মোঘল সম্রাট শাহজাহান নির্মিত মোতি মসজিদ নির্মাণের সময়কাল, উপকরণ, অবস্থান, সময়, ব্যয় ও স্থাপত্য সম্পর্কে জানবো।
শাহজাহানের রাজত্বকালে নির্মিত আগ্ৰা দুর্গে অবস্থিত মোতি মসজিদ প্রসঙ্গে মোতি মসজিদের নির্মাতা, মোতি মসজিদের নির্মাণকাল, মোতি মসজিদের অবস্থান, মোতি মসজিদ নির্মাণের উপকরণ, মোতি মসজিদের নামকরণ, মোতি মসজিদ নির্মাণের সময় ও ব্যয়, মোতি মসজিদের স্থাপত্য।
শাহজাহান নির্মিত মোতি মসজিদ
ঐতিহাসিক নিদর্শন | মোতি মসজিদ |
নির্মাণকারী | মোঘল সম্রাট শাহজাহান |
অবস্থান | ভারত -এর উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের আগ্রা শহরে |
সময় | ১৬৪৬-১৬৫৩ খ্রিস্টাব্দ |
ভূমিকা :- সম্রাট শাহজাহানের রাজত্বকালে মোঘল স্থাপত্য তার স্বর্ণযুগে প্রবেশ করে। বিভিন্ন স্থাপত্যের মধ্যে অন্যতম ছিল আগ্রার মোতি মসজিদ।
মোতি মসজিদের নির্মাতা
আগ্রার মোতি মসজিদ নির্মাণ করান মোঘল সম্রাট শাহজাহান।
মোতি মসজিদ নির্মাণের উপকরণ
মোঘল সম্রাট শাহজাহান কর্তৃক নির্মিত মসজিদটি সম্পূর্ণ সাদা মার্বেল দিয়ে তৈরি।
মোতি মসজিদ নির্মাণের সময়কাল
এই মসজিদটি ১৬৪৬-১৬৫৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কালে নির্মিত হয়েছিল।
মোতি মসজিদের অবস্থান
সম্রাট শাহজাহানের আমলে নির্মিত মোতি মসজিদ আগ্রা দুর্গে দিওয়ান-ই-আম কমপ্লেক্সের উত্তরে অবস্থিত।
মোতি মসজিদের নামকরণ
মুক্তার মত দ্যুতির জন্য এই মসজিদের নাম মোতি মসজিদ রাখা হয়েছে।
মোতি মসজিদ নির্মাণের সময় ও খরচ
মসজিদটি নির্মাণে ১ লক্ষ ৬০ হাজার রুপি খরচ হয় এবং সাত বছর সময় লেগেছিল।
মোতি মসজিদের স্থাপত্য
মোতি মসজিদের গম্বুজ সংখ্যা তিনটি। এগুলো মার্বেল নির্মিত ও লাল বেলেপাথরের দেওয়ালের উপর অবস্থিত।
- (১) দুর্গের উঠানের উত্তরে অবস্থিত একটি প্রাচীর ঘেরা জায়গায় মসজিদ কমপ্লেক্সটি একটি উঁচু চূড়ার উপর নির্মিত।
- (২) এটি যমুনা নদীর মুখোমুখি পূর্ব-পশ্চিম অক্ষে অবস্থিত। দেওয়ালের বাইরের অংশটি লাল বেলেপাথরে আবৃত।
- (৩) প্রতিটি প্রাচীরের মাঝখানে একটি উচ্চ প্রবেশপথ অবস্থিত। পূর্ব দিকের প্রবেশ দ্বারটি প্রধান প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করে।
- (৪) ঘরের দেওয়ালের ভিতরে একটি প্রায় বর্গাকার প্রাঙ্গণ উত্তর, দক্ষিণ এবং পূর্ব প্রান্তে তোরণ দ্বারা সারিবদ্ধ। উঠানের মাঝখানে একটি পুল আছে।
- (৫) পশ্চিম প্রান্তে প্রধান প্রার্থনা হল আছে। হলের সম্মুখভাগে সাতটি প্রবেশপথ রয়েছে, যেখানে ছাদে তিনটি গম্বুজ এবং বেশ কয়েকটি ছত্রী রয়েছে।
- (৬) হলের সামনের অংশটি একটি গভীর ছজ্জা (ইভ) দ্বারা ছায়াযুক্ত, যার নীচে কালো মার্বেলে ফারসি শিলালিপি রয়েছে।
- (৭) এই শিলালিপিগুলি শাহজাহান এবং মতি মসজিদকে মহিমান্বিত করার জন্য জটিল চিত্র ব্যবহার করে।
- (৮) প্রার্থনা হলের অভ্যন্তরটি খুব বেশি সাজসজ্জা বহন করে না। আসলে অলঙ্কৃত মার্বেল ব্যবহার শাহজাহানের ব্যক্তিগত ধর্মীয় স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য।
উপসংহার :- মতি মসজিদটি আজমির শরীফ দরগাহে শাহজাহান কর্তৃক নির্মিত পূর্ববর্তী মার্বেল নির্মিত মসজিদের থেকে অনেক বেশি প্রভাব প্রদর্শন করে।
প্রিয় পাঠক/পাঠিকা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই “মোতি মসজিদ” পোস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই adhunikitihas.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। যে কোনো প্রশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলো করুণ এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন।
সবশেষে আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে Comment ও Share করে দিবেন, (ধন্যবাদ)।
(FAQ) মোতি মসজিদ সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
সম্রাট শাহজাহান।
আগ্রা দুর্গে অবস্থিত।
১৬৪৬-১৬৫৩ খ্রিস্টাব্দে।