সুলতান নাসিরুদ্দিন খসরু শাহ প্রসঙ্গে সিংহাসনে আরোহণ, পরিচিতি, তুর্কীদের বিরোধিতা, খলজি অনুগতদের ধ্বংস, সিংহাসনে বৈধ অধিকার, তুর্কী ও আফগান আমীরদের ষড়যন্ত্র ও খসরু খানের পতন সম্পর্কে জানবো।
সুলতান নাসিরুদ্দিন খসরু শাহ
ঐতিহাসিক চরিত্র | নাসিরুদ্দিন খসরু শাহ |
রাজত্ব | ১৩২০ খ্রি |
পূর্বসূরি | কুতুবউদ্দিন মোবারক খলজি |
মৃত্যু | ১৩২০ খ্রি |
হত্যা | গিয়াসউদ্দিন তুঘলক |
ভূমিকা :- নাসিরুদ্দিন খসরু শাহ ছিলেন শেষ খলজি সুলতান কুতুবউদ্দিন মোবারক খলজির অনুচর। তিনি গুপ্ত ঘাতকের দ্বারা তার প্রভুকে হত্যা করে দিল্লী সুলতানির সিংহাসন দখল করেন।
খসরু শাহের সিংহাসনে আরোহণ
প্রভু কুতুবউদ্দিন মোবারক খলজিকে হত্যা করে ১৩২০ খ্রিস্টাব্দের ৯ ই জুলাই খসরু শাহ দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করেন। তিনি মাত্র কয়েক মাস শাসন করেন।
খসরু শাহের পরিচিতি
নাসিরুদ্দিন খসরু শাহ ছিলেন ভূতপূর্ব হিন্দু। ইসলামে ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার পর তিনি ইসলামের স্বার্থবিরোধী কোনো কাজ করেন নি।
খসরু শাহের তুর্কীদের বিরোধিতা
একজন ধর্মান্তরিত হিন্দু সিংহাসনে বসায় তুর্কী ও আফগান অভিজাতরা অসন্তুষ্ট হয়। তারা আশঙ্কা করে যে, এর ফলে তাদের আধিপত্য নষ্ট হবে। এজন্য খসরু শাহের বিরুদ্ধে বহু অপপ্রচার চলে এবং তাকে ‘প্রচ্ছন্ন পৌত্তলিক’ ‘ইসলামের শত্রু’ প্রভৃতি আখ্যা দেওয়া হয়।
খসরু শাহ কর্তৃক খলজি অনুগতদের ধ্বংস
নাসিরুদ্দিন খসরু শাহ সিংহাসনে বসার পর আলাউদ্দিন খলজির অবশিষ্ট সন্তানদের অন্ধ করে দেন এবং নিহত করেন। খলজি বংশ -এর প্রতি অনুগত আমীরদেরও তিনি ধ্বংস করার চেষ্টা করেন।
সিংহাসনে খসরু শাহের বৈধ অধিকার
তিনি সিংহাসনে আপন অধিকার বৈধ করার জন্য মোবারক শাহের বিধবা দেবলাদেবীকে বিবাহ করেন। সন্ত নিজামুদ্দিন আওলিয়া তাকে আশীর্বাদ জানান।
খসরু শাহের বিরুদ্ধে তুর্কী ও আফগান আমীরদের ষড়যন্ত্র
নাসিরুদ্দিন খসরু শাহ বেশীদিন রাজত্ব করতে পারেননি। তুর্কী ও আফগান আমীররা তাঁকে সিংহাসনচ্যুত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
খসরু শাহের পতন
এই সুযোগে উত্তর-পশ্চিমের শাসনকর্তা তুঘলক গাজী মালিক তাকে প্রথমে সরস্বতীর যুদ্ধে ও পরে ইন্দ্রপ্রস্থ বা লাইরাবাটের যুদ্ধে পরাজিত ও নিহত করেন।
উপসংহার :- খসরু শাহকে পরাজিত ও নিহত করে গাজী মালিক গিয়াসুদ্দিন তুঘলক নাম নিয়ে দিল্লীর সিংহাসনে বসেন। শুরু হয় দিল্লী সুলতানীর তুঘলক বংশ -এর শাসন।
(FAQ) সুলতান নাসিরুদ্দিন খসরু শাহ সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
শেষ খলজি সুলতান কুতুবউদ্দিন মোবারক খলজির অনুচর।
গাজি মালিক বা গিয়াসউদ্দিন তুঘলক।
কুতুবউদ্দিন মোবারক খলজি।