পলিসের প্রতিষ্ঠা ও পতন

পলিসের প্রতিষ্ঠা ও পতন প্রসঙ্গে পলিস প্রতিষ্ঠার পটভূমি বা কারণ হিসেবে অক্টোপলিস, বাজার, বিচ্ছিন্ন ভৌগোলিক অবস্থান, অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতা, মানসিকতা, পলিসের পতনের কারণ হিসেবে সুযোগ্য সেনাপতির অভাব, সামরিক ত্রুটি, নৌ শক্তির অভাব, নাগরিক অধিকার লোপ, ক্রীতদাস ব্যবস্থা, ব্যক্তিস্বার্থ বৃদ্ধি, ভাড়াটে সৈনিক ও ম্যাসিডনের শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে জানবো।

গ্রিসের নগররাষ্ট্র বা পলিসের প্রতিষ্ঠা ও পতন প্রসঙ্গে পলিস প্রতিষ্ঠার কারণ বা পটভূমি, পলিসের প্রতিষ্ঠায় অক্টোপলিস, পলিসের প্রতিষ্ঠায় বাজার, পলিসের প্রতিষ্ঠায় বিচ্ছিন্ন ভৌগোলিক অবস্থান, পলিসের পতনের কারণ, পলিসের পতনে সুযোগ্য সেনাপতির অভাব, পলিসের পতনে সামরিক ত্রুটি, পলিসের পতনে নৌ শক্তির অভাব ও পলিসের পতনে ব্যক্তিস্বার্থ বৃদ্ধি সম্পর্কে জানব।

পলিসের প্রতিষ্ঠা ও পতন

ঐতিহাসিক ঘটনাপলিসের প্রতিষ্ঠা ও পতন
স্থানপ্রাচীন গ্ৰিস
শাসনকেন্দ্রঅক্টোপলিস
আয়তনক্ষুদ্রত্ব
পতনখ্রিস্ট পূর্ব চতুর্থ শতক
আধিপত্যম্যাসিডন
পলিসের প্রতিষ্ঠা ও পতন

ভূমিকা :- গ্রিসের ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলির যাবতীয় কাজকর্মে নাগরিকরা প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করত। এই ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলিকে গ্রিক ভাষায় ‘পলিস’ বলা হত। প্রাচীন গ্রিক পলিসগুলি ইংরেজিতে ‘City-State’ এবং বাংলায় ‘নগর-রাষ্ট্র’ নামে পরিচিত। পলিস বলতে নির্দিষ্ট ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভূখণ্ডে ঐক্যবদ্ধভাবে কর্মরত একটি জনগোষ্ঠীকে বোঝাত। জনগোষ্ঠী সেই নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের কাজকর্মে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করত।

পলিস প্রতিষ্ঠার পটভূমি বা কারণ

প্রাচীন গ্রিক পলিস বা নগর রাষ্ট্রগুলি প্রতিষ্ঠার পটভূমি তৈরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন উপাদান কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছিল। যেমন –

(ক) অক্টোপলিস

  • (১) ডোরিয়ান বিজয়ের (আনুমানিক ১০০০ খ্রিস্টপূর্ব) পরবর্তীকালে গ্রিকরা বৈদেশিক আক্রমণ প্রতিহত করার তাগিদ অনুভব করেছিল। এই উদ্দেশ্যে গ্রিসে বিভিন্ন পাহাড়ের শিখরে অক্টোপলিস নামে শক্তিশালী কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে।
  • (২) এইসব স্থান ক্রমে শাসকের বাসস্থান, জনগণের মিলনকেন্দ্র ও ধর্মস্থান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং নগরে পরিণত হয়। এই নগরগুলিকে কেন্দ্র করেই পরবর্তীকালে পলিস গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

(খ) বাজার

(১) পণ্য ক্রয়বিক্রয় এবং অর্থনৈতিক লেনদেনের প্রয়োজনে গ্রিসের বিভিন্ন স্থানে প্রতিষ্ঠিত অক্টোপলিসগুলির কাছেই স্থানীয় বাজার গড়ে উঠতে থাকে। বাজারগুলি ক্রমে মানুষের মেলামেশা ও মনের ভাব বিনিময়ের অন্যতম কেন্দ্রে পরিণত হয়।

(২) তা ছাড়া, প্রাচীন গ্রিকদের সামাজিক মনোভাবের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল যে, তারা তাদের বাসস্থান থেকে হেঁটে কর্মস্থলে যেতে এবং স্থানীয় বাজার বা খোলা স্থানে গল্পগুজব করে অবসর সময় কাটাতে পছন্দ করত। মানুষের মেলামেশার কেন্দ্র হিসেবে এই বাজারগুলি ক্রমে বাজার-নগরে পরিণত হয় এবং গ্রিকদের জীবনের প্রধান কেন্দ্র হয়ে ওঠে।

(৩) বিচ্ছিন্ন ভৌগোলিক অবস্থান

প্রাচীন গ্রিসের বিচ্ছিন্ন ভৌগোলিক অবস্থান পলিস প্রতিষ্ঠার অন্যতম কারণ বলে কেউ কেউ মনে করেন। তাঁদের মতে, গ্রিসের ভূখণ্ড বিভিন্ন সাগর ও পাহাড়পর্বত দ্বারা বিচ্ছিন্ন ছিল। যোগাযোগ ব্যবস্থাও ছিল অপ্রতুল। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন ভূখণ্ডে এক একটি স্বাধীন ও স্বশাসিত পলিস গড়ে ওঠে।

(৪) অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতা

প্রাচীন গ্রিসের বিচ্ছিন্ন ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সেখানে পণ্য চলাচল যথেষ্ট ব্যাহত হয়ে অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে প্রতিটি স্থানীয় অঞ্চলই হয়ে উঠেছিল অর্থনীতির কেন্দ্র। তা ছাড়া গ্রিকদের প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী স্থানীয় অঞ্চলেই উৎপাদিত হত। কবি হোমার ও হেসিয়ডের বর্ণনায় গ্রিসের এই ক্ষুদ্র অঞ্চলে সীমাবদ্ধ গার্হস্থ্য অর্থনীতির উল্লেখ পাওয়া যায়। এরূপ পরিস্থিতিতে স্থানীয় শাসনাধীন অঞ্চল নিয়ে পলিসগুলি গড়ে ওঠে।

(৫) মানসিকতা

প্রাচীনকালে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গ্রিক পলিসগুলি গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে গ্রিকদের মনোভাব বা মানসিকতা বিশেষভাবে কাজ করেছিল বলে অনেকে মনে করেন। গ্রিকরা প্রতিবেশী পারস্যের মতো বিশালাকার রাষ্ট্রকে পছন্দ করত না। এরূপ রাষ্ট্রকে তারা বর্বরদের বাসযোগ্য বলে মনে করত। ক্ষুদ্রত্বকে গ্রিকরা রাষ্ট্রের অন্যতম গুণ বলে মনে করত। প্রাচীন গ্রিক দার্শনিকরাও এরূপ ক্ষুদ্র রাষ্ট্রের সপক্ষেই তাদের সমর্থন জানিয়েছেন।

পলিসের পতনের কারণ

পরবর্তীকালে খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকে ম্যাসিডনের আক্রমণ প্রতিরোধে পলিসগুলি ব্যর্থ হয়। ফলে পলিসগুলির একে একে পতন ঘটে এবং সেখানে ম্যাসিডনের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সময় পলিসগুলির পতনের বিভিন্ন কারণ ছিল। যেমন –

(ক) সুযোগ্য সেনাপতির অভাব

খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতক থেকে গ্রিসের পলিসগুলির অর্থনৈতিক শক্তি হ্রাস পেতে শুরু করেছিল। এজন্য সেখানকার সেনাপতিরা একই সঙ্গে একাধিক শক্তির সেবা করে তাদের অর্থনৈতিক চাহিদা মেটাতে বাধ্য হত। এর ফলে যুদ্ধজয় অপেক্ষা সেনাপতিদের কাছে নিজেদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার বিষয়টি বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। নির্দিষ্ট পলিসের প্রতি অনুগত সুযোগ্য সেনাপতির অভাব দেখা দেয় এবং সামরিক ক্ষেত্রে দুর্বলতা প্রকট হয়। বৈদেশিক আক্রমণের সময় এই দুর্বলতা আরও প্রকট হয়ে ওঠে।

(খ) সামরিক ত্রুটি

গ্রিক পলিসের স্থল-সেনারা ঢাল- তলোয়ার নিয়ে যুদ্ধে দক্ষতা দেখালেও বিপদসংকুল ও পার্বত্য অঞ্চলের যুদ্ধে বিশেষ দক্ষতা দেখাতে পারে নি। তা ছাড়া গ্রিক সৈন্যরা অধিকাংশই ছিল কৃষক এবং অপেশাদার। কৃষিকাজ ও ফসল রক্ষার স্বার্থে তারা দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে চাইত না। কৃষিকাজ করার উদ্দেশ্যে তারা যুদ্ধের দ্রুত নিষ্পত্তি চাইত। ফলে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে পলিসের সেনারা ব্যর্থ হয়েছিল।

(গ) নৌশক্তির অভাব

নদীনালা ও সমুদ্রের জলভাগের দ্বারা বিচ্ছিন্ন গ্রিসকে বিদেশিদের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য নৌশক্তির অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। কিন্তু গ্রিসের অর্থনৈতিক দুর্বলতার ফলে পলিসগুলির নৌশক্তিও ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়ে। উপরন্তু এথেন্স তার শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখতে গিয়ে অন্যান্য পলিসগুলির নৌশক্তি ধ্বংস করেছিল। পরবর্তীকালে বহু ধনী পরিবার এথেন্সের নৌবহরের আর্থিক ব্যয় বহন করতে অস্বীকার করে। ফলে প্রয়োজনের সময় পলিসগুলির সমবেত শক্তিশালী নৌশক্তি সংগ্রহ করা সম্ভব হয় নি।

(ঘ) নাগরিক অধিকার লোপ

এক্ষেত্রে বিভিন্ন দিকগুলি হল –

(১) গণতান্ত্রিক অধিকার লোপ

ইতিহাসবিদ স্যাঁ ক্রোয়া জানিয়েছেন যে, চূড়ান্ত বিকাশের পরবর্তীকালে গ্রিক পলিসগুলিতে সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার লুপ্ত হতে থাকে। এর স্থলে ধনিক শ্রেণির নিয়ন্ত্রণে প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থা চালু করা হয়। মুষ্টিমেয় কয়েকজন ধনী নাগরিকের হাতে পলিসগুলির যাবতীয় রাজনৈতিক ক্ষমতা চলে যায়।

(২) গণপরিষদের ক্ষমতা হ্রাস

সাধারণ মানুষকে নিয়ে গঠিত গণপরিষদের ক্ষমতা হ্রাস করার উদ্দেশ্যে রাজকর্মচারী, ম্যাজিস্ট্রেট ও পরিষদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়। গরিব নাগরিকদের সুকৌশলে বিভিন্ন পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

(৩) গণ-আন্দোলনের বিলোপ

পূর্বে জনপ্রিয় গণ-আদালতের মাধ্যমেই সাধারণ মানুষ সুবিচার লাভ করত। কিন্তু পরবর্তীকালে এই আদালতগুলির বিলোপ ঘটানো হয়। এভাবে পলিসগুলির সাধারণ নাগরিকদের অধিকার ধ্বংস হলে পলিসের প্রাণশক্তিই বিনষ্ট হয়। ফলে পলিসগুলি দুর্বল হয়ে দ্রুত পতনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে।

(ঙ) ক্রীতদাসপ্রথা

প্রাচীন গ্রিসে অস্তিত্বশীল ক্রীতদাস ব্যবস্থা গ্রিক পলিসগুলির পতনের জন্য বিশেষভাবে দায়ী ছিল বলে ইতিহাসবিদ পেরি অ্যান্ডারসন উল্লেখ করেছেন। একমাত্র ‘সশব্দ যন্ত্র’ এই দাসদের শ্রমের উপরই গ্রিসের উৎপাদন নির্ভর করত। ফলে সাধারণ নাগরিকরা অলস ও কর্মবিমুখ হয়ে পড়েছিলেন।

(চ) প্রযুক্তি বিমুখতা

গ্রিসের ক্রীতদাস ব্যবস্থার ব্যাপকতার ফলে কৃষি, খনি ও অন্যান্য কাজে নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কারের কোনো আগ্রহ ছিল না। ফলে উৎপাদনকার্য দারুণভাবে ব্যাহত হয়ে গ্রিক পলিসগুলি ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়েছিল।

(ছ) ব্যক্তিস্বার্থ বৃদ্ধি

  • (১) এই সময় পলিসের বাসিন্দাদের মধ্যে দেশের স্বার্থের পরিবর্তে নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থই বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। এথেন্সে পেরিক্লিস এবং পরবর্তীকালের ডেমসথেনেসের যুগের মধ্যে তুলনা করলে ডেমসথেনেসের যুগে এথেন্সের রাজনৈতিক উদাসীনতা বিশেষভাবে চোখে পড়ে। এরূপ উদাসীনতা ও ব্যক্তিস্বার্থের ফলে পলিসের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয়েছিল।
  • (২) ডায়োজিনিস যখন বলেন যে, “আমি একজন বিশ্বনাগরিক” তখন তাঁর বক্তব্যে ধরা পড়ে যে তাঁর কাছে পলিসের বিশেষ কোনো গুরত্ব ছিল না। এথেন্স যখন ৩২২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ডেমসথেনেস ও তাঁর সঙ্গীদের হত্যার জন্য ম্যাসিডনের হাতে তুলে দেয় তখন এথেন্সবাসীর দেশপ্রেমের অবক্ষয়ই প্রমাণিত হয়।

(জ) বাণিজ্যিক বিরোধ

গ্রিক পলিসের অস্তিত্ব সুদৃঢ় করার প্রয়োজনে প্লেটো এবং এরিস্টটল পলিসগুলির নিজেদের অভ্যন্তরীণ স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্থনীতির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন। কিন্তু পলিসগুলি এরূপ অর্থনীতির বিকাশ ঘটাতে ব্যর্থ হয়েছিল। পক্ষান্তরে পলিসগুলি বৈদেশিক বাণিজ্যের দিকে ঝুঁকে পড়েছিল। পলিসগুলির নিজেদের মধ্যে বাণিজ্যিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফলে তাদের ঐক্য ধ্বংস হয় এবং সম্পর্কের অবনতি ঘটে। কখনো-কখনো তা পলিসগুলির মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি করে।

(ঝ) ভাড়াটে সৈনিক

ইতিহাসবিদ ফিনলে গ্রিক পলিসগুলির পতনের জন্য ভাড়াটে সৈনিকদের বিষয়টির কথা উল্লেখ করেছেন। এই সময় পলিসগুলির সামরিক বাহিনীতে ভাড়াটে সৈনিকের সংখ্যা ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছিল। খ্রিস্টপূর্ব ৩৯৯ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৩৭৫ অব্দের মধ্যে অন্তত ২৫,০০০ ভাড়াটে সৈন্য গ্রিসের পক্ষে বাইরে যুদ্ধরত ছিল। কিছুকাল পর এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়। ইতিহাসবিদ জেনোফন তাঁর গ্রন্থে খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকে ১০,০০০ ভাড়াটে সৈনিকের উল্লেখ করেছেন। এই ভাড়াটে সৈনিক বৃদ্ধি পেলে গ্রিক পলিসগুলির জাতীয় চরিত্র বিনষ্ট হয়।

(ঞ) অনাগরিকদের সংখ্যা বৃদ্ধি

পলিসগুলিতে রাজনৈতিক কারণে নির্বাসিত মানুষ ও বিদেশিদের বসবাস ক্রমে বৃদ্ধি পেতে থাকে। আলেকজান্ডারের আদেশ শোনার উদ্দেশ্যে একদা অলিম্পিক গেমস-এ ২০,০০০ রাজনৈতিক নির্বাসিত ব্যক্তি হাজির ছিলেন যাদের সকলকে গ্রিসে বসবাস করার অনুমতি দিতে পলিসগুলি বাধ্য হয়। এর ফলে পলিসগুলির নাগরিকের অনুপাত ভীষণভাবে কমে যায়। নাগরিকদের অর্থনৈতিক সমস্যা বৃদ্ধি পায়, অসন্তুষ্ট বহু নাগরিক অন্যত্র চলে যেতে থাকে।

(ট) ম্যাসিডনের শ্রেষ্ঠত্ব

সেই যুগে অন্য পলিসগুলির তুলনায় ম্যাসিডনের সামরিক দক্ষতা ছিল যথেষ্ট বেশি। ম্যাসিডনের রাজা দ্বিতীয় ফিলিপের সেনাবাহিনী ছিল নতুন যুদ্ধকৌশলে অভিজ্ঞ। তাঁর সুশিক্ষিত ও হালকা অস্ত্রবাহী সেনারা যুদ্ধক্ষেত্রে পলিসগুলির সেনাবাহিনীকে পর্যুদস্ত করে একের পর এক পলিস দখল করে নেয়।

উপসংহার :- খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকে পারস্যের আক্রমণের বিরুদ্ধে গ্রিক পলিসগুলি ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছিল। কিন্তু খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকে ম্যাসিডনের আক্রমণ প্রতিরোধে পলিসগুলি ব্যর্থ হয়। ফলে পলিসগুলির একে একে পতন ঘটে।

(FAQ) পলিসের প্রতিষ্ঠা ও পতন সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. গ্রিসে বিভিন্ন পাহাড়ের শিখরে প্রতিষ্ঠিত শাসনকেন্দ্র কি নামে পরিচিত?

অক্টোপলিস।

২. পলিস গুলির পতন ঘটায় কে?

ম্যাসিডন।

৩. ম্যাসিডনের রাজা কে ছিলেন?

দ্বিতীয় ফিলিপ।

Leave a Comment