প্রাচীন গ্রিসের পলিস বা নগর রাষ্ট্র

প্রাচীন গ্রিসের পলিস বা নগর রাষ্ট্র প্রসঙ্গে সংজ্ঞা, এরিস্টটলের মন্তব্য, থুকিডিডিসের মন্তব্য, পলিসের গ্রিক-ভিত্তি, পলিসের উদ্ভব ও অগ্ৰগতি, পলিস প্রতিষ্ঠার কারণ বা পটভূমি, পলিসের বৈশিষ্ট্য, পলিসের অস্তিত্ব ও পলিসের পতন সম্পর্কে জানবো।

গ্রিসের পলিস বা নগর রাষ্ট্র প্রসঙ্গে পলিস বা নগর রাষ্ট্র কী, পলিস বা নগর রাষ্ট্রের সংজ্ঞা, পলিস বা নগর রাষ্ট্র সম্পর্কে এরিস্টটলের মন্তব্য, পলিস বা নগর রাষ্ট্রের উদ্ভব ও অগ্ৰগতি, পলিস বা নগর রাষ্ট্র পলিস প্রতিষ্ঠার পটভূমি, পলিস বা নগর রাষ্ট্রের আয়তন, পলিস বা নগর রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য ও পলিস বা নগর রাষ্ট্রের পতন সম্পর্কে জানব।

প্রাচীন গ্রিসের পলিস বা নগর রাষ্ট্র

ঐতিহাসিক ঘটনাপলিস
উদ্ভবপ্রাচীন গ্ৰিস
ইংরেজি নামCity State
বাংলা নামনগর রাষ্ট্র
উল্লেখযোগ্য পলিসএথেন্স ও স্পার্টা
দখলম্যাসিডন রাজ ফিলিপ
প্রাচীন গ্রিসের পলিস বা নগর রাষ্ট্র

ভূমিকা :- খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম থেকে চতুর্থ শতক গ্রিসের ইতিহাসে ধ্রুপদি যুগ নামে পরিচিত। এই যুগে গ্রিসে বেশ কিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রের পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটে।

‘পলিস’ বা নগর-রাষ্ট্র কী?

গ্রিসের ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলির যাবতীয় কাজকর্মে নাগরিকরা প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করত। এই ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলিকে গ্রিক ভাষায় ‘পলিস’ বলা হত। প্রাচীন গ্রিক পলিসগুলি ইংরেজিতে ‘City-State’ এবং বাংলায় ‘নগর-রাষ্ট্র’ নামে পরিচিত। পলিস’ বলতে নির্দিষ্ট ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভূখণ্ডে ঐক্যবদ্ধভাবে কর্মরত একটি জনগোষ্ঠীকে বোঝাত। জনগোষ্ঠী সেই নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের কাজকর্মে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করত।

পলিস সম্পর্কে অ্যারিস্টটলের মন্তব্য

এরিস্টটল বলেছেন যে, “মানুষ হল এক ধরনের প্রাণী যারা পলিসে বসবাস করে।”

পলিস সম্পর্কে থুকিডিডিসের মন্তব্য

প্রাচীন গ্রিসের ইতিহাসবিদ থুকিডিডিস বলেছেন যে, “Men are the Polis.”।

পলিস সম্পর্কে ওয়েদিপাস নাটকের উল্লেখ

ওয়েদিপাস নাটকের একটি দৃশ্যে বলা হয়েছে, “আমি একা নয়, সমগ্র পলিস শুনেছে।” এখানে পলিস বলতে সেই ভূখণ্ডের সমগ্র জনগোষ্ঠীকেই উল্লেখ করা হয়েছে।

পলিসের গ্রিক-ভিত্তি

স্বাধীন বা সাময়িকভাবে স্বাধীনতা হারানো গ্রিক সম্প্রদায়কে পলিসের সমার্থক বলে মনে করা হত। আবার আরকাডি-র মতো গ্রিক সম্প্রদায়ের কোনো রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান না থাকায় তারা পলিস বলে গণ্য হত না। তা ছাড়া, কোনো অ-গ্রিক রাষ্ট্র সম্পর্কে ‘পলিস’ শব্দটি ব্যবহার করা হত না।

পলিসের উদ্ভব ও অগ্রগতি

আনুমানিক ১০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রিসে ডোরিয়ান বিজয়ের পূর্বে বা প্রাচীন মাইসেনীয় যুগে (১১০০ থেকে ৬০০ খ্রিস্টপূর্ব) কয়েকটি বৃহৎ রাষ্ট্র বা শক্তিশালী রাজার অস্তিত্বের কথা জানা যায়। এই সময় গ্রিসের ক্রীট দ্বীপে ইভোমিনিয়ান্স এবং মাইসিনি নামক রাষ্ট্রে আগামেমনন নামে শক্তিশালী রাজা ছিলেন।

(১) পলিসের উদ্ভব

ভোরিয়ান বিজয়ের পরবর্তীকালে গ্রিসে এই ধরনের বৃহৎ ও শক্তিশালী রাষ্ট্রের অস্তিত্ব লুপ্ত হতে থাকে। এই সময় আর পূর্বের আগামেমনন বা ইভোমিনিয়ান্স-এর মতো বৃহৎ রাষ্ট্রের রাজার সন্ধান পাওয়া যায় না। ডোরিয়ান বিজয়ের দুই শতক পর থেকে গ্রিসে অন্তত ৩০০ বছর ধরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্র গঠনের প্রক্রিয়া চলতে থাকে। এক একটি ক্ষুদ্র অঞ্চলকে কেন্দ্র করে এক একটি স্বাধীন ও স্বশাসিত রাষ্ট্র গড়ে উঠতে থাকে।

(২) পলিসের অগ্রগতি

এরপর থেকেই ইজিয়ান সাগরের বিভিন্ন দ্বীপ, পেলোপনেসাস ও মধ্য গ্রিসের বৃহদংশ, আয়োনিয়া, দক্ষিণ ইতালি, সিসিলি প্রভৃতি বিভিন্ন অঞ্চলে বহু ক্ষুদ্র, স্বাধীন ও স্বশাসিত রাষ্ট্র গড়ে উঠতে থাকে। এভাবে খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম থেকে সপ্তম শতকের মধ্যে পলিসগুলি তাদের প্রাথমিক রূপ লাভ করে। পলিসগুলির প্রাথমিক পর্যায়ে গ্রিসের প্রতিবেশী কোনো কোনো অঞ্চলে তখনও বৃহৎ রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ছিল। গ্রিক পলিসগুলি ধ্রুপদি যুগে তাদের চূড়ান্ত ও পরিণত রূপ লাভ করে।

(৩) উল্লেখযোগ্য পলিস

এই সময় গ্রিস, এশিয়া মাইনর, ইজিয়ান সাগরের দ্বীপসমূহ প্রভৃতি অঞ্চলে এরূপ ক্ষুদ্র নগর-রাষ্ট্রের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৫০০। এর মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য ছিল এথেন্স ও স্পার্টা। এ ছাড়া করিন্থ, থিবস, ইরিথ্রিয়া, আরগস, সিরাকিউজ প্রভৃতি পলিসও উল্লেখযোগ্য ছিল।

পলিস প্রতিষ্ঠার পটভূমি বা কারণ

প্রাচীন গ্রিক পলিস বা নগর রাষ্ট্রগুলি প্রতিষ্ঠার পটভূমি তৈরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন উপাদান কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছিল। যেমন –

(১) অক্টোপলিস

ডোরিয়ান বিজয়ের (আনুমানিক ১০০০ খ্রিস্টপূর্ব) পরবর্তীকালে গ্রিকরা বৈদেশিক আক্রমণ প্রতিহত করার তাগিদ অনুভব করেছিল। এই উদ্দেশ্যে গ্রিসে বিভিন্ন পাহাড়ের শিখরে অক্টোপলিস নামে শক্তিশালী কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে। এইসব স্থান ক্রমে শাসকের বাসস্থান, জনগণের মিলনকেন্দ্র ও ধর্মস্থান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং নগরে পরিণত হয়। এই নগরগুলিকে কেন্দ্র করেই পরবর্তীকালে পলিস গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

(২) বাজার

পণ্য ক্রয়বিক্রয় এবং অর্থনৈতিক লেনদেনের প্রয়োজনে গ্রিসের বিভিন্ন স্থানে প্রতিষ্ঠিত অক্টোপলিসগুলির কাছেই স্থানীয় বাজার গড়ে উঠতে থাকে। বাজারগুলি ক্রমে মানুষের মেলামেশা ও মনের ভাব বিনিময়ের অন্যতম কেন্দ্রে পরিণত হয়। তা ছাড়া, প্রাচীন গ্রিকদের সামাজিক মনোভাবের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল যে, তারা তাদের বাসস্থান থেকে হেঁটে কর্মস্থলে যেতে এবং স্থানীয় বাজার বা খোলা স্থানে গল্পগুজব করে অবসর সময় কাটাতে পছন্দ করত। মানুষের মেলামেশার কেন্দ্র হিসেবে এই বাজারগুলি ক্রমে বাজার-নগরে পরিণত হয় এবং গ্রিকদের জীবনের প্রধান কেন্দ্র হয়ে ওঠে।

(৩) বিচ্ছিন্ন ভৌগোলিক অবস্থান

প্রাচীন গ্রিসের বিচ্ছিন্ন ভৌগোলিক অবস্থান পলিস প্রতিষ্ঠার অন্যতম কারণ বলে কেউ কেউ মনে করেন। তাঁদের মতে, গ্রিসের ভূখণ্ড বিভিন্ন সাগর ও পাহাড়পর্বত দ্বারা বিচ্ছিন্ন ছিল। যোগাযোগ ব্যবস্থাও ছিল অপ্রতুল। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন ভূখণ্ডে এক একটি স্বাধীন ও স্বশাসিত পলিস গড়ে ওঠে।

(৪) অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতা

প্রাচীন গ্রিসের বিচ্ছিন্ন ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সেখানে পণ্য চলাচল যথেষ্ট ব্যাহত হয়ে অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে প্রতিটি স্থানীয় অঞ্চলই হয়ে উঠেছিল অর্থনীতির কেন্দ্র। তা ছাড়া গ্রিকদের প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী স্থানীয় অঞ্চলেই উৎপাদিত হত। কবি হোমার ও হেসিয়ডের বর্ণনায় গ্রিসের এই ক্ষুদ্র অঞ্চলে সীমাবদ্ধ গার্হস্থ্য অর্থনীতির উল্লেখ পাওয়া যায়। এরূপ পরিস্থিতিতে স্থানীয় শাসনাধীন অঞ্চল নিয়ে পলিসগুলি গড়ে ওঠে।

(৫) মানসিকতা

প্রাচীনকালে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গ্রিক পলিসগুলি গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে গ্রিকদের মনোভাব বা মানসিকতা বিশেষভাবে কাজ করেছিল বলে অনেকে মনে করেন। গ্রিকরা প্রতিবেশী পারস্যের মতো বিশালাকার রাষ্ট্রকে পছন্দ করত না। এরূপ রাষ্ট্রকে তারা বর্বরদের বাসযোগ্য বলে মনে করত। ক্ষুদ্রত্বকে গ্রিকরা রাষ্ট্রের অন্যতম গুণ বলে মনে করত। প্রাচীন গ্রিক দার্শনিকরাও এরূপ ক্ষুদ্র রাষ্ট্রের সপক্ষেই তাদের সমর্থন জানিয়েছেন।

পলিসের বৈশিষ্ট্য

প্রাচীন গ্রিক পলিস গুলির নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। যেমন –

(১) ক্ষুদ্রায়তন

গ্রিক পলিস বা নগর রাষ্ট্রগুলি আকারে এবং আয়তনে আধুনিক রাষ্ট্রের তুলনায় খুবই ক্ষুদ্র হত।

(২) স্বল্প জনসংখ্যা

পলিসের আয়তন খুবই ছোট হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রতিটি পলিসে জনসংখ্যা খুবই কম হতো। অধিকাংশ পলিসের জনসংখ্যা ছিল ৫ হাজার বা তার চেয়েও কম।

(৩) শাসন কাঠামো

প্রথম দিকে পলিস গুলি বংশানুক্রমিক রাজতন্ত্রের অধীনে শাসিত হলেও পরবর্তীকালে গণতান্ত্রিক, অভিজাততান্ত্রিক, স্বৈরতান্ত্রিক প্রভৃতি বিভিন্ন ধরনের শাসন কাঠামো চালু হয়।

(৪) নাগরিক ও অনাগরিক

প্রতিটি গ্রিক পলিসে বসবাসকারী জনগণ প্রধানত দুটি ভাগে বিভক্ত ছিল নাগরিক ও অনাগরিক।

(৫) জনগণের প্রত্যক্ষ শাসন

পলিস গুলির শাসন পরিচালনায় নাগরিকরা প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করতে পারত।

(৬) স্বাতন্ত্র্য

প্রাচীন গ্ৰিসের প্রতিটি পলিস একে অপরের থেকে পৃথক ছিল। প্রতিটি পলিসেরই নিজস্ব পৃথক সরকার, সেনাবাহিনী, ক্যালেন্ডার প্রভৃতি থাকতো।

(৭) ধর্মীয় বিশেষত্ব

গ্রিক পলিস গুলিতে বহু দেবতার আরাধনা প্রচলন ছিল। জিউস ছিলেন দেবতার মধ্যে শ্রেষ্ঠ।

পলিসের অস্তিত্ব

  • (১) গ্রিসের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পলিস বা নগর-রাষ্ট্রগুলি দীর্ঘদিন টিকে ছিল। গ্রিক পলিসগুলির এই দীর্ঘস্থায়িত্বের প্রধান কারণ ছিল বহিরাগত অনাক্রমণ। গ্রিসের প্রতিবেশী হিট্টাইট সাম্রাজ্য ভেঙে পড়ায় সেখান থেকে গ্রিসে আক্রমণের সম্ভাবনা ছিল না। প্রতিবেশী লিডিয়ান রাজ্যও আক্রমণাত্মক ছিল না।
  • (২) খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকের পূর্বে পারস্য বা ম্যাসিডনের শক্তিবৃদ্ধিও বিশেষ হয় নি। তখন মিশরও ছিল দুর্বল এবং পতনোন্মুখ। রোমান সাম্রাজ্যের উত্থান তখনও হয় নি। ফলে খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকের পূর্বে গ্রিক পলিসের ওপর বিশেষ কোনো বৈদেশিক আঘাত আসে নি।
  • (৩) এই সুযোগে গ্রিক পলিসগুলি নিরাপদে তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছিল। খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকেও পারস্যের আক্রমণের বিরুদ্ধে গ্রিক পলিসগুলি ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছিল।

পলিসের পতনের কারণ

প্রাচীন গ্রিসের নগর রাষ্ট্রগুলি পতনের বিভিন্ন কারণ গুলি হল নিম্নরূপ। –

(১) সুযোগ্য সেনাপতির অভাব

পলিসগুলির অর্থনৈতিক শক্তি হ্রাস পেলে নির্দিষ্ট পলিসের প্রতি অনুগত সুযোগ্য সেনাপতির অভাব দেখা দেয় এবং সামরিক ক্ষেত্রে দুর্বলতা প্রকট হয়। বৈদেশিক আক্রমণের সময় এই দুর্বলতা আরও প্রকট হয়ে ওঠে।

(২) নৌশক্তির অভাব

নদীনালা ও সমুদ্রের জলভাগের দ্বারা বিচ্ছিন্ন গ্রিসকে বিদেশিদের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য নৌশক্তির অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। কিন্তু গ্রিসের অর্থনৈতিক দুর্বলতার ফলে পলিসগুলির নৌশক্তিও ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়ে।

(৩) ক্রীতদাসপ্রথা

প্রাচীন গ্রিসে অস্তিত্বশীল ক্রীতদাস ব্যবস্থা গ্রিক পলিসগুলির পতনের জন্য বিশেষভাবে দায়ী ছিল বলে ইতিহাসবিদ পেরি অ্যান্ডারসন উল্লেখ করেছেন।

উপসংহার :- মেসিডনের রাজা দ্বিতীয় ফিলিপ তার সুশিক্ষিত ও হালকা অস্ত্রবাহি সেনাদের সাহায্যে একের পর এক পলিস দখল করে নেয়।

(FAQ) প্রাচীন গ্রিসের পলিস সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. পলিস গুলি ইংরেজিতে কি নামে পরিচিত?

City State.

২. পলিস গুলি বাংলায় কি নামে পরিচিত?

নগর রাষ্ট্র।

৩. পলিস কোথায় গড়ে উঠেছিল?

 প্রাচীন গ্রিসে।

৪. দুটি উল্লেখযোগ্য পলিস বা নগর রাষ্ট্রের নাম লেখ।

এথেন্স ও স্পার্টা।

Leave a Comment