লর্ড বাইরণের প্রেমপত্র

বিখ্যাত ইংরেজ কবি লর্ড বাইরণের প্রেমপত্র প্রসঙ্গে লর্ড বাইরণের পরিচিতি, লর্ড বাইরণের খ্যাতি, লর্ড বাইরণের প্রেম, লর্ড বাইরণের স্ত্রী, লর্ড বাইরণের প্রেমিকা ও লর্ড বাইরণের মূল প্রেমপত্র সম্পর্কে জানব।

ইংরেজ কবি লর্ড বাইরণের প্রেমপত্র

ঐতিহাসিক প্রেমপত্রলর্ড বাইরণের প্রেমপত্র
দেশইংল্যান্ড
পরিচিতিবিখ্যাত কবি
স্ত্রীএনে মিলব্যাঙ্ক
প্রেমিকাCountess Guiccioli
লর্ড বাইরণের প্রেমপত্র

খ্রিস্টীয় উনবিংশ শতকে যে সমস্ত কবি ও সাহিত্যিক ইউরোপ-এর সাহিত্যকে সমৃদ্ধিশালী করেছিলেন লর্ড বাইরণ তাদের একজন। তাঁর জীবনের বহু প্রণয় কাহিনী প্রচলিত আছে। এনে মিলব্যাঙ্ক ছিলেন তাঁর বিবাহিতা পত্নী। কিন্তু তাঁদের দাম্পত্য জীবন সুখের হয় নি। বিবাহের এক বছরের মধ্যেই উভয়ের বিচ্ছেদ ঘটে। ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে কোনো বৃদ্ধের তরূণী ভার্যা Countess Guiccioli -এর সঙ্গে তাঁর গোপন প্রণয় হয়। স্বামী ছিলেন পিতামহের বয়সী, তাই যুবক কবি বাইরণের কাছে অনায়াসে তিনি নিজেকে বিলিয়ে দিলেন। কবি তাঁকে লিখেছিলেন :

প্রাণাধিকে তেরেসা, – তোমারই উপবনে বসে বই পড়ছি। প্রিয়ে, তুমি অনুপস্থিত তাই পড়তে পারছি – নইলে পড়া হত না – তোমার চেয়ে, বই ত আমার প্রিয় নয়। তুমি এ বই পড়তে ভালবাস। এই যে তোমায় চিঠি লিখছি চিনতে পারছ তো কার হাতের লেখা? বুঝতে কি পারছ প্রিয়তমে, যে তোমায় সকল ইন্দ্রিয় দিয়ে একান্ত ভাবে ভালবাসে এ হাতের লেখা তারই।

আমি আজ ইহজগতে এবং আমার মনে হয় এই জগতের পরেও আমি থাকব – আমার ক্ষয় নেই। কেন, তা তুমিই বল। আমার ভাগ্য আজ তোমার সঙ্গে জড়িত – তোমার হাতেই আমার মরণকাঠি ও জীবনকাঠি প্রিয়তমে। তোমার সঙ্গে যদি আমার পরিচয় না হত তাহলে কেমন করে বেঁচে থাকতাম। তুমি আমায় ভালবাস আমি কি তা বুঝতে পারি না! তোমার প্রতি কথায় ও কাজে যে তোমার প্রেমের পরিচয় পাই।

আমি পারি না, তোমায় ভাল না বেসে থাকতে পারি না। তুমি যতদিন আমায় অনুগ্রহ করে তোমার প্রেম দাও তত দিনই আমার জীবন। ভগবান, এ ভালবাসা, এ প্রেম যেন অনন্ত অক্ষয় হয় প্রভু। কোনো বাধা – কোনো ব্যবধান যেন আমাদের পৃথক করতে না পারে।

বাইরণ

(FAQ) লর্ড বাইরণের প্রেমপত্র সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. লর্ড বাইরণ কে ছিলেন?

বিখ্যাত ইংরেজ কবি।

২. লর্ড বাইরণের স্ত্রীর নাম কী?

এনে মিলব্যাঙ্ক

৩. লর্ড বাইরণের প্রেমিকার নাম কী?

Countess Guiccioli.

Leave a Comment