ইংরেজ কবি পার্শী বিশি শেলী প্রসঙ্গে তার জন্ম, পিতৃপরিচয়, শিক্ষা, বিবাহিত জীবন, দীর্ঘ কবিতা, জেনেভা ভ্রমণ, একের পর এক কবিতার জন্ম, শিল্পী কবি, আদর্শ জগতের সন্ধান, সমুদ্রে অন্তর্ধান ও তার মৃতদেহ উদ্ধার সম্পর্কে জানবো।
ইংরেজ কবি পার্শী বিশি শেলী
ঐতিহাসিক চরিত্র | পার্সি বিশী শেলী |
জন্ম | ৪ আগস্ট, ১৭৯২ খ্রি: |
দেশ | ইংল্যান্ড |
পরিচিতি | ইংরেজ কবি |
বিখ্যাত রচনা | The Cloud |
মৃত্যু | ৮ জুলাই, ১৮২২ খ্রি: |
ভূমিকা :- উনিশ শতকের প্রথম দিকের একজন ইংরেজি কবি ছিলেন পার্সি বিশী শেলী। তিনি প্রধান পাঁচজন রোমান্টিক কবিদের মধ্যে অন্যতম একজন। তিনি একাধারে কবি, নাট্যকার, সাহিত্যিক এবং ইংরেজ সাহিত্যে রোমান্টিক আন্দোলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কবিদের মধ্যে তাঁকে অন্যতম বিবেচনা করা হয়।
পার্সি বিশী শেলীর জন্ম
১৭৯২ সালের ৪ঠা আগস্ট ইংলন্ডের সাসেক্সের অন্তর্গত ওয়াইহ্যামে শেলীর জন্ম। তিনি টিমথি শেলীর প্রথম পুত্র।
কবি পার্সি বিশী শেলীর ছেলেবেলা
পার্সি বিশী শেলীর ছেলেবেলাকার স্মৃতি মধুর ছিল না। ছেলেবেলা থেকে পারিপার্শ্বিক জগৎ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিলেন তিনি। শেলীর জগৎ ছিল স্বপ্নের এবং কল্পনার।
পার্সি বিশী শেলীর শিক্ষা
- (১) প্রাথমিক স্কুলের পাঠ শেষ করে তিনি ভর্তি হলেন লন্ডনের সবচেয়ে নামী স্কুল ইটনে। কিছুদিনের মধ্যেই তাঁকে ইটন ছাড়তে হল। কারণ, এক সহপাঠীর হাতে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছিলেন তিনি। শেলী ছিলেন অসাধারণ সুন্দর।
- (২) দশ বছর বয়সে তাঁকে সিয়ন এ্যাকাডেমির আবাসিক স্কুলে ভর্তি করে দেওয়া হয়। আঠারো বছর বয়সে তিনি ভর্তি হলেন অক্সফোর্ডের কলেজে। ইতিমধ্যে তাঁর রোমান্টিক কবি কল্পনায় শুরু হয়েছে কাব্য রচনা।
কলেজ থেকে বহিস্কৃত পার্সি বিশী শেলী
১৮১১ সালে শেলী লিখলেন The necessity of Atheism। এই প্রবন্ধ লেখার অপরাধে তাঁকে কলেজ ছাড়তে হয়। এর বিরুদ্ধে শেলীর বন্ধু প্রতিবাদ জানালে তাকেও কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়। দুই বন্ধু কলেজ ছেড়ে লন্ডনের পোলক স্ট্রীটের এক বাড়িতে এলেন।
পার্সি বিশী শেলীর বিবাহিত জীবন
- (১) তাঁর এই দুর্দিনে এগিয়ে এলেন তাঁর ছোট বোন। নিজের সঞ্চয় থেকে ভাইকে নিয়মিত অর্থ সাহায্য করতে শুরু করলেন। এই অর্থ তিনি পাঠাতেন তাঁর এক বান্ধবী হ্যারিয়েট ওয়েস্ট ব্রোকের সাহায্যে। এই পরিচয়ের সূত্র থেকেই হ্যারিয়েটের সাথে সম্পর্কে গড়ে শেলীর। সে বছরেই দু’জনের বিয়ে হয়ে যায়।
- (২) এই বিবাহে ভালবাসার চেয়ে বেশি ছিল সহানুভূতি। বিয়ের পর দুজনে গেলেন আয়ারল্যান্ড। শেলীর বয়স তখন উনিশ। তিনি আয়াল্যান্ডের মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রাম দেখে খুশী হন। এরপর ফিরে আসেন লন্ডনে। বিয়ের পর দুটি বছর তাঁরা এক সাথে সুখে-শান্তিতে কাটিয়েছেন।
পার্সি বিশী শেলীর দীর্ঘ কবিতা
১৮১২ সালে শেলী রচনা করলেন, “Queen Mab”। এক দীর্ঘ কবিতা। মধ্যে অপরিণতির ছাপ থাকতে একজন মহৎ কবির আগমন ধ্বনি এতে উচ্চারিত হয়েছে।
পার্সি বিশী শেলীর মানসিক অস্থিরতা
১৮১৩ সালে হ্যারিয়েট একটি কন্যার জন্ম দিল। কুইন মবের নায়িকার নাম অনুসারে তাঁর নাম রাখা হল ইয়ানথি। এর কিছু দিন পর সরকারি আইনের নিয়ম অনুসারে হ্যারিয়েটকে পুনরায় বিবাহ করতে হল। এই বিবাহের পর থেকেই শেলীর জীবনে নেমে এল এক মানসিক অস্থিরতা।
দার্শনিক গডউইনের সাথে পার্সি বিশী শেলীর যোগাযোগ
সংসারের এই অশান্তির মধ্যে শেলীর পরিচয় হল দার্শনিক গডউইনের সাথে। গডউইনের Political Justice বইটি শেলীর মনকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছিল। গডউইনের সাথে প্রথমে চিঠিপত্রের মাধ্যমে যোগাযোগ ছিল। তার পর দুজনের পরিচয় হল।
পার্সি বিশী শেলীর স্ত্রী হ্যারিয়েট আত্মহত্যা
দার্শনিক গডউইনের সাথে ছিল তাঁর প্রথম পক্ষের সতেরো বছর বয়সী সুন্দরী কন্যা মেরি। শেলীর সাথে গড়ে উঠল তাঁর গোপন প্রণয়। এবং ক্রমশই হ্যারিয়েটের কাছ থেকে দূরে সরে যেতে আরম্ভ করলেন শেলী। পুত্র সন্তান জন্মের দু বছর পর হ্যারিয়েট আত্মহত্যা করেন। শেলীর জীবনে তখন তাঁর কোনো ভূমিকা ছিল না।
পার্সি বিশী শেলীর জেনেভা ভ্রমণ
১৮১৫ সালে লিখলেন এ্যালাস্টার “Alastor”। অমিত্রাক্ষর ছন্দে লেখা এক কাব্য। এটি একটি আত্মজীবনীমূলক রচনা। Alastor or the Spirit of Solitude প্রকাশের দু মাস পর শেলী জেনেভায় গেলেন। সাথে মেরি ও কবি বায়রনের প্রেমিকা জেনি। তাঁরা জেনেভায় পৌঁছবার অল্পদিনের মধ্যেই বায়রন এলেন সেখানে। দেখা হল দুই কবির।
কবি লে হান্টের সাথে পার্সি বিশী শেলীর পরিচয়
আগস্ট মাসে শেলী ফিরে এলেন ইংলান্ডে এসে পরিচয় হল কবি লে হান্টের সাথে। হান্ট ছিলেন তৎকালীন কবিদের প্রধান উৎসাহদাতা।
পার্সি বিশী শেলীর দ্বিতীয় বিবাহ
শেলী মেরিকে বিয়ে করলেন। এর পর শেলী হাত দিলেন প্রমিথিয়াস আনবাউন্ড (Prometheus Unbound) রচনার কাজে। এর মধ্যে নাটক এবং গীতিকবিতার এক আশ্চর্য সংমিশ্রণ ঘটেছে।
পার্সি বিশী শেলীর ইতালিতে আগমন
১৮১৮ সালের মার্চ মাসে শেলী রওনা হলেন ইতালির পথে। সাথে মেরি, জেনি, তাদের ছেলেমেয়ে। এই সময়েই রচিত হয় তাঁর জীবনের সমস্ত শ্রেষ্ঠ কবিতা। শেলীর জীবনের শেষ চারটি বছর অতিক্রান্ত হয় ইতালিতে। এই সময়টুকুই তাঁর জীবনের মহত্তম সৃষ্টির কাল ।
পার্সি বিশী শেলীর ইতালিতে অস্থায়ী বাসা
ইতালিতে এসে শেলী কোনো স্থায়ী বাসা বাধেননি। তাঁর মনে হল তিনি সমগ্র ইতালি পরিভ্রমণ করবেন। বর্তমানের জগতে থেকে ফিরে যাবেন অতীতের জগতে। এখানেই পরিচয় হল এক অধ্যাপকের সাথে, তিনিও যোগ দিলেন তাদের মজলিসে।
পার্সি বিশী শেলীর জীবনে এমিলিয়ার আগমন
- (১) একদিন কথা প্রসঙ্গে অধ্যাপক বললেন ফ্লোরেন্সের এক কাউন্টের দুই কন্যা সৎ মায়ের তাড়নায় বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে এক আশ্রমে। দুজনেই সুন্দরী রূপসী কয়েকদিন পর শেলী অধ্যাপককে সাথে নিয়ে সেই তরুণীদের সাথে সাক্ষাতের জন্য যাত্রা করলেন।
- (২) যখন দুজনে আশ্রমে এসে পৌঁছলেন, বড় বোন এমিলিয়া বাগানে দাঁড়িয়েছিল। শেলীর মনে হল কোনো ভাস্কর যেন খোদাই করে তাঁর নারী রূপ সৃষ্টি করেছে। প্রথম পরিচয়ে দুজনেই দুজনের প্রতি আকৃষ্ট হলেন।
পার্সি বিশী শেলীর গৃহে প্রত্যাবর্তন
শেলী গৃহে এলেন, তখন তাঁর সমস্ত মন জুড়ে শুধু এমিলিয়া। শেলীর জীবনের এই নতুন নারীকে মন থেকে মেনে নিতে পারলেন না মেরি। তবুও কখনো নিজের অন্তরের ব্যথাকে প্রকাশ করেননি।
পার্সি বিশী শেলীর সৃষ্টির গভীরে ডুব
শেলী এমিলিয়ার প্রেম দীর্ঘদিন স্থায়ী ছিল না। একদিন শেলী পত্র পেলেন, এমিলিয়ার বাবা তার বিবাহ স্থির করে ফেলেছেন। শেলী ব্যথিত হলেন কিন্তু সৃষ্টির উন্মাদনায় তখন তিনি ক্রমশই সৃষ্টির গভীরে ডুব দিচ্ছিলেন। সাংসারিক সমস্যা থেকে ক্রমশই দূরে সরে যেতে চাইছিলেন শেলী।
পার্সি বিশী শেলীর জীবনে আঘাত
এমন সময় অপ্রত্যাশিত এক আঘাত নেমে এল তাঁর উপর। মেরির প্রথম সন্তান জন্মের কয়েক সপ্তাহ পরেই মারা গেল। এর পর শেলীর আরো দুটি সন্তান হয়। দুটি সন্তানই অকালে মৃত্যু বরণ করেছিল। এই বেদনা থেকে নিজেকে ভুলিয়ে রাখতে সৃষ্টির সাধনায় ক্রমশই ডুব দিলেন। তিনি নিজেই লিখেছেন, “আমি বেদনার মধ্যে যা পেয়েছি, কবিতার মধ্যে তাকেই প্রকাশ করেছি।”
পার্সি বিশী শেলীর অনুভূতিবোধ থেকে একের পর এক কবিতার জন্ম
তাঁর অনুভূতিবোধ থেকে জন্ম নিতে থাকে একের পর এক কবিতা। Ode to the west wind, The cloud, The skylark, Song to proserpine, The Indian serenade, Music, When soft voices die, On a Faded violet, To night এর এক একটি কবিতা যেন সৌন্দর্যে, বর্ণচ্ছাটায় এক একটি হীরক দ্যুতি।
পার্সি বিশী শেলীর বন্ধু কবি কিটসের মৃত্যু
- (১) যখন তিনি সৃষ্টির উল্লাসে মেতে উঠেছেন, এমন সময় দুঃসংবাদ এল বন্ধু কবি কিটস্ মারা গিয়েছেন। চিকিৎসার জন্য ইতালিতে এসেছিলেন কিটস্ শোকাহত কবি কিটসের এই প্রয়াণে রচনা করলেন, Adonais।
- (২) এমন মমস্পর্শী কবিতা শুধু ইংরাজি সাহিত্যে নয়, বিশ্বসাহিত্যে কম লেখা হয়েছে। …. He lives, he walks it is death is dead, not he Mourn not for Adonais-Thou young Dawn, Turn all thy dew to splendor for from three The spirit thou lamentest is not gone. Ye caverns and ye forests cease to moan!
পার্সি বিশী শেলীর সমুদ্র তীরে বাড়িভাড়া
শহরের কোলাহল থেকে মুক্তি পাবার জন্য ১৮২২ সালে শেলী এবং বন্ধু উইলিয়ম স্পেজিয়া উপসাগরের তীরে একটি বাড়ি ভাড়া নিলেন। শেলী সমুদ্র ভালবাসতেন কিন্তু সাঁতার জানতেন না।
কবি হান্টের পার্সি বিশী শেলীর সাথে সাক্ষাৎ
জুন মাসে শেলী সংবাদ পেলেন কবি লে হান্ট ইংল্যান্ড থেকে ইতালিতে এসেছেন। হান্টের সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে উঠেছিলেন শেলী। বন্ধু উইলিয়ামকে সাথে নিয়ে গেলেন হান্টের সাথে দেখা করবার জন্য।
পার্সি বিশী শেলীর সমুদ্রে অন্তর্ধান
কয়েকদিন হান্টের সাথে কাটিয়ে ১৮২২ সালের ৮ জুলাই কবি উইলিয়ামকে সাথে নিয়ে এলেন লেগহর্নে। তাঁরা নৌকায় উঠতেই জেলেরা বারণ করল। জেলেদের কথায় কান দিলেন না দুই বন্ধু। নৌকা নিয়ে ভেসে চললেন। কয়েক মাইল যেতেই আচমকা ঝড় উঠল। ঘন মেঘে চারদিক ছেয়ে গেল। কুড়ি মিনিটের মধ্যেই সব পরিষ্কার হয়ে গেল। কিন্তু শেলীর নৌকা খুঁজে পাওয়া গেল না।
পার্সি বিশী শেলীর মৃতদেহ উদ্ধার
দশ দিন পর রেগপিয়োর সমুদ্রের তীরে ভোলেরা একটি মৃতদেহ খুঁজে পেল। তাঁর জামার এক পকেটে কবি কিটসের কবিতার কপি, অন্য পকেটে সফোক্লিসের নাটক। বন্ধুরা এসে শনাক্ত করল শেলীর দেহ। সমুদ্র ভালবাসতেন শেলী। তাই সমুদ্রতীরেই তাঁর চিতায় আগুন জ্বালান হল। তখন শেলীর বয়স মাত্র ত্রিশ।
বিপ্লবী আদর্শবাদের কবি পার্সি বিশী শেলী
শেলীর মূল পরিচয় বিপ্লবী আদর্শবাদের কবি হিসাবে। ফরাসি বিপ্লব-এর আদর্শ তাঁর চেতনা মন জগতে এক নতুন প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ করেছিল। তাই তিনি ফরাসি বিপ্লবের আদর্শকে মনে প্রাণে গ্রহণ করেছিলেন। সে যুগের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশের মধ্যে তাঁর অন্তর বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিল। তার প্রকাশ দেখা যায় The Revolt of Islam prometheus Unbound -এ। শেলীর প্রমিথিয়াস চিরস্বাধীন। জিউসের পতনেই তাঁর মুক্তি।
আদর্শ জগতের সন্ধানে পার্সি বিশী শেলী
- (১) শেলী এক কল্পনার মধ্যে খুঁজে ফিরেছেন এক আদর্শ জগৎকে, তাই তিনি সন্ধান করেছেন অনাগত যুগকে। যেখানে থাকবে প্রেম, সৌন্দর্য স্বাধীনতা। তিনি দেখতে পান পৃথিবীর মানুষ সেই পথে এগিয়ে চলেছে। একদিন সব অন্ধকার দূর হবে। পশ্চিমে বাতাস সব মলিনতা দূর করে দেবে।
- (২) তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবিতা Ode to the west wind এ লিখেছেন, এক প্রলয়ঙ্করী ঝড় এসেছে পশ্চিমা বাতাসের রূপ ধরে। সে যেন ধ্বংসের মূর্তি। সে মলিনতাকে ধ্বংস করে কিন্তু যাবার সময় সৃষ্টি করে নব জীবনের সূচনা। তাই সে ভয়ঙ্কর হলেও সুন্দর, ভীষণ হলেও মধুর, ধ্বংস করলেও প্রতিশ্রুতিবান।
শিল্পী কবি পার্সি বিশী শেলী
ঋতুকাব্য হিসাবে The west wind যেমন পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি কবিতা, তেমনি তাঁর আর একটি অসাধারণ কবিতা The cloud. ভেসে চলা মেঘের বর্ণনায় কবি যেন শিল্পী হয়ে উঠেছেন। রঙের তুলি দিয়ে ছকি এঁকেছেন এখানে। স্কাইলাক পাখির ডানায় ভর দিয়ে কবি সমস্ত মলিনতা, জীবনের সব অন্ধকার, সব কলুষতা থেকে মুক্তির স্বপ্ন দেখছেন।
উপসংহার :- পার্সি বিশী শেলী লিখেছেন – The trumpet of a prophecy! O wind, If winter comes, can spring be far behind? “শীত যদি আসে, বসন্ত কি দূরে থাকতে পারে?” এই বিশ্বাসই শেলীকে এক মহত্তর কবির স্তরে স্থান দিয়েছে।
(FAQ) ইংরেজ কবি পার্শী বিশি শেলী সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
উনিশ শতকের প্রথম দিকের একজন ইংরেজি কবি ছিলেন পার্সি বিশী শেলী। তিনি প্রধান পাঁচজন রোমান্টিক কবিদের মধ্যে অন্যতম একজন।
ইংল্যান্ড।
The Cloud
সমুদ্রে নৌকা দুর্ঘটনায়।