ভারতের বিপ্লবী আন্দোলনে অংশ গ্ৰহণকারী নারী ননীবালা দেবী প্রসঙ্গে তার জন্ম, পিতামাতার নাম, ননীবালা দেবীর বিপ্লবে দীক্ষা, ননীবালা দেবী কর্তৃক বিপ্লবীদের আশ্রয় দান, ননীবালা দেবী কর্তৃক পিস্তলের গুপ্ত খবর উদ্ধার, পুলিশ কর্তৃক ননীবালা দেবীর প্রকৃত পরিচয় উদ্ধার, চন্দননগরের ভাড়া বাড়িতে বিপ্লবীদের আশ্রয় দান, ননীবালা দেবীকে জেরা, ননীবালা দেবীর পলায়ন, ননীবালা দেবীর গ্রেপ্তার, ননীবালা দেবীকে জেরা, জেলে ননীবালা দেবীর উপর অকথ্য নির্যাতন, পানিশমেন্ট সেলে রেখে ননীবালা দেবীকে নির্যাতন, প্রেসিডেন্সি জেলে ননীবালা দেবী, ননীবালা দেবী কর্তৃক গোল্ডিকে প্রহার, বাংলাদেশের একমাত্র মহিলা স্টেট-প্রিজনার ননীবালা দেবী, দুকড়িবালা দেবীর সঙ্গে ননীবালা দেবীর পরিচয়, ননীবালা দেবীর বিশ দিন পর অন্ন গ্ৰহণ, ননীবালা দেবীর মুক্তির আদেশ, জেলের বাইরে ননীবালা দেবীর শেষ জীবন ও ননীবালা দেবীর মৃত্যু।
ননীবালা দেবী
ঐতিহাসিক চরিত্র | ননীবালা দেবী |
পরিচিতি | বিপ্লবী আন্দোলনে যুক্ত নারী |
জন্ম | ১৮৮৮ খ্রি |
জন্মস্থান | বালি, হাওড়া |
মৃত্যু | ১৯৬৭ খ্রি |
ভূমিকা :- আজকের সমাজ ও সেদিনকার সমাজ, আজকের মেয়ে ও সেদিনকার মেয়ের মধ্যে আছে বিরাট সাগরের ব্যবধান। সেদিনকার নারী তৈরী ক’রে দিয়ে গেছেন আমাদের যুগের বিপ্লবী নারীকে – তারা পথ দেখিয়েছেন, ভিত্তি গেঁথে গেছেন আমাদের জন্য। এরকমই একজন নারী ছিলেন ননীবালা দেবী।
ননীবালা দেবীর জন্ম
১৮৮৮ সালে ননীবালা দেবী জন্মগ্রহণ করেছিলেন হাওড়া জেলার বালিতে। দেশও সেখানেই।
বিপ্লবী ননীবালা দেবীর পিতামাতা
তার পিতার নাম সূর্যকান্ত ব্যানার্জী এবং মা গিরিবালা দেবী।
বাল্য বিধবা ননীবালা দেবী
এগারো বছর বয়সে বিবাহের পর ষোলো বছর বয়সে তিনি বিধবা হন এবং বাবার কাছেই ফিরে আসেন।
ননীবালা দেবীর বিপ্লবে দীক্ষা
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ-এর পরিস্থিতিতে চারদিকে চলছে তখন আহত বৃটিশ-সিংহের প্রচণ্ড আক্রমণ ও নির্মম অত্যাচার। সেই অত্যাচারের রূপ ছিল ফাঁসী, দ্বীপান্তর, পুলিশের নির্যাতনে পাগল হয়ে-যাওয়া এবং দালান্দা হাউসে নিয়ে গিয়ে চার্লস টেগার্টের তদারকে বীভৎস নিপীড়ন। মলদ্বারে রুল ঢোকানো, কমোড থেকে মলমূত্র এনে মাথায় ঢেলে দেওয়া, কয়েকদিন উপবাস করিয়ে পিছনে হাতকড়া-অবস্থায় বন্দীকে দাঁড করিয়ে বেঁধে লাথি ও রুলের প্রহার এই ছিল টেগার্টের অত্যাচারের বীতি। এইরকম বিপদসংকুল দিনে বিপ্লবী অমরেন্দ্রনাথ চ্যাটার্জীর কাছে বিপ্লবের দীক্ষা পেলেন ননীবালা দেবী। সম্পর্কে তিনি ননীবালা দেবীর ভ্রাতুষ্পুত্র।
বিপ্লবী ননীবালা দেবী কর্তৃক বিপ্লবীদের আশ্রয় দান
পলাতক অমর চ্যাটার্জী এবং তাঁর কয়েকজন সহকর্মীকে প্রায় দুই মাস আশ্রয় দিয়ে রাখলেন তিনি রিষড়াতে। পুলিসের দৃষ্টি পড়ল এখানেও।
ননীবালা দেবী কর্তৃক পিস্তলের গুপ্ত খবর উদ্ধার
- (১) ১৯১৫ সালের আগস্ট মাসে তল্লাসীর সময় অমর চ্যাটার্জী পলাতক হন এবং রামচন্দ্র মজুমদার গ্রেপ্তার হয়ে তিন নম্বর রেগুলেশনে স্টেট-প্রিজনার হন। গ্রেপ্তারের সময় রামবাবু একটা ‘মসার’ পিস্তল কোখায় রেখে গেছেন সে-কথা জানিয়ে যেতে পারেন নি।
- (২) তখন বিধবা ননীবালা দেবী রামচন্দ্র মজুমদারের স্ত্রী সেজে, রামবাবুর সঙ্গে প্রেসিডেন্সি জেলে ইন্টারভিউ নিয়ে জেনে এলেন পিস্তলের গুপ্ত খবর। ১৯১৫ সালে যে-যুগ ছিল তখন বাঙালী বিধবার পক্ষে এরকম পরের স্ত্রী সেজে, জেলে গিযে পুলিসের ক্ষেনদৃষ্টিকে ফাঁকি দিয়ে কাজ হাসিল করার কথা কেউ কল্পনাও করতে পারত না -পুলিস তো নয়ই, কোনো সাধারণ মেয়েও নয়।
পুলিশ কর্তৃক ননীবালা দেবীর প্রকৃত পরিচয় উদ্ধার
এরপর পুলিস ক্রমে জানতে পারল যে, ননীবালা দেবী রামবাবুর স্ত্রী নন। কিন্তু জানল না যে, ইনিই রিষড়াতে ছিলেন আশ্রয়দাত্রী।
চন্দননগরের ভাড়া বাড়িতে বিপ্লবীদের আশ্রয় দান
- (১) ১৯১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চন্দননগরে আবার বাড়ী ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। রিষড়ার মতো এখানেও মেয়েরা না থাকলে, বাড়ী ভাড়া পাওয়া যেত না। আবার এলেন ননীবালা দেবী গৃহকর্ত্রীর বেশে। এখানে এই সময়ে আশ্রয়দানের উদ্দেশ্যে বড়পিসিকেও এনেছিলেন ভোলানাথ চ্যাটার্জী। এই বড়পিসি ও ননীবালা দেবী দুটো আলাদা বাড়ীতে আশ্রয় দিয়ে রেখেছিলেন পলাতক বিপ্লবীদের।
- (২) পলাতক হয়ে আছেন এখানে বিপ্লবী নেতা যাদুগোপাল মুখার্জী, অমর চ্যাটার্জী, অতুল ঘোষ, ভোলানাথ চ্যাটার্জী, নলিনীকান্ত কর, বিনষভূষণ দত্ত ও বিজয় চক্রবর্তী। এঁদের সকলেরই মাথায় অনেক হাজার টাকার হুলিয়া ছিল। এই নিশাচরেরা সারাদিন দরজা বন্ধ ক’রে ঘরে কাটিয়ে দিতেন। শুধু রাতে সুবিধামতো বেরিয়ে পড়তেন। নিষ্ঠুর শিকারীর মতো পুলিস এসে পড়লেই এই পলাতকেরা নিমেষে অদৃশ্য হয়ে যেতেন, পুলিস হায়রান হয়ে ফিরতো।
ননীবালা দেবীর পিতাকে জেরা
এইভাবে চন্দননগরের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি বাড়ীতে ভয়াদী ও বিপ্লবীদের নিমেষে পলায়নের পর ননীবালা দেবীকে আর চন্দননগরে রাখা নিরাপদ হ’ল না। পুলিস তৎপর হয়ে উঠল তাঁকে গ্রেপ্তার করতে। ‘তাঁর বাবা সূর্যকান্ত ব্যানার্জীকে পুলিস ইলিসিয়াম রো-তে নিয়ে গিয়ে দশটা থেকে পাচটা অবধি বসিয়ে রেখে জেরা করত।
পলাতক ননীবালা দেবী
ননীবালা দেবী পলাতক হলেন। তাঁর এক বাল্যবন্ধুর দাদা প্রবোধ মিত্র কর্মোপলক্ষ্যে যাচ্ছিলেন পেশোয়ার। বাল্যবন্ধু তাঁর দাদাকে অনেক অনুনয় ক’রে রাজী করালেন ননীবালাকে সঙ্গে নিয়ে যেতে। ননীবালা দেবী পলাতক অবস্থায় তার সঙ্গে পেশোয়ার গেলেন।
বিপ্লবী ননীবালা দেবীকে গ্ৰেপ্তার
প্রায় ষোলো-সতেরো দিন পরে পুলিস সন্ধান পেয়ে যখন ননীবালা দেবীকে গ্রেপ্তার করতে পেশোয়ার গেছে তখন ননীবালা দেবীর কলেরা চলছে তিনদিন যাবৎ। প্রথমদিন বাড়ী ঘিরে রেখে তার পরদিনই নিয়ে গেল তাঁকে পুলিস-হাজতে স্ট্রেচারে ক’রে। কযেকদিন সেখানে রেখে চালান দিল তাঁকে কাশীর জেলে। তখন তিনি প্রায় সেরে উঠেছেন।
ননীবালা দেবীকে জেরা
কাশীতে আসার কয়েকদিন পরে, প্রতিদিন তাকে জেল-গেটের আফিসে এনে কাশীর ডেপুটি পুলিস সুপারিনটেন্ডেন্ট জিতেন ব্যানার্জী জেরা করত। ননীবালা দেবী সবই অস্বীকার করতেন, বলতেন কাউকেই চেনেন না, কিছুই জানেন না। তারপর ছুটতো জিতেন ব্যানার্জীর তুমি-তুই-তুকারির অসভ্য ভাষা। ননীবালা দেবী নীরব।
জেলে ননীবালা দেবীর উপর অকথ্য নির্যাতন
একদিন দুইজন জমাদারনী ননীবালা দেবীকে একটা আলাদা সেলে নিয়ে গেল। দুজনে মিলে তাকে জোর ক’রে ধ’রে মাটিতে ফেলে দিল। তারপর উলঙ্গ ক’রে খানিকটা লঙ্কাবাটা ওঁর শরীরের অভ্যন্তরে দিতে লাগল। ননীবালা দেবী চীৎকার ক’রে লাথি মারতে লাগলেন সমস্ত শক্তি দিয়ে। জমাদারনীরা বেশীক্ষণ ধ্বস্তাধ্বস্তি করতে পারল না। থামিয়ে দিয়ে নিয়ে এল আবার তাঁকে সেই জেল গেটের আফিসে জিতেন ব্যানার্জীর কাছে।
পানিশমেন্ট সেলে রেখে ননীবালা দেবীকে নির্যাতন
- (১) কাশীর জেল পুরানো সেকেলে। সেখানে প্রাচীরের বাইরে মাটির নীচে একটা ‘পানিশমেন্ট সেল’ অর্থাৎ শাস্তি-কুঠুরী ছিল। তাতে দরজা ছিল একটাই, কিন্তু আলো বাতাস প্রবেশ করবার জন্য অন্য কোনো জানালা বা ছিদ্র ছিল না । ব্যর্থকাম জিতেন ব্যানার্জী তিন দিন প্রায় আধঘণ্টা সময় ধরে ননীবালা দেবীকে ঐ আলোবাতাসহীন অন্ধকার সেলে তালাবদ্ধ ক’রে আটকে রাখত।
- (২) কবরের মতো সেলে আধঘন্টা পরে দেখা যেতো ননীবালা দেবীর অর্ধমৃত অবস্থা, তবু মুখ দিয়ে স্বীকারোক্তি বের করতে পারল না। তৃতীয় দিনে বন্ধ রাখল তাঁকে আধঘণ্টারও বেশী, প্রায় ৪৫ মিনিট। স্নায়ুর শক্তিকে চূর্ণ করে দেবার চূড়ান্ত প্রচেষ্টা। সেদিন তালা খুলে দেখা গেল ননীবালা দেবী পড়ে আছেন মাটিতে, জ্ঞানশূন্য।
কলকাতা প্রেসিডেন্সি জেলে ননীবালা দেবী
হাল ছেডে দিয়ে পুলিস ননীবালা দেবীকে কাশী থেকে নিয়ে এল কলিকাতা প্রেসিডেন্সি জেলে। সেখানে গিয়ে তিনি খাওয়া বন্ধ ক’রে দিলেন। জেল কর্তৃপক্ষ, এমনকি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটও তাঁকে অনুরোধ ক’রে খাওয়াতে পারলেন না। বলেন, বাইরে গেলে খাবেন। প্রতিদিন সকাল ৯টায় নিয়ে যেত তাঁকে গোয়েন্দা-আফিস ইলিসিয়াম রো-তে। সেখানে আই. বি. পুলিসের স্পেশাল সুপারিনটেণ্ডেণ্ট গোল্ডি তাঁকে জেরা করতো ।
ননীবালা দেবী ও গোল্ডির কথোপকথন
গোল্ডি: আপনাকে এখানেই থাকতে হবে। কি করলে খাবেন?
ননীবালা দেবী: যা চাইব তাই করবেন?
গোল্ডি: করব।
ননীবালা দেবী: আমাকে বাগবাজারে রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের স্ত্রীর কাছে রেখে দিন, তাহ’লে খাব।
গোল্ডি: আপনি দরখাস্ত লিখে দিন।
ননীবালা দেবী কর্তৃক গোল্ডিকে প্রহার
সংগ্রামী ননীবালা দেবী তখনি দরখাস্ত লিখে দিলেন। গোল্ডি সেটা নিয়ে ছিঁড়ে দলা পাকিয়ে ছেঁড়া কাগজের টুকরীতে ফেলে দিল। অমনি যেন বারুদে আগুন পড়ল। আহত ক্ষিপ্ত বাঘের মতো লাফিয়ে উঠে ননীবালা এক চড় বসিয়ে দিলেন গোল্ডির মুখে। দ্বিতীয় চড় মারবার আগেই অন্য সি.আই.ডি কর্মচারীরা তার উত্থত হাতকে চেপে ধরে রাখল, পিসিমা, করেন কি? করেন কি? অসীম শক্তি ফেটে বেরিয়ে আসছে তখন ননীবালা দেবীর ভিতর থেকে। ছিঁড়ে ফেলবে তো, আমায় দরখাস্ত লিখতে বলেছিলে কেন ? আমাদের দেশের মানুষের কোনো মান সম্মান থাকতে নেই?
বাংলাদেশের একমাত্র মহিলা স্টেট-প্রিজনার ননীবালা দেবী
রেখে দিল ননীবালা দেবীকে ১৮১৮ সালের ৩নং রেগুলেশনে স্টেট-প্রিজনার ক’রে প্রেসিডেন্সি জেলে। তিনিই বাংলাদেশ-এর একমাত্র মহিলা স্টেট-প্রিজনার।
দুকড়িবালা দেবীর সঙ্গে ননীবালা দেবীর পরিচয়
জেলের মধ্যে একদিন সিউডির দুকড়িবালা দেবীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। জানতে পারলেন, সিউড়িতে তাদের বাড়ীতে সাতটা মসার পিস্তল পাবার অপরাধে দুকড়িবালা দেবীর হয়েছে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড। রেখেছে তৃতীয় শ্রেণীর কয়েদী ক’রে। ডাল ভাঙতে দিচ্ছে প্রতিদিন আধমণ।
ম্যাজিস্ট্রেট ও ননীবালা দেবীর কথোপকথন
মতলব স্থির ক’রে ফেললেন ননীবালা দেবী। উপবাসের ১৯/২০ দিন চলছে তখন। আবার এলেন ম্যাজিস্ট্রেট অনুরোধ করতে। –
ম্যাজিস্ট্রেট: আপনাকে তো এখানেই থাকতে হবে। কি করলে খাবেন বলুন?
ননীবালা দেবী: আমার ইচ্ছামতো হবে?
ম্যাজিস্ট্রেট: হ্যাঁ, হবে।
ননীবালা দেবী: তাহলে আমার রান্না করবার জন্য একজন ব্রাহ্মণ-কন্যা চাই, দুজন ঝি চাই। ব্রাহ্মণ-কন্যা কেউ আছেন এখানে?
ম্যাজিস্ট্রেট: আছেন, দুকড়িবালা দেবী।
ম্যাজিস্ট্রেট: আচ্ছা, তাই হবে।
ননীবালা দেবীর বিশ দিন পর অন্ন গ্ৰহণ
এল সমস্ত নতুন বাসন-কোসন, হাড়িকুড়ি। ২১ দিনের দিন ভাত খেলেন সেই অসামান্য দৃঢ়চেতা বন্দিনী ননীবালা দেবী।
বিপ্লবী ননীবালা দেবীর মুক্তির আদেশ
দুই বছর এইভাবে বন্দীজীবন কাটিয়ে দিলেন তিনি। ১৯১৯ সালের এক প্রাতে এল ননীবালা দেবীর মুক্তির আদেশ।
জেলের বাইরে ননীবালা দেবীর শেষ জীবন
বাইরে এসে তাঁর মাথা গুঁজবারও স্থান মিলল না। সকলেই পুলিশকে ভয় পায়। বহুদিন ধ’রে চলেছিল অনেক ওলোট-পালোট ও ভাঙাগড়া। তারপর একটা আলাদা আধাঘুপচি ঘর ভাড়া ক’রে নিজের জীবনের শূন্য সম্বল নিয়ে, আত্মীয়স্বজনের অনাদর ও লাঞ্ছনা এবং দারিদ্র্যের মধ্যেও পরিপূর্ণ গৌরবে স্থির হ’য়ে কাটিয়ে চলেছেন তিনি বছরের পর বছর।
ননীবালা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে এই মহীয়সী মহিলার মৃত্যু হয়।
উপসংহার :- মনে হয়, যে-মেঘের আত্মদানে পরবর্তী কালে শ্রাবণবর্ষণের মতো ঝ’রে পড়েছিল কত অসংখ্য কর্মী ও কর্মপ্রেরণা, এই মহীয়সী মহিলারা ছিলেন সেই পরিণতিসম্ভবা মেঘ।
(FAQ) ননীবালা দেবী সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
হাওড়ার কাছে বালিতে।
১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দে।
১১ বছর।
১৬ বছর।
১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে।