নরমপন্থী কংগ্রেসের সাফল্য

নরমপন্থী বা আদি কংগ্রেসের অবদান উপেক্ষণীয় নয়, তাদের সাফল্যের বিভিন্ন দিক হিসেবে জাতীয় জাগরণ, ধর্ম নিরপেক্ষতা, রাজনৈতিক আদর্শ, সাম্রাজ্যবাদী শাসনের স্বরূপ উদঘাটন, ভারতের শিল্পায়ন, শ্রমিক-কৃষক স্বার্থ, ব্যক্তি স্বাধীনতার রক্ষক ও সংগ্রামের অগ্ৰদূত সম্পর্কে জানবো।

নরমপন্থী কংগ্রেসের সাফল্য প্রসঙ্গে কংগ্রেসের নরমপন্থী নেতৃবৃন্দের সামাজিক ভিত্তি, জাতীয় আন্দোলনের ইতিহাসে নরমপন্থী কংগ্রেসের সাফল্য, জনমত গঠন ও সরকারের কাছে দাবি প্রার্থনায় নরমপন্থী কংগ্রেসের অবদান, জাতীয় জাগরণে নরমপন্থী কংগ্রেসের সাফল্য, সাম্রাজ্যবাদী শাসনের স্বরূপ উদঘাটনে নরমপন্থী কংগ্রেসের সাফল্য, ভারতের শিল্পায়নে নরমপন্থী কংগ্রেসের সাফল্য, সংগ্ৰামের অগ্ৰদূত, ব্যক্তি স্বাধীনতার রক্ষক হিসেবে নরমপন্থী কংগ্রেসের সাফল্য সম্পর্কে জানব।

নরমপন্থী কংগ্রেসের সাফল্য

ঐতিহাসিক ঘটনানরমপন্থী কংগ্রেসের সাফল্য
সময়কাল১৮৮৫-১৯০৫ খ্রিস্টাব্দ
নেতৃবৃন্দের পরিচিতিনরমপন্থী
উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দদাদাভাই নওরোজি, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বদরুদ্দীন তৈয়াবজী
কর্মপন্থাআবেদন-নিবেদন
নরমপন্থী কংগ্রেসের সাফল্য

ভূমিকা :- নানা ত্রুটি ও ব্যর্থতা সত্ত্বেও এ কথা অবশ্যই মানতে হবে যে প্রথম যুগের (১৮৮৫-১৯০৫) কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ প্রকৃতই দেশকে ভালোবাসতেন, তাঁদের দেশপ্রেমে ফাঁকি ছিল না, বা তাঁরা ‘ভীরু’ বা ‘কাপুরুষ’-ও ছিলেন না।

নরমপন্থী কংগ্রেসের অবদান উপেক্ষণীয় নয়

এ কথা কখনোই বলা চলে না যে, আদি জাতীয়তাবাদীদের সকল প্রচেষ্টাই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছিল বা জাতীয় আন্দোলনের ইতিহাসে তাঁদের কোনও অবদানই নেই। আসলে এক দুস্তর বাধা অতিক্রম করে তাঁদের পথ চলতে হয়েছিল এবং অনমনীয় সরকারকে তাঁদের দাবি মানতে বাধ্য করার মতো কোনও ক্ষমতাই তাঁদের ছিল না। তাই সমকালীন ভারতীয় রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের অবদান উপেক্ষা করা যায় না।

নরমপন্থী কংগ্রেসের সাফল্য সম্পর্কে বিপান চন্দ্রের অভিমত

ঐতিহাসিক ডঃ বিপান চন্দ্র বলছেন যে, “তাঁদের প্রথম পদক্ষেপের ওপর ভিত্তি করেই বিকশিত হয়েছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের সার্থকতার যুগ। … ভারত-এর রাজনীতিতে তাঁরা নতুন পথের সন্ধান দিয়েছিলেন; তাঁদের যুগে তাঁরাই ছিলেন অগ্রগতির অগ্রদূত।”

নরমপন্থী কংগ্রেসের সাফল্যের বিভিন্ন দিক

কংগ্রেসের নরমপন্থী নেতৃবৃন্দের সাফল্য গুলি হল –

(ক) জাতীয় জাগরণ

  • (১) জাতি, ভাষা, প্রাদেশিকতা, জাতপাত ও ধর্মের দ্বন্দ্বে বহুধা-বিভক্ত এই দেশে জাতীয় ঐক্য ও ভারতীয় জাতীয়তার উন্মেষে নরমপন্থী জাতীয়তাবাদীদের দান অপরিসীম।
  • (২) সেই যুগে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসই ছিল একমাত্র সর্বভারতীয় প্রতিষ্ঠান। এই আন্দোলন সমগ্র জাতির মধ্যে একটি ঐক্যবোধ ও সচেতনতা এনে দিয়েছিল।
  • (৩) এই আন্দোলনের ফলেই ভারতবাসী বুঝেছিল যে, ভারত তাদের স্বদেশ, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদই তাদের প্রধান শত্রু এবং সমগ্র ভারতবাসীর স্বার্থ একসূত্রে প্রথিত।
  • (৪) জাতীয়তাবোধ জাগ্রত করার মতো দুরূহ কর্তব্য সম্পাদন করতে গিয়ে আদি জাতীয়তাবাদীরা কিন্তু কখনোই ধর্ম, দেশজ সংস্কৃতি বা ঐতিহ্যকে মূলধন করেন নি, যা তাঁদের উত্তরসূরিরা করেছিলেন।

(খ) ধর্মনিরপেক্ষতা

  • (১) সর্বব্যাপী অশিক্ষা, অজ্ঞানতা ও কুসংস্কারের মধ্যেও আদি জাতীয়তাবাদীরা এক সম্পূর্ণ আধুনিক আন্দোলনের জন্ম দিয়েছিলেন, যার ভিত্তি ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা ও নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি।
  • (২) বর্ণহিন্দু-অধ্যুষিত নরমপন্থী কংগ্রেস জন্মলগ্ন থেকেই মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় কংগ্রেসের তৃতীয় অধিবেশন-এ বিশিষ্ট মুসলিম আইনজীবী বদরুদ্দিন তায়েবজী সভাপতিত্ব করেন এবং তিনি মুসলিম সম্প্রদায়কে কংগ্রেসে যোগদানের আবেদন জানান।
  • (৩) সরকারি চক্রান্ত এবং স্যার সৈয়দ আহমেদ -এর প্রত্যক্ষ বিরোধিতায় মুসলিম সম্প্রদায় দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তা সত্ত্বেও বলতে হয় যে, জাতীয় কংগ্রেস ভারতে এক ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদী চিন্তাধারার সূচনা করে এবং বহু জাতীয়তাবাদী মুসলিম সদস্যের সহযোগিতা, শ্রম ও দানে জাতীয় কংগ্রেস পরিপুষ্ট হয়েছে।

(গ) রাজনৈতিক আদর্শ

  • (১) স্বৈরাচারী সাম্রাজ্যবাদী শাসনাধীনে রাজনৈতিক জ্ঞানহীন নির্যাতিত জনসাধারণের মধ্যে কংগ্রেসই প্রথম রাজনৈতিক সচেতনতা আনে।
  • (২) ব্রিটিশ শাসকবর্গ যখন প্রচার করছিলেন যে ‘সহৃদয় স্বৈরতন্ত্র’ বা ‘প্রাচ্য স্বৈরতন্ত্র’-ই ভারতের উপযুক্ত রাষ্ট্রব্যবস্থা, তখন জাতীয় কংগ্রেস ভারতবাসীকে গণতন্ত্র ও নাগরিক স্বাধীনতার আদর্শে দীক্ষিত করেছিল।
  • (৩) তাঁদের উদ্যোগে অসংখ্য জাতীয়তাবাদী কর্মী আধুনিক রাজনৈতিক তত্ত্ব, চিন্তা ও কলা-কৌশলের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন।
  • (৪) এছাড়া, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও শ্রেণীকে ঐক্যবদ্ধ করার মতো উপযোগী ও বাস্তবসম্মত কর্মসূচি গ্রহণেও তাঁরা সক্ষম হন।

(ঘ) সাম্রাজ্যবাদী শাসনের স্বরূপ উদ্ঘাটন

  • (১) নরমপন্থীরা তাঁদের নির্মম সমালোচনার দ্বারা জনসমক্ষে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শাসনের প্রকৃত স্বরূপটি উন্মোচন করে দেন।
  • (২) সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশের অপশাসন ও অপশোষণের নগ্ন রূপটি তুলে ধরে দেশবাসীকে তাঁরা জানিয়ে দেনযে, ভারতবাসীর দারিদ্র ও সর্বপ্রকার দুর্দশার জন্য দায়ী ব্রিটিশের সাম্রাজ্যবাদী শোষণ।
  • (৩) দাদাভাই নৌরোজি, রমেশচন্দ্র দত্ত, মহাদেব গোবিন্দ রাণাডে তথ্য ও পরিসংখ্যানের সাহায্যে সম্পদের বহির্গমন বা ‘নির্গমন তত্ত্ব’ দ্বারা প্রমাণ করেন যে ভারতে ব্রিটিশের মূল লক্ষ্যই হল অর্থনৈতিক শোষণ।
  • (৪)’ব্রিটিশ শাসন ভারতে জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা এনে দিয়েছে’—এই শূন্যকুম্ভ দাবির তীব্র প্রতিবাদ করে দাদাভাই নৌরোজি লেখেন, “আমি এই কথা বলতে চাই যে, ভারতবর্ষ জীবন ও সম্পত্তির কোনও নিরাপত্তাই ভোগ করে না। এই দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে জীবনের অর্থই হল অর্ধাহার, অনাহার, দুর্ভিক্ষ বা ব্যাধির সঙ্গে সহাবস্থান।”
  • (৫) তাঁরা ব্রিটিশ সরকারের রাজস্ব নীতি, শুল্ক, পরিবহন, আয়-ব্যয় ও মুদ্রানীতি সম্পর্কে ধারাবাহিক ও নিরবচ্ছিন্ন সমালোচনার মাধ্যমে দেশবাসীর সামনে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শোষণের স্বরূপটি তুলে ধরেন।
  • (৬) দেশবাসীকে তারা বোঝাতে সক্ষম হন যে, ভারত যতদিন পরাধীন থাকবে, ততদিন ব্রিটিশ স্বার্থেই ভারতীয় অর্থনীতি পরিচালিত হবে। ডঃ বিপান চন্দ্র বলেন যে, নরমপন্থীদের অর্থনৈতিক আন্দোলনের ফলে ব্রিটিশ শাসনের নৈতিক ভিত্তি সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যায়।
  • (৭) ব্রিটিশ শাসনের সুফল বা সদাভিপ্রায়ে সাধারণ মানুষের আর কোনও আস্থা ছিল না। নরমপন্থী জাতীয়তাবাদীদের এটি একটি বিরাট কীর্তি।

(ঙ) ভারতের শিল্পায়ন

  • (১) কেবলমাত্র সাম্রাজ্যবাদের নাগপাশ থেকে দেশকে মুক্ত করাই নয়, আধুনিক যুগের অর্থনীতির সঙ্গে দেশকে পরিচিত করাতেও তাঁরা সমানভাবে সক্রিয় ছিলেন।
  • (২) তাঁরা সমগ্র ভারতের উপযোগী একটি জাতীয় অর্থনীতি গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন, যার ভিত্তি হবে শিল্পায়ন। এই কারণেই তাঁরা অর্থনৈতিক স্বয়ম্ভরতা ও স্বদেশী শিল্প গঠনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
  • (৩) এই উদ্দেশ্য নিয়েই ১৯০১ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রতি বছর কংগ্রেসের বাৎসরিক অধিবেশনের পাশাপাশি স্বদেশী শিল্পদ্রব্যের প্রদর্শনী বসত। ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে জাপানি আদর্শে শিল্পস্থাপনের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।
  • (৪) ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে লালা মুরলীধর বিদেশি বিলাসদ্রব্য বর্জন এবং ১৮৯৮-এ মদনমোহন মালব্য দেশীয় শিল্পদ্রব্য ব্যবহারের আহ্বান জানান।
  • (৫) কংগ্রেসের আদি নেতৃবৃন্দ যে জাতীয় অর্থনীতির স্বপ্ন দেখেছিলেন তা হয়তো পুরোপুরি বুর্জোয়া ধনতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল এবং এর দ্বারা সাধারণ শ্রমিক-কৃষকদের কতটা উপকার হত, তাও সন্দেহজনক ছিল, কিন্তু তাঁরা বিশ্বাস করতেন যে, একমাত্র এই পথেই দেশের অর্থনৈতিক বিকাশ ও সর্বাধিক মানুষের উপকার সম্ভব।

(চ) শ্রমিক-কৃষক স্বার্থ

  • (১) শ্রমিক কৃষকের শ্রেণীস্বার্থের ভিত্তিতে তাঁরা পৃথক কোনও কর্মসূচি নেন নি ঠিকই, কিন্তু বিভিন্ন প্রস্তাবের মাধ্যমে শ্রমিক-কৃষক সমস্যা সমাধানের জন্য বারংবার তাঁরা সরকারের কাছে আবেদন জানান।
  • (২) চা-বাগানের শ্রমিকদের অবস্থার উন্নতি, কৃষকদের খাজনার পরিমাণ হ্রাস, লবণ কর হ্রাস, চাপরাসি, কনস্টেবল ও করণিকদের বেতন বৃদ্ধি, অরণ্য আইনের সংস্কারে তাঁরা বারংবার সরকারের কাছে আবেদন জানান।
  • (৩) ভারতের বাইরে ফিজি, মরিশাস ও দক্ষিণ আফ্রিকায় কর্মরত ভারতীয় শ্রমিকদের অবস্থার উন্নতির জন্যও তাঁরা বারংবার সরকারের কাছে আবেদন জানান।

(ছ) ব্যক্তি-স্বাধীনতার রক্ষক

  • (১) কংগ্রেসই ছিল সেই যুগে ভারতীয়দের রাজনৈতিক অধিকার ও ব্যক্তি-স্বাধীনতার রক্ষক। দেশের সাধারণ মানুষের ওপর পুলিশ, সরকারি কর্মচারী ও শ্বেতাঙ্গ বণিকদের অত্যাচার এবং নেতৃবৃন্দের ওপর সরকারি আক্রমণের বিরুদ্ধে আদি জাতীয়তাবাদীরা তীব্র প্রতিবাদ জানান।
  • (২) ডঃ রমেশচন্দ্র মজুমদার বলেন যে, জাতীয় কংগ্রেস এই সময় সদা জাগ্রত প্রহরীর মতো জাতীয় স্বার্থের প্রতি লক্ষ্য রেখেছিল এবং জাতীয় স্বার্থ বিঘ্নকারী কোনও বিষয়ই এর দৃষ্টি এড়িয়ে যায় নি।

(জ) সংগ্রামের অগ্রদূত

কংগ্রেসের প্রচারের ফলেই ইংরেজ শাসন সম্পর্কে জনসাধারণের মোহভঙ্গ হয়এবং জনসাধারণ ইংরেজ শাসনের স্বরূপ সম্যকভাবে উপলব্ধি করে। পরবর্তীকালে এই নরমপন্থী কংগ্রেসই মহাত্মা গান্ধী ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দের পরিচালনায় একটি বিপ্লবী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়ে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিচালনা করে।

নরমপন্থী কংগ্রেস সম্পর্কে মেহরোত্রার অভিমত

ঐতিহাসিক ডঃ মেহরোত্রা আদি জাতীয়তাবাদীদের ‘বাস্তববাদী’ বলে অভিহিত করেছেন।

নরমপন্থী কংগ্রেস সম্পর্কে বিপান চন্দ্রের অভিমত

ডঃ বিপান চন্দ্র বলেন যে “১৮৮৫ থেকে ১৯০৫ হল জাতীয় আন্দোলনের ভিত্তি স্থাপনের যুগ। আদি জাতীয়তাবাদীরা সেই ভিত্তি সযত্নেই স্থাপন করেছিলেন।… তাদের অনেক ব্যর্থতা সত্ত্বেও জাতীয় আন্দোলনের ইতিহাসে আদি জাতীয়তাবাদীদের অবদান তাই অনস্বীকার্য। তাঁদের উদ্যোগকে ভিত্তি করেই পরবর্তী যুগের আন্দোলন সমৃদ্ধতর হয়েছিল। আধুনিক ভারতের নির্মাতা বলে যাদের মনে করা হয়, তাঁদের মধ্যে এই জাতীয়তাবাদীদের নাম উজ্জ্বল অক্ষরে লেখা থাকবে।”

উপসংহার :- এই যুগের অন্যতম নেতা গোপালকৃষ্ণ গোখলে লেখেন, “আমাদের ভুললে চলবে না যে, দেশের অগ্রগতি এখন যে স্তরে আছে তাতে আমাদের সাফল্য সীমিত হতে বাধ্য। নিরন্তর আমাদের জন্য অপেক্ষা করে থাকবে দুঃসহ নিরাশার গ্লানি। … ভবিষ্যতে যাঁরা আসবেন তারা দেশকে সেবা করবেন তাদের সফল সাধনা দিয়ে। আমাদের ব্যর্থতা দিয়ে দেশমাতৃকার আরতি করেই আমরা তৃপ্ত হব-কঠিন হলেও এই উপলব্ধিতে সান্ত্বনা পাব যে, আমাদের ব্যর্থতার মধ্যেই ভবিষ্যতের মহান সাফল্যের শক্তি লুকিয়ে আছে।”

(FAQ) নরমপন্থী কংগ্রেসের সাফল্য সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. নরমপন্থী কাদের বলা হয়?

জাতীয় কংগ্রেসের আদি পর্বের আবেদন-নিবেদনে বিশ্বাসী নেতৃবর্গ নরমপন্থী নামে পরিচিত।

২. নরমপন্থী কাদের বলা হয়?

জাতীয় কংগ্রেসের আদি পর্বের আবেদন-নিবেদনে বিশ্বাসী নেতৃবর্গ নরমপন্থী নামে পরিচিত।

৩. দুজন নরমপন্থী নেতার নাম লেখ।

গোপাল কৃষ্ণ গোখলে, দাদাভাই নৌরোজি, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।

৪. কংগ্রেসের আদি পর্ব বা নরমপন্থী যুগ কোন সময়কে বলা হয়?

১৮৮৫-১৯০৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কে।

Leave a Comment