বৈষ্ণব ধর্ম প্রসঙ্গে ভক্তির মাধ্যমে প্রচার, ভক্তিবাদকে উচ্চাসন দান, পাঁচটি ধর্ম গোষ্ঠী, ভাগবত ধর্ম, বৈষ্ণব ধর্মের আরাধ্য দেবতা, বৈদিক যুগে বিষ্ণু, ব্যক্তি বাসুদেব, অনুগামী বৈষ্ণব, বৈষ্ণব ধর্মের উদ্ভব প্রসঙ্গে নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের লেখা, বৈষ্ণব ধর্মের প্রধান আচরণীয় মার্গ, গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্ম, বৈষ্ণব ধর্ম উপাসনার কেন্দ্রীয় বিষয়, বৈষ্ণব ধর্মে ভক্তি ও মন্ত্র সম্পর্কে জানবো।
বৈষ্ণব ধর্ম
বিষয় | বৈষ্ণব ধর্ম |
দেবতা | কৃষ্ণ বা বিষ্ণু |
ভিত্তি | গীতা |
মন্ত্র | হরে কৃষ্ণ |
হেরাক্লেস | কৃষ্ণ |
ভূমিকা :- ৮০০-৩০০ খ্রিষ্টপূর্বের অন্তর্বর্তীকালে ধর্মচিন্তায় নতুনত্ব দেখা যায়। এই সময় বৈদিক ধর্ম ছিল প্রধান। উপনিষদের যুগে এই বৈদিক ধর্ম হয় কর্মপ্রধান। এরপর জ্ঞান ও কর্ম ভক্তিপ্রধান হয়ে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে, যা ব্যাপক অর্থে ‘পৌরাণিক যুগ’ নামে খ্যাত।
ভক্তির মাধ্যমে ধর্মের প্রচার
পৌরাণিক যুগে মহাজ্ঞানী ঋষিরা উপলব্ধি করেন যে, ধর্ম ও শাস্ত্রকে ভক্তির মাধ্যমে প্রচার করতে না পারলে সমাজকে ধর্মের বন্ধনে বেঁধে রাখা সম্ভব হবে না। উপনিষদের যুগেই নির্গুণ ব্রহ্ম থেকে সগুণ ব্রহ্মের ধারণা রূপ পেতে শুরু করে।
ধর্মশাস্ত্রে ভক্তিবাদকে উচ্চাসন দান
শাণ্ডিল্য ঋষি ভক্তিমার্গকে গ্রহণ করে ধর্মশাস্ত্রে ভক্তিবাদকে উচ্চাসন দান করেন। এই দিক থেকে ভক্তিমার্গকে বেদ ও উপনিষদ থেকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র একটি ধারণা মনে করা অযৌক্তিক। অবতারবাদ ও প্রতিমা পূজার প্রচলনকে বেদ ও বেদান্তের অন্যতম পরিণতিই বলা যায়।
ভক্তিবাদের ধারায় পাঁচটি ধর্মগোষ্ঠী
গীতা ও ভাগবত পুরাণের মাধ্যমে অবতারকেন্দ্রিক ভক্তিবাদের ধারা বিশেষ জনপ্রিয়তা ও প্রচার লাভ করে। এই ধারার অন্তর্গত পাঁচটি জনপ্রিয় ধর্ম হল – বৈষ্ণব, শৈব, শাক্ত, সৌর ও গাণপত্য। এর মধ্যে প্রথম তিনটি শাখার অনুগামীর সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে বেশি।
ভাগবত ও বৈষ্ণব ধর্ম
ভাগবত ধর্ম বলতে কেবলমাত্র ভাগবত পুরাণভিত্তিক বৈষ্ণব ধর্মকে বোঝায় না; বৈষ্ণব, শৈব, শাক্ত ইত্যাদি ভক্তিবাদী সমস্ত ধারাই ভাগবত ধর্মের অন্তর্গত। অবশ্য সাম্প্রতিক কালে কেবল বৈষ্ণবধর্মের অনুষঙ্গেই ভাগবত কথাটি প্রয়োগ করা হয়।
বৈষ্ণব ধর্মের আরাধ্য দেবতা
বৈষ্ণবধর্মের আরাধ্য দেবতা হলেন বিষ্ণু বা বাসুদেব। বৈষ্ণববাদ ক্রম-বিকাশের ধারায় কৃষ্ণ ও বাসুদেব এবং বিষ্ণু ও নারায়ণ অভিন্ন বলে সনাক্ত হন।
বৈদিক যুগে বৈষ্ণব ধর্মের আরাধ্য দেবতা বিষ্ণু
ভারতের বৈদিক সভ্যতায় দেবতা হিসেবে বিষ্ণুর উল্লেখ আছে। আবার ছান্দোগ্য উপনিষদে কৃষ্ণের উল্লেখ পাওয়া যায়। মহাভারত ও পুরাণের বাসুদেব এবং কৃষ্ণ অভিন্ন বলে চিহ্নিত হন।
ভাগবত রূপে ব্যক্তি বাসুদেব
ব্যক্তি বাসুদেবের উপর দেবত্ব আরোপিত হবার কারণে তিনি ভাগবত রূপে অভিহিত হন। এই জন্য তাঁর অনুগামীরা ভগবতীয় নামে পরিচিত হন।
অনুগামী বৈষ্ণব
বাসুদেব ও বিষ্ণু (নারায়ণ)-কে অভিন্ন কল্পনা করায় তার অনুগামীরা বৈষ্ণব সম্প্রদায় নামে অভিহিত হন।
বৈষ্ণব ধর্মের উদ্ভব প্রসঙ্গে নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের লেখা
অধ্যাপক নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বৈষ্ণব ধর্মের উদ্ভব প্রসঙ্গে লিখেছেন, “ভাগবত বা বৈষ্ণব ধর্মের উদ্ভব হয়েছিল পশ্চিম ভারত-এ এবং এই ধর্মের আদি প্রবক্তারা ছিলেন সম্ভবত যাদব উপজাতির ভাঙনের যুগের মানুষ। এই ধর্মের প্রাথমিক পর্যায়ে এই উপজাতির প্রাচীন কতিপয় বীরপুরুষ বাসুদেব ও তাঁর জ্ঞাতিরা দেবতার পর্যায়ে উন্নীত হন। কালক্রমে তাঁদের প্রধান দেবতা বাসুদেব কৃষ্ণ সুপ্রাচীন বৈদিক দেবতা বিষ্ণুর সঙ্গে অভিন্ন ঘোষিত হন। বৈদিক দেবগোষ্ঠী থেকে তারা বিষ্ণুকে বেছে নিয়েছিলেন সর্বশক্তিমান একেশ্বর হিসেবে এবং সেই কারণেই ভাগবত ধর্ম পরবর্তী পর্যায়ে বৈষ্ণবধর্ম রূপে খ্যাত।”
বাসুদেবের উপর দেবত্ব আরোপের সূচনা
প্রাপ্ত উপাদান থেকে ঐতিহাসিকদের অনুমান খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম শতক থেকে বীর বাসুদেবের উপর দেবত্ব আরোপের সূচনা হয়েছে। এই সময়ে রচিত পাণিনির ‘অষ্টাধ্যায়ী’ তে প্রথম আভাস পাওয়া যায়।
মেগাস্থিনিসের বিবরনে কৃষ্ণ
গ্ৰীক দূত মেগাস্থিনিস-এর বিবরণ থেকে এই বক্তব্যের সমর্থন পাওয়া যায়। তিনি লিখেছেন, “মথুরা অঞ্চলের অধিবাসীরা ‘হেরাক্লেসের’ প্রতি বিশেষ অনুরক্ত ছিলেন। গ্রীক বীর হেরাক্লেসের জীবন ও কাজের সাথে মহাভারতের কৃষ্ণের জীবন ও জীবিকার অনেক মিল আছে। তারা উভয়েই ছিলেন কৃষ্ণবর্ণ, উভয়েই সর্প নিধন করেছিলেন, উভয়ের মৃত্যু ঘটেছিল গোড়ালিতে বিষক্রিয়ার ফলে।
কৃষ্ণের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি
বৈদিক ধর্মে যজ্ঞ ও পশুবলির মাধ্যমে ইন্দ্র, বরুণ প্রমুখ দেবতার উপাসনা করা হত। পরবর্তীতে কৃষিভিত্তিক জীবনধারার সূচনা ঘটলে গো-হত্যা অনাকাঙ্ক্ষিত হয়ে পড়ে। এর ফলে গো-সম্পদের রক্ষক ও পালক হিসেবে কৃষ্ণের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।
বৈষ্ণববাদের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি
আঞ্চলিক ধর্মবিশ্বাসের সাথে বৈদিক দেবতা বিষ্ণুর একীকরণ প্রক্রিয়াও বৈষ্ণববাদের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করেছিল।
কৃষ্ণ ও বিষ্ণু সম্পর্কে সুনীল চট্টোপাধ্যায়ের মত
অধ্যাপক সুনীল চট্টোপাধ্যায়ের মতে, “সর্বশক্তিমান ঈশ্বর নারায়ণ-বিষ্ণু চারটি ভিন্ন ভিন্ন রূপে নিজেকে প্রকাশ করেন। এর ফলে বিভিন্ন আঞ্চলিক দেবতা বিষ্ণু-ধারণার অন্তর্ভুক্ত হতে পেরেছিলেন। এই আঞ্চলিক দেবতাদের অন্যতম ছিলেন বাসুদেব। বাসুদেবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কৃষক সম্প্রদায়ের উপাস্য সঙ্কর্ষণও (বলদেব) এইভাবে বৈষ্ণব ধর্মের অঙ্গীভূত হয়েছিলেন। কৃষ্ণ সম্পর্কেও একই প্রক্রিয়া কাজ করেছিল।”
ভাগবত বৈষ্ণব ধর্মে গীতা
- (১) ভাগবত ধর্মের প্রধানতম তাত্ত্বিক ভিত্তি হল ভগবদগীতা। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অর্জুনের দ্বিধাগ্রস্ততা ও তাঁর প্রশ্নের উত্তর শ্রীকৃষ্ণের মুখ দিয়ে উচ্চারিত হয়ে জীব ও জগতের সম্পর্ক ও মুক্তির পথ নির্দেশই হল এই গ্রন্থের বিষয়বস্তু।
- (২) সেই সময় বৈদিক কর্মবাদ, সাংখ্যের প্রকৃতিবাদ, উপনিষদের প্রকৃতিবাদ, যোগ অনুশাসন, প্রতীক উপাসনা, অবতারবাদ ইত্যাদি ধর্মের নানা ধারা প্রচলিত ছিল। এই অনুশাসন গুলির মধ্যে বৈচিত্র্য ও বিরূপতা ছিল স্পষ্ট। এর ফলে মানুষ ছিল বিভ্রান্ত।
- (৩) কর্ম বড় না জ্ঞান বড় এই প্রশ্নে মানুষ ঘোর বিভ্রান্তির মুখে পড়েছিল। এই বিরোধের অবসান ঘটায় গীতা। নিষ্কাম কর্ম ও আত্মজ্ঞান যে পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত এই তত্ত্ব স্থাপন করে গীতা বিভ্রান্তির অবসান ঘটায়।
- (৪) নিষ্কাম কর্মের প্রতি আসক্তি স্বাভাবিক বিষয়। সমস্ত কর্মের একটাই প্রেরণা থাকবে – আত্মজ্ঞান বা আত্মশুদ্ধি অর্জন করা। এই আত্মজ্ঞানের দ্বারাই ব্রহ্মত্বলাভ সম্ভব। গীতার বাণী খুব সহজেই সাধারণ মানুষকে আকর্ষণ করে।
বৈষ্ণব ধর্মের প্রধান আচরণীয় মার্গ
চর্চা, ক্রিয়া, যোগ ও জ্ঞান – এই চারটি মার্গ অনুশীলন বৈষ্ণব ধর্মের প্রধান আচরণ হিসেবে গৃহীত হয়।
ভাগবত ধর্মের সম্প্রসারণ
- (১) খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকে পাণিনির ‘অষ্টাধ্যায়ী’ বা খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকে মেগাস্থিনিসের রচনায় ভাগবত সম্প্রদায়ের উল্লেখ থাকলেও, সম্ভবত খ্রিষ্টীয় চতুর্থ শতকের আগে ভারতে ভাগবত বৈষ্ণব ধর্ম দৃঢ় ভিত্তি পায় নি।
- (২) প্রাথমিক পর্বে উত্তর-ভারতের মথুরা এবং মধ্য ভারতের বিদিশা অঞ্চলে ভাগবত ধর্ম সমাজবদ্ধ ছিল। যাদব সম্প্রদায়ের অভিপ্রয়াণের সূত্রে পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতে ভাগবত ধর্মের ধীর সম্প্রসারণ ঘটে। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় থেকে প্রথম শতকের কিছু লেখ থেকে বিদিশা অঞ্চলে ভাগবত ধর্মের অস্তিত্বের কথা জানা যায়।
ভাগবত ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা
ড. দীনেশচন্দ্র সরকার, নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য প্রমুখের বর্ণনা থেকে জানা যায় যে, মথুরা ও বিদিশা অঞ্চলে বহিরাগত ভারতীয় শাসকদের কেউ কেউ ভাগবত ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন।
গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্ম
- (১) হিন্দু বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের একটি শাখা সম্প্রদায় হল গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্ম। এটি চৈতন্য বৈষ্ণববাদ নামেও পরিচিত। খ্রিষ্টীয় ষোড়শ শতকে পূর্ব ভারতের চৈতন্য মহাপ্রভু দ্বারা অনুপ্রাণিত একটি বৈষ্ণব হিন্দু ধর্মীয় আন্দোলন। এই কারণে এই ধর্ম চৈতন্য বৈষ্ণবধর্ম নামেও পরিচিত।
- (২) ‘গৌড়ীয়’ শব্দটির উৎস বঙ্গের প্রাচীন নাম ‘গৌড়’ শব্দ থেকে। গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের দার্শনিক ভিত্তি ভগবদ্গীতা, ভাগবত পুরাণ, অন্যান্য পৌরাণিক ধর্মশাস্ত্র এবং ঈশোপনিষদ, কলি সন্তারণ উপনিষদ প্রভৃতি উপনিষদ গ্রন্থ।
বৈষ্ণব ধর্ম উপাসনার কেন্দ্রীয় বিষয়
গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্ম উপাসনার কেন্দ্রীয় বিষয় হল রাধা ও কৃষ্ণ এবং তাদের বিভিন্ন দৈব অবতারকে স্বয়ং ভগবান বা সর্বোচ্চ ঈশ্বর রূপে পূজা করা।
বৈষ্ণব ধর্মে ভক্তি ও মন্ত্র
এই ধর্মের প্রধান প্রতিপাদ্য বিষয় হল ভক্তি। এই ধর্মে পূজার এক বিশিষ্ট অঙ্গ হল হরে কৃষ্ণ মন্ত্র সহ রাধা ও কৃষ্ণের নানান পবিত্র নাম জপ এবং কীর্তন।
বৈষ্ণব ধর্মের আদি গুরু
প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, এই ধর্মের আদিগুরু ব্রহ্মা। সেই কারণে এই সম্প্রদায়কে ব্রহ্মা-মাধ্ব-গৌড়ীয় সম্প্রদায়ও বলা হয়।
একেশ্বরবাদী বৈষ্ণব ধর্ম
এই ধর্ম মূলত একেশ্বরবাদী। কারণ, এই ধর্মে বিষ্ণুর বিভিন্ন রূপকে একক সর্বোচ্চ ঈশ্বর আদিপুরুষের রূপভেদ মনে করা হয়।
বৈষ্ণব ধর্মের মূল শিকড়
বর্তমানে নবদ্বীপ হল এই গৌড়ীয় বৈষ্ণব সমাজের মূল শিকড়, এখানেই রয়েছে গৌরের প্রধান পার্ষদ প্রভু নিত্যানন্দের বংশধরেরা। তাছাড়া গৌড়ীয় মঠ এবং ইস্কন গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্ম পালন করেন।
বৈষ্ণব ধর্মের দার্শনিক তত্ত্ব
গৌড়ীয় বৈষ্ণব দর্শন মতে, চৈতন্য প্রকৃতি থেকে উৎসারিত নয়, বরং তা আত্মার লক্ষণ। প্রত্যেক জীব তার বর্তমান দেহ থেকে পৃথক। আত্মা অমর, অপরিবর্তনশীল ও অবিনশ্বর। শুধু তাই নয়, আত্মা অনাদি ও অনন্ত।
বৈষ্ণব ধর্মে মোক্ষ
মায়ায় আচ্ছন্ন জীব পৃথিবীতে বারবার জন্মগ্রহণ করে কর্মের ও জাগতিক কামনাবাসনার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে অন্যান্য জীবের সঙ্গে জীবনধারণ করে। সংসারের এই ধারণাটি অবশ্য গৌড়ীয় বৈষ্ণব দর্শনের মৌলিক চিন্তাধারা নয়, সমগ্র হিন্দুধর্মেই এই ধারণাটি পরিব্যপ্ত হয়ে আছে। সংসারের এই প্রক্রিয়া থেকে মুক্তি লাভ করার নাম মোক্ষ। বিভিন্ন যোগের মাধ্যমেই সংসার থেকে মুক্তি লাভ করা যায়।
উপসংহার :- গৌড়ীয় বৈষ্ণব মতে ভক্তি বা ঈশ্বরের প্রতি শুদ্ধ প্রেমই মানবজীবনের পবিত্রতম অবস্থা। তাই জন্মমৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তিলাভ করার পরিবর্তে এই পথটিকেই গৌড়ীয় বৈষ্ণবরা জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য বলে মনে করেন।
(FAQ) বৈষ্ণব ধর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
বিষ্ণু বা বাসুদেব।
হেরাক্লেস।
গীতা।
কৃষ্ণ।