তরাইনের প্রথম যুদ্ধ -এর সময়কাল, অবস্থান, বিবাদমান পক্ষ, দিল্লি আক্রমণ, ভাতিণ্ডা দখল, সামনাসামনি যুদ্ধ, যুদ্ধের বর্ণনা ও ফলাফল সম্পর্কে জানবো।
১১৯১ খ্রিস্টাব্দে তরাইনের প্রথম যুদ্ধ
স্থান | হরিয়ানার থানেশ্বরের নিকটে তরাইনের প্রান্তরে |
সময়কাল | ১১৯১ খ্রিস্টাব্দে |
বিবাদমান পক্ষ | ঘুরি সাম্রাজ্য ও চৌহান রাজপুত সাম্রাজ্য |
ফলাফল | চৌহান রাজপুতদের বিজয় |
ভূমিকা :- মহম্মদ ঘুরি ও তৃতীয় পৃথ্বীরাজ চৌহান -এর মধ্যে তরাইনের প্রান্তরে দুটি যুদ্ধ হয়েছিল (১১৯১ ও ১১৯২ খ্রিস্টাব্দে), যা যথাক্রমে তরাইনের প্রথম যুদ্ধ ও তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধ নামে পরিচিত।
তরাইনের প্রথম যুদ্ধ
১১৮৯ খ্রিস্টাব্দে মহম্মদ ঘুরি ভাতিন্ডা আক্রমণ করে অধিকার করেন এবং জিয়াউদ্দিন নামে একজন অনুচরকে দুর্গের অধিপতি নিযুক্ত করেন। এরপর তরাইনের প্রথম যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
তরাইনের প্রথম যুদ্ধের সময়কাল
১১৯১ খ্রিস্টাব্দে তরাইনের প্রথম যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
তরাইনের প্রথম যুদ্ধের স্থান
তরাইনের প্রথম যুদ্ধ সংঘটিত হয় বর্তমান হরিয়ানার থানেশ্বরের কাছে তরাইন নামক শহরের নিকটে। এই স্থান দিল্লি থেকে ১৫০ কিলোমিটার (৯৩ মাইল) উত্তরে অবস্থিত।
তরাইনের প্রথম যুদ্ধে বিবাদমান পক্ষ
মহম্মদ ঘুরির নেতৃত্বাধীন ঘুরি বাহিনী ও পৃথ্বীরাজ চৌহানের নেতৃত্বে চৌহান রাজপুত বাহিনীর মধ্যে এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
তরাইনের প্রথম যুদ্ধের পূর্বে দিল্লি আক্রমণের সিদ্ধান্ত
মহম্মদ ঘুরি পেশোয়ার, শিয়ালকোট দখল করার পর দিল্লি আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। এরপর ১১৯১ খ্রিস্টাব্দে ঘুরি ভাতিন্দা আক্রমণ করলে তরাইনের প্রান্তরে উভয়পক্ষ মুখোমুখি হয়।
ভাতিন্ডা দখল
মহম্মদ ঘুরি ১১৯১ খ্রিস্টাব্দে পাঞ্জাবের ভাতিন্ডা দুর্গ জয় করেন। এই স্থান ছিল পৃথ্বীরাজ চৌহানের সীমান্ত এলাকা।
সামনাসামনি যুদ্ধ
পৃথ্বীরাজ ভাতিন্ডার দিকে অগ্রসর হয়ে থানেশ্বরের নিকটে তরাইন নামক স্থানে প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হন।
তরাইনের প্রথম যুদ্ধের বর্ণনা
- (১) ঘুরি বাহিনীর অশ্বারোহীদের প্রতিপক্ষের মধ্যভাগের দিকে তীর নিক্ষেপের মাধ্যমে লড়াই শুরু হয়। পৃথ্বীরাজের বাহিনী তিন দিক থেকে পাল্টা আক্রমণ করে এবং যুদ্ধে আধিপত্য স্থাপন করে।
- (২) ক্রমে ঘুরির বাহিনী পিছিয়ে যায়। পৃথ্বীরাজের ভাই গোবিন্দ তাইয়ের সাথে ব্যক্তিগত লড়াইয়ে মহম্মদ ঘুরি আহত হয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধে পৃথ্বীরাজ ঘুরিদের প্রতিরোধ করতে সক্ষম হন।
তরাইনের প্রথম যুদ্ধের ফলাফল
দিল্লির চৌহান বংশীয় শাসক তৃতীয় পৃথ্বীরাজ মুসলমান আক্রমণকারীর বিরুদ্ধে তুমুল লড়াই চালান। ফলে মহম্মদ ঘুরি পরাজিত হন এবং নিজের রাজ্যে ফিরে যান ।
উপসংহার :- গজনি ফিরে আসার পর মহম্মদ ঘুরি পাল্টা আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। লাহোর পৌঁছানোর পর তিনি পৃথ্বীরাজের কাছে আনুগত্য প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে দূত পাঠান। পৃথ্বীরাজ এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন। ফলে আবার যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
(FAQ) তরাইনের প্রথম যুদ্ধ সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
১১৯১ খ্রিস্টাব্দে।
১১৯১ খ্রিস্টাব্দে, মহম্মদ ঘুরির নেতৃত্বাধীন ঘুরি বাহিনী ও পৃথ্বীরাজ চৌহানের নেতৃত্বে চৌহান রাজপুত বাহিনীর মধ্যে।
এই যুদ্ধে মহম্মদ ঘুরি পরাজিত হয়।
১১৯১ খ্রিস্টাব্দে।
১১৯১ সালে।