হেলেন কেলার

বাক, শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হেলেন কেলার প্রসঙ্গে তার জন্ম, ছেলেবেলা, অসুস্থতা, অসহায়তা, শিক্ষা, ইউরোপ ভ্রমণ, সমাজসেবা, রাজনৈতিক জীবন, সাহিত্য সম্ভার, চলচ্চিত্র নির্মাণ ও তার মৃত্যু সম্পর্কে জানবো।

বাক, শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হেলেন কেলার

ঐতিহাসিক চরিত্রহেলেন কেলার
জন্ম২৭ জুন, ১৮৮০ খ্রি:
দেশআমেরিকা
পরিচিতিরাজনৈতিক কর্মী ও লেখক
বিখ্যাত গ্রন্থদি স্টোরি অফ মাই লাইফ
মৃত্যু১ জুলাই, ১৯৬৮ খ্রি:
বাক, শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হেলেন কেলার

ভূমিকা :- বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধিত্ব নিয়ে মাত্র চব্বিশ বছর বয়সে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরবর্তীতে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন হেলেন কেলার। তিনি প্রতিবন্ধী শিশুদের অধিকারের জন্য আজীবন লড়াই করেছেন। একই সাথে তিনি ছিলেন একজন গুরুত্বপূর্ণ লেখক ও রাজনৈতিক কর্মী।

হেলেন কেলারের জন্ম

১৮৮০ সালের ২৭শে জুন উত্তর আমেরিকার টুসকুমবিয়া নামে এক ছোট শহরে হেলেনের জন্ম।

লেখক হেলেন কেলারের পিতৃপরিচয়

বাবার নাম আর্থার কেলার, মায়ের নাম ক্যাথরিন। আর্থার ছিলেন সামরিক বিভাগের একজন অফিসার। জন্ম সূত্রে সুইডিশ। তার পূর্বপুরুষরা ভাগ্য অন্বেষণে আমেরিকায় এসেছিল।

হেলেন কেলারের ছেলেবেলা

জন্মের সময় হেলেন ছিলেন সুস্থ সবল স্বাভাবিক আর দশটি শিশুর মত। এক বছর বয়সে তার কলকাকলি আর চঞ্চল পদশব্দে সমস্ত ঘর ভরে উঠত। দেখতে দেখতে এক বছর সাত মাসে পা দিলেন হেলেন।

রাজনৈতিক কর্মী হেলেন কেলারের অসুস্থতা

  • (১) একদিন মা তাকে গোসল করিয়ে ঘর থেকে বার হচ্ছিলেন। মায়ের কোল থেকে মাটিতে পড়ে গেলেন হেলেন। সাথে সাথে জ্ঞান হারালেন হেলেন। যখন জ্ঞান ফিরল তখন প্রবল জ্বর। একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে তারা দেখলেন আর জ্বর নেই হেলেনের।
  • (২) হঠাৎ যেমন জ্বর এসেছিল তেমনিভাবেই জ্বর ছেড়ে গিয়েছে। আনন্দে উল্লসিত হয়ে উঠলেন মা-বাবা। তখন তারা কল্পনাও করতে পারেননি ভয়ঙ্কর এক দুর্যোগ নেমে এসেছে তাদের একমাত্র সন্তানের জীবনে।
  • (৩) অল্প কিছুদিন যেতেই অনুভব করলেন, আকস্মিক আসা সেই জ্বর কেড়ে নিয়েছে হেলেনের দৃষ্টিশক্তি আর শ্রবণশক্তি। ডাক্তাররা পরীক্ষা করে বললেন, পাকস্থলী আর মস্তিষ্কে আঘাত পাওয়ার জন্যই হেলেনের জীবনের এই বিপর্যয়।

হেলেন কেলারের অসহায়তা

মেয়ের এই অসহায়তা দেখে বিচলিত হয়ে পড়লেন কেলার দম্পতি। তারা ধরেই নিয়েছিলেন এই মেয়ের জীবনে আর কোনো আশা নেই, আলো নেই। একমাত্র যদি কোনো অলৌকিক ঘটনা ঘটে। হেলেন তখন পাঁচ বছর বয়স। চিকিৎসকদের উপর সব বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিলেন আর্থার।

লেখক হেলেন কেলারের ওপর গুপ্ত বিদ্যা প্রয়োগ

  • (১) এমন সময় সংবাদ পেলেন গুপ্তবিদ্যায় পারদর্শী এক ব্যক্তি নাকি দুরারোগ্য যে কোনো ব্যাধি সারাতে পারেন। হেলেনকে তার কাছে নিয়ে গেলেন আর্থার।
  • (২) গুপ্তবিদ্যার প্রভাব হেলেনের জীবনে কোন পরিবর্তন হল না, কিন্তু সেই ভদ্রলোক হেলেনকে লেখাপড়া শেখাবার পরামর্শ দিলেন। তাহলে হয়ত হেলেনের জীবনে পরিবর্তন আসতে পারে।

পার্কিনস ইনস্টিটিউশনে হেলেন কেলারের আগমন

  • (১) আর্থার ভেবে পেলেন না তার এই বোবা অন্ধ মেয়েকে কিভাবে লেখাপড়া শেখাবেন। ভাগ্যক্রমে সেই সময় ওয়াশিংটনের বিখ্যাত ডাক্তার আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল-এর সাথে পরিচয় হল।
  • (২) ডাক্তার বেল তাকে পরামর্শ দিলেন বোস্টনের পার্কিনস ইনস্টিটিউশনের সাথে যোগাযোগ করতে। এই প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেছিলেন ডাক্তার হো। এখানে অন্ধদের কিভাবে শিক্ষা দেওয়া যায় তাই শিক্ষা দেওয়া হত।
  • (৩) ডাক্তার হো হেলেনের মত একটি অন্ধ বোবা মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। স্বামীর সাথে ক্যাথারিনও এই প্রতিষ্ঠানটির সম্বন্ধে কৌতূহলী হয়ে উঠলেন। সেই সময়ে হো মারা গিয়েছিলেন।
  • (৪) পার্কিনস ইনস্টিটিউশনের নতুন ডিরেক্টর হয়ে এসেছিলেন মাইকেল এ্যাগানোস। তিনি কেলার দম্পতির মুখে হেলেনের সমস্ত কথা শুনে একজন শিক্ষয়িত্রীর উপর তার শিক্ষার ভার দেবার পরামর্শ দিলেন।

হেলেন কেলারের অন্ধকার জীবনে অ্যানির আগমন

  • (১) একদিন সকালে আলবামা শহরে কেলার পরিবারের বাড়িতে এসে হাজির হলেন একুশ বছরের এক তরুণী মিস অ্যানি সুলিভ্যান ম্যানসফিল্ড। হেলেন কেলারের অন্ধকার জীবনে তিনি নিয়ে এলেন প্রথম আলো।
  • (২) অ্যানির ছেলেবেলা থেকেই দৃষ্টিশক্তি কম ছিল, তাই তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হল ম্যাসচুসেট প্রতিবন্ধী আশ্রমে। এই সময় অ্যানি পার্কিনস ইনস্টিটিউটের কথা শুনতে পান। পার্কিনস ইনস্টিটিউটে ছয় বছর ছিলেন অ্যানি।
  • (৩) কয়েকজন বিখ্যাত ডাক্তার এই প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিলেন। তাদের চিকিৎসায় এবং দুবার অপারেশনের পর চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টি ফিরে পেলেন অ্যানি। অন্ধত্বের নিদারুণ যন্ত্রণার কথা ভেবে অ্যানি স্থির করলেন তিনি অন্ধদের শিক্ষা দেওয়ার কাজেই নিজের জীবনকে উৎসর্গ করবেন।
  • (৪) সেদিন ছিল ৩রা মার্চ ১৮৮৭। প্রতিটি বস্তুর সাথে প্রথমে পরিচয় করাতেন অ্যানি। হেলেন তার স্পর্শ অনুভূতি দিয়ে বুঝতে চেষ্টা করতেন তার উপর লিখতেন সেই বস্তুর নাম।
  • (৫) কখনো আবার হেলেনকে দিয়ে বার বার লেখাতেন সেই নাম। অল্পদিনেই প্রকাশ পেল হেলেনের অসামান্য প্রতিভা। অ্যানি যা কিছু শেখাতেন অবিশ্বাস দ্রুততায় তা শিখে নিতেন হেলেন।

ব্রেন পদ্ধতিতে হেলেন কেলারের শিক্ষা

লুই ব্রেলা আবিষ্কৃত ব্রেন পদ্ধতিতে (এই পদ্ধতিতে অন্ধরা পড়াশুনা করে) হেলেন কয়েক বছরের মধ্যে শিখলেন ইংরাজি, লাটিন, গ্রীক, ফরাসী এবং জার্মান ভাষা। আঙুলের স্পর্শের মাধ্যমে তিনি খুব সহজেই নিজের মনোভাব প্রকাশ করতেন।

হেলেন কেলারের শিক্ষাজীবন

১০ বছর বয়সে নরওয়েতে উদ্ভাবিত এক পদ্ধতি অনুসরণ করে কথা বলা শেখেন হেলেন। ১৯০০ সালে রেডক্লিফ কলেজে ভর্তি হন যেখানে বিশ্ববিখ্যাত লেখক মার্ক টোয়েনের সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে। ১৯০৪ সালে হেলেন প্রথম দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি হিসেবে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ডিগ্রি অর্জনের আগেই তার আত্মজীবনী দ্যা স্টোরি অব মাই লাইফ প্রকাশিত হয়।

রাজনৈতিক কর্মী হেলেন কেলারের অনুরাগী

লেখক হেলেনের একজন অনুরাগী ছিলেন বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোকাল ফিজিওলজির অধ্যাপক আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল (ডাক্তার বেলই প্রথম হেলেনের বাবাকে পার্কিনস ইনস্টিটিউটের সন্ধান দেন)। ডাক্তার বেলই টেলিফোনের আবিষ্কারক। হেলেনকে নিজের কন্যার মত স্নেহ করতেন, তাকে নানাভাবে সাহায্য করতেন।

হেলেন কেলারের ইউরোপ ভ্রমণ

ডাক্তার বেলের নেশা ছিল দেশভ্রমণের। হেলেন এবং অ্যানিকে সঙ্গী করে বেরিয়ে পড়লেন ইউরোপ-এ।

লেখক হেলেন কেলারের রচনা

দেশ ভ্রমণ, সমাজ কল্যাণকর কাজের মধ্যেও তিনি নিয়মিত লেখালেখি করতেন। তার লেখা কয়েকখানি উল্লেখযোগ্য বই, আমার জীবন কাহিনী, ১৯০৩ (The story of my life) আমার জগৎ ১৯০৮ (The world I live in), বিশ্বাস রাখ, ১৯০৪, (Let us have faith) শিক্ষিকা মিস অ্যানি স্যুলিভান, ১৯৫৫ (Teacher Annie Sullivan ), খোলা দরজা, ১৯৫৭ (The open door) I

হেলেন কেলারের সমাজসেবা

  • (১) ১৯৫০ সালে সতের বছর বয়সে পা দিলেন হেলেন কেলার। সমাজের বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষের জন্য সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও গণমানুষের সহায়তা অর্জনে হেলেন প্রচেষ্টা চালান। এতে তিনি ব্যাপক সফলতাও লাভ করেন।
  • (২) তার জীবদ্দশায় যুক্তরাষ্ট্রের সকল প্রেসিডেন্টের এবং আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল, মার্ক টোয়েন, চার্লি চ্যাপলিন-এর মতো বিখ্যাত ব্যক্তিদের সহায়তা পান।
  • (৩) হেলেন ১৯১৫ সালে জর্জ কেসলারকে সাথে নিয়ে হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। সংস্থাটি এখনও বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি ব্যক্তিদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
  • (৪) ১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের অনুরোধে হেলেন কেলার বিভিন্ন হাসপাতালে যুদ্ধাহত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নাবিক ও সৈনিকদের দেখতে যেতেন এবং শান্তি ও আশার বাণী শোনাতেন।
  • (৫) যুদ্ধ শেষ হলে বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বিশ্বব্যাপী এক আন্দোলন গড়ে তোলার প্রয়াস চালান। প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে তিনি মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন।

লেখক হেলেন কেলারের রাজনৈতিক জীবন

  • (১) রাজনৈতিক বিষয় নিয়েও হেলেন লেখালেখি করেছেন। তিনি ছিলেন American Socialist Party-র সমর্থক। তিনি সেখানে ১৯০৯ সালে যোগদান করেন। তিনি আয়ের সুষম বণ্টন দেখতে চাইতেন।
  • (২) ধনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার অসমতার শেষ দেখাই ছিল তার ইচ্ছা। তার বই ‘Out of The Dark’-এ এই বিষয়ে আলাদা আলাদা রচনা লিখেছেন। প্রত্যেকটি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি Eugene V Debs এর সমর্থন পেয়েছেন। 
  • (৩) ১৯১২ সালে তিনি Industrial Workers of the World (IWW) -এ যোগদান করেন। হেলেন ছিলেন একজন Pacifist এবং তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধ-এ আমেরিকার যোগদানের বিরুদ্ধে ছিলেন।

হেলেন কেলারের সাহিত্য সম্ভার

তিনি  ১২ টি বই রচনা করেন। দি স্টোরি অফ মাই লাইফ (১৯০৩), লেট আস হ্যাভ ফেইথ, দি ওয়ার্ল্ড আই লিভ ইন (১৯০৮), ওপেন ডোর ইত্যাদি এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য।

চলচ্চিত্র নির্মাতা হেলেন কেলার

তিনি বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অভিশপ্ত বিড়ম্বনা জীবনের বিষাদের ওপর একটি চলচ্চিত্র (Deliverance-1919) নির্মাণ করেন। চলচ্চিত্রে তার নিজের ভূমিকায় তিনি নিজেই অভিনয় করেছেন।

হেলেন কেলারের একটি কবিতা

“আমার দৃষ্টিদ্বয় তারা সরিয়ে নিল

যেখানে যা হওয়া উচিত ছিল

কিন্তু আমি স্মরণ করি মিল্টনের স্বর্গখনি,

আমার শ্রবণদ্বয় তারা সরিয়ে নিল

যেখানে যা হওয়া উচিত ছিল

বীথোভেন এসে মুছালো আমার চোখের পানি।

আমার জিহ্বা তারা সরিয়ে নিল

যেখানে যা হওয়া উচিত ছিল

যখন আমি ছোট ছিলাম

ঈশ্বরের সাথে কত কথা,

সম্পূর্ণ পোষণ করি

তিনি তাদের অনুমতি দিবেন না

সরিয়ে নিতে আমার আত্মা।”

হেলেন কেলারের সম্বর্ধনার আয়োজন।

প্যারিসে এক বিরাট সম্বর্ধনার আয়োজন করা হল। দেশ-বিদেশ থেকে সাংবাদিকের দল এসে ভিড় করল প্যারিসে। সকলেই ভেবেছিল তিনি বোধ হয় এই কর্মময় জীবন থেকে ছুটি নেবেন। মৃত্যু পর্যন্ত তিনি কাজ করেছেন।

হেলেন কেলারের মৃত্যু

লেখক ও রাজনৈতিক কর্মী হেলেন কেলার ছিলেন এক অন্য ধাতুতে গড়া মানুষ। সেবা আর কর্মের মাঝেই একাত্ম হয়েছিল তার জীবন। তাই ১লা জুলাই ১৯৬৮ সালে যখন তিনি মারা গেলেন তখনও তিনি ছিলেন কর্মরত।

হেলেন কেলারের স্মৃতি

তার স্মৃতিকে অম্লান করে রাখা ও তার অসামান্য কৃতিত্বের জন্য ১৯৭৭ সালে ‘আমেরিকান এসোসিয়েশন ফর দি ওভারসীজ ব্লাইন্ড’ যার বর্তমান নাম হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল গঠন করা হয়েছে।

উপসংহার :- পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেও হেলেন কেলার আজও পৃথিবীর সমস্ত বিকলাঙ্গ পঙ্গু প্রতিবন্ধী মানুষের কাছে এক প্রেরণা আর আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। মানব সভ্যতার ইতিহাসে এমন জীবনের দৃষ্টান্ত প্রকৃতই বিরল।

(FAQ) বাক, শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হেলেন কেলার সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. হেলেন কেলার কে ছিলেন?

বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধি হেলেন কেলার প্রতিবন্ধী শিশুদের অধিকারের জন্য আজীবন লড়াই করেছেন।

২. হেলেন কেলারের জন্ম কোন দেশে?

আমেরিকা।

৩. হেলেন কেলারের বিখ্যাত গ্ৰন্থের নাম কি?

দি স্টোরি অফ মাই লাইফ।

Leave a Comment