সুন্দর সুপুরুষ যোদ্ধা ডিউক অব মার্লবোরোর প্রেমপত্র প্রসঙ্গে ডিউক অব মার্লবোরোর পরিচিতি, ডিউক অব মার্লবোরোর বীরত্ব, ডিউক অব মার্লবোরোর প্রেম, ডিউক অব মার্লবোরোর প্রেমিকা ও ডিউক অব মার্লবোরোর মূল প্রেমপত্র সম্পর্কে জানব।
মার্লবোরোর প্রেমপত্র
ঐতিহাসিক প্রেমপত্র | ডিউক অব মার্লবোরোর প্রেমপত্র |
পরিচিতি | সুন্দর সুপুরুষ যোদ্ধা |
দেশ | ইংল্যান্ড |
প্রেমিকা | সারা জেনিংস |
প্রেমপত্র রচনা | ২০. ৪. ১৭০৩ |
জন চার্চিল – প্রথম ডিউক অব মার্লবোরো ছিলেন সুন্দর সুপুরুষ। সপ্তদশ শতাব্দীতে তাঁর মত যোদ্ধা খুব কমই ছিল। ব্লেনহেমের যুদ্ধে তাঁর বীরত্ব কাহিনী ইংল্যান্ড-এর ইতিহাসে অক্ষর হয়ে আছে। সম্রাজ্ঞী এ্যানের সহচরী সারা জেনিংসের (Sara Jennigs) সঙ্গে ১৬৭৮ খ্রিস্টাব্দে তাঁর বিবাহ হয় এবং এই বিবাহের ফলেই তিনি ইংরাজ সৈন্য়ের প্রধান সেনাপতির পদ লাভ করেন। সারাকে তিনি ভালবাসতেন প্রাণের অধিক – নিচের পত্রখানিই তার প্রমাণ।
হেগ – ২০. ৪. ১৭০৩
প্রিয়তমে,
আজ সকালে তোমার দুখানি চিঠি পেলাম। চিঠি পড়ে উচ্ছ্বাস যেন আর চেপে রাখতে পারছি না, মনে হল তুমি যেন আরও হাজারগুণ ভালবাসা তাতে ঢেলে দিয়েছে। আমি তোমারই – একান্তই তোমার! সারা দুনিয়া একদিকে আর তুমি একদিকে। তোমার ভালবাসা হারিয়ে পৃথিবীর অতুল ঐশ্বর্যও আমায় সুখী করতে পারবে না – কারণ তুমি তো পৃথিবীর নও, তুমি যে আমার নন্দনের পারিজাত।
দ্বিতীয় পত্র
হেগ, ১২ই এপ্রিল, ১৭০৬
প্রাণাধিকে,
এখানে এসে অবধি তোমার কোমল হাতের একখানিও চিঠি পাই নি। আমার বড় আশঙ্কা হচ্ছে যে, এখানে থাকতে তোমার চিঠি পাবার সৌভাগ্য বুঝি আমার হবে না – তোমার লেখা পাবার আনন্দ উপভোগ বুঝি আমার ভাগ্যে নেই!
প্রিয়তমে, তোমার কাছে যাবার, তোমাকে কাছে পাবার আকাঙ্ক্ষা আজ এত প্রবল, মনে হচ্ছে যে এ সমরাভিযান আজই শেষ করে দিই। ভগবানের কাছে শুধু এইটুকু জানাই -প্রভূ, প্রিয়ার বিরহ আর যেন সহ্য় করতে না হয়! এই বয়সে তোমার কাছ থেকে দূরে সরে থাকা অভিশাপ বলে মনে হচ্ছে, আর মনে হচ্ছে প্রিয়তমাই যদি কাছে না থাকে তবে কেমন করে আমি দেশের কাজ করব – সে প্রেরণাই বা পাব কোথা হতে! ইতি –
জন
(FAQ) ডিউক অব মার্লবোরোর প্রেমপত্র সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
সপ্তদশ শতাব্দীর সুন্দর সুপুরুষ যোদ্ধা।
ইংল্যান্ড।
সারা জেনিংস।
২০ এপ্রিল ১৭০৩ খ্রিস্টাব্দে।