সার্ভেন্টস অফ ইন্ডিয়া সোসাইটির প্রতিষ্ঠাকাল, স্থান, প্রতিষ্ঠাতা, গোখলের দাক্ষিণাত্য শিক্ষা সমিতি ত্যাগ, সার্ভেন্টস অফ ইন্ডিয়া সোসাইটি সদস্য, সামাজিক ও মানবিক উন্নয়ন, প্রচারকার্য, দ্য হিতবাদের প্রকাশনা, ভিত্তি সংকোচন, বর্তমান অবস্থা ও সার্ভেন্ট স অফ ইন্ডিয়া সোসাইটির শাখা সম্পর্কে জানবো।
সার্ভেন্টস অফ ইন্ডিয়া সোসাইটি
বিষয় | সার্ভেন্টস অফ ইন্ডিয়া সোসাইটি |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১২ জুন, ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দ |
স্থান | পুনে, মহারাষ্ট্র |
প্রতিষ্ঠাতা | গোপালকৃষ্ণ গোখলে |
উদ্দেশ্য | শিক্ষার প্রসার |
ভূমিকা :- ভারতীয়দের মধ্যে শিক্ষা প্রসারের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সার্ভেন্টস অফ ইন্ডিয়া সোসাইটি। দাক্ষিণাত্য শিক্ষা সমিতি ত্যাগ করে গোপালকৃষ্ণ গোখলে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন।
সার্ভেন্টস অফ ইন্ডিয়া সোসাইটির অবস্থান
এই প্রতিষ্ঠানটি মহারাষ্ট্রের পুনেতে গঠন করা হয়েছিল।
সার্ভেন্টস অফ ইন্ডিয়া সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা
বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজ সংস্কারক গোপালকৃষ্ণ গোখলে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সারভেন্টস অফ ইন্ডিয়া সোসাইটি।
সার্ভেন্টস অফ ইন্ডিয়া সোসাইটির প্রতিষ্ঠাকাল
১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১২ জুন কংগ্রেসের সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর গোপালকৃষ্ণ গোখলে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন।
গোপালকৃষ্ণ গোখলের দাক্ষিণাত্য শিক্ষা সমিতি ত্যাগ
সারভেন্টস অফ ইন্ডিয়া সোসাইটি প্রতিষ্ঠার জন্য গোপালকৃষ্ণ গোখলে দাক্ষিণাত্য শিক্ষা সমিতি বা ডেকান এডুকেশন সোসাইটির সদস্য পদ ত্যাগ করেন।
সার্ভেন্টস অফ ইন্ডিয়া সোসাইটির সদস্য
গোখলের সাথে নটেশ আপ্পাজি দ্রাবিড়, গোপাল কৃষ্ণ দেওধর, সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি এবং অনন্ত পটবর্ধনের মতো শিক্ষিত ভারতীয়রা এই প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিলেন।
সামাজিক ও মানবিক উন্নয়নে সার্ভেন্টস অফ ইন্ডিয়া সোসাইটির অবদান
এই প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা সামাজিক ও মানবিক উন্নয়নের প্রচার করতে এবং ভারত -এ ব্রিটিশ শাসনকে উৎখাত করতে চেয়েছিলেন।
সার্ভেন্টস অফ ইন্ডিয়া সোসাইটির প্রচার কার্য
শিক্ষা, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যসেবা প্রচার এবং অস্পৃশ্যতা ও বৈষম্য, মদ্যপান, দারিদ্র্য, নারী নিপীড়ন এবং গার্হস্থ্য নির্যাতন থেকে নারীদের সুরক্ষার সামাজিক কুফলগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অনেক প্রচারণার আয়োজন করে।
সার্ভেন্টস অফ ইন্ডিয়া সোসাইটির মুখপত্র দ্য হিতবাদের প্রকাশনা
১৯১১ সালে নাগপুর থেকে ইংরেজিতে সোসাইটির মুখপত্র দ্য হিতবাদের প্রকাশনা শুরু হয়।
কংগ্রেস ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে ভারতীয়দের দূরে রাখা
এই প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় কংগ্রেস মতো সংগঠন এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে ভারতীয়দের দূরে রাখার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল।
সার্ভেন্টস অফ ইন্ডিয়া সোসাইটির ভিত্তি সংকোচন
১৯১৫ সালে গোখলের মৃত্যুর পরে এবং ১৯২০-এর দশকে কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে মহাত্মা গান্ধীর উত্থানের সাথে সাথে এই সোসাইটির ভিত্তি সঙ্কুচিত হয়।
সার্ভেন্টস অফ ইন্ডিয়া সোসাইটির বর্তমান অবস্থা
বর্তমানে এই একটি ছোট সদস্যপদ নিয়ে তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এর প্রধান কার্যালয় মহারাষ্ট্রের পুনে শহরে।
সার্ভেন্টস অফ ইন্ডিয়া সোসাইটির শাখা
উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা এবং উত্তরাখণ্ডের মতো অন্যান্য রাজ্যে এই প্রতিষ্ঠানের শাখা রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি ওড়িশায় একটি অনাথ আশ্রম চালায়।
উপসংহার :- মহাত্মা গান্ধী সারা দেশে ব্যাপক আকারে সামাজিক সংস্কার প্রচার শুরু করে তরুণ ভারতীয়দের আকৃষ্ট করেছিলেন। এর ফলে সারভেন্টস অফ ইন্ডিয়া সোসাইটির জনপ্রিয়তা কমে যায়।
(FAQ) সার্ভেন্টস অফ ইন্ডিয়া সোসাইটি সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
গোপালকৃষ্ণ গোখলে।
১২ জুন ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে।
ভারতীয়দের মধ্যে শিক্ষার প্রসার।