তামিল সাহিত্য প্রসঙ্গে সাহিত্যের স্থান, সঙ্গম যুগ, তিনটি সঙ্গম যুগ, শৈব গাথা, বৈষ্ণব গাথা ও তামিল সাহিত্যের বিশিষ্ট স্রষ্টা কম্বন সম্পর্কে জানবো।
তামিল সাহিত্য
ঐতিহাসিক বিষয় | তামিল সাহিত্য |
সূত্রপাত | সঙ্গম যুগ |
সঙ্গমের সংখ্যা | তিনটি |
স্বর্ণযুগ | খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতক |
কম্ব রামায়ণ | কম্বন |
ভূমিকা :- তামিল, কানাড়ী, তেলুগু ও মালয়ালম দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। এদের মধ্যে তামিল প্রাচীনতম ভাষা।
তামিল সাহিত্যের স্থান
প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্যে উৎকর্ষের দিক থেকে সংস্কৃত ভাষার পরেই তামিলের স্থান।
তামিল সাহিত্যের সঙ্গম যুগ
তামিল সাহিত্যের ইতিহাস শুরু হয় সঙ্গম যুগ থেকে। সঙ্গম অর্থ পণ্ডিত ব্যক্তিদের সমিতি, বর্তমান যুগের ফরাসি আকাদেমীর মতো।
তামিল সাহিত্যের তিনটি সঙ্গম যুগ
কথিত আছে, সঙ্গমের সংখ্যা ছিল তিন। সঙ্গমের যুগে সাহিত্য, শিল্প ও বিজ্ঞানের বিকাশ হয়। প্রথম সঙ্গমের কোনো রচনাই এখন পাওয়া যায় না। দ্বিতীয় সঙ্গমের একটি মাত্র রচনা পাওয়া যায়। তৃতীয় সঙ্গমের তিনটি সঙ্কলন এবং বহু কাব্য এখনও বর্তমান আছে।
তামিল সাহিত্যের শৈব ও বৈষ্ণব গাথা
ষষ্ঠ বা সপ্তম শতাব্দী থেকে শৈব (‘নায়নার’) ও বৈষ্ণব ধর্ম অবলম্বী (‘আলবার’) ভক্তদের রচনায় তামিল সাহিত্য সমৃদ্ধ হয়। নাম্বি-আন্দার-নাম্বি শৈব গাথাগুলি সঙ্কলন করেন। বৈষ্ণব গাথাগুলি সঙ্কলন করেন নাথমুনি। এই গাথাগুলিতে রূপকধর্মী কাব্যে দেবতার (শিব বা বিষ্ণুর) প্রতি ভক্তের ভক্তি রূপায়িত হয়েছে।
তামিল সাহিত্যের বিশিষ্ট স্রষ্টা কম্বন
দ্বাদশ শতাব্দীতে কম্বন ছিলেন তামিল কাব্যে বিশিষ্ট স্রষ্টা। তার শ্রেষ্ঠ রচনা ‘কম্ব-রামায়ণ’ নামে পরিচিত। এটি রামায়ণ-এর তামিল অনুবাদ।
উপসংহার :- তামিল সাহিত্যে সঙ্গম যুগ বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তবে খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতক তামিল সাহিত্যের ইতিহাসে এক স্বর্ণযুগ।
(FAQ) তামিল সাহিত্য সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
তামিল।
সঙ্গম যুগ থেকে।
৩ টি।
কম্বন।