ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি

ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি -র প্রতিষ্ঠা, প্রতিষ্ঠাকাল, স্থান, প্রতিষ্ঠাতা, উদ্দেশ্য, ভারতের কথা তুলে ধরা, সোসাইটির মুখপত্র, জমিদার সভার সভার সাথে যোগ, দ্বারকানাথ ঠাকুরের ইংল্যান্ড গমন ও সোসাইটির অবলুপ্তি সম্পর্কে জানবো।

ইংল্যাণ্ডে প্রতিষ্ঠিত ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি প্রসঙ্গে ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা, ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটির প্রতিষ্ঠাকাল, ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি গঠনের উদ্দেশ্য, ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটির অবস্থান, ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটির উদ্দেশ্য, ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা উইলিয়াম অ্যাডাম, জমিদার সভার সাথে ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটির যোগাযোগ ও ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটির অবলুপ্তি।

১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দের ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি

ভূমিকা :- ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসনের প্রকৃত প্রকৃতিকে শোষণমূলক, বিজাতীয় শাসন হিসেবে বুঝতে ভারতীয়দের ১০০ বছরেরও বেশি সময় লেগেছে।

ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি

ভারতে জাতীয়তাবাদ অবশ্যই ১৮৮৫ সালে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠার পরে বৃদ্ধি পেয়েছিল। অবশ্য তার আগে কিছু ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক সংগঠন ছিল, যেগুলি স্বাধীনতা সম্পর্কে কিছু আদিম ধারণা নিয়ে এসেছিল। তাদের মধ্যে প্রথমটি ছিল ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি।

ভারতের কথা তুলে ধরা

উইলিয়াম অ্যাডাম ভারতে রাজা রামমোহন রায় -এর সংস্পর্শে এসেছিলেন এবং ইংল্যান্ডে ফিরে তিনি জর্জ থম্পসন, উইলিয়াম এডনিস এবং মেজর জেনারেল ব্রিগস-এর সাথে ভারতের কথা তুলে ধরেন।

ব্রিটিশ ইণ্ডিয়া সোসাইটির প্রতিষ্ঠাকাল

১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে ব্রিটিশ ইণ্ডিয়া সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

ব্রিটিশ ইণ্ডিয়া সোসাইটির অবস্থান

ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইংল্যাণ্ডে।

ব্রিটিশ ইণ্ডিয়া সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা

ভারতবাসীর কল্যাণার্থে ইংরেজ সমাজকে ভারতের প্রকৃত অবস্থা জানানোর জন্য রামমোহন-সুহৃদ উইলিয়ম অ্যাডাম ইংল্যাণ্ডে ব্রিটিশ ইণ্ডিয়া সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন।

ব্রিটিশ ইণ্ডিয়া সোসাইটির উদ্দেশ্য

ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান সোসাইটির উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন জায়গায় সভা আয়োজন করা এবং ভারত সম্পর্কে ইংল্যাণ্ডের জনসাধারণকে অবহিত করা।

ব্রিটিশ ইণ্ডিয়া সোসাইটির মুখপত্র

১৮৪১ খ্রিস্টাব্দে অ্যাডাম ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ান এ্যাডভোকেট নামে সমিতির একটি সাপ্তাহিক মুখপত্র প্রকাশ করেন।

জমিদার সভার সাথে ব্রিটিশ ইণ্ডিয়া সোসাইটির যোগাযোগ

দ্বারকানাথ ঠাকুর, প্রসন্নকুমার ঠাকুর ও রাজা রাধাকান্ত দেব প্রতিষ্ঠিত জমিদার সভা-র সঙ্গে এই সমিতির যোগাযোগ স্থাপিত হয় এবং অ্যাডাম ও প্রখ্যাত ইংরেজ বক্তা জর্জ টমসন ভারতের অনুকূলে ইংল্যাণ্ডে প্রচারকার্য চালাতে থাকেন।

দ্বারকানাথ ঠাকুরের ইংল্যাণ্ড গমন

১৮৪২ সালে দ্বারকানাথ ঠাকুর চন্দ্রমোহন চ্যাটার্জি এবং পরমানন্দ মৈত্রের সাথে ইংল্যান্ডে যান এবং জর্জ থমসনের সাথে ইংল্যান্ড থেকে ফিরে আসেন।

ব্রিটিশ ইণ্ডিয়া সোসাইটির অবলুপ্তি

১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটির অবলুপ্তি ঘটে।

উপসংহার :- ইংল্যাণ্ডের জনসাধারণের কাছে ভারতের অবস্থা তুলে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা করে ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি। কিন্তু স্বল্প স্থায়ীত্বের কারণে তেমন গুরুত্ব লাভ করতে পারে নি।

প্রিয় পাঠক/পাঠিকা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই “ব্রিটিশ ইণ্ডিয়া সোসাইটি” পোস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই adhunikitihas.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। যে কোনো প্রশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলো করুণ এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন।

সবশেষে আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে Comment ও Share করে দিবেন, (ধন্যবাদ)।

(FAQ) ব্রিটিশ ইণ্ডিয়া সোসাইটি সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

অন্যান্য ঐতিহাসিক ঘটনা বা গল্পগুলি

• কেন্দ্রীয় চোল শাসন
• সাম্রাজ্য ও রাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মধ্যে পার্থক্য
• অর্থনীতিতে দাসপ্রথার গুরুত্ব
• রোমের দাসদের মুক্তির উপায়
• রোমান সাম্রাজ্য ও উপমহাদেশীয় সাম্রাজ্যগুলির মধ্যে যোগাযোগের প্রভাব
• জাস্টিনিয়ান পরবর্তী রাজবংশ
• রোমান সমাজে নারীর অবস্থান
• বাইজানটাইন সভ্যতা-সংস্কৃতির নানা দিক
• রোমান সাম্রাজ্য ও ভারতীয় উপমহাদেশ