরণ

অষ্টাদশ শতাব্দীর একটি গীতিনাট্য খুম্মনা রাসোতে ঘোড়াটির প্রথম নামকরণ করা হয় চেতক।

চেতকের গল্প প্রকাশ

১৮২৯ সালে কর্ণেল টড তার অ্যানাল অ্যান্টিকুইটিস অফ রাজস্থান’স বা ভারত -এর কেন্দ্রীয় ও পশ্চিম রাজপুত রাজ্যের ইতিহাস গ্ৰন্থের প্রথম ভাগে চেতকের গল্প প্রকাশ করেছিলেন।

নীল ঘোড়া নামে চেতকের গল্প

কর্ণেল টডের গল্পে চেতকে একসময় “নীল ঘোড়া” হিসাবে উল্লেখ করা হয়। প্রতাপকে এক পর্যায়ে “নীল ঘোড়ার সওয়ার” বলা হয়।

জাতীয়তাবাদী প্রতিরোধের প্রতীক চেতক

এই গল্প রাজস্থান ছাড়িয়ে বাংলায় এবং অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে। প্রতাপকে আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে দেখা হয় এবং ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।

চেতকের স্মৃতিচারণা

প্রতাপ ও ​​চেতকের বেশ কিছু মূর্তি ও স্মৃতিস্তম্ভ উত্থাপিত হয়েছে। উদয়পুর -এর মতি মাগরি পার্কে একটি অশ্বারোহী মূর্তি স্থাপন করেছিলেন মেবারের ভগবন্ত সিংহ।আরেকটি যোধপুর শহরকে উপেক্ষা করে।

চেতক স্মারক

রাজসমন্দের হলদিঘাট -এ চেতক স্মারক বর্তমান রয়েছে। চেতক যেখানে পড়েছিল সেই জায়গাটিকে চিহ্নিত করে এই স্মারক নির্মাণ করা হয়।

উপসংহার:- হেলিকপ্টার এইচএএল চেতক যেটি অ্যারোস্প্যাটিলে অ্যালুয়েট III-এর একটি লাইসেন্স প্রাপ্ত মডেল ঘোড়ার নামে নামকরণ করা হয়েছে।


প্রিয় পাঠক/পাঠিকা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই “চেতক” পোস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই adhunikitihas.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। যে কোনো প্রশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলো করুণ এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন।

সবশেষে আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে Comment ও Share করে দিবেন, (ধন্যবাদ)।

(FAQ) চেতক সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. মহারানা প্রতাপ সিংহের ঘোড়ার নাম কি?

চেতক।

২. কোন যুদ্ধে চেতক আহত হয়ে মৃত্যুবরণ করে?

হলদিঘাটের যুদ্ধ।

৩. চেতকের স্মারক কোথায় আছে?

রাজসমন্দের হলদিঘাটে।

Leave a Comment