আধুনিক ইতিহাস লিখন পদ্ধতি

আধুনিক ইতিহাস লিখন পদ্ধতি প্রসঙ্গে উৎস সংগ্রহ, উৎসের শ্রেণিবিভাগ, উৎস সম্পর্কে গবেষণা কার্যকারণ পদ্ধতি ও প্রশ্নোত্তরের ব্যবহার, তথ্য সংরক্ষণ ও ইতিহাস রচনা, ধারাবাহিকতা ও কালানুক্রম ও ভৌগোলিক অবস্থানের উল্লেখ সম্পর্কে জানবো।

ইতিহাস লিখন পদ্ধতি প্রসঙ্গে আধুনিক ইতিহাস লিখন পদ্ধতির নীতি উৎস সংগ্ৰহ, আধুনিক ইতিহাস লিখন পদ্ধতির নীতি উৎসের শ্রেনীবিভাগ, আধুনিক ইতিহাস লিখন পদ্ধতির নীতি উৎসের গবেষণা, আধুনিক ইতিহাস লিখন পদ্ধতির নীতি কার্যকারণ পদ্ধতি ও প্রশ্নোত্তরের ব্যবহার, আধুনিক ইতিহাস লিখন পদ্ধতির নীতি তথ্য সংরক্ষণ ও ইতিহাস রচনা, আধুনিক ইতিহাস লিখন পদ্ধতির নীতি ধারাবাহিকতা ও কালানুক্রম, আধুনিক ইতিহাস লিখন পদ্ধতির নীতি ভৌগোলিক অবস্থানের উল্লেখ, আধুনিক ইতিহাস লিখন পদ্ধতির ক্ষেত্রে ঐতিহাসিকদের ভূমিকা।

আধুনিক ইতিহাস লিখন পদ্ধতি

বিষয়আধুনিক ইতিহাস লিখন পদ্ধতি
মূল ভিত্তিঐতিহাসিক উৎস
পদ্ধতিকার্যকারণ ও প্রশ্নোত্তর
পলাশির যুদ্ধ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দ
আধুনিক ইতিহাস লিখন পদ্ধতি

ভূমিকা :- আধুনিক ঐতিহাসিক লিওপোল্ড ভন রাঙ্কে বলেছেন, “যে ঘটনা যেভাবে ঘটেছে তা সঠিক বর্ণনার মাধ্যমে দেখানোই হল ইতিহাস।” ঐতিহাসিক বিউরি বলেছেন “ইতিহাস হল একটি বিজ্ঞান, এর কম নয়, বেশিও নয়।” আমাদের চতুর্দিকে ছড়িয়ে থাকা নানা ঐতিহাসিক উৎস ও তথ্যের সহায়তায় কোনো একজন ঐতিহাসিক সুংবদ্ধ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে যথার্থ আধুনিক ইতিহাস রচনা করতে পারেন।

আধুনিক ইতিহাস লিখন পদ্ধতি

যথার্থ আধুনিক ইতিহাস রচনা করতে গেলে কোনো একজন ঐতিহাসিককে সুসংবদ্ধ পদ্ধতির যেসব নীতি অনুসরণ করতে হবে সেগুলি হল –

(ক) উৎস সংগ্রহ

  • (১) ইতিহাসের বিষয়বস্তুর মূলভিত্তি হল ঐতিহাসিক উৎস। উৎস ছাড়া ইতিহাস রচিত হতে পারে না। যথার্থ আধুনিক ইতিহাস রচনায় উদ্যোগী একজন ঐতিহাসিকের প্রথম কাজ হল বিভিন্ন ধানের উৎসের সন্ধান করে সেগুলি সংগ্রহ করা।
  • (২) তবে মনে রাখা দরকার যে, ঐতিহাসিক উৎসের কোনো শেষ নেই। তাই যুগ-যুগান্তর ধরে উৎস সংগ্রহ করে দশকের পর দশক ধরে তা নিয়ে গবেষণা চালালে ইতিহাস গতিহীন হয়ে পড়বে। তাই উৎস সংগ্রহের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট উৎস সংগ্রহ ও সেই বিষয়ে গবেষণার কাজটি করতে হবে।
  • (৩) ঐতিহাসিক উৎস বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে, যেমন প্রত্নতাত্ত্বিক উৎস (অস্ত্রশস্ত্র, যন্ত্রপাতি, জীবাশ্ম, হাড়গোড়, আসবাবপত্র, লেখ বা লিপি, মুদ্রা, স্থাপত্য-ভাস্কর্য প্রভৃতি), মৌখিক উৎস (পৌরাণিক কাহিনি, কিংবদন্তি, রূপকথা, পালা, গান, প্রবাদ প্রভৃতি), ছবিভিত্তিক উৎস (চিত্রকলা, নকশা, মানচিত্র প্রভৃতি), লিখিত বিবরণমূলক উৎস (প্রাচীন পাণ্ডুলিপি, চুক্তি, সন্ধি, বিভিন্ন শাসকদের নির্দেশনানা, দিনলিপি, মুদ্রিত পুস্তক সাধারণ প্রভৃতি।
  • (৪) উদাহরণ হিসাবে ধরা যাক কোনো একজন ঐতিহাসিক ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের পলাশির যুদ্ধের রাজনৈতিক ইতিহাস রচনা করার উদ্দেশ্যে সেবিষয়ে বিভিন্ন ঐতিহাসিক উৎস সম্পর্কে অনুসন্ধান করেছেন। তিনি প্রথমে বাংলার নবাবি আমলের বিভিন্ন প্রকার ঐতিহাসিক উৎস, যেমন— সেযুগের দলিল দস্তাবেজ, চিঠিপত্র, সরকারি নির্দেশ, গ্ৰন্থাবলী, মুদ্রা ও অন্যান্য নথিপত্র সংগ্রহ করবেন।

(খ) উৎসের শ্রেণিবিভাগ

  • (১) ঐতিহাসিক উৎসগুলি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। উৎসগুলির মধ্যে কিছু উৎস অতি প্রয়োজনীয়, কিছু উৎস মোটামুটি প্রয়োজনীয়, আবার কিছু উৎস অপ্রয়োজনীয় হতে পারে।
  • (২) ঐতিহাসিকের কাজ হল উৎসগুলি সংগ্রহ করার পর সেগুলির শ্রেণিবিভাগ করা এবং গুরুত্ব অনুসারে অতি প্রয়োজনীয়, মোটামুটি প্রয়োজনীয় এবং অপ্রয়োজনীয় উৎসগুলিকে চিহ্নিত করা। উৎসগুলি সম্পর্কে যথেষ্ট অনুসন্ধান করে তিনি সে বিষয়ে স্বচ্ছ জ্ঞান লাভ করবেন। এরপর গুরুত্বপূর্ণ উৎসগুলি নিয়ে ঐতিহাসিক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
  • (৩) উদাহরণ হিসাবে একজন ঐতিহাসিক তার ইতিহাসের উৎসগুলি সংগ্রহ করার পর উৎসগুলির মধ্যে অতি প্রয়োজনীয় ও মোটামুটি প্রয়োজনীয় হিসেবে দলিল দস্তাবেজ, চিঠিপত্র, সরকারি নির্দেশ প্রভৃতি চিহ্নিত করবেন।

(গ) উৎস সম্পর্কে গবেষণা

  • (১) উৎস সম্পর্কে যথেষ্ট অনুসন্ধানের পর ঐতিহাসিক সেই উৎসগুলি নিয়ে সুসংবদ্ধ পদ্ধতিতে গভীর গবেষণা করবেন। উৎস থেকে তথ্য উদ্ঘাটন করার জন্য ঐতিহাসিককে সেই উৎস নিয়ে গভীর ও নিরপেক্ষ গবেষণা করতে হবে।
  • (২) অতীতের কোনো একটি বিশেষ যুগের উৎস নিয়ে গভীর ও একনিষ্ঠ গবেষণার জন্য ঐতিহাসিককে তার কাজের মধ্য দিয়ে মানসিকভাবে সেই যুগে ফিরে যেতে হবে। অতীতের সেই উৎসটি সে যুগে কোন পটভূমিতে সৃষ্টি হয়েছিল তা ঐতিহাসিককে গভীর গবেষণা ও অনুসন্ধানের মাধ্যমে উদ্ঘাটনের চেষ্টা করতে হবে।
  • (৩) উৎসটির সমকালীন যুগধর্ম, আর্থ-সামাজিক অবস্থা, উৎসটির নির্মাতার মননশীলতা প্রভৃতি বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে। উদাহরণ হিসাবে পলাশির যুদ্ধের রাজনৈতিক ইতিহাস লিখতে গিয়ে ঐতিহাসিক যেসব দলিল দস্তাবেজ, চিঠিপত্র, সরকারি চিঠিপত্র, সরকারি নির্দেশ ও অন্যান্য উৎসগুলি পেয়েছেন সেগুলি তখন কোন প্রেক্ষাপটে লেখা হয়েছিল, তা ঐতিহাসিক বোঝার চেষ্টা করবেন।

(ঘ) কার্যকারণ পদ্ধতি ও প্রশ্নোত্তরের ব্যবহার

  • (১) ঐতিহাসিক উৎসগুলি সম্পর্কে গভীর গবেষণার পর ঐতিহাসিক তা থেকে যথার্থ তথ্য উদ্ঘাটনে উদ্যোগী হবেন। এক্ষেত্রে তিনি অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি কার্যকারণ সম্পর্ক ও প্রশ্নোত্তর পদ্ধতি ব্যবহার করবেন।
  • (২) ইতিহাস বলে যে, প্রতিটি কার্য সংঘটিত হওয়ার পিছনেই কোনো-না-কোনো কারণ থাকে। ইতিহাসের যে ঘটনাটি ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ করবেন তারও কোনো কারণ নিশ্চয়ই থাকবে। ঐতিহাসিককে সেই কার্যকারণ সম্পর্কটি খুঁজে বের করতে হবে। শুধু দৃশ্যমান বা সহজে বোধগম্য কারণ নয়, ঘটনার অনেক গভীরে যে কারণ লুকিয়ে থাকে তা-ও ঐতিহাসিককে খুঁজতে হবে।
  • (৩) এক্ষেত্রে ঐতিহাসিককে একজন বিজ্ঞানীর মতো যথার্থ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। উৎসটি থেকে তথ্য উদ্ঘাটনের জন্য ঐতিহাসিককে নানা দৃষ্টিকোণ থেকে নানা প্রশ্ন করতে হবে। প্রশ্নগুলির যে উত্তর আসবে তা থেকে উৎসটি সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে। 
  • (৪) উদাহরণ হিসাবে ঐতিহাসিক কার্যকারণ পদ্ধতি ব্যবহার করে ইংরেজদের সঙ্গে নবাবের সম্পর্কের অবনতি ঘটার কারণটি খুঁজে বের করবেন। তিনি বিভিন্ন উপাদান সম্পর্কে নিজে নিজেই প্রশ্ন করে সেগুলির উত্তর তৈরির চেষ্টা করবেন। যেমন – নবাব সিরাজদ্দৌলা কেন কলকাতার ইংরেজ কর্তৃপক্ষকে দুর্গ নির্মাণ বন্ধ করার নির্দেশ দিলেন এবং ইংরেজরা কেন সেই নির্দেশ অমান্য করল, সে বিষয়ে ঐতিহাসিক প্রশ্ন করে যুক্তিসংগত উত্তর তৈরি করবেন।

(ঙ) তথ্য সংরক্ষণ ও ইতিহাস রচনা

  • (১) দীর্ঘ গবেষণা থেকে যে তথ্যগুলি পাওয়া গেল সেগুলি ঐতিহাসিক যথাযথভাবে সংরক্ষণ করবেন। লিখিত পদ্ধতি ছাড়া ঐতিহাসিক কার্যাবলি যথার্থ হয় না। তাই গবেষণার কাজের সময় ঐতিহাসিককে নোটবুক ব্যবহার করতে হবে। গবেষণার সময় তিনি উৎসটি থেকে যে তথ্যগুলি লাভ করবেন তা সর্বদা গুরুত্ব সহকারে তাঁর নোটবুক-এ লিখে রাখবেন।
  • (২) বিভিন্ন উৎসের চুলচেরা গবেষণা ও বিশ্লেষণ থেকে প্রাপ্ত তথ্যগুলি নোটবুক-এ লিপিবদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর নোটবুকটি ঐতিহাসিকের ইতিহাস রচনার মূলসূত্র হিসেবে কাজ করবে। নোটবুক-এর তথ্যগুলি যথার্থভাবে পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা করে তিনি যথার্থ ও নিরপেক্ষ ইতিহাস রচনা করবেন।
  • (৩) উদাহরণ হিসেবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে ঐতিহাসিক তাঁর গবেষণা থেকে সিদ্ধান্ত লাভ করলেন যে, নবাবের অনুমতি ছাড়া কলকাতায় ইংরেজদের দুর্গনির্মাণ, ঢাকার দেওয়ান কৃষ্ণদাসকে কলকাতায় আশ্রয়দান, নবাবের দূত নারায়ণ দাসকে কলকাতায় অপমান প্রভৃতি ঘটনাগুলি ইংরেজদের বিরুদ্ধে নবাবকে ক্রুদ্ধ করেছিল। প্রাপ্ত এই সিদ্ধান্তগুলি তিনি একটি নোটবুকে লিখে রাখবেন। এই নোটবুকের তথ্যগুলির ভিত্তিতে তিনি পলাশির যুদ্ধের রাজনৈতিক ইতিহাস লেখার কাজ শুরু করবেন।

(চ) ধারাবাহিকতা ও কালানুক্রম

  • (১) ইতিহাসের ঘটনাবলি সময়ের পথ বেয়ে ধারাবাহিকভাবে সামনের দিকে এগিয়ে চলে। অর্থাৎ কালানুক্রম যথার্থ আধুনিক ইতিহাস রচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। তাই ঐতিহাসিকগণ সময়ের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে যথার্থ ইতিহাস রচনা করবেন। 
  • (২) ঐতিহাসিকগণ ইতিহাসের ঘটনাবলি গভীরভাবে উপলব্ধি করে কালক্রম অনুসারে সেই ঘটনাগুলিকে তিনটি পর্বে বিভক্ত করে আলোচনা করবেন। এই তিনটি কালপর্ব হল ঘটনার সূচনাপর্ব বা প্রাথমিক অবস্থা, ঘটনার গতিপ্রকৃতি বা মধ্যাবস্থা এবং ঘটনার পরিণতি বা শেষ অবস্থা।
  • (৩) এই তিনটি পর্বের ইতিহাস লেখার সময় ঐতিহাসিকগণ অবশ্যই ঘটনার ধারাবাহিকতার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার কোন্ পর্বটি কখন ঘটেছিল তা উল্লেখ করবেন। সময়ের উল্লেখ না করলে রচিত ইতিহাসটি মূল্যহীন হয়ে পড়বে।
  • (৪) উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, ঐতিহাসিক যদি লেখেন, “বাংলার নবাব সিরাজদ্দৌলা ও কলকাতার ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে পলাশির মাঠে পলাশির যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, তা কখনও যথার্থ ঐতিহাসিক বর্ণনা হতে পারে না। উক্ত তথ্যের পাশাপাশি ঐতিহাসিক অবশ্যই উল্লেখ করবেন যে, ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে পলাশির উক্ত যুদ্ধটি সংঘটিত হয়েছিল।

(ছ) ভৌগোলিক অবস্থানের উল্লেখ

  • (১) ইতিহাসের সব ঘটনা কোনো ক্ষুদ্র বা বৃহৎ ভৌগোলিক স্থানে সংঘটিত হয়ে থাকে। তাই যথার্থ ইতিহাস রচনা করার জন্য যথার্থ ঐতিহাসিক উৎসগুলি সম্পর্কে গভীর গবেষণার পাশাপাশি উৎস ও ঘটনার ভৌগোলিক অবস্থানের উল্লেখ করার বিষয়টিও একজন ঐতিহাসিকের পক্ষে ভীষণ জরুরি। কোনো ঘটনার ঐতিহাসিক বিবরণ দিলেও তাতে ঘটনার স্থানের উল্লেখ না থাকলে সেই ইতিহাস মূল্যহীন হয়ে পড়বে।
  • (২) উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, কোনো ঐতিহাসিক যদি লেখেন, “নবাব সিরাজদৌলা ও ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে পলাশীর যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল”, তা কখনও যথার্থ ঐতিহাসিক বর্ণনা হতে পারে না। কারণ, যথার্থ ইতিহাস রচনা করার জন্য সিরাজদৌলা যে, ‘বাংলার নবাব’, ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যে, ‘কলকাতার কর্তৃপক্ষ’ এবং যুদ্ধের স্থানটি যে ‘পলাশীর মাঠ’ তা উল্লেখ করা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

উপসংহার :- ঐতিহাসিক উৎস অনুসন্ধান, তথ্য উদ্‌ঘাটন, কালানুক্রমের ব্যবহার, ভৌগোলিক অবস্থানের উল্লেখ প্রভৃতি বিষয়গুলির মাধ্যমে একজন ঐতিহাসিক যথার্থ আধুনিক ইতিহাস রচনা করতে পারেন। তবে একথাও মনে রাখতে হবে যে, শুধু সুসংবদ্ধ লিখন পদ্ধতি ব্যবহার করলেই চলবে না, ইতিহাসের পাঠকে সকল স্তরের মানুষের কাছে মনোগ্রাহী করে তোলার জন্য ঐতিহাসিক অবশ্যই তাতে ‘আপন মনের মাধুরী’ মিশিয়ে ইতিহাস রচনা করবেন। রচনার ভাষা যাতে মধুর ও সহজ-সরল হয়, সে বিষয়েও ঐতিহাসিকের নজর থাকা দরকার। কারণ, ভাষা সহজ-সরল এবং মধুর না হলে ইতিহাস অনেক পাঠকের কাছে মরুভূমির তপ্ত বালিতে পড়ে থাকা শুষ্ক নুড়ি-পাথরের মতো মনে হবে।


প্রিয় পাঠক/পাঠিকা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই “লালকেল্লা” পোস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই adhunikitihas.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। যে কোনো প্রশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলো করুণ এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন।

সবশেষে আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে Comment ও Share করে দিবেন, (ধন্যবাদ)।

(FAQ) আধুনিক ইতিহাস লিখন পদ্ধতি সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. আধুনিক ইতিহাস চর্চার জনক কে?

ইবনে খালদুন

২. “ইতিহাস হল একটি বিজ্ঞান, এর কম নয়, বেশিও নয়।” – কার উক্তি?

ঐতিহাসিক বিউরি।

৩. ইতিহাসের দুটি মৌখিক উৎসের নাম লেখ?

কিংবদন্তি, রূপকথা।

আধুনিক ইতিহাসের অন্যান্য দিকগুলি

Leave a Comment