ভিয়েনার বিস্ময়কর সঙ্গীত-প্রতিভা মোজার্ট-এর প্রেমপত্র প্রসঙ্গে মোজার্ট-এর পরিচিতি, মোজার্ট-এর খ্যাতি, মোজার্ট-এর প্রেম, মোজার্ট-এর প্রেমিকা তথা স্ত্রী ও মোজার্ট-এর মূল প্রেমপত্র সম্পর্কে জানব।
বিস্ময়কর সঙ্গীত-প্রতিভা মোজার্ট-এর প্রেমপত্র
ঐতিহাসিক প্রেমপত্র | মোজার্ট-এর প্রেমপত্র |
পরিচিতি | ভিয়েনার বিস্ময়কর সঙ্গীত-প্রতিভা |
দেশ | অস্ট্রিয়া |
প্রেমিকা তথা স্ত্রী | কনস্টান্স বেবার |
প্রেমপত্রের সময়কাল | ১৩ই এপ্রিল, ১৭৮৯ খ্রি |
ভিয়েনার বিস্ময়কর সঙ্গীত-প্রতিভা মোজার্ট ১৭৮২ সালের তাঁর বাল্যের সঙ্গিনী এলয়শিয়া বেবারের ভগিনী কনস্টান্স বেবারকে বিবাহ করেন। এই বিবাহের ধরুন তিনি যেমন পিতার ক্রোধের হেতু হয়ে পড়েন, তেমনি তাঁর আধিক দুর্গতিও চরমে ওঠে। তাঁর সঙ্গীতে যেমন সহৃদয়তা ও শিশুসুলভ সরলতার অভিব্যক্তি, তেমনি তাঁর আনন্দমন্ডিত ও যৌবন-উচ্ছল চিঠিগুলোতেও তার সমান স্বাক্ষর।
স্ত্রীকে লেখা একটি ছোট্ট পত্র-
ড্রেসডন, ১৩ই এপ্রিল, ১৭৮৯ সকাল ৭টা
প্রিয়তমা ছোট বউ আমার, যদি তোমার কাছ থেকেও আমি একটি চিঠি পেতাম। তোমার ছবি নিয়ে আমি কী যে করি তা যদি তুমি শুনতে তাহলে নিশ্চয়ই তুমি খুব হাসতে। যেমন, ওটাকে ওর ফ্রেম থেকে তুলে নিই তখন কত যে আজেবাজে নামে তোমাকে ডাকি, আর আবার যখন ওটাকে যথাস্থানে রেখে দিই, তখন ধীরে অতি ধীরে ওকে হাতছাড়া করি, আর বলি – না, ন, না, না – এমন ভাবে এই শব্দগুলো উচ্চারণ করি যে নানান অর্থে তা ব্যঞ্জনা পায় : আর, অবশেষে, খুব তাড়াতাড়ি বলি, বিদায়, শুভরাত্রি, খুকু, ঘুমোও সুখে।”
নিশ্চয়ই, আমার বিশ্বাস ইতিমধ্যেই বোকার মত কত কি লিখে ফেলেছি; কিন্তু, আমাদের নিকট – আমরা যারা পরস্পরকে অমন গভীর ভাবে ভালবাসি, তা মোটেই বোকামি নয়। আজ ছ দিন হলো আমি তোমার কাছ থেকে দূরে চলে এসেছি, ঈশ্বরের দোহাই, বিশ্বাস করো, মনে হয় যেন কত বছর তোমাকে দেখি না। মনে হয়, আমার চিঠি পড়ে তুমি কখনও কখনও ব্যথিত হবে, কারণ সাত তাড়াতাড়ি আমি চিঠি লিখি, আর অত ভালও লিখতে পারি না। বিদায়, প্রিয়ে আমার এক এবং অদ্বিতীয়, বিদায়। দুয়ারে সাজান গাড়ি …..। বিদায়, যেমন আমি তোমাকে ভালবাসি, তেমনি চিরকাল ভালবেসো আমায়। তোমাকে আমার লক্ষ চুম্বন, তোমার চিরকালের প্রেমমুগ্ধ ভালবাসায় অধীর স্বামী –
মোজার্ট
(FAQ) মোজার্ট-এর প্রেমপত্র সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
ভিয়েনার একজন বিস্ময়কর সঙ্গীত-প্রতিভা।
এলয়শিয়া বেবার।
কনস্টান্স বেবার।
১৩ই এপ্রিল, ১৭৮৯ সকাল ৭টা।