সুলতানি যুগে বাংলার শাসন ব্যবস্থা

সুলতানি যুগে বাংলার শাসন ব্যবস্থা প্রসঙ্গে রাজধানী, বাংলার তিন ইক্তা, প্রাসাদ কর্মচারী, অভিজাতদের বিশেষ ক্ষমতা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, ইক্তার শাসন, প্রাদেশিক শাসন সম্পর্কে জানবো।

সুলতানি যুগে বাংলার শাসন ব্যবস্থা

বিষয়সুলতানি যুগে বাংলার শাসনব্যবস্থা
রাজধানীপাণ্ডুয়া
বিশেষ ক্ষমতাঅভিজাত শ্রেণী
প্রধানমন্ত্রীখান-ই-জাহান     
সীমান্ত ঘাঁটিথানা
সুলতানি যুগে বাংলার শাসন ব্যবস্থা

ভূমিকা :- সুলতানি যুগে বাংলায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছিল না বললেই চলে। তা সত্ত্বেও বাংলার বিখ্যাত শাসনকর্তারা একটি বিশেষ শাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন।

সুলতানি যুগে বাংলার রাজধানী

বাংলায় বখতিয়ার খলজির বিজয়ের পর থেকে দীর্ঘকাল ধরে লখনৌতি বাংলার দার-উল-মুলক বা রাজধানী ছিল। তারপর রাজধানী পান্ডুয়ায় স্থানান্তরিত হয়।

সুলতানি যুগে বাংলার তিন ইক্তা

রাজ্যের বাকি অংশগুলি ইক্তায় বিভক্ত ছিল। ইক্তার শাসনকর্তার উপাধি ছিল নাকতা। ১৩২২ খ্রিস্টাব্দে মহম্মদ বিন তুঘলক বাংলাকে লখনৌতি, সাতগাঁ, সোনারগাঁ এই তিন ইক্তায় ভাগ করেন।

সুলতানি যুগে বাংলার প্রাসাদ কর্মচারী

সুলতানের প্রাসাদে প্রশস্ত দরবার ছিল। হাজিব, শিলাদার, জমাদার, দরবান প্রভৃতি কর্মচারীরা প্রাসাদে থাকত। এছাড়া বহু খোজা ও ক্রীতদাস থাকত।

সুলতানি যুগে বাংলায় অভিজাতদের বিশেষ ক্ষমতা

দরবারের অভিজাতরা আমীর ও মালিক উপাধিতে ভূষিত হতেন এবং এঁরা বিশেষ ক্ষমতা ভোগ করতেন।

সুলতানি যুগে বাংলার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

উজীর ছিলেন মন্ত্রী ও সেনাপতি পদের কর্মচারী। সামরিক শাসনকর্তার নাম ছিল লস্কর উজীর। প্রধানমন্ত্রীর উপাধি ছিল খান-ই-জাহান ও প্রধান আমীরের নাম ছিল আমীর-উল-উমরাহ। সুলতানের সচিবকে বলা হত দবীর ও প্রধান সচিবকে দবীর-ই-খাস বলা হত।

সুলতানি যুগে বাংলার ইক্তার শাসন

ইক্তাগুলিকে শাসনের জন্য ইকলিমে ভাগ করা হত। ইকলিমগুলিকে মুলুকে ভাগ করা হত।

সুলতানি যুগে বাংলার প্রাদেশিক শাসন

যে শহরে দুর্গ ছিল না তার নাম ছিল “কসবাহ” আর দুর্গযুক্ত শহরের নাম ছিল “খিটাহ”। সীমান্ত ঘাটিকে থানা বলা হত। রাজস্ব বিভাগকে মহাল বলা হত, কয়েকটি মহাল নিয়ে শিক। শিকের ভারপ্রাপ্ত কর্মচারী ছিলেন শিকদার।

উপসংহার :- গ্রামের রাজস্ব আদায়ের ভার প্রধানতঃ হিন্দু জমিদার ও কর্মচারীদের দেওয়া হত।

(FAQ) সুলতানি যুগে বাংলার শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. বাংলার শাসন ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর উপাধি কি ছিল?

খান-ই-জাহান।

২. বাংলার শাসন ব্যবস্থায় বিশেষ ক্ষমতা ভোগ করত কারা?

অভিজাতরা।

৩. বাংলার শাসন ব্যবস্থায় সীমান্ত ঘাঁটিকে কি বলা হত?

থানা।

৪. বাংলার শাসন ব্যবস্থায় দুর্গ সহ শহরকে কি বলা হত?

খিটটাই।

Leave a Comment