গৌতম বুদ্ধের বাণী বাংলাতে ও pdf দেওয়া হল। জীবন, প্রেম ও ভালোবাসা, শান্তি, আনন্দ, কর্মক্ষেত্র, সুখ, সাফল্য, মন, বন্ধুত্ব, আধ্যাত্মিকতা, জ্ঞানমূলক মূলক বাণী ও চিন্তাধারা ।
বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধের অনুপ্রেরণা মূলক বাণী, প্রেম ও ভালোবাসা সম্পর্কে বাণী, শান্তির বাণী, আনন্দের বাণী, শিক্ষা মূলক বাণী, সাফল্যের বাণী, কর্ম মূলক বাণী, সুখ সম্পর্কে বাণী, ধ্যান ও প্রাণায়াম সম্পর্কে উপদেশ, মন সম্পর্কে বাণী, বন্ধু ও বন্ধুত্ব সম্পর্কে বাণী, জ্ঞান মূলক বাণী ও তাঁর বিভিন্ন উপদেশ সম্পর্কে জানুন।
গৌতম বুদ্ধের বাণী ও উক্তি সমূহ
বিষয় | গৌতম বুদ্ধের বাণী |
মনীষী | গৌতম বুদ্ধ |
প্রকৃত নাম | সিদ্ধার্থ |
অন্য নাম | তথাগত |
ধর্ম | বৌদ্ধ ধর্ম |
আজ হিংসায় উন্মত্ত পৃথিবী। এই উন্মত্ত হিংসার পৃথিবীতে গৌতম বুদ্ধের বাণীগুলি মানুষকে শুভ পথ দেখতে পারে। গৌতম বুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ বাণী ও উক্তিসমূহ এখানে গ্রন্থিবদ্ধ করা হল –
গৌতম বুদ্ধের বিখ্যাত বাণী ও বাংলা উক্তি সমূহ
গৌতম বুদ্ধের এমন অনেক বাণী আছে যেগুলো আমাদের জীবনে অনুপ্রেরণা জোগায়।
- ১.”প্রত্যেক অভিজ্ঞতা কিছু না কিছু শিক্ষা দেয়। প্রত্যেক অভিজ্ঞতাই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমরা আমাদের ভুল থেকেই শিখতে পারি।”
- ২.”জীবনের প্রথমেই ভুল হওয়া মানে এই নয় যে, এটিই সবচেয়ে বড় ভুল। এই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই এগিয়ে যাও।”
- ৩.”প্রত্যেকটা দিনের গুরত্বকে বুঝুন, প্রত্যেকদিন একটা নতুন ব্যক্তির জন্ম একটা নতুন উদ্দেশ্যকে পূরণ করার জন্যই হয়ে থাকে।”
- ৪.”নিজের দুনিয়াকে স্বয়ং নিজে খুঁজে নেওয়ার অধিকার প্রত্যেকটি মানুষেরই আছে।”
- ৫.”আমরা যখন কথা বলি, তখন সেইসময় আমাদের উচিত শব্দ গুলোকে ভালোভাবে নির্বাচন করা। কারণ, এর ফলে শ্রোতার উপর ভালো কিংবা খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।”
- ৬.”সবাইকে সদয়, জ্ঞানী ও সঠিক মনের অধিকারী হতে হবে। যতই বিশুদ্ধ জীবনযাপন করবে, ততই উপভোগ করতে পারবে জীবনকে।”
- ৭.”সত্যিকারের ক্ষমতা নিয়ে বাঁচতে হলে নির্ভয়ে বাঁচো।”
- ৮.”জীবনে ব্যাথা থাকবেই, ব্যাথাকেই ভালোবাসতে শেখো।”
- ৯.”অতীত নিয়ে বিভ্রান্ত হবেনা, ভবিষ্যতের স্বপ্নে হারিয়ে যেওনা, বর্তমানের দিকে মনোযোগ দাও। এটাই সুখী হওয়ার একমাত্র উপায়।”
- ১০.”সবসময় ভালো কাজ কর। বারবার ভালো কাজ কর। মনকে সবসময় ভালো কাজে মগ্ন রাখো। সৎ আচরণই স্বর্গসুখের পথ।”
- ১১.”যদি কেউ মন্দ অভিপ্রায় নিয়ে কথা বলে বা কাজ করে দুঃখ তাকে অনুসরণ করে। আর কেউ যদি সুচিন্তা নিয়ে কথা বলে বা কাজ করে সুখ তাকে ছায়ার মত অনুসরণ করে।”
- ১২.“জীবনে যতই ভালো বই পড় কিংবা ভালো উপদেশ শোনো না কেন, কিন্তু যতক্ষণ না তুমি সেইসবের থেকে পাওয়া তথ্যগুলোকে নিজের জীবনে ব্যবহার করছো; ততক্ষন পর্যন্ত সেইসবের কোনো মূল্যই নেই।”
- ১৩. “সন্দেহের অভ্যাস সবথেকে ক্ষতিকারক। সন্দেহ মানুষকে দূষিত করে। সন্দেহ একটা ভাল বন্ধুত্ব ও ভাল সম্পর্কের ধ্বংস সাধন করে।”
- ১৪. “আমি কখনও দেখি না যে কী চলে গেছে, আমি সর্বদা দেখি আর কী করা বাকি আছে।”
- ১৫. “লক্ষ্য বা গন্তব্যে পৌঁছনোর থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেই যাত্রাকে ভালভাবে পূরণ করা।”
প্রেম ও ভালোবাসা নিয়ে গৌতম বুদ্ধের বাণী
- ১. ”তুমি যদি সত্যিই নিজেকে ভালোবাসো, তাহলে তুমি কখনোই অন্যকে আঘাত দিতে পারবেনা।”
- ২.” নিজের অপার ভালোবাসাকে সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে দাও।”
- ৩.”ভালোবাসা হল দুজনের পরিপূর্ণতার জন্য একজনের অন্তর থেকে আর একজনকে দেওয়া এক উপহার।”
- ৪. “তুমি একমাত্র সেটাই হারাও যেটা তুমি আঁকড়ে ধরে বসে থাকো।”
- ৫.”এই মহাবিশ্বে অন্য যে কারোর মতোই তোমার নিজেরও নিজের কাছে ঠিক ততটাই ভালোবাসা ও স্নেহ প্রাপ্য।”
- ৬.”প্রকৃত ভালোবাসার জন্ম হয় বোধশক্তি থেকেই।”
- ৭.”সারা দুনিয়া খুঁজে নাও। খুঁজে নাও সেই মানুষকে যে তোমার আবেগ ও ভালোবাসার উপযুক্ত। কিন্তু পাবে না। মনে রেখো, তোমার আবেগ আর ভালোবাসার সবথেকে উপযুক্ত ব্যক্তি তুমি নিজেই।”
- ৮. “ঘৃণা দিয়ে কখনও ঘৃণাকে শেষ করা যাবে না। একমাত্র ভালবাসা দিয়েই ঘৃণাকে শেষ করা যেতে পারে। আর এটাই প্রাকৃতিক সত্য।”
- ৯. “পরমাত্মা প্রত্যেককেই একই রকম করেছেন, পার্থক্য তো শুধু আমাদের মস্তিষ্কের ভিতরে। প্রেমের ক্ষেত্রেও সেটা মনে রাখতে হবে।”
- ১০. “তুমি কতটা ভালোবাসা দিলে, কতটা পূর্ণতার সাথে জীবনকে উপভোগ করলে এবং কতটা গভীরতার সাথে হতাশাকে জীবন থেকে ত্যাগ করলে – সবশেষে এসবই অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”
- ১১. “পা তখনই অন্য পাকে অনুভব করে, যখন সেটা মাটিকে ছোঁয়। সেরকমই ভালবাসায় বিশ্বাস থাকতে হবে।”
শান্তি নিয়ে গৌতম বুদ্ধের বাণী
- ১. “মনের ভিতর থেকে শান্তি আসে, তাই মন ছাড়া শান্তির অনুসন্ধান কর না।”
- ২. “হাজারও খালি শব্দের থেকে ভালো সেই শব্দ, যা শান্তি নিয়ে আসে।”
- ৩. “নিশ্চিতভাবে যে ব্যক্তি বিরক্তিপূর্ণ চিন্তার থেকে মুক্ত থাকে, সেই ব্যক্তিই শান্তি পেয়ে থাকে।”
- ৪. “তোমার যা কিছু আছে, সেগুলোকে কখনোই অন্যের কাছে বাড়িয়ে বলনা আর অন্যকে দেখে ঈর্ষাও করোনা। যে অন্যদের দেখে ঈর্ষা করে, সে কখনোই মানসিকভাবে শান্তি পায় না।”
- ৫.”জ্ঞানগর্ভ জীবনের জন্য মুহূর্তের ইতিবাচক ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে হবে। এই জন্য ভয়কে তুচ্ছ করতে হবে, এমনকি মৃত্যুকেও।”
- ৬.”যার সূচনা আছে তার সমাপ্তি আছে। এটা বুঝতে শিখলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।”
- ৭.”আসক্তিই দুর্ভোগের মূল কারণ।”
- ৮. “রেগে যাওয়া কোনও জ্বলন্ত কয়লাকে অন্যের গায়ে ছোঁড়ার জন্য সেটাকে ধরে থাকার মতোই সমান। এটা সবার প্রথমে তোমাকেই জ্বালাবে।”
- ৯. “রাগের বশে হাজারও শব্দকে খারাপভাবে বলার থেকে ভাল মৌন থাকা, যা জীবনে শান্তি নিয়ে আসে।”
- ১০. “একটা প্রদীপের মাধ্যমে হাজারটা প্রদীপকে জ্বালানো যেতে পারে, কিন্তু তাতে সেই প্রদীপের আলো কখনও কমে যায় না। ঠিক সেইভাবেই খুশিকে সবার মাঝে ছড়ালে খুশি কখনোই কমে যায় না।”
আনন্দের জন্য গৌতম বুদ্ধের বাণী
- ১. “কোনও খারাপ জিনিস, কোনও খারপ চিন্তা থেকেই আসে।”
- ২. “কোনো মানুষের মনই তার প্রকৃত বন্ধু কিংবা শত্রু হয়।”
- ৩. “কোনও পরিবারকে সুখী ও স্বাস্থ্যবান হতে হলে সর্বপ্রথম অনুশাসন এবং মনের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।”
- ৪. “যদি কোনও ব্যক্তি নিজের মনের উপর নিয়ন্ত্রণ লাভ করতে পারে তাহলে সে আত্মজ্ঞানের রাস্তা অবশ্যই খুঁজে পাবে।”
- ৫. “শুদ্ধ ও নিঃস্বার্থ জীবন যাপন করার জন্য একজন ব্যক্তিকে সব কিছুর মধ্যেও কিছুই নিজের না, এই ভাবনা রাখতে হবে।”
- ৬. “তোমার কাছে যা কিছু আছে, সেগুলোকে কখনোই অন্যের কাছে বাড়িয়ে বল না।”
- ৭. “কখনও অন্যকে দেখে ঈর্ষা কর না। যে অন্যদের দেখে ঈর্ষা করে, সে কখনও মানসিকভাবে শান্তি পায় না।”
- ৮. “বাস্তব জীবনের সবচেয়ে বড় বিফলতা হল, আমাদের অসত্যবাদী হয়ে থাকা।”
- ৯. “কোনও হিংস্র পশু অপেক্ষা কোনও শয়তান বন্ধুকে আপনার বেশি ভয় পাওয়া উচিত। কারণ হিংস্র পশু আপনার শরীরের ক্ষতি করতে পারে কিন্তু একজন খারাপ বন্ধু আপনার বুদ্ধির ক্ষতি করে দিতে পারে।”
- ১০. “স্বাস্থ্য ছাড়া জীবন, সত্যিকারের জীবন নয়। এটা বেদনার একটা স্থিতি আর মৃত্যুর একটা রূপ।”
কর্মক্ষেত্রে গৌতম বুদ্ধের বাণী
- ১. “মন ও শরীরের পক্ষে সুস্থ থাকার রাস্তা হল, অতীতের জন্য শোক না করা আর ভবিষ্যতের জন্য চিন্তা না করা।”
- ২. “বুদ্ধি ও সৎ ভাবের দ্বারা বর্তমানে বাঁচার চেষ্টা করাই উচিৎ।”
- ৩. “তুমি কতটা ভালবাসা দিলে, কতটা পূর্ণতার সাথে জীবনকে উপভোগ করলে এবং কতটা গভীরতার সাথে হতাশাকে জীবন থেকে ত্যাগ করলে এই সব কিছুই সবশেষে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”
- ৪. “সবচেয়ে অন্ধকার রাতের অর্থ অজ্ঞানতা।”
- ৫. “আপনি যা চিন্তা করবেন, তা-ই আপনি হবেন।”
- ৬. “প্রতিদিন সকালে আমাদের নতুন করে জন্ম হয়। তাই আজ আমরা কী করছি, সেটাই সবথেকে বড় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।”
- ৭. “পবিত্রতা কিংবা অপবিত্রতা নিজের উপর নির্ভর করে। কেউই অন্য কাউকে পবিত্র করতে পারে না।”
- ৮. “নিজেকে বিজয়প্রাপ্ত করা, অন্যের উপর বিজয়প্রাপ্ত করার থেকে বড় কাজ নয়।”
সুখ নিয়ে গৌতম বুদ্ধের বাণী
- ১. “চিন্তার প্রতিফলন ঘটে স্বভাব বা প্রকৃতিতে। যদি কেউ মন্দ অভিপ্রায় নিয়ে কথা বলে বা কাজ করে দুঃখ তাকে অনুগমন করে। আর কেউ যদি সুচিন্তা নিয়ে কথা বলে বা কাজ করে সুখ তাকে ছায়ার মত অনুসরণ করে।”
- ২. ”সুখের জন্ম হয় মনের গভীরে। এটি কখনও বাইরের কোনো উৎস থেকে আসে না।”
- ৩. ”মন ও শরীরের পক্ষে সুস্থ থাকার রাস্তা হল – অতীতের জন্য শোক না করা আর ভবিষ্যতের জন্য চিন্তা না করা। বরং বুদ্ধি ও সৎভাবের দ্বারা বর্তমানে বাঁচার চেষ্টা করা।”
- ৪. ”কোনো পরিবারকে সুখী ও স্বাস্থ্যবান হতে হলে সবার প্রথমে দরকার অনুশাসন এবং মনের উপর নিয়ন্ত্রণ। যদি কোনো ব্যক্তি নিজের মনের উপর নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যায়, তাহলে সে আত্মজ্ঞানের রাস্তা অবশ্যই খুঁজে পাবে।”
- ৫. ”অতীত নিয়ে বিভ্রান্ত হয়োনা, ভবিষ্যতের স্বপ্নে হারিয়ে যেওনা, বর্তমানের দিকে মনোযোগ দাও। এটাই সুখী হওয়ার একমাত্র উপায়।”
- ৬. ”সুখের কোনো উপায় নেই, সুখী থাকাই হল এর একমাত্র উপায়।”
- ৭. ”একটা প্রদীপের মাধ্যমে হাজারটা প্রদীপকে জ্বালানো যেতে পারে কিন্তু তাতে সেই প্রদীপের আলো কখনোই কমে যায়না। ঠিক সেইভাবেই খুশিকে সবার মাঝে ছড়ানোর দ্বারা খুশি কখনোই কমে যায়না বরং বেড়ে যায়।”
- ৮. “আনন্দ হল বিশুদ্ধ মনের সহচর। বিশুদ্ধ চিন্তাগুলো খুঁজে খুঁজে আলাদা করতে হবে। তাহলে সুখের দিশা তুমি পাবেই।”
জীবনে সাফল্যের জন্য গৌতম বুদ্ধের বাণী
- ১. “যদি আপনার দয়া আপনাকে সম্মিলিত করতে না পারে, তাহলে সেটা অসম্পূর্ণ হয়।”
- ২. “সব কিছুকে বোঝার অর্থ সব কিছুকে ক্ষমা করে দেওয়া।”
- ৩. “ধৈর্য হল গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। মনে রাখবে, একটা কলসি বিন্দু বিন্দু জলের দ্বারাই ভর্তি হয়।”
- ৪. “চাঁদের মতোই মেঘের আড়াল থেকে বের হও এবং প্রকাশিত হয়ে ওঠো।”
- ৫. “রণক্ষেত্রে সহস্রযোদ্ধার ওপর বিজয়ীর থেকে রাগ-ক্রোধ বিজয়ী বা আত্মজয়ী বীরই বীরশ্রেষ্ঠ।
- ৬. “চিন্তার প্রতিফলন ঘটে স্বভাব বা প্রকৃতিতে। যদি কেউ মন্দ অভিপ্রায় নিয়ে কথা বলে বা কাজ করে দুঃখ তাকে অনুগমন করে। আর কেউ যদি সুচিন্তা নিয়ে কথা বলে বা কাজ করে সুখ তাকে ছায়ার মত অনুসরণ করে।”
- ৭. “জগতে মাতা ও পিতার সেবা সুখকর। শ্রমণ ও পণ্ডিতদের পরিচর্যা জগতে সুখ দায়ক।”
- ৮. “বার্ধক্য পর্যন্ত নীতি পালন সুখকর। শ্রদ্ধায় প্রতিষ্ঠিত হওয়াই সুখদায়ক। প্রজ্ঞালাভই সুখ জনক, পাপ না করাই সুখাবহ।”
- ৯. “যিনি অস্থিরচিত্ত, যিনি সত্যধর্ম অবগত নন, যার মানসিক প্রসন্নতা নেই, তিনি কখনও প্রাজ্ঞ হতে পারেন না।”
ধ্যান ও মেডিটেশনের জন্য গৌতম বুদ্ধের বাণী
- ১. “নিজেকে নিয়ন্ত্রণ কর। তারপর অন্যকে অনুশাসন কর। নিজে নিয়ন্ত্রিত হলে অন্যকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করাই কঠিন।”
- ২. “যিনি যত অধিক ভাষণ করুন না কেন তাতে তিনি ধর্মধর হতে পারেন না।”
- ৩. “যিনি অল্পমাত্র ধর্মকথা শুনে নিজের জীবনে তা আচরণ করেন এবং ধর্মে অপ্রমত্ত থাকেন তিনিই প্রকৃত ধর্মধর।”
- ৪. “আলস্য ও অতিভোজের দরুন স্থূলকায় নিদ্রালু হয়ে বিছানায় গড়াগড়ি দেওয়া স্বভাবে পরিণত হলে সেই মূর্খের জীবনে দুঃখের পুনরাবৃত্তি ঘটবে।”
- ৫. “সব কিছুর জন্য মনই আসল। সবার আগে মনকে উপযুক্ত করো, চিন্তাশীল হও। আগে ভাবো তুমি কী হতে চাও।”
- ৬. “তুমিই কেবল তোমার রক্ষাকর্তা, অন্য কেউ নয়।”
- ৭.”ধ্যান থেকে আসে জ্ঞান আর ধ্যানের অভাবে আসে অজ্ঞতা। জানতে শেখো কি তোমাকে এগিয়ে নিয়ে যায় আর কি পিছু টানে, জেনে নিয়ে নিজের পথ নির্ণয় করো যা জ্ঞানের দিকে যায়।”
- ৮. ”সত্যের পথে চলতে কেবলমাত্র দুটো ভুলই করা সম্ভব, হয় পুরো পথ না যাওয়া, না হয় পথ চলা শুরুই না করা।”
- ৯. ”তুমি যা ভাবো সেটাই হও, যা অনুভব করো সেটাই আকর্ষণ করো, যা কল্পনা করো তাই সৃষ্টি করো।”
- ১০.”রেগে যাওয়া, কোনো জলন্ত কয়লাকে অন্যের গায়ে ছোঁড়ার জন্য সেটাকে ধরে থাকার মতোই সমান হয়ে থাকে | এটা সবার প্রথমে তোমাকে জ্বালাবে।”
মন নিয়ে গৌতম বুদ্ধের বাণী
- ১. ”মানুষের মনই তার প্রকৃত বন্ধু বা শত্রু হয়ে থাকে।”
- ২. ”মন ও শরীরের পক্ষে সুস্থ থাকার রাস্তা হলো – অতীতের জন্য শোক না করা আর ভবিষ্যতের জন্য চিন্তা না করা। বরং বুদ্ধি ও সৎভাবের দ্বারা বর্তমানে বাঁচার চেষ্টা করা।”
- ৩. ”যিনি অস্থিরচিত্ত, যিনি সত্যধর্ম অবগত নন, যার মানসিক প্রসন্নতা নেই, তিনি কখনো প্রাজ্ঞ হতে পারেন না।”
- ৪. ”সব ধর্মের পূর্বগামী, মনই শ্রেষ্ঠ, সকলই মনোময়।”
- ৫. ”মনকে সবসময় ভালো কাজে নিমগ্ন রাখো, সৎ আচরণই স্বর্গসুখের পথ।”
- ৬. ”আলোকিত হতে চাইলে প্রথমে নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করো।”
গৌতম বুদ্ধের বন্ধু ও বন্ধুত্ব নিয়ে বাণী
- ১. ”নির্বোধ বন্ধু আদৌ কোনো বন্ধু নয়। নির্বোধ বন্ধু থাকার চেয়ে একা হওয়া অনেক ভালো।”
- ২. ”কোনো হিংস্র পশু অপেক্ষা কোনো শয়তান বন্ধুকে আপনার বেশি ভয় পাওয়া উচিত। কারণ হিংস্র পশু আপনার শরীরের ক্ষতি করতে পারে কিন্তু একজন খারাপ বন্ধু আপনার বুদ্ধির ক্ষতি করতে পারে।”
- ৩. ”বন্ধু এমন একজন যিনি আপনার জীবন সম্পর্কে সমস্ত কিছু জানেন এবং সর্বদা আপনাকে ভালবাসেন।”
- ৪. ”প্রয়োজন থেকে নয় সবসময় আপনার হৃদয় থেকে আপনার বন্ধুদের ভালবাসুন।”
- ৫. ”জীবনে বহু মানুষ আসবে যাবে, কিন্তু একমাত্র প্রকৃত বন্ধুরাই হৃদয়ে ছাপ রেখে যাবে।”
- ৬. ”জীবনের সবথেকে মূল্যবান উপহার হল একজন সৎ বন্ধু লাভ করা।”
- ৭. ”ভালো বন্ধু অনেকটা আকাশের তারার মত, সবসময় দেখা না গেলেও তুমি জানো যে তারা সাথে আছে।”
- ৮. ”বন্ধুর সাথে অন্ধকার রাস্তায় চলা, আলোকজ্জ্বল রাস্তায় একা চলার থেকে অনেক ভালো।”
- ৯. ”মিষ্টি বন্ধুত্ব আত্মাকে সতেজ করে তোলে।”
- ১০. “জগতে শত্রুতার দ্বারা কখনও শত্রুতার উপশম হয় না, মিত্রতার দ্বারাই শত্রুতার উপশম হয়।”
- ১১. “মৈত্রী দ্বারা শত্রুকে জয় করবে, সাধুতার দ্বারা অসাধুকে জয় করবে।”
গৌতম বুদ্ধের আধ্যাত্মিকতা নিয়ে বাণী
- ১. ”যখন আমরা মনের রূপান্তর ঘটাই, আর চিন্তাগুলো বিশুদ্ধ করি, তখন আমরা অন্যায় কাজ থেকে জীবনকে পরিশুদ্ধ করি। এর মাধ্যমে খারাপ কাজের চিহ্নও মুছে যায়। যেমনভাবে একটা মোমবাতি আগুন ছাড়া নিজে জ্বলতে পারেনা, ঠিক সেইরকমই একটা মানুষ আধ্যাত্মিক জীবন ছাড়া বাঁচতে পারেনা।”
- ২. “যেকোনো অবস্থাতেই তিনটি জিনিসকে লুকানো কখনোই সম্ভব নয়, – সূর্য,চন্দ্র এবং সত্য।”
- ৩. ”অন্যকে কখনও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করো না, নিয়ন্ত্রণ করো কেবল নিজেকে।”
- ৪. ”আমরা প্রত্যেকেই একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত। একজন আরেকজনের পরিপূরক। অর্থাৎ সমাজে আমরা কেউ একা নই।”
- ৫. ”চাঁদের মতোই মেঘের আড়াল থেকে বের হও এবং প্রকাশিত হয়ে ওঠো।”
- ৬. ”আমরা অনেকেই একটা কিছুর সন্ধানে পুরো জীবন কাটিয়ে দিই। কিন্তু তুমি যা চাও তা হয়তো এরই মধ্যে আছে। সুতরাং, এবার থামো।”
- ৭. ”আলস্য ও অতিভোজের দরুন স্থূলকায় নিদ্রালু হয়ে বিছানায় গড়াগড়ি দেওয়া স্বভাবে পরিনত হলে সেই মূর্খের জীবনে দুঃখের পুনরাবৃত্তি ঘটবে।”
- ৮. ”কোনো পাপকেই ক্ষুদ্র মনে করো না। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাপই জমা হতে হতে মূর্খের পাপের ভান্ড পূর্ণ করে ফেলে।”
- ৯. ”পরমাত্মা প্রত্যেককেই একই রকম করেছেন, পার্থক্য তো শুধু আমাদের মস্তিষ্কের ভিতরে।”
- ১০. ”তোমাকে তোমার রাগের জন্য শাস্তি দেওয়া হবেনা বরং তুমি তোমার রাগের দ্বারাই শাস্তি পাবে।”
- ১১. “যে ভালোভাবে জীবন কাটিয়েছে, সে মৃত্যুকেও ভয় পায়না।”
- ১২. ”খারাপটি সর্বদা তুমি নিজেই পছন্দ করেছ। সুতরাং, তোমার খারাপ কাজের জন্য তুমি নিজেই দায়ী। এর দায়ভার অন্য কারো নয়।”
ভগবান গৌতম বুদ্ধের জ্ঞানমূলক বাণী
- ১. ”একজন মানুষ যখন কথার পর কথা বলে তখন তাকে জ্ঞানী বলা হয় না। কিন্তু তিনি যদি শান্তিপূর্ণ , প্রেমময় এবং নির্ভীক হন তবে সত্যই তাকে জ্ঞানী বলা হয় ।”
- ২. ”যে মানুষ জ্ঞানগর্ভ জীবনযাপন করেছে তার মৃত্যু-ভয় পাওয়া উচিত নয়। ”
- ৩. ”ভুলকে বার বার স্মরণ করার অর্থ মনের মধ্যে বড় বোঝা পুষে রাখা।”
- ৪. ”প্রাজ্ঞ ব্যক্তি কখনো নিন্দা বা প্রশংসায় প্রভাবিত হন না।”
- ৫. ”কোনো পাপকেই ক্ষুদ্র মনে করো না। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাপই জমা হতে হতে মূর্খের পাপের ভান্ড পূর্ণ করে ফেলে।”
- ৬. ”কোনো কিছুই চিরন্তন নয়।”
- ৭. ”যিনি উপদেশ দেন, অনুশাসন করেন তিনি অসৎ লোকের অপ্রিয় এবং সৎ লোকের প্রিয় হন।”
- ৮. ”মৈত্রী দ্বারা শত্রুকে জয় করবে সাধুতার দ্বারা অসাধু কে জয় করবে, ক্ষমার দ্বারা ক্রোধকে জয় করবে, এবং সত্যের দ্বারা মিথ্যেকে জয় করবে।”
- ৯. ”যিনি যত অধিক ভাষণ করুন না কেন তাতে তিনি ধর্মধর হতে পারেন না। যিনি অল্পমাত্র ধর্মকথা শুনে নিজের জীবনে তা আচরণ করেন এবং ধর্মে অপ্রমত্ত থাকেন তিনিই প্রকৃত ধর্মধর।”
- ১০. ”যিনি তোমার ত্রুটি প্রদর্শন করেন ও তার জন্য ভৎসনা করেন সেই মেধাবীকে গুপ্তনিধির ন্যায় জানবে।”
- ১১. “জীবনে যতই ভাল বই পড় কিংবা ভাল উপদেশ শোনো না কেন, যতক্ষণ না তুমি সেই সবের থেকে পাওয়া তথ্যগুলোকে নিজের জীবনে ব্যবহার না করছো, ততক্ষণ পর্যন্ত সেই সবের কোনও মূল্য নেই।”
- ১২. “নির্বোধ মানুষরা নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকে এবং বুদ্ধিমান মানুষরা কঠোর পরিশ্রমী হয়। এটা প্রেমের পথেও মনে রাখতে হবে।”
- ১৩. “সত্যের পথে চলার সময় মানুষ মাত্র দুটো ভুলই করতে পারে – এক, সে হয়তো সেই পথকে পুরো শেষ করতে পারবে না কিংবা সে হয়তো সেই পথে যাওয়ার কোনওদিন চেষ্টাই করবে না।”
- ১৪. “চলে যাওয়া সময় কখনও ফিরে আসবে না।”
- ১৫. “আমরা অনেক সময় ভাবি যে, আজ যে কাজটা হচ্ছে না সেটা কাল হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে যে সময় একবার চলে যায় সেই সময় আর কখনও ফিরে আসবে না।
গৌতম বুদ্ধের অনুপ্রেরণা মূলক বাণী
ভগবান গৌতম বুদ্ধের অনুপ্রেরণা মূলক বাণীগুলি হল-
- ১. “জীবনের প্রথমেই ভুল হওয়া মানেই এই নয় এটিই সবচেয়ে বড় ভুল। এর থেকে শিক্ষা নিয়েই এগিয়ে যাও।”
- ২. ”প্রতিদিন সকালে আমাদের নতুন করে জন্ম হয়। তাই আজ আমরা কি করছি, সেটাই সবথেকে বড় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।”
- ৩. “অনিয়ন্ত্রিত মন মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলে। মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে চিন্তাগুলোও তোমার দাসত্ব মেনে নেবে।”
- ৪. “তোমাদের সবাইকে সদয়, জ্ঞানী ও সঠিক মনের অধিকারী হতে হবে। যতই বিশুদ্ধ জীবনযাপন করবে, ততই জীবনকে উপভোগ করতে পারবে।”
- ৫. “আমরা অনেকেই একটা কিছুর সন্ধানে পুরো জীবন কাটিয়ে দিই। কিন্তু তুমি যা চাও তা হয়তো এরই মধ্যে পেয়েছ। সুতরাং, এবার থামো।”
- ৫. “সুখের জন্ম হয় মনের গভীরে। এটি কখনও বাইরের কোনও উৎস থেকে আসে না।”
- ৬. ”শুভর সূচনা করতে প্রত্যেক নতুন সকালই তোমার জন্য এক একটি সুযোগ।”
- ৭. “অন্যের জন্য ভাল কিছু করতে পারাটাও তোমার জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।”
- ৮. “ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুহূর্তের সমন্বয়ই জীবন। কেবল একটি সঠিক মুহূর্ত পাল্টে দেয় একটি দিন। একটি সঠিক দিন পাল্টে দেয় একটি জীবন। আর একটি জীবন পাল্টে দেয় গোটা বিশ্ব।”
- ৯. “খুব কম মানুষের জীবনে পরিপক্কতা আসে। সঙ্গী হিসেবে এই পরিপক্কতাকে তোমাকে অর্জন করতে হবে। তবে তা ভুল মানুষকে অনুসরণ করে নয়। এই পরিপক্কতা অর্জনে বরং একলা চলো নীতি অনুসরণ কর।”
- ১০. “সুখ কখনও আবিষ্কার করা যায় না। এটি সবসময় তোমার কাছে আছে এবং থাকবে। তোমাকে কেবল দেখার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।”
- ১১. “সত্যিকারভাবে ক্ষমতা নিয়ে বাঁচতে হলে নির্ভয়ে বাঁচো।”
- ১২. “জীবনে ব্যাথা থাকবেই, কিন্তু কষ্টকেই ভালোবাসতে শেখ।”
- ১৩. ”তোমার চিন্তাই তোমার শক্তির উৎস। নেতিবাচক চিন্তা তোমাকে অনেক বেশি আঘাত করে যা তোমার ধারণাতেই নেই।”
- ১৪. ”ধৈর্য হলো গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। মনে রাখবে,একটা কলসি বিন্দু বিন্দু জলের দ্বারাই ভর্তি হয়।”
- ১৫. ”জীবনে হাজার লড়াই জেতার থেকে ভালো, তুমি নিজের উপর বিজয়প্রাপ্ত করে ফেলো। তখন জয় সর্বদা তোমারই হবে আর সেই জয় তোমার থেকে কেউই ছিনিয়ে নিতে পারবে না।”
- ১৬. “যা আপনি চিন্তা করবেন, তাই আপনি হবেন।”
- ১৭. “সবকিছুকে বোঝার অর্থ সবকিছুকে ক্ষমা করে দেওয়া।”
- ১৮.”যদি আপনার দয়া আপনাকে সম্মিলিত করতে না পারে, তাহলে সেটা অসম্পূর্ণ হয়ে থাকে।”
- ১৯. ”নিজেকে নিয়ন্ত্রণ কর। তারপর অন্যকে অনুশাসন কর। নিজে নিয়ন্ত্রিত হলে অন্যকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করাই কঠিন।”
- ২০. ”বর্ষাকালে এখানে, শীত-গ্রীষ্মে ওখানে বাস করব। মূর্খরা এভাবে চিন্তা করে, শুধু জানে না জীবন কখন কোথায় শেষ হয়ে যাবে।”
- ২১. ”মা যেমন তার নিজ পুত্রকে নিজের জীবন দিয়ে রক্ষা করে তেমনি সকল প্রাণীর প্রতি অপরিমেয় মৈত্রী ভাব পোষণ করবে।”
- ২২. ”লক্ষ্যে বা গন্তব্যে পৌঁছানোর থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেই যাত্রাকে ভালোভাবে পূরণ করা হয়ে থাকে।”
- ২৩. “নিষ্ক্রিয়তা হল মৃত্যুর একটা ছোট রাস্তা। কঠোর পরিশ্রমই ভালো জীবনের রাস্তা হয়ে থাকে । নির্বোধ মানুষরা নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকে এবং বুদ্ধিমান মানুষরা কঠোর পরিশ্রমী হয়।”
- ২৪. “স্বাস্থ্য ছাড়া জীবন, সত্যিকারের জীবন নয়। এটা বেদনার একটা স্থিতি আর মৃত্যুর একটা রূপ।”
- ২৫. ”অতীতে বাস করবেন না, ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখবেন না, বর্তমান মুহুর্তে মনকে কেন্দ্রীভূত করুন।”
- ২৬. ”পরের কৃত ও অকৃত কার্যের প্রতি লক্ষ্য না রেখে নিজের কৃত ও অকৃত কাজের প্রতি লক্ষ্য রাখবে।”
- ২৭. ”নিজের কথার মূল্য দিতে হবে নিজেকেই। কারণ, তোমার নিজের কথার ওপর নির্ভর করবে অন্যের ভালো কাজ কিংবা মন্দ কাজ।”
- ২৮. “একটা শুদ্ধ এবং নিস্বার্থ জীবনযাপন করার জন্য একটা ব্যক্তিকে, সবকিছুর মধ্যেও কিছুই নিজের না; এই ভাবনা রাখতে হবে।”
গৌতম বুদ্ধের বাণী ও চিন্তাধারা
- ১. “প্রজ্ঞালাভই সুখ জনক, পাপ না করাই সুখাবহ।”
- ২. “রণক্ষেত্রে সহস্রযোদ্ধার ওপর বিজয়ীর চেয়ে রাগ-ক্রোধ বিজয়ী বা আত্মজয়ী বীরই বীরশ্রেষ্ঠ।”
- ৩. “কোনও পাপকেই ক্ষুদ্র মনে করো না। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাপই জমা হতে হতে মূর্খের পাপের ভান্ড পূর্ণ করে ফেলে।”
- ৪. “বর্ষাকালে এখানে, শীত-গ্রীষ্মে ওখানে বাস করব, মূর্খরা এভাবেই চিন্তা করে। শুধু জানে না জীবন কখন কোথায় শেষ হয়ে যাবে।”
- ৫. “প্রাজ্ঞ ব্যক্তি কখনো নিন্দা বা প্রশংসায় প্রভাবিত হয় না।”
- ৬. “মূর্খরা ‘আমার পুত্র, আমার অর্থ, আমার ধন’ এই চিন্তায় যন্ত্রণা ভোগ করে।
- যখন সে নিজেই নিজের না তখন পুত্র বা ধন তার হয় কীভাবে ?”
- ৭. “ভাল কাজ সবসময় কর, বারবার কর। মনকে সব সময় ভাল কাজে নিমগ্ন রাখ। সৎ আচরণই স্বর্গসুখের পথ।”
- ৮. “যিনি অস্থিরচিত্ত, যিনি সত্যধর্ম অবগত নন, যার মানসিক প্রসন্নতা নেই, তিনি কখনও প্রাজ্ঞ হতে পারেন না।”
- ৯. “কাউকে কটু কথা বলবে না। কারণ সে-ও কটু প্রতু্ত্তর দিতে পারে।
- ১০. উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় তোমার জন্যেও কষ্টদায়ক হবে। দন্ডের প্রতিদন্ড তোমাকেও স্পর্শ করবে।”
(FAQ) গৌতম বুদ্ধের বাণী সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
“প্রত্যেক অভিজ্ঞতা কিছু না কিছু শিক্ষা দেয়।”
“বুদ্ধি ও সৎ ভাবের দ্বারা বর্তমানে বাঁচার চেষ্টা করাই উচিৎ।”
“নিজেকে নিয়ন্ত্রণ কর। তারপর অন্যকে অনুশাসন কর।”