ভারতের লোকসভা

ভারতের লোকসভা -র সর্বোচ্চ কোরাম, লোকসভার মেয়াদ, লোকসভা টিভি, সদস্যদের যোগ্যতা, নির্বাচন পদ্ধতি, সভাপতি, কার্য কাল, সভাপতির বেতন ও ভাতা, লোকসভার অধিবেশন, ক্ষমতা ও কার্যাবলী সম্পর্কে জানবো।

ভারতের লোকসভা প্রসঙ্গে লোকসভার সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যা, বর্তমানে লোকসভার সদস্য সংখ্যা, লোকসভার মেয়াদ, লোকসভার সদস্যদের যোগ্যত, লোকসভার সভাপতি, লোকসভার কার্যকাল, লোকসভার সভাপতির বেতন ও ভাতা, লোকসভার লোকসভার ক্ষমতা ও কার্যাবলী, লোকসভার বর্তমান অধ্যক্ষ, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের লোকসভা আসনের সংখ্যা ও রাজনৈতিক দল অনুযায়ী লোকসভার আসনের সংখ্যা।

ভারতের লোকসভা

ধরণনিম্নকক্ষ
অধ্যক্ষওম বিড়লা (জুন ১৯, ২০১৯ থেকে)
প্রধান সচিবস্নেহলতা শ্রীবাস্তব
আসন৫৪৫ (৫৪৩ জন নির্বাচিত + ২ জন মনোনীত)
লোকসভা

ভূমিকা :- ভারতীয় সংসদ -এর নিম্নকক্ষ হল লোকসভা। এই কক্ষের প্রতিনিধিরা প্রত্যক্ষভাবে জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত হন। ২০১৯ সাল পর্যন্ত ভারত -এ মোট সতেরোটি লোকসভা গঠিত হয়েছে।

সর্বোচ্চ কোরাম

সংবিধান অনুযায়ী লোকসভা বা সংসদের নিম্ন কক্ষের প্রতিনিধিদের সর্বোচ্চ কোরাম সংখ্যা ৫৫২।

কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রতিনিধি

কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি সর্বোচ্চ ২০ জন প্রতিনিধি প্রেরণ করতে পারে।

রাষ্ট্রপতির মনোনীত

রাষ্ট্রপতি যদি মনে করেন সভায় অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান সম্প্রদায়ের যথেষ্ট প্রতিনিধি নেই তাহলে তিনি সর্বোচ্চ দুইজনকে মনোনীত করতে পারেন।

বর্তমানে লোকসভার কোরাম সংখ্যা

বর্তমানে অধ্যক্ষ এবং দুইজন মনোনীত প্রতিনিধি (যদি থাকেন) সহ লোকসভার মোট সদস্য বা কোরাম সংখ্যা হল ৫৪৫।

লোকসভার মেয়াদ

প্রত্যেক লোকসভার মেয়াদ পাঁচ বছর। পাঁচ বছর অন্তর এই সভা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বিলুপ্ত হয়ে যায়। তবে জরুরি অবস্থা ঘোষণার মাধ্যমে এই সভার মেয়াদ একবছর বাড়ানো যায়।

সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশন

২০০১ সালের ভারতীয় জনগণনার পরিপ্রেক্ষিতে লোকসভা কেন্দ্রগুলির সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য গঠিত হয় সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশন।

লোকসভা টিভি

বর্তমানে লোকসভা টিভি নামে লোকসভার একটি নিজস্ব একচেটিয়া টেলিভিশন চ্যানেল আছে। এর সদরদপ্তর লোকসভা সংসদ ভবন চত্বরেই অবস্থিত।

সদস্যের যোগ্যতা

ভারতের সংবিধানের ৮৩ নং অনুচ্ছেদে সংসদের দুই কক্ষের সদস্য হওয়ার যোগ্যতা উল্লেখ করা হয়েছে।

  • (১) লোকসভার সদস্যদের অবশ্যই ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের নাগরিক হতে হয়।
  • (২) ন্যুনতম বয়স ২৫ বছর হতে হবে।
  • (৩) সংরক্ষিত আসনের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে অবশ্যই তফসিলি জাতি বা উপজাতির অন্তর্গত হতে হবে।
  • (৪) অনাগরিক, আদালত কর্তৃক বিকৃত মস্তিষ্ক বা দেউলিয়া ঘোষিত অথবা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের লাভজনক কোনো পদে চাকুরিরত ব্যক্তিরা লোকসভার সদস্যপদের প্রার্থী হতে পারেন না।

লোকসভার প্রার্থী নির্বাচন পদ্ধতি

লোকসভার সদস্য বা এমপি (MP) গণ সর্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে জনগণের দ্বারা প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচিত হন।

লোকসভার সভাপতি

নবগঠিত লোকসভার সদস্যরা প্রথম অধিবেশনে নিজেদের মধ্য থেকে সভাপতি হিসেবে একজনকে অধ্যক্ষ বা স্পিকার হিসেবে নির্বাচন করেন। কাজকর্ম পরিচালনা করেন স্পিকার বা অধ্যক্ষ। তার অনুপস্থিতিতে উপাধ্যক্ষ সেই দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

লোকসভার কার্যকাল

  • (১) সাধারণত লোকসভার কার্যকাল সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা এবং দুপুর ২টো থেকে সন্ধ্যে ৬ টা পর্যন্ত।
  • (২) প্রত্যেক বৈঠকের প্রথম ঘণ্টাটি প্রশ্নোত্তর কাল বা কোশ্চেন আওয়ার নামে পরিচিত। এই পর্বে সদস্যরা নির্দিষ্ট সরকারি মন্ত্রকের বিষয়ে প্রশ্ন রাখেন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা সেই সব প্রশ্নের উত্তর দেন।
  • (৩) অর্থ বিল ছাড়া সকল ক্ষেত্রে রাজ্যসভা ও লোকসভার আইনবিভাগীয় ক্ষমতা একই। অর্থ বিলের ক্ষেত্রে লোকসভাই সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ।

লোকসভার সভাপতির বেতন ও ভাতা

বর্তমানে লোকসভার স্পিকার রাজ্যসভার সভাপতির মতাে মাসিক ১,২৫,০০০ টাকা বেতন ও অন্যান্য সুযােগসুবিধা এবং অবসরকালীন পেনশন ভােগ করে থাকেন।

যৌথ অধিবেশন

আইনবিভাগের কোনো বিষয় নিয়ে দুই কক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা গেলে যৌথ অধিবেশনের মাধ্যমে তার মীমাংসা করা হয়। তবে এই ধরনের অধিবেশনে সাধারণত লোকসভার সদস্যদেরই জয় হয়। কারণ, লোকসভার সদস্যসংখ্যা রাজ্যসভার প্রায় দ্বিগুণ।

অধিবেশন

রাষ্ট্রপতি পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের (লােকসভা/রাজ্যসভা) বা যে-কোনাে কক্ষের অধিবেশন আহ্বান করতে পারেন। অধিবেশনের কাজকর্ম পরিচালনার জন্য কোরাম সংখ্যক সদস্যের উপস্থিতি আবশ্যক। কোরাম হল মােট সদস্যের এক-দশমাংশের উপস্থিতি। প্রতিবছর লোকসভার তিনটি অধিবেশন বসে। যথা –

  • (১) বাজেট অধিবেশন – ফেব্রুয়ারি-মে
  • (২) বাদল অধিবেশন বা বর্ষাকালীন অধিবেশন –  জুলাই-সেপ্টেম্বর
  • (৩) শীতকালীন অধিবেশন – নভেম্বর-ডিসেম্বর

লোকসভার ক্ষমতা ও কার্যাবলি

ভারতের লোকসভার ক্ষমতা ও কার্যাবলী নিম্নলিখিত ভাবে পর্যালোচনা করা যেতে পারে। –

(১) আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে লোকসভার ভূমিকা

কেন্দ্রীয় আইনসভার প্রধান কক্ষ হিসেবে পরিচিত লােকসভা আইন প্রণয়ন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতা ও দায়িত্ব পালন করে থাকে।

(২) অর্থ বিল সংক্রান্ত ক্ষেত্রে লোকসভায় ভূমিকা

আইনের খসড়া রূপকে বলা হয় বিল। অর্থ বিলের ক্ষেত্রে লোকসভা চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী। অর্থবিল কেবলমাত্র লোকসভায় উত্থাপিত হতে পারে। কোনাে বিল অর্থ বিল কিনা সেই ব্যাপারে লোকসভার অধ্যক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

(৩) মন্ত্রিসভা গঠনের ক্ষেত্রে লোকসভার ভূমিকা

মন্ত্রীসভা গঠনের ক্ষেত্রে লােকসভার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোন দল বা জোট সরকার গঠন করবে তা নির্ভর করে লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সমর্থনের উপর।

(৪) শাসন বিভাগকে নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে লোকসভা ভূমিকা

লোকসভার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল সমগ্র মন্ত্রীসভা-সহ শাসন বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করা।

(৫) নির্বাচন ও পদচ্যুতি সংক্রান্ত ক্ষেত্রে লোকসভা ভূমিকা

লোকসভা ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনউপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। লোকসভার সদস্যরা নিজেদের মধ্য থেকে স্পিকারকে নির্বাচিত করে থাকেন। সুপ্রিম কোর্টহাইকোর্ট -এর বিচারপতিদের, ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রধান ও সদস্যদেরকেও পদচ্যুত বা অপসারণ করতে পারে।

(৬) জরুরি অবস্থা জনিত ক্ষেত্রে লোকসভা ভূমিকা

জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের উদ্দেশ্যে লােকসভা কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। লোকসভার এক-দশমাংশ সদস্যের অনুরােধক্রমে জরুরি অবস্থা সংক্রান্ত বিষয়ে সভায় আলােচনার ব্যবস্থা করা যায়।

(৭) বিচার সংক্রান্ত ক্ষেত্রে লোকসভার ভূমিকা

রাজ্যসভার মতাে লোকসভা আইনসভার অবমাননা কিংবা অধিকার ভঙ্গের অভিযােগে সংশ্লিষ্ট কক্ষের সদস্য নন এমন যে কোনাে ব্যক্তিকে শাস্তিদানের ব্যবস্থা করতে পারে।

(৮) সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে লোকসভার ভূমিকা

ভারতের সংবিধান সংশােধনের ক্ষেত্রে রাজ্যসভার মতো লোকসভাও সমান ক্ষমতা ভােগ করে থাকে। বস্তুত উভয় কক্ষের সম্মতি ছাড়া ভারতের সংবিধান সংশোধন করা সম্ভব নয়।

(৯) নতুন রাজ্য গঠন ও পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে লোকসভার ভূমিকা

নতুন রাজ্য গঠন, রাজ্য পুনর্গঠন অথবা কোনাে রাজ্যের সীমানার হ্রাসবৃদ্ধি, নাম পরিবর্তন প্রভৃতি ক্ষেত্রে লোকসভা রাজ্যসভার মতাে সমান ক্ষমতা ভােগ করে।

কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে লোকসভা কেন্দ্রের সংখ্যা

ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির লোকসভার কেন্দ্রের সংখ্যা হল নিম্নরূপ –

  • (১) দিল্লি – জাতীয় রাজধানী অঞ্চল – ৭ টি।
  • (২) চণ্ডীগড় – ১ টি।
  • (৩) দাদরা ও নগর হাভেলি – ১ টি।
  • (৪) দমন ও দিউ    – ১ টি।
  • (৫) আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ – ১ টি।
  • (৬) জম্মু ও কাশ্মীর – ৫ টি।
  • (৭) লাক্ষাদ্বীপ – ১ টি।
  • (৮) পুদুচ্চেরি – ১ টি।

রাজ্যগুলির লোকসভা কেন্দ্রের সংখ্যা

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের লোকসভা কেন্দ্রের সংখ্যা হল নিম্নরূপ –

  • (১) অন্ধ্রপ্রদেশ – ২৫ টি।
  • (২) অরুণাচল প্রদেশ – ২ টি।
  • (৩) অসম – ১৪ টি
  • (৪) বিহার – ৪০ টি
  • (৫) ছত্তীসগঢ় – ১১ টি
  • (৬) গোয়া – ২ টি।
  • (৭) গুজরাট – ২৬ টি।
  • (৮) হরিয়ানা – ১০ টি।
  • (৯) হিমাচল প্রদেশ – ৪ টি।
  • (১০) ঝাড়খণ্ড – ১৪ টি
  • (১১) কর্ণাটক – ২৮ টি।
  • (১২) কেরল – ২০ টি।
  • (১৩) মধ্যপ্রদেশ – ২৯ টি।
  • (১৪) মহারাষ্ট্র – ৪৮ টি।
  • (১৫) মণিপুর – ২ টি।
  • (১৬) মেঘালয় – ২ টি।
  • (১৭) মিজোরাম – ১ টি।
  • (১৮) নাগাল্যান্ড – ১ টি।
  • (১৯) ওড়িশা – ২১ টি।
  • (২০) পাঞ্জাব ১৩ টি।
  • (২১) রাজস্থান – ২৫ টি।
  • (২২) সিকিম – ১ টি।
  • (২৩) তামিলনাড়ু     – ৩৯ টি।
  • (২৪) তেলঙ্গানা – ১৭ টি।
  • (২৫) ত্রিপুরা – ২ টি।
  • (২৬) উত্তরাখণ্ড – ৫ টি।
  • (২৭) উত্তরপ্রদেশ – ৮০ টি।
  • (২৮) পশ্চিমবঙ্গ – ৪২ টি।

রাজনৈতিক দল অনুযায়ী আসন সংখ্যা

রাজনৈতিক দল অনুযায়ী ভারতের লোকসভার আসন সংখ্যা নিম্নরূপ –

  • (১) ভারতীয় জনতা পার্টি – ৩০৩
  • (২) শিব সেনা – ১৮
  • (৩) লোক জনশক্তি পার্টি     – ৬
  • (৪) শিরোমণি অকালী দল – ২
  • (৫) রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টি –১
  • (৬) জনতা দল (সংযুক্ত) – ১৬
  • (৭) সর্বভারতীয় এন.আর. কংগ্রেস – ১
  • (৮) ন্যাশনাল পিপলস পার্টি – ১
  • (৯) সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট – ১
  • (১০) লোকসভার স্পিকার, বহুজন সমাজবাদী পার্টি – ১০
  • (১১) রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান – ২
  • (১২) ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস – ৫২
  • (১৩) ভারতীয় ইউনিয়ন মুসলিম লিগ – ৩
  • (১৪) কেরালা কংগ্রেস (এম) – ১
  • (১৫) বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী দল – ১
  • (১৬) জনতা দল (সেকুলার) – ১
  • (১৭) দ্রাবিড় মুনেত্র কড়গম – ২৩
  • (১৮) সর্বভারতীয় আন্না দ্রাবিড় মুনেত্র কড়গম – ১
  • (১৯) সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস    – ২২
  • (২০) বীজু জনতা দল – ১২
  • (২১) তেলুগু দেশম পার্টি – ৩
  • (২২) তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি – ৯
  • (২৩) ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) – ৩
  • (২৪) ওয়াই.এস.আর কংগ্রেস পার্টি – ২২
  • (২৫) সমাজবাদী পার্টি – ৫
  • (২৬) জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি – ৫
  • (২৭) আম আদমি পার্টি – ১
  • (২৮) ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা – ২
  • (২৯) সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন – ২
  • (৩০) ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি – ২
  • (৩১) জম্মু ও কাশ্মির ন্যাশনাল কনফারেন্স – ৩
  • (৩২) Jan Adhikar Party (L) (Expelled RJD Member) – ১
  • (৩৩) Vacant Seats (Anantnag, Bhandara–Gondiya, Palghar, Kairana and Nagaland constituencies.) – ৫

উপসংহার :- তত্ত্বগতভাবে ভারতের কেন্দ্রীয় আইনসভার নিম্নকক্ষ লোকসভার হাতে বিপুল ক্ষমতা অর্পণ করা হলেও বাস্তবে কার্যক্ষেত্রে লোকসভা সেই ক্ষমতা ভােগ করতে পারে না। কারণ, আইন প্রণয়নে মন্ত্রীসভার প্রাধান্য পরিলক্ষিত হয়। ভারতের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর প্রাধান্য বৃদ্ধির ফলে লোকসভার ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে।


প্রিয় পাঠক/পাঠিকা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই “ভারতের লোকসভা” পোস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই adhunikitihas.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। যে কোনো প্রশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলো করুণ এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন।

সবশেষে আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে Comment ও Share করে দিবেন, (ধন্যবাদ)।

(FAQ) ভারতের লোকসভা সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. লোকসভার সর্বাধিক সদস্য সংখ্যা কত?

৫৫২ টি।

২. ভারতের লোকসভার সদস্য সংখ্যা কত?

৫৪৫ টি।

৩. লোকসভার অধিবেশন আহ্বান করেন কে?

রাষ্ট্রপতি।

৪. পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা কেন্দ্রের সংখ্যা কত?

৪২ টি।

Leave a Comment