কলিযুগ সম্পর্কে শ্রীকৃষ্ণের বাণী। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হিন্দু ধর্মের প্রধান দেবতা বলে মনে করা হয়। তিনি বিষ্ণুর অষ্টম অবতার এবং নিজের উচ্চ কর্মের জন্য সর্বোচ্চ দেবতা হিসাবেও পূজিত হন। তিনি সুরক্ষা, করুণা, কোমলতা এবং প্রেমের দেবতা।
ভগবান শ্রী কৃষ্ণের মূল্যবান বাণী, গীতা থেকে শ্রী কৃষ্ণের মূল্যবান বাণী, বিষ্ণুর অষ্টম অবতার শ্রী কৃষ্ণের বাণী, ভগবান শ্রী কৃষ্ণের সেরা বাণী ও ভগবান শ্রী কৃষ্ণের উক্তি সম্পর্কে জানব।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার বুদ্ধিমত্তা ও প্রজ্ঞার জন্য বিখ্যাত। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুন ও পাণ্ডবদের পথ দেখিয়েছেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে শেখানোর জন্য যে উক্তিগুলি বলেছিল সেগুলো খুবই প্রাসঙ্গিক। আপনি বিভ্রান্তিকর অবস্থায় থাকুন বা দুঃখজনক মেজাজে থাকুন না কেন ভগবান কৃষ্ণের উক্তিগুলি সর্বদা আপনার কাজে লাগবে যে কোনো পরিস্থিতি তে মোকাবেলা করতে সহায়তা করবে।
কলিযুগ সম্পর্কে শ্রীকৃষ্ণের বাণী
- ১. ভবিষ্যৎকে শুদ্ধ করার জন্য এই অশুদ্ধ বর্তমানকে ধ্বংস করা অনিবার্য। ভবিষ্যতের উদীয়মান সূর্যের প্রথম কিরনকে দেখো। যা সবার জন্য প্রতিক্ষা করছে।
- ২. ভবিষ্যৎ তো প্রতিদিন, প্রতিক্ষনে নির্মিত হয়। ভবিষ্যৎ যে কিছু নয়। মানুষের আজকের নির্ণয় ও কর্মের পরিনাম আগামীর ভবিষ্যৎ। আপনি যদি আজ কোনো নির্ণয় করে সন্তোষ বোধ করেন, তবে বিশ্বাস রাখুন ভবিষ্যতে অবশ্যই তার থেকে সুখ লাভ হবে।
- ৩. কখনও কি বিবেচনা করেছেন যে কোনো পরিস্থিতি বা বস্তু ভয়ের জন্ম দেয়। তার থেকে বাস্তবে দুঃখ তৈরি হয়? না এমন কোনো নিয়ম নেই, আর সবার অভিজ্ঞতা তো এই বলে ভয় ধারন করলেই ভবিষ্যতের দুঃখের নিবারণ কমে।
- ৪. এ কোন প্রকারের সমাজ রচনা করেছি আমরা? যেখানে মনুষ্যজাতীর অর্ধেক ভাগ অপর অর্ধেক ভাগকে নিরন্তর পদদলিত করছে। আর সেই পদলিত স্ত্রী-লোক মানুষের ভবিষ্যতের জন্মদায়িনী?
- ৫. সৃষ্টিকে দেখুন নতুন বৃক্ষকে জন্মদানকারী বীজের আশেপাশে ঈশ্বর ফুলের পাপড়ি নির্মাণ করেছেন। তাকে রং ও সুগন্ধ দিয়ে ভরে দিয়েছেন। যেখানে ভবিষ্যতের জন্ম হয় সেখানে তো কেবল মাত্র সৌন্দর্য, কেবল সুখ সন্তোষ ও সম্মান হওয়া আবশ্যক নয় কি? কিন্তু সমাজ স্ত্রী লোককে দুঃখ দিয়ে সমস্ত ভবিষ্যৎকে দুঃখ দ্বরা পূর্ণ কর থাকে।
- ৬. যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে, যা হছে তা ভালই হছে, যা হবে তা ভালই হবে তাই ভবিষ্যতে কী হবে তাই নিয়ে ভেবে লাভ নেই বর্তমান নিয়ে পরম আনন্দে বাচতে শেখ ।
- ৭. জীবনে লক্ষ্য স্থির রাখা আবশ্যক, কারণ লক্ষ্য হীন জীবন মানুষ কে ভুল পথে চালিত করে ।
- ৮. সময় হল সর্ব শক্তিমান, তাই কখন সময় নষ্ঠ করো না ।
- ৯. পরিবর্তনই পৃথিবীর নিয়ম। এক মুহুর্তে আপনি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেলেন, অন্য মুহূর্তে আপনি নিঃস্ব
- সজ্জন ব্যক্তি আরো ভালো চরিত্রের সজ্জন ব্যক্তির সাথে, নীচ ব্যক্তি আরো নীচ চরিত্রের ব্যক্তির সাথেই থাকতে চায়
- স্বভাব দ্বারা জন্ম যার যেমন প্রকৃতি হয়, সে তার সেই প্রকৃতিকে কখনোই ছাড়েনা
- যখন সংসারে দেখার মত কিছুই থাকে না , তখন মানুষ ঈশ্বর এর দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে ।
- বাহ্যিক বস্তুর ত্যাগকে বাস্তবে ত্যাগ বলেনা, আন্তরিক ত্যাগই হচ্ছে প্রকৃত ত্যাগ। আমাদের কামনা, মমতা, আসক্তিই হচ্ছে বন্ধনযুক্ত কিন্তু সংসার তা নয়।
- এই সংসার প্রতিটা মূহুর্তে পরিবর্তন হচ্ছে, আর পরিবর্তনশীল বস্তু সর্বদা অসত্যই হয়
- সময় কখনও কখনও মানুষের নির্দেশিত পথে চলে না, মানুষকে সময়ের নির্দেশিত পথে চলতে হয়।
- যখন সংসারে দেখার মত কিছুই থাকে না, তখন মানুষ ঈশ্বর এর দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে।
- “জীবন না ভবিষ্যতে আছে আর না আছে অতীতে, জীবন তো কেবল এই মুহূর্তে আছে;- অর্থাৎ এই মুহূর্তের অনুভব করাকেই জীবন বলে।”
- “যে সব ইচ্ছাকে ত্যাগ করে দেয় এবং ‘আমি’ ও ‘আমার’ এই লালসাপূর্ণ ভাবনা থেকে মুক্ত হয়ে যায় সেই একমাত্র প্রকৃত শান্তিলাভ করে।”
- “খালি হাত এসেছো খালি হাত চলে যাবে , যা কিছু আজ তোমার সেটা অন্যদিন কারো ছিল ,পরশু সেটা আরো কারো হয়ে যাবে । আজ তুমি যে জিনিস নিজের বলে প্রসন্ন , সেটাই তোমার দুঃখের কারণ।”
- “সজ্জন ব্যক্তি আরো ভালো চরিত্রের সজ্জন ব্যক্তির সাথে, নীচ ব্যক্তি আরো নীচ চরিত্রের ব্যক্তির সাথেই থাকতে চায় । স্বভাব দ্বারা জন্ম যার যেমন প্রকৃতি হয়, সে তার সেই প্রকৃতিকে কখনোই ছাড়ে না।”
- “যদি কোন ঘটনার মানুষ ভয়প্রাপ্ত হয় তবে তার পরাজয়ই হয়। আর জে মানুষ সব হারিয়েও শান্ত আর একাগ্র থাকে সেই জয়ী।”
- “যে প্রাণী লোভ , মায়া , ক্রোধ , অশান্তি , ঈর্ষা , থেকে মুক্তি আমি তার মধ্যে বিরাজ করি ।”
- “শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি যেভাবে আচরণ করেন , সাধারণ মানুষেরা তার অনুকরণ করে। তিনি যা প্রমাণ বলে স্বীকার করেন , সমগ্র পৃথিবী তারেই অনুসরণ করে।”
- “সময় কখনও মানুষের নির্দেশিত পথে চলে না, মানুষকে সময়ের নির্দেশিত পথে চলতে হয়।
- ”ধর্ম, সততা, পরিচ্ছন্নতা, সহ্যশক্তি, ক্ষমতাশীলতা, আয়ু, শারীরিক ক্ষমতা এবং স্মৃতি শক্তি সবই কলিযুগে সময়ের সাথে সাথে হ্রাস পাবে।”
- “সময় কখনও মানুষের নির্দেশিত পথে চলে না, মানুষকে সময়ের নির্দেশিত পথে চলতে হয়”
- সময় এবং বাক্ যা বেরিয়ে গেলে আর ফিরে আসে না। তাই এর যথার্থ ব্যবহার করতে না পারলে চরম বিপদের সম্মুখীন হতে হয় মানুষকে। সময়ের সাথে যারা চলতে পারে তারাই প্রকৃত অর্থে সফলতা অর্জন করে থাকে। মানুষ সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে কাজ না করলে পরে সেই কাজের জন্য যথেষ্ট সময় তো দূরের কথা আর সুযোগই পায়না। মানুষের তাই সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে কাজ করার কথা মাথায় রেখে সর্বদা সময় নষ্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে হবে।এবং সময়কে বুঝে চলতে হবে।
- সময় কারো জন্য দাড়িয়ে থাকে না। সময়ের সাথে অনেক কিছু বদলে যায়। দ্বাপর যুগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বাণী দ্বারা হিন্দু ধর্মের শেষ তথা কলিযুগের যে বর্ণনা ফুটে উঠেছে তা স্পষ্ট করে আমাদের শারীরিক এবং মানসিক ক্ষমতা হ্রাস পাবে সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তি, আয়ু ইত্যাদি অনেকাংশেই কমবে। এখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পাপের পরিমাণ পূর্ণের থেকে কম হওয়াকে সমস্ত কিছুর হেতু বলে চিহ্নিত করেছেন। যা জীবনধারণ থেকে শুরু করে প্রতিটি পর্যায়ে প্রভাব বিস্তার করবে।
গীতায় শ্রীকৃষ্ণের বাণী
- ১. গীতায় শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে সবরকম আসক্তি থেকে মুক্ত হওয়ার পরামর্শ দেন। কারোর প্রতি অকারণ মুগ্ধতা কখনোই কাজের কথা নয়। বিশেষ করে নিজের শরীরের প্রতি কোনও রকম টানা থাকা ঠিক নেই। এই নশ্বর দেহ একদিন পঞ্চভূতে বিলীন করে যাবে। তাই শরীরের প্রতি কোনও রকম মোহ, মায়া রাখবেন না। সব আসক্তি ত্যাগ করে সত্যের পথে এগিয়ে চলুন।
- ২. গীতায় শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, যে ব্য়ক্তি ঈশ্বর চিন্তা করে জীবন কাটান, তিনি মৃত্যুর পর সরাসরি ঈশ্বরের কাছে পৌঁছে যান।
শ্রী কৃষ্ণের বাণী বাংলা
- ১. সময় কখনও মানুষের নির্দেশিত পথে চলে না, মানুষকে সময়ের নির্দেশিত পথে চলতে হয়।
- ২. প্রত্যাশার কারণে সকল সম্পর্ক সংঘর্ষে পরিবর্তিত হয়ে যায়। কিন্তু মানুষ যদি প্রত্যাশাকে সম্পর্কের আধার না বানায়, আর স্বীকার করে যে, কেবল সম্পর্কই মূল আধার। তবে কি জীবন আপনা থেকেই সুখ আর শান্তিতে ভরে যাবে না। স্বয়ং বিচার করে দেখুন।
- ৩. ভয় কেবল আগামি দুঃখের কল্পনা মাত্র। বাস্তবের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। ভয় আর কিছু নয়, কেবল কল্পনা মাত্র। ভয় থেকে মুক্তি পাওয়া কি খুব কঠিন কাজ? অবশ্যই বিচার করে দেখুন।
- ৪. আচ্ছা জীবনের ক্ষেত্রে তো এমনি হয়, তাই না? যখন মানুষ তার কোনো একটি ক্ষেত্রে বাধা, কোনো একটি অবরোধকে জীবনের কেন্দ্র বানিয়ে নেয়, নিজের জীবনের গতিই থামিয়ে দেয়, তখন সে তার জীবনে সফল হতে পারে না। পারে না সুখ আর শান্তি প্রাপ্ত করতে। অর্থাৎ জীবনকে নিজের যোগ্য করে তোলার বদলে স্বয়ং নিজেকে জীবনের যোগ্য গড়ে তোলাই কি সাফল্য আর সুখের একমাত্র মার্গ নয়? স্বয়ং বিচার করুন।
- ৫. সমাজে সর্বদাই স্ত্রী লোকদের সাথে অন্যায় হয়। মানব সমাজ স্ত্রী লোককে সর্বদা শোষণ, অন্যায় আর অপমান দিয়েছে।
- ৬. যতক্ষণ না আমরা আমাদের কষ্ট থেকে শিক্ষা না গ্রহণ করছি কষ্টের পথ কখনো শেষ হবে না।
- ৭. সফল ব্যাক্তি কেবল মাত্র তিনি হতে পারেন যিনি প্রতিকুলতার কাছে কোন পরিস্থিতিতে পরাজয় শিকার করেননি।
- ৮. সুখের এক মাত্র চাবি কাঠি হল নিজের কামনার উপর নিয়ন্ত্রণ
- ৯. ক্রোধ বুদ্ধিকে গ্রাস করে, লোভ মনুষ্যত্বকে গ্রাস করে, চিন্তা আয়ুকে গ্রাস করে, অহংকার মনুষ্যত্বকে গ্রাস করে।
- সাহসী দেখতে চাইলে যারা ক্ষমা করতে পারে তাদের দিকে তাকাও।
- ” আয়না যেমন ধূলিকণা দ্বারা আচ্ছন্ন হয়, তেমনি ক্রোধে বুদ্ধিও আচ্ছন্ন হয়।”
- তারা একাই সত্য দেখতে পায় যারা ভগবানকে প্রতিটি প্রাণী ও বস্তুর মধ্যে দেখতে পায়
- দ্বৈততার কাছে হার স্বীকার করা আপনার পবিত্র কর্তব্য। এটা তাদের দ্বারা অচল থাকার না. অথবা আপনার মন ক্রমাগত অশান্তিতে থাকবে।
- আগুন জ্বালানী কাঠকে ছাইতে পরিণত করে। আত্ম-জ্ঞান আপনার মনের সমস্ত দ্বৈত ক্রিয়াকে ছাই করে দেয় এবং আপনাকে অভ্যন্তরীণ শান্তি এনে দেয়
- মানুষ অর্থের দাস, কিন্তু অর্থ কোনো মানুষের দাস নয়
- আপনার যখন মনে হবে আপনার সবকিছু হারিয়ে গেছে কিন্তু তখনও আপনি কৃষ্ণ কে পাবেন
- জীবনে লক্ষ্য স্থির রাখা আবশ্যক, কারণ লক্ষ্য হীন জীবন মানুষ কে ভুল পথে চালিত করে ।
- ইন্দ্রিয় থেকে প্রাপ্ত আনন্দ প্রথমে অমৃতের মতো মনে হলেও শেষ পর্যন্ত এটি বিষের ন্যায় ক্ষতি কারক হয়ে ওঠে যা কেবল মানুষরে জীবন কে পাপে পরিপূর্ণ করে ।
- মনের স্থিরতার জন্য শান্তি, ভদ্রতা, নীরবতা, আত্মসংযম এবং পবিত্রতা শিক্ষা গ্রহণ করা আবশ্যক ।
- লোভ ক্রোধ হিংসা হল মানুষের প্রধান শত্রু যা নিজের অজান্তে জীবনে সবচেয়ে বেশি মুলবান জিনিস সময়ের ক্ষতি করে, কারণ সময় হল পরম ক্ষমতাবান যা কারোর জন্য থেমে থাকে না ।
- সর্বদা মনে রাখবে জীবনে যত কঠিন পরিস্থিতি মধ্যে দিয়ে যাবে তোমার ব্যক্তিত্ব ততই প্রখর হবে ।
- বিবেক ও বুদ্ধি হল মানুষের পরম সম্পদ যা সঠিক সময় জীবনে সঠিক দিশা বেছে নিতে সাহায্য করে।
- প্রজ্বলিত অগ্নি যেমন জ্বালানি কাঠ কে ছাইতে পরিণত করে ঠিক একি ভাবে আমাদের জ্ঞান আলো আমাদের মনের মধ্যে থাকা আত্ম অহংকার কে ছাইতে পরিণত করে।
- যে ব্যক্তির মন তার শত্রু এবং বন্ধুদের মধ্যে সম্পুর্ন ভেদাভেদ হীন কেবল মাত্র তিনি পরম শান্তির অধিকারি ।
- মানুষের মনের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকলে সেই স্থিতিতে মন কে বলা হয় আমাদের পরম বন্ধু ঠিক এই ভাবে মনের উপর যদি নিয়ন্ত্রণ না থাকে তবে সেই স্থিতিতে মন হয়ে ওঠে আমাদের পরম শত্রু।
- স্ব-ধ্বংস এবং নরকের তিনটি দরজা রয়েছে: কাম, ক্রোধ ও লোভ
- একজন মানুষ তার বিশ্বাস দ্বারা তৈরি হয়। যেমন সে বিশ্বাস করে, তাই সে হয়ে যায়।
- আনন্দের মূল চাবিকাঠি হ’ল ইচ্ছা হ্রাস।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী বাংলায়
- ১. যদি কোনো ঘটনায় মানুষ ভয়প্রাপ্ত হয় তবে তার পরাজয়ই হয়। আর যে মানুষ সব হারিয়েও শান্ত আর একাগ্র থাকে সেই জয়ী।
- ২. প্রত্যেক স্ত্রী-লোক মাতা দুর্গার আরেক রূপ হয়। যে স্ত্রী লোকের সম্মান করে না, তার সামর্থই বৃথা।
- ৩. কখনও কখনও কোনো ঘটনা মানুষের জীবনের সকল পরিকল্পনা ভেঙ্গে দেয়। আর মানুষ সেই আঘাতকেই জীবনের কেন্দ্র বানিয়ে নেয়। কিন্তু ভবিষ্যৎ কি মানুষের পরিকল্পনার আধারে নির্মিত হয় না।
- ৪. সংস্কার আর শিক্ষা থেকে তৈরি হয় মানুষের চরিত্র। অর্থাৎ মাতা-পিতা যেমন তার সন্তানদের চরিত্র নির্মাণ করেন তেমনই হয় তার ভবিষ্যৎ। কিন্তু তবুও অধিকতর মাতা-পিতা নিজেদের সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার চিন্তায় তাদের চরিত্র নির্মাণের কার্যের কথা ভুলেই জান।
- ৫. বস্তুত যে মাতাপিতা কেবল নিজের সন্তানদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করেন তার চরিত্রের নির্মাণ করেন বিশ্বসংসার সেই সন্তানের প্রশস্তি করে। স্বয়ং বিচার করুন।
- ৬. পুরুষ মদ্যপান ও দূতক্রীড়ায় নিজের সম্পত্তি হারায়, আর স্ত্রী লোকদের ভাগ্যে নেমে আসে ক্ষুধা। পুরুষের অহংকার ক্ষুন্ন হয় আর স্ত্রী লোকের স্বাধীনতা ও সুখে বাধা উৎপন্ন হয়ে যায়।
- ৭. মানুষের কামনা ও বাসনাই হল প্রভূত দুঃখের প্রধান কারণ।
- আপনার প্রয়োজনের জন্য কারও দিকে তাকাবেন না। যিনি আপনাকে সৃষ্টি করেছেন, তিনি আপনাকে জল দেন
- ভুল বুঝবেন না সবকিছু শান্ত থাকুন এবং যুক্তিযুক্তভাবে চিন্তা করুন এটি আপনার সন্দেহজনক মন যা আপনাকে বিরক্ত করছে অন্যদের নয়
- প্রকৃতির শক্তি এবং শক্তি দ্বারা সমস্ত কাজ করা হয়, কিন্তু অহং ভ্রমের কারণে মানুষ নিজেকে কর্তা বলে ধরে নেয়।
- আপনি যদি মনে করেন তিনি আপনার প্রার্থনার উত্তর দিচ্ছেন না শুধু মনে রাখবেন তিনি আপনার ব্যথা অনুভব করেন
- যিনি তার মন জয় করেছেন, তার পক্ষে মন সেরা বন্ধু, তবে যার পক্ষে এটি করতে ব্যর্থ হয়েছে তার পক্ষে মনই সর্বশ্রেষ্ঠ শত্রু।
- সুখ একটি মনের অবস্থা, যার বাহ্যিক বিশ্বের সাথে কোনও সম্পর্ক নেই
- আপনি অযথা চিন্তা করবেন কেন? কাকে ভয় করো? কে তোমাকে হত্যা করতে পারে? আত্মা না জন্মে না মরেও যায়।
- যা ঘটেছিল তা ভালই ছিল। যা ঘটছে তা ভাল চলছে। যা ঘটবে তাও ভাল হবে। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করবেন না। বর্তমানে বাস করা ।
- আপনার কাজ আপনার মন সেট করুন কিন্তু এর পুরষ্কার কখনও।
- যখন কোনও ব্যক্তি অন্যের আনন্দ ও দুঃখের প্রতিক্রিয়া দেখায় যেন সে তার নিজের, তবে সে বা সে সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক মিলিত হয়েছে”
- সকল ধরণের খুনিদের মধ্যে সময়ই চূড়ান্ত কারণ সময় সবকিছুই মেরে ফেলে।
- শান্ততা, নম্রতা, নীরবতা, আত্ম-সংযম এবং বিশুদ্ধতা: এগুলি মনের অনুশাসন।
- আপনার বাধ্যবাধকতা সম্পাদন করুন, কারণ কার্যত নিষ্ক্রিয়তার চেয়ে কার্যত ভাল।
- মন চঞ্চল হয়। যখনই মন দুর্ব্যবহার করে তখন এটি আপনার কথা মানবে না, আপনার বিচক্ষণ বুদ্ধিকে এটিকে সমান অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে ব্যবহার করুন
- শ্রীকৃষ্ণ ছাড়া জীবন ভক্তিহীন প্রার্থনা, আবেগ ছাড়া শব্দ, সুগন্ধ ছাড়াই অনুগামী, অনুরণন ছাড়া প্রতিধ্বনি, লক্ষ্য ছাড়াই অস্তিত্ব, আত্মাবিহীন বিশ্ব
- দুঃখ বা দুর্দশায় একজন প্রকৃত বন্ধুর মত পরম সঙ্গী আর কেউ নেই
- উৎপন্ন হওয়া বস্তুর বিনাশ হওয়াই স্বাভাবিক, যে বস্তুর কোনো উৎপত্তি নেই তার কোনো বিনাশ নেই আত্মা অবিনাশী এবং অমর হয় কিন্তু এই শরীরের বিনাশ অবসম্ভাবী
- চন্দ্র তাঁর সৌন্দর্য হারাতে পারে, হিমবন বরফশুন্য হয়ে পড়তে পারে, সমুদ্র বিরাম হয়ে যেতে পারে কিন্তু রাম কখনো তার প্রতিজ্ঞা হতে বিচ্যুত হয় না।
- যে মানুষ ভাবে নিদ্রা, ভয়, চিন্তা, দুঃখ, অহংকার এরকমের আদি দোষ সর্বদা থাকবেই, সেই মানুষ প্রকৃত পক্ষে একজন কাপুরুষ
- শোকের চেয়ে বড় নাশকর্তা আর কিছু নেই, শোক মানুষের সব শক্তিকেই নষ্ট করে দেয়, তাই শোক করোনা।
- সাধারণ মানুষ এই শরীরকে ব্যাপক হিসাবে ভাবে, সাধক পরমাত্মাকে ব্যাপক হিসাবে ভাবে যেমন শরীর এবং সংসার এক, সেই রকমই স্বয়ং এবং পরমাত্মা একই
অনাসক্ত কর্ম সম্পর্কে শ্রীকৃষ্ণের বাণী
- ১. লোভ, রাগ ও ঈর্ষা হল আমাদের সবচেয়ে বড় তিন শত্রু। এই তিন শত্রু আমাদের নরকের পথে নিয়ে যায়। সেই কারণে লোভ, রাগ ও ঈর্ষা সম্পূর্ণ ভাবে ত্যাগ করুন। এই সব শত্রু নিজের জীবন থেকে দূরে রাখলে আপনি সফল ও সুখী জীবন যাপন করতে পারবেন।
- ২. বাস্তবে না পরিচয় মানুষের দেহের সাথে যুক্ত থাকে না তো সম্পর্কের ভিত্তি তার দেহের সাথে যুক্ত থাকে। মানুষের স্বভাব, তার আচরণ আর তার কার্যই তার পরিচয়।
- ৩. নিজের কর্মের ফল কি হবে সেই নিয়ে চিন্তা না করে ধর্মের অনুরূপ কর্ম করা, ঈশ্বরের পরিকল্পনাকেই নিয়তি বলে মেনে নেওয়া সেটাই তো প্রার্থনা, তাই না? কিন্তু ঈশ্বরের সমস্ত পরিকল্পনা বোঝাটা সম্ভব কি? সেসব পরিকল্পনা তো আমাদের কর্মের পরিনামস্বরূপ প্রকাশ পায় সর্বদা।
- ৪. কিন্তু যদি কেউ সব কর্মকেই ত্যাগ করে, সেটা কি প্রকৃত প্রার্থনা? বাস্তবে কর্মই জীবন আর ফলের প্রতি মোহ না করাই সত্যিকারের প্রার্থনা। যে প্রার্থনা কর্মের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, মানুষকে কার্যই করতে না দেয়, সেটা প্রার্থনা না পরাজয়? স্বয়ং বিচার করুন।
- ৫. যখন নিজের কোনো ভাল কাজের বদলে দুঃখ লাভ হয়, অথবা কেউ দুঃস্কর্ম করেও সুখ লাভ করে, তাহলে মন অবশ্যই এ ভাবতে বসে যে, তাহলে ভাল কাজ করা, ধর্মের পথে চলার তাৎপর্যটা কি?
- ৬. কিন্তু দুরাত্মাকে কি ভোগ করতে হয় সেটাও দেখুন। দুঃস্কর্ম যে করে তার মন সর্বদা চঞ্চল থাকে, ব্যাকুল হতে থাকে, মনে সর্বদা নতুন নতুন সংঘর্ষ উৎপন্ন হয়। অবিশ্বাস তাকে সারাজীবন ছোটাতে থাকে, একে কি সুখ বলে?
- ৭. কর্মযোগী নিজের মনের সমস্ত লালশাকে নিষ্কাশন করে, জীবনেকে কর্তব্য মনে করে কার্য অবশ্যই করে, সেই কার্যে আবদ্ধ হয় না। অর্থাৎ যে ব্যাক্তি নিজের কার্য থেকে আশা বা আকাঙ্খরা রাখে না তারই কার্য পূর্ণ হয়।
- ৮. মাতা-পিতার দেওয়া ভাল বা মন্দ সংস্কার বা তাদের সুরক্ষা এসব কি মানুষের কর্ম থেকেই প্রাপ্ত হয় না? মাতা-পিতার দেওয়া ভাল বা মন্দ সংস্কার বা তাদের দেওয়া যোগ্য অথবা অযোগ্য শিক্ষা এ সবই কি আজকের সমস্ত কর্মের মূল নয়?
- ৯. জীবন ধারণে জন্য প্রয়োজন কর্ম অবশই সম্পাদন কর তবে বিনা অহংকারে বিনা লালসায়, বিনা হিংসায় কারণ সঠিক কর্ম করা উচিত ভালবাসা, সহানুভূতি, নম্রতা এবং ভক্তি সাথে ।
- ১০. জীবনে কর্ম করে যাও ফলের আশা করো না ।
- ১১. নিজের মন কে সর্বদা কর্মের উপর স্থির কর, কর্ম ফলের উপর নয় ।
- ১২. প্রতিটি কর্মের আগে আমাদের কর্মের প্রতি সঠিক মনোভাব গড়ে তোলা অব্যশক তবে সেই কর্ম কে আনন্দের সাথে সম্পুর্ন করা সম্ভব ।
- ১৩. সঠিক উদ্দেশ্য নিয়ে সঠিক কাজ সম্পুর্ন করাই হল আমাদের জীবনের পরম সাফল্য।
- ১৪. সন্তানদের ভবিষ্যৎ সুখে ভরিয়ে তোলার চেষ্টা। এই তো প্রত্যেক মাতা-পিতার প্রথম কর্তব্য। যাদের আপনি এই সংসারে এনেছেন, যাদের কর্মের দ্বারা আপনারও পরিচয় পাবে ভবিষ্যতে। তাদের ভবিষ্যৎ সুখদায়ক করার চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ আর কিইবা হতে পারে? কিন্তু সুখ আর সুরক্ষা এসব কি মানুষের কর্ম থেকেই প্রাপ্ত হয় না?
- ১৫. সততার সাথে কর্ম করতে জীবনে বহু বাধা সম্মুখীন হতে হবে, ধৈর্য থাকলে অবশেষে গর্বের সাথে জয় তোমারই হবে।
- ১৬. যে ব্যক্তির তার সমস্ত জীবন শ্রী কৃষ্ণের চরণে উত্সর্গ করেন তিনি কেবল সমস্ত কর্ম বন্ধন থেকে মুক্ত ।
- ১৭. তোমার কর্ম যদি সঠিক হয়, পৃথিবীর সমস্ত মানুষ তোমার বিপক্ষে হলেও জানবে ইশ্বের তোমার পক্ষে।
- আপনার নির্ধারিত দায়িত্বের উপর আপনার অধিকার আছে, কিন্তু আপনি আপনার কর্মের ফল পাওয়ার অধিকারী নন। নিজেকে কখনই আপনার ক্রিয়াকলাপের ফলাফলের কারণ হিসাবে বিবেচনা করবেন না বা নিষ্ক্রিয়তার সাথে সংযুক্ত হবেন না
- কর্তব্যের জন্য যুদ্ধ, সুখ-দুঃখ, ক্ষতি-লাভ, জয়-পরাজয় সমান আচরণ করে। এভাবে দায়িত্ব পালন করলে কখনো পাপ হবে না
- জ্ঞানের আগুন সমস্ত কর্মফলকে পুড়িয়ে ছাই করে দেয়।
- কখনোই নিজেকে তোমার কর্মকাণ্ডের ফলাফলের কারণ মনে করো না এবং কখনোই তোমার দায়িত্ব পালন না করার প্রতি আসক্ত হবেন না
- আবেগ থেকে মনের বিভ্রান্তি আসে, তারপর স্মরণ হারায়, কর্তব্য ভুলে যায়
- জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজন কর্ম অবশই সম্পাদন কর তবে বিনা অহংকারে বিনা লালসায়, বিনা হিংসায় কারণ সঠিক কর্ম করা উচিত ভালবাসা, সহানুভূতি, নম্রতা এবং ভক্তি সাথে ।
- নিজের মন কে সর্বদা কর্মের উপর স্থির কর, কর্ম ফলের উপর নয় ।
- প্রতিটি কর্মের আগে আমাদের কর্মের প্রতি সঠিক মনোভাব গড়ে তোলা অব্যশক তবে সেই কর্ম কে আনন্দের সাথে সম্পূর্ণ করা সম্ভব ।
- সঠিক উদ্দেশ্য নিয়ে সঠিক কাজ সম্পূর্ণ করাই হল আমাদের জীবনের পরম সাফল্য।
- যে কেউ ভাল কাজ করে সে এখানে বা ভবিষ্যতে পৃথিবীতে খারাপ পরিণতি পাবে না।
- আপনার বাধ্যতামূলক দায়িত্ব পালন করুন, কারণ কর্ম ব্যর্থতার চেয়ে সত্যই ভাল।
- কর্ম করে যাও কিন্তু ফলের চিন্তা করোনা
- বাস্তবে না পরিচয় মানুষের দেহের সাথে যুক্ত থাকে না তাে সম্পর্কের ভিত্তি তার দেহের সাথে যুক্ত থাকে । মানুষের স্বভাব, তার আচরণ আর তার কার্যই তার পরিচয় ।
- “অনেকে মনে করে থাকেন যে সংসারে কাজর্কম ত্যাগ করাই হল সন্ন্যাস। কাজ মাত্রকইে তারা বন্ধন বা দুঃখরে কারণ মনে করনে, তাই সকল রকম কাজই পরিত্যাজ্য মনে করনে । কিন্তু তারা ভুল করেন, কর্ম ত্যাগ করা নয়, র্কমফলের লোভকে ত্যাগ করাই হল আসল ত্যাগ বা সন্ন্যাস।”
- “যে ব্যক্তি পঞ্চ – কর্মেন্দ্রিয় সংযত করেও মনে মনে শব্দ , রস আদি ইন্দ্রিয় বিষয়গুলি স্মরণ করে , সেই মূঢ় অবশ্যই নিজেকে বিভ্রান্ত করে এবং তাকে মিথ্যাচারী ভন্ড বলা হয়ে থাকে।”
- “যে ব্যক্তি পঞ্চ-কর্মেন্দ্রিয় সংযত করেও মনে মনে শব্দ , রস আদি ইন্দ্রিয় বিষয়গুলি স্মরণ করে , সেই মূঢ় অবশ্যই নিজেকে বিভ্রান্ত করে এবং তাকে মিথ্যাচারী ভন্ড বলা হয়ে থাকে।”
- “সকলেই মায়াজাত গুণসমূহের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অসহায়ভাবে কর্ম করতে বাধ্য হয় ; তাই কর্ম না করে কেউই ক্ষণকালও থাকতে পারে না ।”
- “অগ্নি যেমন ধুম দ্বারা আবৃত থাকে, দর্পণ যেমন ময়লা দ্বারা আবৃত থাকে, অথবা গর্ভ যেমন জরায়ুর দ্বারা আবৃত থাকে ,তেমনি জীবাত্মা বিভিন্ন মাত্রায় এই কামের দ্বারা আবৃত থাকে।”
শ্রীকৃষ্ণের বাণী
- ১. কোনও কোনও মানুষের সবাইকে সন্দেহের চোখে দেখার একটা প্রবণতা থাকে। কোনও কারণ ছাড়াই এরা সবাইকে সন্দেহ করেন। কিন্তু যাঁরা অন্যকে সন্দেহ করেন, তাঁরা জীবনে কখনোও খুশি হতে পারেন না। অন্য়কে সন্দেহের চোখে দেখলে সম্পর্কের ভালোবাসা ও পারস্পরিক আস্থা নষ্ট হয়ে যায়। তাই গীতায় শ্রীকৃষ্ণ অকারণ সন্দেহ ত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
- ২. নির্ণয় নেওয়ার মুহুর্তে আমরা সর্বদা কোনো অন্য ব্যক্তির উপদেশ, সুচনা বঞ্চনা বা পরামর্শকে আধার করে থাকি।
- ৩. মানুষের জীবনে ভয় বসত করে সর্বদাই, কখনও সম্পত্তি নাশের ভয়, কখনও অপমানের ভয়, কখনও আপন জনের সাথে বিচ্ছেদের ভয়। এই কারণেই ভয়ের অস্তিত্ব সবার একই রকম মনে হয়।
- ৪. পূর্ব পুরুষদের ইচ্ছা, আশা, মহৎ আকাঙ্খা, ক্রোধ, বিবাদ, প্রতিশোধ এই সব কিছুর ভার নতুন প্রজন্মকে বহন করতে হয়। মাতা-পিতা নিজের সন্তানকে দিতে তো চান বিশ্বের সমস্ত সুখ, কিন্তু দিয়ে ফেলেন নিজের জমানো পীড়ার সত্তা। দিতে চান অমৃত, কিন্তু সাথে সাথে বিষের ঘড়াও পূর্ণ করে দিয়ে যান। আপনি বিচার করুন আপনি আপনার সন্তানকে কি দিয়েছেন জীবনে? অবশ্যই প্রেম, জ্ঞান, সম্পত্তি এসব দিয়ে থাকবেন। কিন্তু তার সাথে সাথে ওদের মনে বিষ দেন নি তো? পূর্ব শর্ত দিয়ে ভালমন্দের পূর্ব পরিকল্পিত ব্যাখ্যা দেন নি তো? ব্যাক্তির সাথে ব্যাক্তির, সমাজের সাথে সমাজের রাষ্ট্রের সাথে রাষ্ট্রের এই সংঘর্ষ পূর্ব ব্যাখ্যার থেকে নির্মিত নয় কি? হত্যা, মৃত্যু, রক্তপাত, এসব কি পূর্বব্যাখ্যা প্রেমের প্রকাশের সাথে ঘৃনার অন্ধকার ও উপহার দেন। অন্ধকার মনের হোক,হৃদয়ের হোক বা বাস্তবিক হোক, তার থেকে কেবল ভয়ের উৎপত্তি হয়। কেবল ভয়। স্বয়ং বিচার করুন।
- ৫. যেভাবে কোনো উচু পর্বতে যে ব্যাক্তি সর্বপ্রথম চড়ে সেই পর্বতের পাদদেশে বসে সে যা পরিকল্পনা করে সেই পরিকল্পনাই কি তাকে পর্বতের শিখরে পৌছে দিতে পারে? না, বাস্তবে যত উপরে ওঠে তত নিত্যনতুন পরীক্ষা নতুন বিড়ম্বনা নতুন ধরনের অবরোধের সম্মুখীন হয়।
- ৬. প্রত্যেক পদে তার পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে হয়। প্রত্যেক পদে তাকে পরিকল্পনা বদলাতে হয়। না হলে যদি পুরাতন পরিকল্পনা তাকে ক্ষাদের দিকে ঠেলে দেয়। সে পর্বতকে নিজের যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারে না। কেবল নিজেকে পর্বতের যোগ্য তৈরি করার চেষ্টা করতে পারে।
- “মাতৃঋণ কোনো সন্তানই কখনোই শোধ করতে পারে না।”
- “মা” হল পৃথিবীর সর্ব শ্রেষ্ঠ উপহার একজন সন্তানের কাছে। কথিত, ভগবান সবার সাথে থাকতে পারে না বলেই তিনি মায়ের সৃষ্টি করেছেন। “মা” তাই ভগবানের রূপ প্রতিটি সন্তানের কাছে। এই মায়ের অবদান শোধ তাই দূরের কথা কোনো সন্তান কখনো পৌঁছাতে পারবে না কারণ এটি ভালোবাসা,যত্ন,আত্মত্যাগ, যা মাপার উর্ধ্বে।
- “যখন কোনো ব্যক্তি তার লক্ষ্যকে প্রাপ্ত করে ফেলে, তখন তার জীবনের সব দুঃখ ঘুঁচে যায় এবং জীবনে নতুন আনন্দ ও খুশি ভরে ওঠে।”
- “যেকোনো ব্যক্তি যা চায় জীবনে সেটাই হতে পারে, যদি সে বিশ্বাসের সাথে সেই বিষয়ের উপর চিন্তা কর
- “যখনই সত্যের সাথে অসত্যের লড়াই হয় তখন সত্য একা দাঁড়ায় অসত্যের বাহিনী হয় বিশাল, কারণ তার পেছনে মূর্খ, লোভী, স্বার্থপর ও বিশ্বাসঘাতকেরা থাকে।”
- “সর্বদা সন্দেহ করে যাওয়া মানুষের প্রসন্নতা পাওয়া, না এই জীবনে সম্ভব আর না অন্য জীবনে।”
- “উৎসাহ এর চেয়ে বড় বল আর কিছুই নেই, উৎসাহী ব্যাক্তি জগত ও জয় করতে পারে।”
- “শুধুমাত্র মনই মানুষের মিত্র কিংবা শত্রু হয়ে থাকে।”
- “এই সংসার প্রতিটা মূহুর্তে পরিবর্তন হচ্ছে, আর পরিবর্তনশীল বস্তু সর্বদা অসত্যই হয়।”
- “যে বিষয় টি তোমার হাতে নেই , সেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করে কোনো লাভ নেই।”
- “ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে নীতির কথা আর রাগী মানুষের কাছে উচিত অনুচিত কথা অর্থ হীন”
- বেঁচে থাকতে মানুষের প্রয়োজন খাদ্য, বস্ত্র এবং বাসস্থান। এই মানুষ যখন খিদেতে ছটফট করে তখন তার জন্য নীতির কথার মূল্য ঠিক ততই থাকে না যতটা তার কাছে খাবারের মূল্য থাকে। শান্ত, ধীর স্বভাবের মানুষের যেমন উচিত অনুচিত বোধ থাকে তেমনি রাগী, বদ্-মেজাজী মানুষ ঠিক ততটাই অক্ষম নিজেকে সেই উচিত অনুচিত বোধকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে। তাই, ক্ষুধার্ত আর রাগী উভয়েই নীতি বোধ এবং উচিত অনুচিত বোধ থেকে বঞ্চিত হয় এবং তা তাদের কাছে মূল্যহীন হয়ে ওঠে।
- “দুর্বল কেবল ভাগ্যকে দোষারোপ করে আর বীর ভাগ্যকে জয় করে”
- দুর্বল বা ভীরু প্রকৃতির মানুষ নিজের অক্ষমতাকে ঢাকতে পরিস্থিতি থেকে শুরু করে সমস্ত কাছের মানুষ, বন্ধু সবাইকে দোষারোপ করে। কিন্তু নিজেদের ভুলকে শুধরানোর কথা খণিকের জন্য মনে করেনা। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বাণী তাই যথার্থ সাহসী তথা বীরের কথা বলে যারা শুধুমাত্র জয়ের চিন্তা করে, তাদের ভুল শুধরাতে নিজের অপমান বোধ হয় না বরং তাতে তারা সঠিক শিক্ষা পাওয়ার আনন্দ খুঁজে পান। সেই সময়ের জন্য হেরে গেলেও বারবারের জন্য উঠে দাঁড়াতে শিখে যায়।
- “যখন সংসারে দেখার মতো কিছু থাকে না তখন মানুষ ঈশ্বরের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে।”
- মানুষ জীবনের চারটি অধ্যায়। এই চারটি অধ্যায়ের তিনটিতে মানুষ তার জীবনের যত দায়-দায়িত্ব পালন করে থাকে। শেষের দিকে যখন তার সব দাবি, দায়, দায়িত্ব, ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা, কামনা, বাসনা শেষ হয়ে যায় তখন সে নিজে থেকেই নিজেকে পরিচালনা করে ঈশ্বরের নিকট। এই জগত সংসার তার জানা হয়ে যায় তাই আধ্যাত্মিক পথে নিজেকে পরিচালনার মাধ্যমে নিজের জীবনের শান্তি খুঁজে পায়।
- ভয় মানুষকে পিছনে ফেলে রেখে যায় তাই ভয় কোনো পরিস্থিতির ফলাফল হতে পারে না। মানুষের জীবন যাপন করতে নানা বাধার সম্মুখীন হবে কিন্তু নিজেকে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে যাতে কোনো কিছু তাকে না নিজের পথ থেকে বিতাড়িত করতে পারে। তবেই প্রকৃত মানুষের অর্থে একজন ব্যক্তি পৌঁছে যেতে পারবে।
- “নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে কখনো সন্দেহ প্রকাশ করা সঠিক নয়”
- মানুষের প্রথম এবং প্রধান শত্রু হল তার নিজের সম্পর্কিত দূর্বলতা। যা আদতে তার নেই কিন্তু তার ভাবনা সেই দূর্বলতা দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে আর তাকে সবার মাঝে হিনমন্নতায় ভুগতে বাধ্য করছে।তাই নিজের ক্ষমতার ওপর সর্বদা আস্থা রাখতে হবে এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বদ্ধ থাকতে হবে।
শ্রীকৃষ্ণের বাণী কথা
- ১. যখন সংসারে দেখার মত কিছুই থাকে না, তখন মানুষ ঈশ্বর এর দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে।
- ২. অধিকতর আত্মা নিজের দেহকেই সব কিছু বলে গণ্য করে, স্বয়ং দেহ থেকে যে ভিন্ন তা জানতেই পারে না শরীরের যে দুঃখ, সুখ, স্বাদ, গন্ধ আদির অনুভব হয় তাকেই নিজের অনুভব মেনে নেয়, আর পরিবর্তনের প্রয়াসই করে না।
- ৩. সৎ চরিত্রের অধিকারী হৃদয় সর্বদা শান্ত থাকে। পরিস্থিতি তার জীবনের সুখের বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। সমাজে তার সম্মান আর মনের সন্তোষ অক্ষত থাকে সর্বদা।
- ৪. যে স্বাদ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আহারকেই ত্যাগ করে বাস্তবে তার মন থেকে স্বাদের লালসা কখনোই যায় না। তার দু-প্রকারের হানি হয়। প্রথমত সে দুর্বল হয়ে পরে। যার কারণে পরমাত্মাকে প্রাপ্ত করার জন্য যে প্রসেচষ্টা অনিবার্য তা সে করতে সক্ষম হয় না। আর দ্বীতিয়ত সর্বদাই তার মন স্বাদ গ্রহণের লালশায় পূর্ণ থাকে। এই হেতু আহার ত্যাগের চাইতে উত্তম কার্য স্বাদ গ্রহণের লালশাকেই ত্যাগ করে ফেলা।
- ৫. পুরুষ জীবনে পরাজিত হয়ে পরিবারকে ত্যাগ করে আর স্ত্রী নিজের সন্তানদের ক্ষুধা নিবারনের কারণে সংঘর্ষ করতে থাকে। সমগ্র সংসারের দুঃখের হিসাব করুন স্পষ্ট দেখতে পাবেন যে পুরুষের তুলনায় স্ত্রী-লোক অধিকতর দুঃখ ভোগ করে।
- ৬. যে কেবল নিজের পীড়াকে আপন করে জীবন কাটায়, সে শক্তিহীন হয়ে পড়ে। কিন্তু যে ব্যাক্তি সমগ্র সমাজের পীড়াকে আপন হৃদয়ে ধারণ করে জীবন কাটায়, সে শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
- ৭. ইন্দ্রিয় থেকে প্রাপ্ত আনন্দ প্রথমে অমৃতের মতো মনে হলেও শেষ পর্যন্ত এটি বিষের ন্যায় ক্ষতি কারক হয়ে ওঠে যা কেবল মানুষরে জীবন কে পাপে পরিপূর্ণ করে ।
- জীবনে ভয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা আবশ্যক কারণ ভয় হল এমন এক অনুভুতি যা মানুষকে জীবনের প্রতিটি প্রয়াসে বাধা সৃষ্টি করে।
- আমিই সৃষ্টি আমিই পানল কর্তা আমিই এই সৃষ্টির সংহারক এ জগতের প্রতিটিই বস্তূ আমার থেকে সৃষ্টি ও আমার মধ্যেই শেষ।
- সঠিক সময় সঠিক শব্দ চয়ন যেমন অচেনা মানুষ কে পরম আত্মীয়তার সম্পর্কে আবদ্ধ করতে পারে ঠিক তেমনি ভুল শব্দ চয়ন মানুষকে পরম আত্মীয় কে পরম শত্রু তে পরিণত করতে পারে।
- সমস্যা মনেই জীবনে থেমে যাওয়া নয় সমস্যার অর্থ হল নতুন কিছু শিখে সমাধানের পথ খুজে বার করা
- ব্যর্থতা হল যখন আপনি এটি গ্রহণ করেন, অন্যথায়, এটি কেবল আরেকটি বাধা
- আত্মাকে কখনো অস্ত্র দিয়ে টুকরো টুকরো করা যায় না, আগুনে পোড়ানো যায় না, পানিতে সিক্ত করা যায় না, বাতাসে শুকানো যায় না।
- সর্বদা আপনার অভ্যন্তরীণ আত্মা এবং এটি যা বলে তা অনুসরণ করুন।
- আত্ম-ধ্বংস এবং নরকের তিনটি দরজা আছে কাম, ক্রোধ এবং লোভ
- ভাল কাজগুলি কখনই নষ্ট হয় না, সর্বদা ঈশ্বরের দ্বারা পুরস্কৃত হয়
- আপনার জীবনকে আপনি যেভাবে চান সেভাবে বাঁচুন, অন্যের ইচ্ছার দাস হয়ে যাবেন না
- অন্য কারো জীবনকে অনুকরণ করে পরিপূর্ণতা নিয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে নিজের ভাগ্যকে অসম্পূর্ণভাবে বাঁচানো ভালো
- কারণ সবকিছুই আমার থেকে জন্মেছে, আমিই সকলের আদি উৎস। সবকিছু আমার অধীন, কেউ আমার উপরে নয়
- আপনার হৃদয়ের কথা শুনুন এবং সিদ্ধান্ত নিন, অন্য পরামর্শে বিভ্রান্ত হবেন না, আপনার হৃদয়ের কণ্ঠ আমার কণ্ঠস্বর
- সুখ হল মনের একটি অবস্থা যার সাথে বাহ্যিক জগতের কোনো সম্পর্ক নেই
- যে সন্দেহ করে তার জন্য এই জগৎ বা পরলোক নেই বা সুখ নেই
- সূর্যের তেজ, যা পৃথিবীকে আলোকিত করে, চাঁদ ও আগুনের তেজ – এগুলো আমার মহিমা।
- ইন্দ্রিয় থেকে আনন্দ প্রথমে অমৃতের মতো মনে হলেও শেষ পর্যন্ত বিষের মতো টক
- শোকের চেয়ে বড় নাশকতা আর কিছু নেই, শোক মানুষের সব শক্তিকেই নষ্ট করে দেয়, তাই শোক করো না।
- সাধারণ মানুষ এই শরীরকে ব্যাপক হিসাবে ভাবে, সাধক পরমাত্মাকে ব্যাপক হিসাবে ভাবে যেমন শরীর এবং সংসার এক, সেইরকমই স্বয়ং এবং পরমাত্মা একই
- দুর্বলই কেবল ভাগ্যের দোষারোপ করে আর বীর ভাগ্যকে অর্জন করে।
- অহংভাবই মানুষের মধ্যে বিভিন্নতা সৃষ্টি করে অহংভাবের অভাব থাকলে পরমাত্মার সাথে বিভিন্নতার কোনো আর কারণই থাকেনা
- যেটা ঘটতে চলেছে সেটা ঘটবেই, যা ঘটবে না তা কখনোই ঘটবে না এরকম নিশ্চয়তাপূর্ণ মনোভাব যার মধ্যে আছে; তাকে দুশ্চিন্তা কখনোই কষ্ট দিতে পারেনা
- যার কাছে সুখ, দুঃখ, মান ও অপমান সবই সমান, সেই একমাত্র সিদ্ধপুরুষ
- অতি গর্জনকারী মেঘ খুব কদাচিৎই বর্ষে, প্রকৃত বীর অকারনে বাক্যব্যায় করেনা।
ধর্ম নিয়ে শ্রীকৃষ্ণের বাণী
- ১. সমুদ্র হোক বা সংসার যে ধর্মের নৌকা প্রস্তুত করে সে ঠিক পার হয়ে যায়।
- ২. ধর্মের উপদেশ দেওয়া যায়, আদেশ কিছুতেই দেওয়া যায় না। সকলকে নিজের ধর্ম স্বয়ং নিশ্চিত করতে হয়।
- ৩. বিরোধিতা শক্তির প্রমাণ হয় না। শক্তিমান সেই যে সহনশীল, সহ্য করতে পারে। যখন হৃদয় থেকে ক্রোধ আর বিরোধিতা দূর হয়ে যায়, তখন সহনশক্তি ধর্মের শক্তিতে পরিণত হয়।
- ৪. ক্রোধ থেকে প্রতিশোধের জন্ম হয় আর ধর্ম থেকে ন্যায় জন্মায়। তোমার জীবনেও যদি এমন সময় আসে, যখন তোমার উপর কোন অন্যায় হয় তবে ন্যায় করার পূর্বে নিজের ক্রোধের উপর অঙ্কুশ অবশ্যই রেখো।
- ৫. যে আত্মা পরিবর্তনের প্রচেষ্টাই করে না, নিরন্তর অধর্ম করে চলে তাকে জাগ্রত করার জন্য দন্ড দেওয়া অনিবার্য। তুমিও এটা জেনে নাও যে তুমিও কোনো শরীর নও, কেবল মাত্র এক আত্মা।
- ৬. সবাই জানে যে ভিন্ন ভিন্ন লোক একই পরিস্থিতিতে ভিন্ন ভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকে। মন্দিরে দাঁড়ানো ভক্ত বলে দান করা উচিৎ। আর চোর বলে যদি সুযোগ পাওয়া যায় তবে ঐ মূর্তির গয়না চুরি করা উচিৎ। ধার্মিক হৃদয় ধার্মিক উপদেশ দিয়ে থাকে আর অধর্ম-ভরা হৃদয় অর্ধামিক পরামর্শ দেয়।
- ৭. ধর্মময় উপদেশ পরামর্শ স্বীকার করলে মানুষ সুখের দিকে যায়। কিন্তু এইরকম পরামর্শ স্বীকার করার আগে স্বয়ং নিজের হৃদয়ে ধর্মকে স্থাপন করা কি অনেক বেশি জরুরী নয়? স্বয়ং বিচার করুন।
- ৮. ভালো ব্যাবহার ভবিষ্যতে সুখের পথ দেখায় না, ভালো ব্যাবহার নিজেই সুখ দেয়। অপরদিকে দুরব্যাবহার ভবিষ্যতে দুঃখের পথ দেখায় না, অধর্ম সেই মুহুর্তে দুঃখকে উৎপন্ন করে। ধর্ম থেকে সুখ পাওয়া যায় না, ধর্মই স্বয়ং সুখ।
- জ্ঞানীর নিকট সত্য ই পরম ধর্ম।
- আমরা তাই শুনি বা দেখি বা বুঝি যা আমাদের মন শুনতে, বুঝতে বা দেখতে চায়। সত্যিটা কী- তা খুব কম সংখ্যক মানুষের কাছে ধরা দেয়। তাই একটা জিনিসের ব্যখ্যা অনেক মানুষের কাছে অনেক রকম। যে শুধু সত্যি জানতে বা বুঝতে চায় ভগবান তাকেই প্রকৃত জ্ঞানী বলেছেন। সত্য অন্নেশন সবার দ্বারা হয় না। সেই ব্যক্তির কার্য সত্য তাই তার ধর্মও সত্য; কারণ, কার্যই প্রকৃত ধর্ম।
কৃষ্ণের অমৃত শ্রীকৃষ্ণের বাণী
- ১. ঈশ্বর আপনাকে সব সমস্যা থেকে মুক্ত করতে পারেন। সেই কারণে সব সময় নিজের সব কাজে ঈশ্বরকে স্মরণ করুন।
- ২. দান তাকেই বলে যাতে দানী হারায় আর যাচক প্রাপ্তি লাভ করে। কিন্তু বলিদান সেটাই হয় যা দানী দেয় আর সমস্ত জগৎ প্রাপ্ত করে।
- ৩. যে বৃক্ষ তিক্ত-ফল দান করে সে বৃক্ষকে উৎপাটন করে মধুর ফল প্রদানকারী বৃক্ষকে রোপন করতে হয়। ওই বৃক্ষকেই অধিক খাদ্য গ্রহন করিয়ে বা শাখা প্রশাখাকে কাট-ছাট করলে মধুর ফল পাওয়া যায় না।
- ৪. আমাদের ভবিষ্যতের আধার হয়ে থাকে আমাদের আজকের নেওয়া সিদ্ধান্ত। তাহলে কি আমাদের ভবিষ্যৎ অন্য ব্যক্তির পরামর্শ, কোনো অন্য ব্যক্তির দেওয়া উপদেশের ফল? তবে কি আমাদের সম্পূর্ণ জীবন কোনো অন্য ব্যাক্তির বুদ্ধির পরিনাম? আমরা কি কখনও বিচার করেছি?
- ৫. মানুষের সব সম্পর্কের আধার হল প্রত্যাশা। পতি কেমন হবে -যে আমার জীবন সুখ আর সুবিধায় ভরে দিবে। পত্নী কেমন হবে – যে সর্বদা আমার প্রতি সমর্পিত থাকবে। সন্তান কেমন হবে- যে আমার সেবা করবে, আমার আদেশ মেনে চলবে।
- ৬. যখনই মানুষের জীবনে কোনো বিরূপ পরিস্থিতি আসে মানুষ তখনই ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে। ঈশ্বরের সম্মুখে মিনতি করে যেন সে পরিস্থিতি থেকে নিস্তার পায়। কিন্তু এই প্রার্থনার বাস্তবিকরূপ কেমন হয়? সেটা কি আমরা কখনও বিবেচনা করেছি? প্রার্থনার অর্থ হল নিজের সমস্ত আকাঙ্খা, সমস্ত চিন্তা, সমস্ত সংকল্প, সমস্ত পরিকল্পনা ঈশ্বরের চরণে দান করা।
- ৭. আপনারা নিজেদের আশেপাশে দেখুন, সমগ্র ইতিহাসকে দেখুন এই একই রূপ দেখা যাবে যে পুরুষের ঈর্শা, অহংকার, বৈরিতা, লালসা, এই সব কুচিন্তার পরিনাম স্ত্রী লোকই ভোগ করে। যুদ্ধ পুরুষ করে আর পরাজিত নগরে স্ত্রী লোকের সাথে বলাৎকার করা হয়।
- ৮. সুখের কামনা যে করে তার সুখ লাভ হয় না, যে সুখ চিনতে পারে তারই সুখ লাভ হয়। তুমি যদি এটা জেনে যাও যে তোমার জন্য সুখ কি, তবে তুমি সুখ অবশ্যই পাবে।
- ৯. সুখ তো উপলব্ধি করার বস্তু, প্রাপ্ত করার বস্তু নয়। যে ব্যক্তি বস্তুকে সুখ বলে মানে বাস্তবে তার সুখ প্রাপ্ত হয় না। যে সত্তা অথবা সম্পত্তিকে সুখ বলে গন্য করে সে অবশ্যই নিজের জন্য বিনাশকে আমন্ত্রণ জানায়।
- ১০. কেবল মাত্র সার্থ ত্যাগই হল আনন্দ ও সংতুষ্টির এক মাত্র সহজ পথ ।
- ১১. জড় বস্তু গত সুখ সর্বদা খন স্থায়ী, কেবল ঈশ্বেরের প্রতি আত্মসমর্পণ এবং ভক্তিই হল অনন্ত সুখরে একমাত্র পথ ।
- ১২. লোভ ক্রোধ হিংসা হল মানুষের প্রধান শত্রু যা নিজের অজান্তে জীবনে সবচেয়ে বেশি মুলবান জিনিস সময়ের ক্ষতি করে, কারণ সময় হল পরম ক্ষমতাবান যা কারোর জন্য থেমে থাকে না ।
- ১৩. জীবনে অমরত্ব পেতে সন্মান অর্জন করতে শেখ , কারণ জীবন খন স্থায়ী কিন্তু ব্যক্তির অর্জিত সন্মান চিরস্থায়ী।
- ১৪. সর্বদা মনে রাখবে জীবনে যত কঠিন পরিস্থিতি মধ্যে দিয়ে যাবে তোমার ব্যক্তিত্ব ততই প্রখর হবে ।
- ১৫. বৈষয়িক জগৎ মানুষের কাছে প্রথমে আনন্দ ও সংতুষ্ঠী যেমন নিয়ে আসে ঠিক তেমনি সময়ের সাথে বহু দুঃখ কষ্ট বয়ে নিয়ে আসে। কারণ বৈষয়িক সম্পত্তি পাওয়ার চেয়ে তা হারিয়ে ফেলার ভয় ও উদ্বেগ মানুষের মধ্যে বহু গুণ বেশি।
- ১৬. বিবেক ও বুদ্ধি হল মানুষের পরম সম্পদ যা সঠিক সময় জীবনে সঠিক দিশা বেছে নিতে সাহায্য করে।
- ১৭. প্রজ্বলিত অগ্নি যেমন জ্বালানি কাঠ কে ছাইতে পরিণত করে ঠিক একি ভাবে আমাদের জ্ঞান আলো আমাদের মনের মধ্যে থাকা আত্ম অহংকার কে ছাইতে পরিণত করে।
- ১৮. যে ব্যক্তির মন তার শত্রু এবং বন্ধুদের মধ্যে সম্পুর্ন ভেদাভেদ হীন কেবল মাত্র তিনি পরম শান্তির অধিকারি।
- ১৯. মানুষের মনের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকলে সেই স্থিতিতে মন কে বলা হয় আমাদের পরম বন্ধু ঠিক এই ভাবে মনের উপর যদি নিয়ন্ত্রণ না থাকে তবে সেই স্থিতিতে মন হয়ে ওঠে আমাদের পরম শত্রু।
- ২০. ষড়রিপু উপর প্রভূত নিয়ন্ত্রণই হল এক জন সফল মানুষের প্রধান পরিচয়।
- ২১. অন্ধকার ময় সময় হল জীবনে সঠিক আশার আলোর পথ প্রদর্শক।
- ২২. নিজের সাথে সর্বদা অপরের তুলনাই হল মানুষের দুঃখের প্রধান কারণ।
- ২৩. নিস্বার্থ সেবার মাধ্যমে, আপনি সর্বদা ফলপ্রসূ হবেন এবং আপনার সমস্ত আকাঙ্ক্ষার পূর্ণতা পাবে।
- ২৪. যা হয়েছে জগতের ভালোর জন্য হয়েছে, যা হচ্ছে জগতের ভালোর জন্যই হচ্ছে। যা হবে তা জগতের ভালোর জন্যই হবে।
- ২৫. একজন জ্ঞানী ব্যক্তি পরিচয় নিজের শত্রুর থেকে ঘৃণার বদলে তাকে ভালোবাসা ফিরিয়ে দেন।
- ২৬. যে ব্যাক্তির মধ্যে অহংকার মাত্রা যত বেশি সেই ব্যক্তির জ্ঞানের পরিধি ততই কম।
- ২৭. একজন বুদ্ধিমান ব্যাক্তি যে কোন সমস্যার সমাধান করতে পারেন, ঠিক তেমনি জ্ঞানী ব্যাক্তিরা সমস্যা কে পূর্ণতা এড়িয়ে যেতে সক্ষম।
- শুরুতে, কিছু ব্যর্থতা হতে পারে। এটা বেশ স্বাভাবিক। একটি শিশু যেমন দাঁড়াতে চাইছে তেমনি সে পড়ে যায়। তবে এর অর্থ এই নয় যে তার এই ধারণাটি ছেড়ে দেওয়া উচিত। এমন সময় আসবে যখন সে নিখুঁত হবে। এমন সময় আসবে যখন আপনি নিখুঁত হবেন; কৃষ্ণ সচেতন।
- যিনি তার মন জয় করেছেন, তার পক্ষে মন সর্বোত্তম বন্ধু, তবে যার পক্ষে এটি করতে ব্যর্থ হয়েছে তার পক্ষে মনই সর্বশ্রেষ্ঠ শত্রু।
- সকল ধরণের খুনিদের মধ্যে সময়ই চূড়ান্ত কারণ ; সময় সবকিছুই খুন করে।
- শান্ততা, নম্রতা, নীরবতা, আত্ম-সংযম এবং পবিত্রতা: এগুলি মনের শাখা।
- মন চঞ্চল হয়। এটি আপনার কথা মানবে না। যতবার মন খারাপ করে, আপনার বিচক্ষণ বুদ্ধি ব্যবহার করে এটিকে সমান অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে হবে ।
- ভয় পাবেন না যা সত্য কখনই ছিল না এবং কখনই হবে না। যা সত্য, তা ই সর্বদা ছিল এবং তা ধ্বংস করা যায় না।
- যার কাছে সুখ, দুঃখ, মান ও অপমান সবই সমান, সেই একমাত্র সিদ্ধপুরুষ
- অতি গর্জনকারী মেঘ খুব কদাচিৎই বর্ষে, প্রকৃত বীর অকারনে বাক্য ব্যয় করে না।
- দুঃখ বা দুর্দশায় একজন প্রকৃত বন্ধুর মত পরম সঙ্গী আর কেউ নেই অনুকম্পা,দয়া, ক্ষমা ও মানবতার মত বড় গুন আর নেই।
- যে মানুষ ভাবে নিদ্রা, ভয়, চিন্তা, দুঃখ, অহংকার এরকমের আদি দোষ সর্বদা থাকবেই, সেই মানুষ প্রকৃত পক্ষে একজন কাপুরুষ।
মৃত্যু নিয়ে শ্রীকৃষ্ণের বাণী
- ১. জীবনে জন্মের মতো মৃত্যুও অবধারিত। গীতায় কৃষ্ণ বলেছেন, যাঁর জন্ম হয়েছে, তাঁর মৃত্যু হবেই। তাই মৃত্যুর কথা ভেবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বা প্রিয়জনের মৃত্যুতে ভেঙে পড়াও ঠিক নয়।
- ২. এই পৃথিবীতে পরিলক্ষিত সকল মানুষ তা নয় যা তুমি ওদের গণ্য করছ, কিছু সময়ের জন্য এরা শরীরে বসবাস করছে মাত্র। এদের শরীরের মৃত্যু হবে কিন্তু এরা সবাই অমর। সে পুনরায় নতুন শরীর ধারন করবে।
- ৩. জন্মের সাথেই মানুষের মৃত্যু নির্ধারিত, তাই নিজের কর্ম করো যা অনিবার্য তার জন্য দুঃখ করো না ।
- ৪. লোভ, ক্রোধ, হিংসা পরম শত্রু যার উপর নিয়ন্ত্রণ না থাকলে মানুষের মৃত্যু অনিবার্য ।
- ৫. মানব জীবনের চিরন্তন সত্য হল মৃত্যু, যা প্রতিটি মানুষ জীবনে নির্ধারিত
- আত্মার জন্মও হয় না এবং মৃত্যুও হয় না।
- একজন মানুষ শেষ পর্যন্ত যে অবস্থার দিকে মনোনিবেশ করুক না কেন, যখন সে তার দেহ ত্যাগ করবে, তখন সে সেই অবস্থায় যাবে
- লোভ , হিংসা পরম শত্রু যার উপর নিয়ন্ত্রণ না থাকলে মানুষের মৃত্যু অনিবার্য ।
- আত্মার জন্ম নেই , না কখনো মৃত্যু হয় । শরীর নষ্ট হয়ে গেলেও , আত্মা নষ্ট হয় না ।
প্রেম নিয়ে শ্রীকৃষ্ণের বাণী
- ১. প্রেম উন্নতি দেয়, উচিৎ অনুচিতের জ্ঞান দেয়। প্রেম আর মোহের মাঝে পার্থক্য থাকে। বাস্তবে যা প্রেম, তা কোনো মোহ নয়। প্রেমের জন্ম করুণা থেকে হয়, আর মোহের জন্ম অহংকার থেকে। প্রেম মুক্তি দেয়, মোহ আবদ্ধ করে। প্রেম ধর্ম, আর মোহ অধর্ম।
- ২. মানুষ প্রেম তাকেই দিতে পারে, যে তার প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে। আর প্রত্যাশার নিয়তিই হচ্ছে ভঙ্গ হওয়া। কারণ প্রবল ইচ্ছা থাকলেও কোনো মানুষ কারোর সকল প্রত্যাশা পূর্ণ করতে পারে না।
- “আপনি আমাকে জয় করতে পারেন একমাত্র উপায় প্রেমের মাধ্যমে এবং সেখানে আমি আনন্দের সাথে জয়ী হবো। “
- যা কিছু করতে হবে তা করুন, কিন্তু অহংকার দিয়ে নয়, লালসা নয়, হিংসা নয়, প্রেম, মমতা, নম্রতা এবং ভক্তি দিয়ে।
- আপনার প্রয়োজন একটি প্রেমে পূর্ণ হৃদয়, একটি আনন্দময় মন এবং একটি প্রাণবন্ত শরীর। তবেই লীলা হয়
- আপনি আমাকে জয় করতে পারবেন কেবলমাত্র প্রেমের মাধ্যমে এবং সেখানে আমি আনন্দের সাথে জয়লাভ করেছি।
- সর্বাধিক ঐশ্বরিক ভালবাসা মা ও ছেলের প্রতি থাকে
- যেদিন আমরা কৃষ্ণকে সম্পূর্ণরূপে আত্মসমর্পণ করব, তিনি আমাদের ভালবাসার প্রস্তাব গ্রহণ করবেন।
- প্রেম উন্নতি দেয়, উচিৎ অনুচিতের জ্ঞান দেয়। প্রেম আর মোহর মাঝে পার্থক্য থাকে- বাস্তবে যা প্রেম, তা কোন মোহ নয়। প্রেমের জন্ম করুণা থেকে হয় আর মোহের জন্ম অহংকার থেকে। প্রেম মুক্ত দেয়, মোহ আবদ্ধ করে। প্রেম ধর্ম, আর মোহ অধর্ম। প্রেমের শক্তি, শাস্তির শক্তির চেয়ে হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী এবং স্থায়ী।
- সত্যিকারের ভালবাসার শেষ তারিখ। নেই প্রেম মানেই বিবাহ নয় বরং সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সাথে আত্মসমর্পণ করা। যখন প্রেমের সাথে শ্রদ্ধার অনুভূতি যুক্ত হয়, তখন প্রেম ভক্তির সমানে পরিণত হয়।
- সর্বদা মনে রাখবেন এই পৃথিবীতে প্রেমের চেয়ে মধুর আর কিছু নেই। প্রেমের অর্থ কাউকে সন্ধান করা নয়, তবে এতে হারিয়ে যাওয়া।
- ভালবাসা আত্মার সাথে হয়, দেহের সাথে নয়, যা দেহের সাথে থাকে তা কেবল আকর্ষণ, যা আত্মার সাথে থাকে তা অনন্ত প্রেম।
- যদি হৃদয়ে সত্যিকারের ভালবাসা থাকে তবে অপেক্ষা করার প্রতিটি মুহূর্ত আনন্দ দেয় ।
- ভালবাসার প্রথম পর্যায় হ’ল বিভ্রান্তি যা আপনাকে আপনার ভালবাসার নিকটে নিয়ে আসে।
- “ভালবাসা আত্মার সাথে হয়, দেহের সাথে নয়, যা দেহের সাথে থাকে তা কেবল আকর্ষণ, যা আত্মার সাথে থাকে তা অনন্ত প্রেম।”
- “যদি হৃদয়ে সত্যিকারের ভালবাসা থাকে তবে অপেক্ষা করার প্রতিটি মুহূর্ত আনন্দ দেয়। ”
- “ভালবাসার প্রথম পর্যায় হ’ল বিভ্রান্তি যা আপনাকে আপনার ভালবাসার নিকটে নিয়ে আসে।”
- “প্রেম উন্নতি দেয়, উচিৎ অনুচিতের জ্ঞান দেয়।
- “প্রেম আর মোহর মাঝে পার্থক্য থাকে – বাস্তবে যা প্রেম, তা কোন মোহ নয়।”
- “সর্বদা মনে রাখবেন এই পৃথিবীতে প্রেমের চেয়ে মধুর আর কিছু নেই।”
- “প্রেম – যে অবহেলা ভোগ করে সে রাগ এবং প্রতিশোধের অনুভূতি থেকে মুক্ত হয়।
মহাভারতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী
- ১. আপনি যদি বুদ্ধিমান হন, তাহলে নিজের বুদ্ধি কোনও ভালো কাজে ব্যয় করুন। নিজের বুদ্ধি কখনও কোনও খারাপ কাজে ব্য়বহার করবেন না। কোনও ষড়যন্ত্র কখনও নিজেকে লিপ্ত করবেন না। স্বার্থহীন ভাবে সমাজের ভালোর জন্য কিছু করুন। এর ফলে আপনি সমাজে যেমন মান-সম্মান পাবেন, তেমনই নিজের মনে প্রসন্নতা অনুভব করবেন।
- ২. প্রহার, শোষণ, পীড়া এই সবে ঝলসে যাওয়া স্ত্রী লোক স্বাস্থবান সুখী সন্তানের জন্ম কোন প্রকারে দেবে? অর্থাৎ যে যে সময় কোনো স্ত্রী-লোকের অপমান হয়, কোনো স্ত্রী লোক এর উপর শোষণ হয়, কোনো নারীর কেশ আকর্ষন করা হয় সেই সময় কোনো না কোনো রূপে এক যুদ্ধের জন্ম হয়। কোনো না কোনোভাবে মহাভারতের আরম্ভ হয়। স্বয়ং বিচার করুন। বারংবার বিচার করুন।
- “হে অর্জুন , আমিই অতীত , আমিই বর্তমান , আমিই ভবিষ্যৎ , আমি সর্ব প্রাণীর মধ্যে বিরাজ করি ,যে প্রাণী আমাকে মন দিয়ে স্মরণ করে , আমি সর্বদা তাদের পাশে থাকি ।”
- “হে অর্জুন , যবে যবে এই সংসারে ধর্মের অনিষ্ট হয় , এই সংসারে অধর্ম বৃদ্ধি পায় , তখন তখন ধর্মের রক্ষার জন্য এই পৃথিবীতে আমি আবার ঘুরে আসি।”
উপসংহার:- শ্রীকৃষ্ণের বাণী গুলির উল্লেখ শেষ করা যায় তার বিখ্যাত উক্তিটি বা বাণী দিয়ে –
“তোমার কি চলে গেছে ,
যে কারণে তুমি কাঁদছো?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে ,
যা তুমি হারিয়ে ফেলেছো?
তুমি কি সৃষ্টি করেছিলে ,
যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি আসার সময় কিছু নিয়ে আসো নি ,
যা নিয়েছো এখান থেকে নিয়েছো
যা দিয়েছো এখান থেকে দিয়েছো।”