রাশিয়ার ঔপন্যাসিক লিও টলস্টয়ের প্রেমপত্র প্রসঙ্গে লিও টলস্টয়ের পরিচিতি, লিও টলস্টয়ের খ্যাতি, লিও টলস্টয়ের প্রেম, লিও টলস্টয়ের প্রেমিকা ও লিও টলস্টয়ের মূল প্রেমপত্র সম্পর্কে জানব।
কাউন্ট লিও টলস্টয়ের প্রেমপত্র
ঐতিহাসিক প্রেমপত্র | লিও টলস্টয়ের প্রেমপত্র |
পরিচিতি | ঔপন্যাসিক |
দেশ | রাশিয়া |
বিখ্যাত উপন্যাস | War and Peace |
প্রেমিকা | ভেলেরিয়া |
মনীষী টলস্টয়-এর নাম বিশ্ববিখ্যাত। মানব সমাজ তাঁকে ঋষির ন্যায় ভক্তি ও শ্রদ্ধাঞ্জলি দান করে। কিন্তু ‘আনা কারনিনা’ ও “রেসারেকসানের’ এই লোকবিশ্রুত গ্রন্থকার প্রকৃতই ঋষি ছিলেন না – তাঁর সেই আধ্যাত্মিক জীবনের অভিজ্ঞতা : জ্ঞান হতেই যে লাভ হয়েছিল তা তাঁর আত্মজীবনী স্বরূপ ‘কনফেসন’ গ্রন্থ পাঠেই বোঝা যায়।
তিনি সোফিয়া এনড্রিএডনাকে বিবাহ করেন – কিন্তু তার পূর্বে তিনি কোনো এক বিলাসিনীর প্রতি আকৃষ্ট হন, তার নাম ভেলেরিয়া (Valerea), তাঁকে তিনি কয়েকখানা প্রেমপত্র লিখেছিলেন। টলস্টয়ের কোনো নিকটতর আত্মীয়ার কাছে ভেলেরিয়া চিঠিপত্র লিখতেন; রাশিয়ার সম্রাট জার দ্বিতীয় অলেকজান্ডার-এর অভিষেক উৎসব-এর জাঁকজমক ও আনন্দকোলাহলের বর্ণনা দিয়ে এমনি একখানি চিঠি ভেলেরিয়া টলস্টয়ের সেই আত্মীয়াকে লেখেন এবং তারই প্রসঙ্গে কোনো প্রকারে টলস্টয়ের প্রথম প্রেমপত্র ভেলেরিয়ার উদ্দেশে প্রেরিত হয়। সেদিন তারিখ ছিল ২৬শে আগষ্ট ১৮৫৬ সাল।
তোমার মধুমাখা চিঠিখানি এইমাত্র আমার হাতে এসে পড়ল। আমার প্রথম পত্র যা সাধারণ চিঠি মাত্র ছিল – তাতে আমি বিশদ ভাবেই বলেছি কেন আমি তোমায় চিঠি লিখি আর সেই কারণেই আজ আবার তোমায় লিখছি; কিন্তু আজ আমার মনের অবস্থা অন্য়রূপ। প্রথমদিনের চিঠি যে মন নিয়ে লিখেছিলাম সে মন আর আজ আমার নেই। ‘সেদিন আমি সাধ্যমত চেষ্টা করেছিলাম তোমার প্রতি আমার আকর্ষণকে চেপে রাখতে, আর আজ চেষ্টা করছি তোমার প্রতি আমার মনে যে ঘৃণার উদ্রেক হয়েছে তাকে দমিয়ে রাখতে। তুমি আমার আত্মীয়ার কাছে যে চিঠি লিখেছ তা পড়ে তোমার প্রতি আমার ঘৃণার উদ্রেক হয়েছে, আমি অতি কষ্টে সেই অনুভবকে জয় করতে চেষ্টা করছি। শুধু যে ঘৃণা তা নয় – তার সঙ্গে আছে হতাশা, আছে দুঃখেব ভাব।
তোমার বিলাস ব্যসন, তোমার বহুমূল্য পরিচ্ছদই কি তোমায় সুখের নিদর্শন? কেন তুমি এ কথা লিখলে? এই সব কথা কি নিছক আমার আত্মীয়ার উদ্দেশেই লিখেছ? বল, কেন এসব লিখলে? হয়ত তুমি আমাকে জান – জানিনা আমার অন্তরের পরিচয় তুমি পেয়েছ কিনা – তা যদি পেয়ে থাক তবে বুঝবে তোমার ওই সব কথা আমার অন্তরে কতখানি আঘাত করেছে। আত্মপ্রকাশ করবার এই কি রীতি! লোকের কাছে নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে সরাসরি ‘আমি কি’ এই পরিচয় দিলে নিজেকে ছোট করা হয়। আত্ম-পরিচয়ের এ রীতি নয়। তার চেয়ে নিজের সম্বন্ধে তুমি যদি একেবারেই নিরব থাকতে তাহলে তোমার সম্বন্ধে লোকের ধারণা বড় হয়ে থাকত – গোপনের মোহ মানুষকে মাতিয়ে তোলে তখন জানবার আগ্রহ হতো তাদের প্রবল।
অন্য কোনো দ্বিতীয় ব্যক্তি যদি তোমার পরিচয় করিয়ে দিত, তোমাকে লোক সমাজে প্রকাশ করত, তাতে তুমি লোকের কাছে নূতন রূপ নিয়ে ফুটে উঠতে – সেহ নুতন গুণ হল বিনয়। আমি যা বলছি তা কাব্যকথা নয় – বিজ্ঞান, দর্শন নয়, এই হল লোকরহস্য। সত্যি কথা বলতে কি আমার মনে হয় তোমার বহুমূল্য পরিচ্ছদের চেয়ে সাধারণ পোষাকেই তোমাকে বোধহয় মানায় ভাল।
মানুষকে ভাল না বেসে অভিজাত সম্প্রদায়ের সমাজকে ভালবাসার উদ্দেশ্য় মহৎ হতে পারে না, সে উদ্দেশ্য অসৎ – শুধু অসৎ নয়, তা বিপজ্জনক। তুমি যখন উচ্চ সমাজের নও, তোমার পক্ষে তাদের সঙ্গে মিশতে যাওয়া নিরর্থক – তাদের সম্বন্ধ শুধু তোমার ওই সুন্দর মুখচ্ছবি আর তোমার পোষাকের পারিপাট্য – যা কখনই তোমায় মহীয়সী ও প্রকৃত আনন্দময়ী করে তুলতে পারে না।
উৎসবের মত্ততায় তোমার দামী পোষাক যে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল তা জেনে প্রকৃতই আমার আনন্দ হয়েছে – আর আমি বলি যে, ধনাঢ্য ব্যারণ তোমায় রক্ষা করেছিল তার মত নির্বোধ আর নেই। যদি সেখানে উপস্থিত থাকতাম তাহলে আমি আর সকলের মতই আনন্দে ব্যস্ত থাকতাম, তোমাদের দিকে ফিরেই তাকাতাম না। এ কথা বলছি, কারণ আমি জানি তোমার সে বিপদই নয়, ও একটা নিছক বিলাস মাত্র। যাক্, অনেক কথাই লিখলাম। ইচ্ছা ছিল মস্কোয় গিয়ে তোমার সঙ্গে একবার দেখা করি – কিন্তু এখন আর সে ইচ্ছা নেই।
তুমি আনন্দে থাক – তোমার উচ্চাকাঙ্ক্ষা তোমার হাদয়ে আরও প্রীতি আনুক – আমি তোমার চক্ষুশূল ও দীন সেবক হয়েই থাকি।
টলস্টয়
টলস্টয়ের এই চিঠিখানা পেয়ে ভেলেরিয়া কোনো জবাব দিলেন না। টলষ্টয় অবশেষে বহু অনুনয় বিনয় ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন। অভিষেক উৎসবের পর ভেলেরিরা সুদাকোভোতে চলে আসেন। টলষ্টয় তাঁর সঙ্গে প্রায়ই দেখা করতেন, হঠাৎ একদিন কাউকে কিছু না বলে মনীষী টলষ্টয় সেন্ট পিটার্সবুর্গে চলে যান, সেখান থেকে ভেলেরিয়াকে যে সব পত্র লিখেছিলেন তারই দুই একটি নীচে দেওয়া হল।
১২ই নভেম্বর ১৮৫৬
প্রিয়তমে,
তোমার কাছ থেকে কোনো সংবাদ না পেয়ে মন আমার অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়েছে। আর যে স্থির থাকতে পারছি না। মানুষের যতখানি ধৈর্য থাকা প্রয়োজন তার অতিরিক্ত ধৈর্য নিয়ে এতদিন অপেক্ষা করেছি কিন্তু আর পারি না। আজ আবার তোমায় লিখছি – রাত্রি এখন ১২টা – তুমি তো জান রাত্রি ১২টার সময় প্রেমিক হৃদয় যদি নিসঙ্গ থাকে তবে তার মনের কি অবস্থা হয়।
কি জন্য আমায় চিঠি দাওনি বল। প্রথম প্রথম তোমার জন্য মন কত খারাপ হয়েছে – তারপর হয়েছে রাগ – তারপর থেকে আমি যেন অন্যরকম হয়ে গেছি – আজ যেন আমার মনে এসেছে একটা উদাস ভাব – আর এসেছে ভগবদ্ভক্তি। এখন আমার অন্তর থেকে কে যেন বলে উঠছে হবে, এতেই হবে তোমার সুখ – তোমার আনন্দ! যখনই তোমার কথা মনে হয় – তোমার প্রেমে যখন অন্তর বিভোর হয়ে ওঠে তখন ইচ্ছা হয় তোমার কাছে ছুটে যাই – প্রাণখুলে তোমার সঙ্গে বসে বসে গল্প করি – মনের কথা খুলে বলি; আবার যখন তোমার ওপর আমার রাগ হয় – তোমার ওপর বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ি, তখনও ইচ্ছা হয় তোমার কাছে গিয়ে মনের সেই ভাবান্তরের কথা তোমায় বলি, আর সেই সঙ্গে জানিয়ে দিই যে তুমি বা আমি কেউই কাকেও বুঝতে পারিনি – তোমার আমার পক্ষে পরস্পরকে ভালবাসা বা আমাদের মধ্যে প্রেম হতে পারে না, আর তার জন্য় দায়ী আর কেউ নয় – দায়ী শুধু সর্ব শক্তিমান পরমেশ্বর আর আমরা উভয়ে।
যাই হোক, তোমার কাছে শুধু এইটুকু প্রার্থনা যে, কখনও আত্ম-প্রবঞ্চনা করোনা – বিবেককে প্রতারিত করোনা, স্রোতের মুখে ভেসে যেও না – অটুট রেখো তোমার প্রেম – একনিষ্ঠা। ভগবান তোমার মঙ্গল করুন – আচ্ছা আজ তবে আসি।
টলষ্টয়
আর একদিন টলষ্টয় লিখলেন –
প্রিয়তমাসু,
এই মাত্র তোমার চমৎকার মনোমুগ্ধকর চিঠিখানি পেলাম। তোমাকে প্রিয় বলে সম্বোধন করলাম বলে যদি আমার কোনো দোষ হয়ে থাকে তাহলে তুমি আমায় ক্ষমা করো। ছোট দুটি অক্ষর ‘প্রিয়ে’ – কি সুন্দর! – কি মধুময়! আমার মনের সম্পূর্ণ ভাবটি এই দুটিমাত্র অক্ষরে প্রকাশিত হয়েছে। তোমায় ‘প্রিয়ে’ বলে ডাকলে মনে হয় আমার যা কিছু বলবার সবই বুঝি বলা হয়ে গেল। তোমার সঙ্গে যখনই কথা কই তখনই মনে হয় আর কিছু নয় শুধু তোমায় প্রিয়ে বলে ডাকি, কেবল ‘প্রিয়ে’ আর কোনো নামে ডাকলে আমার অন্তর তৃপ্ত হয় না। খুব অল্প কথাতেই শেষ করব এ চিঠি, বেশী কিছু লিখব না, কারণ বাইরে অনেক কাজ পড়ে আছে। অনেক কাজ – কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠতে হয়, আর এই কাজের চাপে পড়ে আজ কদিন রাত্রে ঘুমাবার সময়টুকু পর্যন্ত পাই নি।
তুমি তো জান দু’তিনজন প্রকাশকের সঙ্গে আমার চুক্তি হয়েছে! ১লা ডিসেম্বরের মধ্যে লিখে দিতে হবে। একটা ছোট গল্প লিখেছি বটে কিন্তু ঠিক যেন মনের মত হয় নি, মনে হচ্ছে সেটাকে আর একবার দেখা দরকার, কিন্তু কি করে দেখি বলত! একে ত আমার সময় মোটেই নেই, তার উপর মনের অবস্থা ভাল নয় – তবু আমায় কাজ করতে হবে, কারণ – একদিকে যেমন আমার কথা রাখতে হবে, তাদের যা কথা দিয়েছি তা নড়চড় হবে না, আবার অন্যদিকে যাতে সাহিত্যিক-সুনাম বজায় থাকে তার দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। আমার লেখা পড়ে লোকে এতদিন যে সুখ্যাতি করে এসেছে তাকে ত আমি মোটেই হারাতে পারি না, তার মূল্য যে সবচেয়ে বেশী – অথচ এত মন খারাপ। নিজের মনে এমন একটা অতৃপ্তির ভাব এসেছে যাতে করে জগতের সব জিনিসেই আমার বিতৃষ্ণা, সবেতেই যেন রাগ। কেন যে লোককে কথা দিলুম! আমার নিজেরই কতকগুলো পুরানো অচল লেখা – সেগুলিকে আর চোখ বুলিয়ে দেখতে ইচ্ছা করে না। কত নূতন ভাব মনের ভিতর কিলবিল করছে, কত চমৎকার আদর্শ। আহা!
তোমার আগের পত্রের উত্তরে তুমি আমার মনের অবস্থার আভাষ পেয়েছ। যাক্ সে সব আমি মোটেই পছন্দ করি না। তুমি যদি আমায় ভালবাস, আমি যা চাই তুমি যদি তাই হতে পার তবে ওসব মনের অবস্থা ভালমন্দে কিছুই যায় আসে না। তোমার চিঠি পড়লে মনে হয় যে, তুমি প্রকৃতই আমায় ভালবাস আর সেই জন্য তুমি জগতকে আবার নুতন করে প্রত্যক্ষ করতে শিখেছ। সৎকে ভালবাস – আধ্যাত্মচিন্তায় বিভোর হয়ে মহীয়সী হও। পূর্ণতার পথে এগিয়ে চল!
এই যে পথ ঐ ত মুক্তির পথ – এপথে চলতে শিখলে এ জীবনে পাওয়া যায় সুখ – আর পরকালেও চিরানন্দ, এর তো এখানেই শেষ নয় – এতো অনন্ত! জন্ম জন্মান্তরেও এ পথের শেষ হবে কিনা জানা নেই কিন্তু তবু চলতে হয়, এ পথে আনন্দ পাওয়া যায়, এ যে সচ্চিদানন্দের পথ।
তোমার সহায় ভগবান। প্রিয়ে! এগিয়ে চল – ভালবাসতে শেখো – শুধু আমাকে নয়, ঈশ্বরের সৃষ্টি এই জগতকে। মানুষকে ভালবাস-প্রকৃতিকে ভালবাস-ভালবাস গান, ভালবাস কবিতা – যা ভাল তাকে ভালবাস। মনকে এমন ভাবে তৈরী কর যাতে প্রকৃত স্নেহাস্পদকে চিনে নিতে পার। প্রেমই জগতের আদর্শ – প্রেমই সুখ!
যদিও অবান্তর কথা এসে পড়ছে, তবুও বলি নারী যে নিজেকে গড়ে তুলবে তার অন্য প্রধান কারণ আছে। পুরুষের পত্নী হওয়াই হয়তো নারীর বিধিলিপি, কিন্তু তার অন্য়তম শ্রেষ্ঠ কারণ – তাকে হতে হবে গর্ভধারিণী, শুধু কামিনী নয় (আমার কথা বুঝতে পারছ?) এবং গর্ভধারিণী হতে হবে বলেই তাকে উৎকর্ষ লাভ করতে হবে, কারণ নারী জীব-জননী, জীব ধাত্রী! রাগ করছ প্রিয়ে! আমার কথায় বিরক্ত বোধ করছ?
তুমি তো সব সময়েই বল যে তোমার প্রেম পবিত্র, মহান। আমাদের একের অন্যের প্রতি প্রেম জানান বা ভালবাসা আর কিছুই নয় – শুধু পরস্পরের দেহের প্রতি আকর্ষণ। আমাদের উভয়ের প্রেম পবিত্র কি মহান সে বিচার তো আমরা করব না, করবে তৃতীয় ব্যক্তি।
তোমার রুচির কথা বলি। তুমি যদি মনে কর তোমার সুরুচি আছে সেই ধারণা যদি তোমার হয়ে থাকে তা হলে আমি বলব যে তোমার ধারণা ভুল। তোমার রুচি ঠিকই আছে, কিন্তু তা সুরুচি নয়, আর সুরুচিও যদি হয় তবে তুমি ঠিক কেতাদোরস্ত নও, মানে ঠিক কায়দা-কানুন তোমার জানা নেই। তোমার পোষাক পরিচ্ছদে এত বিভিন্ন রং-এর সমাবেশ কর যে তা দেখে একেবারে পাড়াগেঁয়ে মেয়েরা পর্যন্ত তোমার বেশভূষার অপ্রশংসা না করে থাকতে পারে না – তারাও বলবে, ‘এ সব অচল’। যারা শহরবাসিনী নয় তারাই এ সমস্ত ভুল করে – তোমার পক্ষে তা উপহাসের বস্তু বই কি? জুতা, জামা, মোজা, দস্তানা, চুল আঁচড়ান, এমনকি নখগুলো কাটার মধ্যেও এমন একটা শালীনতা থাকবে যাতে লোকে দেখলেই মোহিত হবে। বেশ একটা ছিমছাম ভাব যা করতে বেশী সময় যায় না অথচ যারাই একটু সৌখীন তারা ত অতি অল্প সময়েই সম্পন্ন করতে পারে। যুবতীর পক্ষে অশোভন হলেও রং-এর জৌলুসকে না হয় ক্ষমা করা গেল কিন্তু তোমার ওই অনিন্দ্যসুন্দর মুখচ্ছবির কাছে সে রং ম্লান হয়ে যায়। তোমার রূপের সঙ্গে প্রসাধনের বাহুল্য মোটেই খাপ খায় না – তোমার হবে সাদাসিদে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা – কিন্তু লক্ষ্য থাকবে সব দিকে।
আমি আর বেশী কিছু বলব না। যা বললাম তাতে রাগ করো না। আশা করি তোমার দোষত্রুটি যা আছে সব শুধরে যাবে – আর তুমি যা আছে তার চেয়ে ঢের বেশী গুণবতী হয়ে উঠবে।
প্রিয়ে, প্রিয়তমে, প্রাণাধিকে। আমার লেখা পড়ে রাগ করো না; ভগবান তোমার সহায় হন। বিদায় –
টলষ্টয়
(FAQ) লিও টলস্টয়ের প্রেমপত্র সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
রাশিয়ার একজন বিখ্যাত লেখক।
War and Peace।
ভেলেরিয়া।
সোফিয়া এনড্রিএডনা