জুনাগড় শহর

জুনাগড় শহরটি প্রসঙ্গে অবস্থান, নামকরণ, হিউয়েন সাঙের পরিদর্শন, পঞ্চদশ শতকে জুনাগড় শাসন, মুঘলদের জুনাগড় শাসন, নবাবদের জুনাগড় শাসন, সৌরাষ্ট্রের অন্তর্গত জুনাগড় , রাজ্যের সপ্তম বৃহত্তম শহর, জনসংখ্যা, ভারতে যোগদান, পূর্বে অন্তর্ভক্তি, গুজরাট রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত জুনাগড়, জুনাগড়ের উপরকোট দুর্গ ও জুনাগড়ের মিতিয়ালা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য সম্পর্কে জানবো।

জুনাগড় শহর

ঐতিহাসিক স্থানজুনাগড়
দেশভারত
রাজ্যগুজরাট
জেলাজুনাগড়
ভাষাগুজরাটি, হিন্দি, ইংরেজি
জুনাগড় শহর

ভূমিকা :- ভারতের গুজরাট রাজ্যের জুনাগড় জেলার সদর দফতর হল জুনাগড়।

জুনাগড় শহরের অবস্থান

জুনাগড় শহরটি আমেদাবাদ ও গান্ধীনগর থেকে ৩৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে গিরনার পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত।

জুনাগড় নামকরণ

ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, প্রাচীনকালে জুনাগড় করণকুজ, মণিপুর, রেভান্ত, চন্দ্রকেতুপুর, নরেন্দ্রপুর, গিরিনগর এবং পুরাতনপুর নামেও পরিচিত। ১৮২০ খ্রিস্টাব্দের পর ব্রিটিশ সরকার জুনাগড় নাম দিয়েছিল, যা রাজ্য দ্বারা নিবন্ধিত এবং জনসাধারণের মধ্যে জনপ্রিয়। গ্রামীণ মানুষ আজও জুনাগড় বলে।

হিউয়েন সাঙ-এর জুনাগড় পরিদর্শন

৬৪০ খ্রিস্টাব্দে, চীন-এর পর্যটক হিউয়েন সাঙ জুনাগড় পরিদর্শন করেন।

পঞ্চদশ শতকে জুনাগড় শাসন

১৪৭২ সালের পর মহম্মদ বেগদা, খলিল খান, মুজাফফর, সিকান্দার, বাহাদুরশা এবং ইবাদত খান জুনাগড় শাসন করছিলেন।

মুঘলদের জুনাগড় শাসন

১৫৭৩ থেকে ১৭৪৮ সালের মধ্যে মুঘলরা জুনাগড় শাসন করেছিল।

নবাবদের শাসনে জুনাগড়

এরপর বিভিন্ন নবাবরা ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত জুনাগড় শাসন করছিলেন। জুনাগড়ের শেষ নবাব মহবতখাঞ্জি ১৯৪৭ সালে জুনাগড়ের জনসাধারণের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত আরজি হাকুমতের আক্রমণের কারণে করাঞ্চির উদ্দেশ্যে রওনা হন।

সৌরাষ্ট্রের অন্তর্গত জুনাগড়

১৯৪৯ সালে জুনাগড় রাজ্য সৌরাষ্ট্র রাজ্যের সাথে একীভূত হয়।

রাজ্যের সপ্তম বৃহত্তম শহর জুনাগড়

গুজরাট রাজ্যের সপ্তম বৃহত্তম শহর হল জুনাগড়।

জুনাগড় শহরের আয়তন

গুজরাটের জুনাগড় শহরের মোট আয়তন ১৬০ বর্গকিমি বা ৬০ বর্গমাইল।

জুনাগড় শহরের জনসংখ্যা

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জুনাগড় শহরের মোট জনসংখ্যা ৩,১৯,৪৬২ জন। এখানকার জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিমিতে ২০০০ জন।

জুনাগড় শহরের ভারতে যোগদান

ভারত ও পাকিস্তান -এর মধ্যে স্বল্পস্থায়ী সংঘর্ষের পর জুনাগড় ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮ সালে অনুষ্ঠিত একটি গণভোটের মাধ্যমে ভারতে যোগদানের পক্ষে ভোট দেয়।

পূর্বে জুনাগড়ের অন্তর্ভুক্তি

এই জুনাগড় শহরটি সৌরাষ্ট্র রাজ্য ও পরবর্তীকালে বোম্বে রাজ্যের একটি অংশ ছিল।

গুজরাট রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত জুনাগড়

জুনাগড় শহরটি মহা গুজরাট আন্দোলনের পরিণতিতে ১৯৬০ সালে নবগঠিত গুজরাট রাজ্যের অংশে পরিণত হয়।

জুনাগড়ের উপরকোট দুর্গ

গুজরাটের অন্যতম দর্শনীয় স্থান উপরকোট দুর্গ। এই প্রাচীন দুর্গটি মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ৩১৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তৈরি করেছিলেন বলে মনে করা হয়, যদিও এটি বহুবার সংস্কার করা হয়েছে। এছাড়া গিরনার পাহাড়, দামোদর কুণ্ড এখানকার তীর্থস্থান।

জুনাগড়ের মিতিয়ালা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য

লম্বা ঘাস, আধা-শুষ্ক পর্ণমোচী গাছে ঘেরা পাহাড়ি পথের অদম্য সারাংশের জন্য পরিচিত মিতিয়ালা তৃণভূমি।

উপসংহার :- জুনাগড় মুসলিম শাসক দ্বারা শাসিত ব্রিটিশ ভারতের একটি দেশীয় রাজ্য ছিল। ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে এই রাজ্যকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

(FAQ) জুনাগড় শহর সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. জুনাগড় কোন রাজ্যে অবস্থিত?

গুজরাট।

২. হিউয়েন সাঙ জুনাগড় পরিদর্শন করেন কখন?

৬৪০ খ্রিস্টাব্দে।

৩. জুনাগড় ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয় কখন?

জানুয়ারি ১৯৪৯ সালে।

৪. জুনাগড়ের উপরকোট দুর্গ নির্মাণ করেন কে?

চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য।

Leave a Comment