গান্ধী জয়ন্তী, জাতীয় ছুটির দিন, আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস, মর্যাদার সাথে পালন, শ্রদ্ধা প্রদর্শন, দিনটি উদযাপন, পুরস্কার প্রদান, গান্ধী মূর্তির সজ্জা, গান্ধীজির স্মৃতিতে গাওয়া গান, গান্ধীজির সত্যাগ্ৰহ পরিচালনা, গান্ধীজির সর্বভারতীয় আন্দোলন পরিচালনা ও গান্ধীজির উপাধি লাভ সম্পর্কে জানবো।
গান্ধী জয়ন্তী
ঐতিহাসিক ঘটনা | গান্ধী জয়ন্তী |
পালনকারী দেশ | ভারত |
তাৎপর্য | মহাত্মা গান্ধীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন |
দিন | ২রা অক্টোবর |
সম্পর্কিত | আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস, স্বাধীনতা দিবস |
ভূমিকা :- প্রতিবছর ২রা অক্টোবর মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভারতে উদযাপিত একটি জাতীয় অনুষ্ঠান হল গান্ধী জয়ন্তী।
গান্ধী জয়ন্তী জাতীয় ছুটির দিন
প্রতিবছর ২রা অক্টোবর পালিত গান্ধী জয়ন্তী ভারতের অন্যতম একটি জাতীয় ছুটির দিন। এই দিনটি সারা দেশে সমান মর্যাদার সঙ্গে পালিত হয়।
গান্ধী জয়ন্তীর দিন আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস ঘোষণা
২০০৭ সালের ১৫ই জুন জাতিসংঘ -এর সাধারণ সভায় ২রা অক্টোবর-কে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
মর্যাদার সাথে গান্ধী জয়ন্তী পালন
এই দিনটি ভারতের সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে যথাযথ মর্যাদায়, প্রার্থনা, পরিষেবা এবং শ্রদ্ধার মাধ্যমে গান্ধী জয়ন্তী পালিত হয়।
গান্ধী জয়ন্তীর দিন শ্রদ্ধা প্রদর্শন
নতুন দিল্লির রাজ ঘাটে, গান্ধীর স্মৃতিস্তম্ভে, যেখানে তাঁকে দাহ করা হয়েছিল সেখানে সকলে শ্রদ্ধা অর্পণ করে।
গান্ধী জয়ন্তীর দিনটি উদযাপন
কলেজ, স্থানীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলি বিভিন্ন শহরে প্রার্থনা সভা, স্মরণ অনুষ্ঠান করে এই দিনটি উদযাপন করে। বিভিন্ন স্থানে চিত্রাঙ্কন এবং প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
গান্ধী জয়ন্তীর দিন পুরস্কার প্রদান
অহিংস জীবনধারাকে উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে গান্ধীর প্রচেষ্টাকে তুলে ধরে এই দিন বিদ্যালয় এবং সম্প্রদায়ের সেরা প্রকল্পগুলির জন্য পুরস্কার প্রদান করা হয়।
গান্ধী জয়ন্তীর দিন গান্ধী মূর্তির সজ্জা
দেশজুড়ে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিগুলি ফুল ও মালা দিয়ে সজ্জিত করা হয়। বহু লোক এই দিনটিতে মদ্যপান করা বা মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকে। সরকারী ভবন, ব্যাংক ও ডাকঘর এই ই দিন বন্ধ থাকে।
গান্ধীজির স্মৃতিতে গাওয়া গান
মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিতে তাঁর প্রিয় ভজন বা হিন্দু ভক্তিমূলক গান ‘রঘুপতি রাঘব রাজা রাম’ গাওয়া হয়।
গান্ধীজির প্রথম সত্যাগ্ৰহ
বিহারে চম্পারণ সত্যাগ্ৰহ ছিল গান্ধীজির প্রথম সত্যাগ্ৰহ আন্দোলন। এরপর তিনি খেদা সত্যাগ্ৰহ, আমেদাবাদ সত্যাগ্ৰহ, লবণ সত্যাগ্ৰহ, ধরসানা সত্যাগ্ৰহ -এ সফল নেতৃত্ব দেন।
গান্ধীজির আন্দোলন পরিচালনা
মহাত্মা গান্ধী ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে অসহযোগ আন্দোলন, খিলাফত আন্দোলন, আইন অমান্য আন্দোলন ও ভারত ছাড়ো আন্দোলন -এ সফল ভাবে নেতৃত্ব দেন।
গান্ধীজির উপাধি লাভ
মহাত্মা গান্ধী ব্রিটিশ সরকারের থেকে কাইজার-ই-হিন্দ এবং ভারত সরকার থেকে জাতির জনক উপাধি লাভ করেন।
উপসংহার :- তিনি বিশ্বকে অহিংসার শক্তি দেখিয়েছিলেন এবং দেখিয়েছিলেন যে সমস্ত যুদ্ধ সহিংসতা দ্বারা জয় করা যায় না। আবার কিছু যুদ্ধ অস্ত্র না তুলে বা এক ফোঁটা রক্ত না দিয়েও জয় করা যায়।
(FAQ) গান্ধী জয়ন্তী সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
মহাত্মা গান্ধী।
২ অক্টোবর, ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দ, গুজরাটের পোরবন্দরে।
অসহযোগ আন্দোলন, ভারত ছাড়ো আন্দোলন।
২ রা অক্টোবর।