জার্মানির ঐক্য আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা পুরুষ গ্যারিবল্ডি -র জন্ম, ইয়ং ইতালি দলের সদস্য, বিদ্রোহে যোগদান, দেশ ত্যাগ, গেরিলা যুদ্ধ পদ্ধতিতে দক্ষতা অর্জন, উরুগুয়ে সরকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা, দেশে প্রত্যাবর্তন, উনিশ শতকের শ্রেষ্ঠ গেরিলা যুদ্ধনায়ক, ক্যাভুরের মন্তব্য, সিসিলি ও নেপলস জয়, ডিক্টেটর ঘোষণা, পোপের রাজ্য জয়ে বাধা, স্বেচ্ছা নির্বাসন ও তার মৃত্যু সম্পর্কে জানবো।
ইতালির ঐক্য আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব গ্যারিবল্ডী প্রসঙ্গে গ্যারিবল্ডীর জন্ম, ইয়ং ইতালি দলের সদস্য গ্যারিবল্ডী, যুদ্ধে গ্যারিবল্ডীর যোগদান, গ্যারিবল্ডীর দেশ ত্যাগ, গ্যারিবল্ডীর দেশে প্রত্যাবর্তন, গ্যারিবল্ডীর সম্পর্কে কাভুরের মন্তব্য, গ্যারিবল্ডীর লালকোর্তা বাহিনী গঠন, লালকোর্তা বাহিনীর নায়ক গ্যারিবল্ডী, গ্যারিবল্ডীর সিসিলি ও নেপলস জয়, ইতালির ঐক্য আন্দোলনে গ্যারিবল্ডীর ভূমিকা, গ্যারিবল্ডীর স্বেচ্ছা নির্বাসন ও গ্যারিবল্ডীর মৃত্যু।
গ্যারিবল্ডি
ঐতিহাসিক চরিত্র | গ্যারিবল্ডি |
জন্ম | ১৮০৭ খ্রিস্টাব্দ |
গুরু | জোসেফ ম্যাৎসিনী |
উদ্দেশ্য | ইতালির স্বাধীনতা অর্জন |
কৃতিত্ব | নেপলস ও সিসিলি জয় |
মৃত্যু | ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দ |
ভূমিকা:- গ্যারিবল্ডি ছিলেন একজন যথার্থ বীর ও দেশপ্রেমিক। তার জীবনের প্রধান ও একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল ইতালির স্বাধীনতা অর্জন। ইতালির প্রতি তার ভালোবাসা সাধু-সন্তদের ভগবত প্রেমের মতোই গভীর ছিল।
গ্যারিবল্ডির জন্ম
১৮০৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি নিস-এর এক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা-মাতা তাকে ধর্মযাজক করতে চাইলেও তিনি নাবিকের বৃত্তি বেছে নেন। নাবিক হিসেবে তিনি নানা দেশ ভ্রমণ করেন।
ইয়ং ইতালি দলের সদস্য গ্যারিবল্ডি
১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি ম্যাৎসিনির সংস্পর্শে আসেন এবং ইয়ং ইতালি দলের সদস্য হন।
বিদ্রোহে গ্যারিবল্ডির যোগদান ও দেশ ত্যাগ
১৮৩৪ খ্রিস্টাব্দে ম্যাৎসিনির নেতৃত্বে তিনি স্যাভয়-এর বিদ্রোহে যোগ দেন এবং এই অপরাধে তার প্রাণদণ্ডের হুকুম হলে তিনি দেশ ত্যাগে বাধ্য হন।
গেরিলা যুদ্ধ পদ্ধতিতে গ্যারিবল্ডির দক্ষতা অর্জন
১৮৩৬ থেকে ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে পর্যন্ত ভাগ্যান্বেষী সৈনিক হিসেবে তিনি দক্ষিণ আমেরিকাতে অতিবাহিত করেন এবং গেরিলা যুদ্ধ পদ্ধতিতে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।
উরুগুয়ে সরকার প্রতিষ্ঠায় গ্যারিবল্ডির ভূমিকা
দক্ষিণ আমেরিকার স্বাধীন প্রজাতান্ত্রিক উরুগুয়ে সরকার প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা ছিল খুবই উল্লেখযোগ্য।
গ্যারিবল্ডির দেশে প্রত্যাবর্তন
১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে ইতালিতে বিপ্লব শুরু হলে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং রোম -এ প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ম্যাৎসিনির অন্যতম প্রধান সহায় ছিলেন। এই বিপ্লবের ব্যর্থতার ফলে আবার তিনি আমেরিকায় ফিরে যান।
১৯ শতকের শ্রেষ্ঠ গেরিলা যুদ্ধের নায়ক গ্যারিবল্ডি
গ্যারিবল্ডি ১৯ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গেরিলা যুদ্ধ নায়ক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
গ্যারিবল্ডি সম্পর্কে ক্যাভুরের মন্তব্য
তার সম্পর্কে ব্যঙ্গ করে ক্যাভুর বলেছিলেন যে, “গ্যারিবল্ডির হৃদয় সিংহের মতো সাহসী কিন্তু তার মস্তিষ্ক স্যারের মতো নিরেট।”
গ্যারিবল্ডির সিসিলি ও নেপলস জয়
নেপলস ও সিসিলিবাসীর আবেদনে সাড়া দিয়ে তিনি তার এক সহস্র লাল কোর্তা বাহিনী নিয়ে সিসিলিতে অবতরণ করেন এবং ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে অক্টোবর মাসে সিসিলি ও নেপলস জয় করেন।
গ্যারিবল্ডির নিজেকে ডিক্টেটর ঘোষণা
সিসিলি ও নেপলস জয় করে গ্যারিবল্ডি নিজেকে ভিক্টর ইমান্যুয়েলের পক্ষে দক্ষিণ ইতালির ডিক্টেটর বলে ঘোষণা করেন। এরপর তিনি দক্ষিণ ইতালিতে একটি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে পোপের রাজ্য জয়ের পরিকল্পনা করেন।
পোপের রাজ্য জয়ে গ্যারিবল্ডিকে বাধা
গ্যারিবল্ডির আগমনের পূর্বে ভিক্টর ইমান্যুয়েল রোম বাদে পোপের সমগ্র রাজ্য জয় করেন এবং নেপলসে এসে নেপলস ও সিসিলির আনুগত্য দাবি করেন
গ্যারিবল্ডির স্বেচ্ছা নির্বাসন
এই পরিস্থিতিতে গৃহযুদ্ধ এড়াবার জন্য গ্যারিবল্ডি ৭ই নভেম্বর ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে নেপলস ও সিসিলি রাজ্য দুটি ভিক্টর ইমান্যুয়েলের হাতে তুলে দেন এবং রাজনীতি ত্যাগ করে ক্যাপরেরা দ্বীপে স্বেচ্ছা-নির্বাসনে চলে যান।
গ্যারিবল্ডির মৃত্যু
১৮৮২ সালের ২ জুন তিনি ইতালির ক্যাপ্রেরা অঞ্চলে মৃত্যুবরণ করেন।
উপসংহার:- গ্যারিবল্ডি ছিলেন ম্যাৎসিনির শিষ্য। রাজনীতি ত্যাগ করার পরেও তিনি ২২ বছর জীবিত ছিলেন। রাজনীতির ক্ষেত্রে তার ত্যাগ ইতিহাসে বিরল।
প্রিয় পাঠক/পাঠিকা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই “গ্যারিবল্ডি” পোস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই adhunikitihas.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। যে কোনো প্রশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলো করুণ এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন।
সবশেষে আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে Comment ও Share করে দিবেন, (ধন্যবাদ)।
(FAQ) গ্যারিবল্ডি সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
১৮০৭ খ্রিস্টাব্দে ইতালির নিস শহরে।
জোসেফ ম্যাৎসিনি।
লাল কোর্তা বাহিনী।
সিসিলি ও নেপলস।